আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ফের ঝুঁকিতে ধলাই সেতু, চলাচল ৪ দিন বন্ধের ঘোষণা

প্রকাশিত:বুধবার ১২ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজার-শমসেরনগর-চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়কে ধলাই নদীর সেতু আবারও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সরকারি নির্দেশনা না মেনে অধিক ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে এই অবস্থা হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে এই সেতু হয়ে ৪ দিন যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ বুধবার ১২ এপ্রিল থেকে শনিবার ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে সড়ক বিভাগ।

ধলাই নদীর ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজটি মেরামত করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক বিভাগ।

মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিন বলেন, ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর আমরা ৩ টনের অধিক ভাড়ী যানবাহন চলাচল না করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু তা অমান্য করে এই ক'মাস ৫-৭ টন পর্যন্ত ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে আবারো এই সড়কে বিপদের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। তাই ঈদ সামনে রেখে যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে ব্রিজটি মেরামত করা হচ্ছে।

মৌলভীবাজার সড়ক বিভাগ সুত্র জানা যায়, মৌলভীবাজার- শমসেরনগর- চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়কে ধলাই নদীর ব্রিজের মুখে সড়ক বিশাল ফাঁটল দেখা দিলে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে এই সড়কে লাল পতাকা টানিয়ে যান চলাচল বন্ধ করা হয়। ১২ দিন চেষ্টার পর ২৯ ডিসেম্বার অস্থায়ীভাবে যান চলাচলের জন্য এখানে একটি বেইলি ব্রিজ চালু করা হয়। কিন্তু ২৪ ঘন্টা না যেতেই কয়লা বোঝাই একটি ট্রাক উঠলে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। ফলে এই সড়কে চলাচলকারী কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ আবারো দুর্ভোগে পড়ে। পরে মেরামত কাজ করে পুনরায় গত পহেলা জানুয়ারি আবার তা চালু করা হয়েছে।

সড়ক বিভাগের সংশ্লিষ্ট সুত্র আরও বলেন, ১৯৮৮ সালে কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট এলাকায় ধলাই নদীর ওপর ৫২ মিটার লম্বা এবং ৩ দশমিক ৭ মিটার প্রস্তের ওই ব্রিজটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ।

পরে চাতলাপুর চেকপোস্ট হয়ে অসংখ্য গাড়ি যাতায়াতের কারণে গুরুত্ব বেড়ে গেলে সড়কটি অধিগ্রহণ করে মৌলভীবাজার সড়ক বিভাগ।

আরও জানা যায়, মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার উভয় পাশে এক কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলেও এখানে প্রতিনিয়ত ড্রেজার মেশিন দিয়ে ধলাই নদীর বালু উত্তোলন করা হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকায় অধিক বালু উত্তোলনের ফলেই নদী পাড়ের মাটি ধ্বসে পড়েছে। শুধু ব্রিজই নয়, নদীর পাড়ের প্রায় ১ কিলোমিটার জায়গা দিয়ে ফাঁটল দেখা দেয়, এই কারণে বিপদের সম্ভাবনা ব্রিজি।


আরও খবর



অস্থির আলুর বাজার, কেজিতে বেড়েছে ১২ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর অস্থির হয়ে উঠেছে আলুর বাজার। কেজিতে ১২-১৫ টাকা বেড়ে আলুর দাম হাফ সেঞ্চুরিতে ঠেকেছে। এর নেপথ্যে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে অভিযোগ করেছেন দোকানদার ও ক্রেতারা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ক্রেতারা বলছেন, আলুর বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই সময় সাধারণত আলু ২০ টাকা কেজি থাকার কথা। কিন্তু সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। অথচ সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ২৯ টাকা। 

কচুক্ষেত্র বাজারের আলু বিক্রেতা আমিনুল বলেন, রমজানের আগে থেকে বাড়তি দামে আলু বিক্রি করছি। এখন আলুর মৌসুম। তারপরও আলু বিক্রি করছি ৪৫-৪৮ টাকা। কোথাও ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি করছে। তিনি বলেন, শুধু ঈদের ছুটিতে প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। বাজারের এই অস্থিরতার পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ তার।

আলু ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, মৌসুমের শুরুতেই দাম ৫০ টাকা হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। মজুতদাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্থিতিশীল করছেন বাজার। দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবিও করেন তারা।

জয়নাল নামের এক ক্রেতার অভিযোগ, ঈদের আগে ৩৮ টাকার আলু এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা ছাড়িয়ে। হঠাৎ করে আলুর দাম ১২ টাকা কেজিতে বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।

আলুর দরে অস্থির হলেও অন্যান্য সবজির দাম বাড়েনি। বরং ঈদের পর কিছু সবজির দাম কমেছে। বাজারের ঘুরে দেখা গেছে, চিচিংগা ৫০ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা, কাঁচা পেপে ৫৫ টাকা, কাঁচা কলা ৪০ টাকা হালি, মিষ্টি কুমড়া ৩২ টাকা কেজি, সব ধরনের বেগুন ৫৫-৬০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক আগে দরে ১০ টাকা প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে। লেবু ৪০-৪৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে স্বস্তি টমোটতে। শেষ সিজনে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে। গাজর ৮০-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে শসা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা বান্ডিল, কচুর মুখি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

ঈদের পর মাছের দাম একটু চড়া। ঈদের ছুটি ও সরবরাহ কম থাকার সব ধরনের মাছের দাম কেজি ২০-৫০ টাকা বেড়েছে। দেশি রুই ঈদের পর ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৩৫০-৩৬০ (মিডিয়াম) টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দুই কেজির বেশি ওজনের রুই বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। একইভাবে কাতলা মিডিয়াম ৩৮০-৩৯০, পাংগাস ২২০ টাকা, সরপুঁটি ২৪০, তেলাপিয়া ২৪০, টেংরা দেশি ৫৫০-৫৭০ টাকা, দেশি মিক্স মাছ ৩৮০-৩৯০ টাকা, কই মাছ ৩৯০, পাবদা ৪৩০ টাকা, গলদা চিংড়ি বড় ১০০০ টাকা, ছোট ও মাঝারি বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর মলা মাছ ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের পাবদা মাছ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর
দাম কমলো সোনার

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




ফের বাংলাদেশে তিন মিয়ানমার সেনা সদস্যের অনুপ্রবেশ

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জেরে ফের দেশটির সেনাবাহিনীর তিন সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। তারা বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।

শনিবার (৩০ মার্চ) ভোরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে তারা। তাদের সঙ্গে থাকা অস্ত্র জমা নেওয়ার পর বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তিন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত খবর নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিজিবির দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজনকে হেফাজতে নেওয়ার পর বিজিবি সদর দপ্তরে অবহিত করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।

এর আগে ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিল ১৭৯ জন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা। তারাও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নে রয়েছে। তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

প্রসঙ্গত, ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জেরে ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসে বিজিপিসহ ৩৩০ জন। যার মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও চারজন বেসামরিক নাগরিক। তাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস বৃষ্টির পরও ‘অস্বাস্থ্যকর’

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকার বাতাসের মান বৃষ্টির পরও সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়ে গেছে। আজ রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টা ৩১ মিনিটে ঢাকার বাতাসের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ১০১, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়।

তবে সকাল ৯টার দিকে একিউআই ৮৬ নিয়ে ঢাকার বাতাস দীর্ঘদিন পর গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে ছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার বায়ুতে দূষণের মাত্রা বাড়তে থাকে।

ঢাকার বায়ুমান দিনের পর দিন বিশ্বের দূষিততম শহরের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করছে। এটা নাগরিকের নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।  রবিবার সাড়ে ১০টার দিকে ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের করাচি ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ১৮৫, ১৭৭ ও ১৬৯ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে। একই সময়ে ঢাকার অবস্থান ছিল ২১তম। ঢাকার অবস্থান সাধারণত ১ থেকে ৫-এর মধ্যে থাকে।

একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তাকে মধ্যম বা গ্রহণযোগ্য পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।

এ ছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।


আরও খবর



সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে ছাড়তে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে ছাড়তে ১৫-২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে ব্যাংকের ১ ভল্ট থেকে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মঙ্গলবার (২ এপ্রিল)  রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এসে বাজারের মসজিদ ও ব্যাংক ঘেরাও করে সবাইকে জিম্মি করে রাখে। এসময় তারা সোনালী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকাসহ ডিউটি পুলিশের ১০টি অস্ত্র ও আনসার বাহিনীর ৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় তারা যাওয়ার সময় রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।


আরও খবর



দু’দিন ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্র ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে ঢাকাসহ ৬ বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। এই অবস্থায় স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী দুদিন দেশের বেশকিছু অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার (৩ দিন) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙামাটিতে, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় রোববার সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে সামান্য বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বর্তমানে রংপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে, আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া একই সময় পর্যন্ত সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

অন্যদিকে, বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তবে এই সময়েও বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এই সময়ে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর