আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ফের জলাবদ্ধতার কবলে সিলেট

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
এস এ শফি, সিলেট

Image

বৃষ্টির পানিতে আবারও ডুবল সিলেট মহানগরীর শতাধিক এলাকা। শনিবার (৮ জুন) রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার রেকর্ড ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কবলে পড়ল সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকা। এ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুইবার জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাতে হলো নগরের বাসিন্দাদের।

এর আগে ২ জুন রাতে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরজুড়ে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তখন অধিকাংশ এলাকার পানি পরদিন নেমে গেলেও অন্তত ১২টি এলাকার পানি নামতে বেশ কিছুদিন সময় লেগেছিল। এ অবস্থায় গতকাল আবার ডুবল শহর।

গতকাল রাত ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত সরেজমিন দেখা গেছে, নগরের দরগামহল্লা, পায়রা, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, কাজলশাহ, মেডিকেল রোড, বাগবাড়ি, কালীবাড়ি, হাওলাদারপাড়া, সোবহানীঘাট, উপশহর, যতরপুর, তেরোরতন, সোনারপাড়া, কেওয়াপাড়া, সাগরদিঘিরপার, পাঠানটুলা, মিয়া ফাজিলচিশত, জালালাবাদ, হাউজিং এস্টেট, শাহি ঈদগাহ, ঘাসিটুলা, হাওয়াপাড়া, মীরাবাজার, শিবগঞ্জ, মাছিমপুর, জামতলা ও তালতলা এলাকায় পানি থইথই করছে। ঘরমুখী মানুষেরা যানবাহনের অভাবে পানি মাড়িয়ে হেঁটেই ফিরছিলেন।

ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা বলেন, পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে গত ২৯ মে মধ্যরাত থেকে সিলেটের ১০টি উপজেলা ও নগরে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তবে পানি নামতে শুরু করায় কয়েক দিন ধরে বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হলেও সুরমা নদী টইটম্বুর। এতে নগরে ভারী বৃষ্টি হলে নগর দিয়ে প্রবাহিত ছড়া ও খাল দিয়ে পানি নদীতে মিশতে পারছে না। এ কারণে গতকাল বৃষ্টি হলে নগর মুহূর্তেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

বাগবাড়ি বর্ণমালা পয়েন্ট এলাকায় ঊরুসমান পানি জমে। এখানকার বাসিন্দা অরিন্দম রায় বলেন, টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে প্রচুর পানি মূল রাস্তায় জমে যায়। রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। এতে ওই এলাকায় প্রচণ্ড যানজট দেখা দেয়। এ ছাড়া অনেক বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়েছে।

একাধিক বাসিন্দা বলেন, নগরের ৪২টি ওয়ার্ডের সব নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। অনেকে রাতের খাবার প্রস্তুত করার আগেই রান্নাঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন। এ ছাড়া অনেক বাসাবাড়িতে বৃষ্টির পানির সঙ্গে ভেসে ময়লা-আবর্জনাও ঢুকে পড়েছে। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তি পোহান লোকজন। অথচ জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন গত দেড় দশকে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।

উপশহর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এক সপ্তাহ না পেরোতেই আবার ভারী বৃষ্টিতে উপশহর এলাকা ডুবেছে। মুহূর্তেই এই এলাকার বিভিন্ন ব্লক কোমরসমান পানিতে তলিয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই উপশহর এলাকা ডুবে যায়, এটাই যেন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ এই উপশহর এলাকাই নগরে সবচেয়ে অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত।

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাও পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানতে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর গতকাল গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লিখেছেন, বৃষ্টির পানি দ্রুত নামার জন্য কাজ করছে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।

সিলেট আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারি আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত মাত্র ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে রাত ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।


আরও খবর



ড. ইউনূসকে রামোন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশনের অভিনন্দন

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছে রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার ফাউন্ডেশন।

সম্প্রতি অধ্যাপক ইউনূসের কাছে পাঠানো ফাউন্ডেশনের এক অভিনন্দন বার্তায় বলা হয়, আমরা রামোন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আপনার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বাংলাদেশের জনগণকে আমাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, দুর্নীতিমুক্ত ও গণতান্ত্রিক সরকারের জন্য দেশটির জনগণের আকাঙ্ক্ষার একটি সুস্পষ্ট প্রকাশ।

সভাপতি রামোন ম্যাগসেসে দৃঢ়ভাবে বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি, সরকার দেশের জনগণের কল্যাণের জন্যই নিম্নপর্যায় থেকে শুরু করে উন্নতির দিকে অগ্রসর হয়, কারণ গণমানুষের কল্যাণই সরকারের কাজ। আমি বিশ্বাস করি, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নেতার একটি বড় হৃদয়, সৎ মন, সুস্থ প্রবৃত্তি, ধৈর্য্য সুরক্ষার গুণ ও সাধারণ মানুষের প্রতি অনুগত ভালোবাসার দৃষ্টান্ত সৃষ্টির মতো গুণাবলী থাকতে হয়।

বার্তায় আরও বলা হয়, আপনার দেশের ইতিহাসের এই নতুন অধ্যায়টি অনিশ্চয়তা বা বৈষম্য নয়, বরং স্থিতিশীলতা এবং সেই নেতৃত্ব দিয়ে সজ্ঞায়িত হোক, যা গুটিকয়েক বিশেষ গোষ্ঠী নয়, বরং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারকে সমুন্নত রাখে।

২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূস ১৯৮৪ সালের রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেয়েছেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পদত্যাগের পর ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর চারদিন পর গত ৮ আগস্ট রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হলেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যংকের ১৩তম গভর্নর হিসেবে আগামী চার বছরের জন্য তাকে নি‌য়োগ দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠন ও বাজার বিভাগ তা‌কে নি‌য়োগ দি‌য়ে প্রজ্ঞাপন জারি ক‌রে‌ছে।

তিনি পদত্যাগ করা বিদায়ী গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদা‌রের স্থলাভিষিক্ত হয়ে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে ৯ আগস্ট বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার পদত্যাগ করেন।

রাষ্ট্রপ‌তির আদে‌শে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপ স‌চিব আফছানা বিল‌কি‌সের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলা‌দেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ এর ১০ (৫) অনুযায়ী পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর-কে অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তাঁর যোগদানের তারিখ থেকে ৪ (চার) বছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক-এর গভর্নর পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো।

ড. আহসান এইচ মনসুর গভর্নর পদে থাকাকালীন সরকারের সাথে সম্পাদিত চুক্তির শর্ত মোতাবেক বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা বাংলাদেশ ব্যাংক হতে গ্রহণ করবেন।

বৈচিত্র্যময় কর্মজীবন ড. মনসুরের

ড. আহসান এইচ মনসুর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী। তিনি ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরের বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৭৭ সালে ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। আর ১৯৮২ সালে ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন।

ড. মনসুর ১৯৮১ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে যোগ দেন। তিনি ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ফিসকাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগে কাজ করেছেন।


আরও খবর



ত্রাণ দিতে ঢাবির টিএসসিতে স্রোতের মতো আসছে মানুষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাবি প্রতিনিধি

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) স্রোতের মতো ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আসছেন নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে টিএসসি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মানুষ ট্রাক, পিকআপ, ভ্যান, রিকশা, প্রাইভেটকার ভর্তি করে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আসছেন।

মহিউদ্দিন আলম নামের এক ব্যবসায়ী তিন পিকআপ ভর্তি করে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে ছাত্র সমাজই দেশকে পথ দেখিয়েছে। তাদের হাত ধরেই আমরা যে কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রুখে দেবো। আমরা সবাই এক থাকলে কোনো শত্রুই আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। সামর্থ্য অনুযায়ী আমি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আমি চাই দেশের প্রতিটি মানুষ এতে অংশগ্রহণ করুক।

এরই মধ্যে ত্রাণসামগ্রীতে টিএসসি ক্যাফেটেরিয়া, গেমসরুম ভর্তি হয়ে যাওয়ায় সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামসহ টিএসসির বারান্দায় রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি নগদ টাকাও উঠছে। ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে আসা গাড়ির লম্বা লাইন লেগে গেছে টিএসসি এলাকায়। ত্রাণ সামগ্রী প্যাকেজিংয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে স্কুল-কলেজের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী কাজ করছেন।


আরও খবর
ইউজিসিতে দুই সদস্য নিয়োগ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আ.লীগের আমলে লাইসেন্স পাওয়া ১ হাজার ৬৫৪ অস্ত্র জমা পড়েনি এখনও

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরপরই দেশের পাঁচ শতাধিক থানায় হামলা চালিয়ে বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়। এদিকে এসব অবৈধ অস্ত্রের সঙ্গে যোগ হয়েছে গত ১৫ বছরে বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রও। যার বেশির ভাগই রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাতে। গত মঙ্গলবারের মধ্যে গোলাবারুদসহ এসব আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বেঁধে দেওয়া সময় শেষে এসব অস্ত্র উদ্ধারে গত মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসারের সমন্বয়ে যৌথ আভিযানিক দল গঠন করে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত যৌথ অভিযানে কত সংখ্যক অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার এবং বৈধ অস্ত্র জমা পড়েছে তার হিসেব দিতে পারেনি পুলিশ সদর দপ্তর।

তবে সূত্রে জানা গেছে, দেশের আট বিভাগে ৯ হাজার ১৯১টি বৈধ অস্ত্র থানাগুলোতে জমা পড়েছে। বাকি ১ হাজার ৬৫৪টি জমাযোগ্য বৈধ অস্ত্র এখনও জমা দেওয়া হয়নি।

গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছিল, গত ৫ ও ৬ আগস্ট সারাদেশে ১১ ধরনের মোট ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র লুট হয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬৩টি উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ২ হাজার ৬৬টি অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। গোলাবারুদের মধ্যে লুট হয় বিভিন্ন বোরের ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৪২টি গুলি, যার মধ্যে এখনো উদ্ধার হয়নি ৩ লাখ ২০ হাজার ৬৬০টি। লুট করা ৩১ হাজার ৪৪টি কাঁদানে গ্যাসের শেলের মধ্যে ৮ হাজার ৯০৫টি এখনো উদ্ধার করা যায়নি। সাউন্ড গ্রেনেড লুট করা হয়েছিল ৪ হাজার ৬৯২টি। এরমধ্যে এখনো ২ হাজার ৫৭৬টি উদ্ধার করা যায়নি।

বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক ইনামুল হক বলেন, সদর দপ্তরের অপারেশনস শাখা থেকে যৌথ অভিযানে লুট হওয়া ও বৈধ অস্ত্র কতগুলো উদ্ধার ও জমা পড়েছে সেই তথ্য তারা এখনো পাননি।’

পুলিশ সদর দপ্তরের আরেক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের লুট হওয়া সব ধরনের অস্ত্র এবং লাইসেন্স নেওয়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। মঙ্গলবার রাত থেকে জোরেশোরে যৌথ অভিযান শুরু হয়নি। আজ শুক্রবার থেকে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোরালো অভিযান চালানো হবে।’

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের শাসনআমল ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের আট বিভাগে ১০ হাজার ৮৪৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে জমা পড়ে ৯ হাজার ১৯১। এখনও লাইসেন্স নেওয়া ১ হাজার ৬৫৪টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েনি।


আরও খবর



আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে সরানো হলো লোহার খাঁচা

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা ও দাবির মুখে অবশেষে আদালতের এজলাসকক্ষ থেকে আসামিদের রাখার লোহার খাঁচা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। উচ্চপর্যায় থেকে নির্দেশনার পর খাঁচাগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এরইমধ্যে গতকাল (১৬ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের দুইজন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসকক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরানো হয়েছে।

সিএমএম আদালতের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের পর শুক্রবার থেকে আদালত কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি বিচারিক আদালতের এজলাসকক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের ১০ আইনজীবী। সেই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুলসহ আদেশ দিয়েছিলেন।

ঢাকাসহ দেশের নিম্ন আদালতের এজলাসকক্ষে কাঠগড়ার (কোমর পর্যন্ত কাঠের বেস্টনি) বদলে লোহার খাঁচা ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব পিঞ্জর বা লোহার খাঁচায় মামলার শুনানির সময় আসামিদের রাখা হয়। শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে খাঁচার মধ্যেই থাকতে হয় দীর্ঘ সময়। এদিকে কাঠগড়া উঠিয়ে লোহার খাঁচা রাখার আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আইন বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছিলেন, বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই অভিযুক্তকে প্রকাশ্য আদালতে লোহার খাঁচায় বন্দি করে নিরপরাধ ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার ভঙ্গ করা হচ্ছে। আদালত কক্ষে এভাবে আসামিকে লোহার খাঁচায় ঢোকানো অমানবিক ও সংবিধান পরিপন্থি। একইসঙ্গে দেশের প্রচলিত আইন এবং আন্তর্জাতিক বিধিবিধানেরও পরিপন্থি। তারা বলছেন, এই ব্যবস্থা আর থাকা উচিত নয়।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪