আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ফের চলচ্চিত্রে জুটি বাঁধছেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও রোজিনা

প্রকাশিত:সোমবার ১১ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার নন্দিত নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। বেদের মেয়ে জোসনা দিয়েই তিনি খ্যাতির চূড়া ছুঁয়েছেন। এখন পর্যন্ত এই সিনেমাটি ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ব্যবসা সফল সিনেমা। এছাড়াও আরো কিছু দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।

এ নায়ক তার সিনেমার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ববিতাকে দিয়ে। এরপর কাজ করেছেন শাবনা থেকে শুরু করে বহু নায়িকার সঙ্গে। তারমধ্যে ঢাকাই সিনেমার নন্দিত অভিনেত্রী রোজিনার সঙ্গেও বংশধর, নসীব, রতন মালা, নিকাহ, সম্মানসহ ৮-১০টি সুপারহিট সিনেমা রয়েছে কাঞ্চনের।

এই জুটি এর আগে হঠাৎ দেখা নামের একটি নাটকেও জুটি বেঁধেছিলেন বছর দশেক আগে। এবার তাদের দেখা যাবে ফিরে দেখা নামের সিনেমাতে।

দীর্ঘ সময়ের বিরতি কাটিয়ে আবারো দুজনে চলচ্চিত্রের জন্য জুটি বাঁধছেন। ফিরে দেখা সিনেমায় কাঞ্চন-রোজিনাকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে দেখবেন দর্শক।

সরকারি অনুদানে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটের এই সিনেমাটি পরিচালনা করছেন অভিনেত্রী রোজিনাই। এর আগে বেশ কয়েকটি নাটক পরিচালনা করলেও এটি রোজিনার পরিচালিত প্রথম সিনেমা।

এখানে আরো অভিনয় করতে দেখা যাবে নায়ক নিরবকে। তিনি অভিনয় করবেন রোজিনার ভাইয়ের চরিত্রে। তার সঙ্গে কে হবেন নায়িকা তা এখনো ঠিক করা হয়নি বলে গণমাধ্যমকে আজ সোমবার (১১ জানুয়ারি) নিশ্চিত করলেন রোজিনা

তিনি বলেন, অনেক প্রত্যাশা নিয়ে সিনেমাটি করছি। নিজের প্রথম পরিচালিত সিনেমার জন্য মুক্তিযুদ্ধকেই প্রেক্ষাপট হিসেবে বেছে নিলাম। বেশ চমৎকার একটি চিত্রনাট্য হাতে রয়েছে। আশা করছি দর্শক উপভোগ করবেন এমন একটি সিনেমা উপহার দিতে পারবো।


আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ভেতরে বাস, প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালে বাউন্ডারি ভেঙে রাইদা পরিবহনের একটি বাস ভেতরে ঢুকে যায়।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকী নামে সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র একজন ইঞ্জিনিয়ার নিহত হয়েছেন। তিনি সিদ্দিকী সিভিল অ্যাভিয়েশনের জ্যেষ্ঠ উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাস জানান, সকাল ১০টার দিকে রাইদা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিভিল অ্যাভিয়েশনের জ্যেষ্ঠ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম। তার মোটরসাইকেলটিকে বাসটি চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর জড়িত বাসচালক, হেলপার পালিয়ে গেছে। তবে বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর



সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৩ কোটি ডলার রিজার্ভ কমল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

এক সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলারেরও বেশি। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (২৭ মার্চ) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ নেমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৪৫ কোটি ডলারে। যা গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ছিল এক হাজার ৯৯৮ কোটি। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বর্তমানে মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪৮১ কোটি ডলার। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল দুই হাজার ৫২৪ কোটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রচুর ডলার বিক্রি করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে মুদ্রা অদলবদলের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও ডলার ফেরত নিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এক বছর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ছিল তিন হাজার ১০৭ কোটি ডলার। সে হিসাবে, এই সময়ে কমেছে ৬২৬ কোটি ডলার।


আরও খবর



এবার সমাবেশ স্থগিত করল আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির পর এবার রাজধানীতে সমাবেশ স্থগিত করেছে আওয়ামী লীগ। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শান্তি সমাবেশ করার কথা ছিল দলটির।

সোমবার (২২ এপ্রিল) পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এই সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।

তিনি বলেন, ২৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশ পুলিশ অনুমতি দেয়নি। যার কারণে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।

এর আগে দুপুরে তীব্র দাবদাহের কারণে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু সোমবার (২২ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।

এক বার্তায় বিএনপি জানায়, সোমবার (২২ এপ্রিল) নয়াপল্টনস্থ ভাসানী ভবনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এক যৌথসভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সভা থেকে জানানো হয়, দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে আসলে সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচির পরবর্তী তারিখ ও সময়সূচি জানানো হবে।

সভায় দাবদাহের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ মোকাবিলায় নাগরিকদের পাশে থাকার জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

নিউজ ট্যাগ: আওয়ামী লীগ

আরও খবর



শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তৃতীয় তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের প্রায় ৫০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।

এর আগে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তৃতীয় তলায় আগুন লাগে।

তালহা বিন জসিম বলেন, রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তিন তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সদরঘাট নদীর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।


আরও খবর



বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্দোলনে বাধা দেওয়া, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অক্ষমতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে গুরুতর ও অযৌক্তিক বাধাসহ বাংলাদেশে সরকারে আছে মারাত্মক দুর্নীতি। এছাড়া দেশের ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর ওপর আছে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। সরকারের তরফ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নিষ্ঠুর নির্যাতন, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ ও শাস্তি দেওয়া হয়। আছে জীবনের প্রতি হুমকি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক বন্দি ও আটক। জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি এমন অজুহাতে মিথ্যা অভিযোগসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে এসব পরিস্থিতি তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ওই বছরে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা পুনঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের সময় গত রাতে এই রিপোর্ট প্রকাশ পায়।

এতে বলা হয়েছে, ওই বছরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বাংলাদেশের হাসপাতালে।

খালেদা জিয়া সম্পর্কে এতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে ২০০৮ সালের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে তাকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করে গৃহবন্দি করা হয়। রাজনৈতিক বন্দি ও আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ও দেশের ভিতরকার আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার তথ্যপ্রমাণে ঘাটতি আছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, তাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক ছক সাজানো হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রসিকিউটররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংবিধান সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়ার সদস্যসহ সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু সরকার এই অধিকারে ঘন ঘন হস্তক্ষেপ করেছে। এক্ষত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সীমাবদ্ধতা আছে। সরকারের হয়রানি অথবা প্রতিশোধ নেওয়ার ভয়ে সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্র মিডিয়ার সদস্যরা ও ব্লগাররা নিজেরাই সেন্সর করেছেন। এতে তুলে ধরা হয়েছে সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র, বিচারের ক্ষেত্রে হয়রানি, খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তারসহ নানা রকম নিষ্পেষণের কথা।

রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে তার বিচার করার জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। সেই আদালত শাস্তি দিয়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে মৃত্যুদণ্ড। এ প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, আদালত বিশেষত বাছাই করে অভিযুক্ত করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের। এতে খেয়ালখুশিমতো ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ বেআইনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তার তদন্ত নিজেরাই করেছে। তারা এমন সব ঘটনা ঘটিয়েছে যেখানে তাদের শারীরিক মারাত্মক প্রহারে মানুষ আহত হয়েছে অথবা মারা গেছেন। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে কতজন মানুষ মারা গেছেন তার মোট কোনো সংখ্যা সরকার প্রকাশ করেনি। এমনকি এসব ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তও করেনি। এই তদন্ত যারা করেছেন তাদের স্বাধীনতা ও পেশাগত মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা বছরেই আইন প্রয়োগকারীরা তল্লাশি বা রেইড দিয়েছে কথিত সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকাণ্ড, মাদক ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে। কোনো কোনো ঘেরাওয়ের কালে, গ্রেপ্তারকালে সন্দেজজনক কিছু মৃত্যু ঘটেছে। একই ঘটনা ঘটেছে অন্য আইন প্রয়োগকারীদের অপারেশনেও। রিপোর্টে আরও বলা হয়, আগের বছরের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যায় গত বছর। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আইন ও শালিশ কেন্দ্র রিপোর্ট করেছে যে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অথবা হেফাজতে থাকা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে দুজন আইন প্রয়োগকারী এজেন্সির গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনজন নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার আগে বা হেফাজতে নেওয়ার পর শারীরিক নির্যাতনে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতীয় সঙ্গীত বা জাতীয় পতাকার  বিরুদ্ধে প্রাপাগাণ্ডা ছড়ানোর কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। সরকারের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে সারাবছরই সরকার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। আইনমন্ত্রী রিপোর্ট করেছেন যে, সারাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কমপক্ষে ৭০০০ মামলা মুলতবি আছে।


আরও খবর
চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪