শর্ত শিথিল করে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের
দাবি মেনে না নেওয়ার অভিযোগ তুলে ফের নীলক্ষেতে অবরোধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)
অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার
দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে জড়ো হয়ে এসে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন তারা। পরে
দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ সড়ক অবরোধ করেন।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট সকাল ১০টা দুপুর ১টা
পর্যন্ত নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে গত রোববার
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ গণঅনশন পালন করেন তারা।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান,
একদফা, এক দাবিতে আন্দোলনের জন্য জড়ো হচ্ছেন তারা। তাদের দাবি- নির্ধারিত জিপিএ বা
সিজিপিএ শিথিল করে, তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন
দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের অবরোধের ফলে এই মুহূর্তে
নীলক্ষেত এলাকার সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন।
যানজটে দীর্ঘ সময় বাসে, রিকশায় বসে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা হয়েছেন
অনেকে।
যে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে
নিউমার্কেট ও লালবাগ থানা পুলিশের সদস্যরা নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন।
অপরদিকে অবরোধ সড়িয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক
করে দিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে নীলক্ষেত মোড়ে এসেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শাহেন শাহ মাহমুদ।
এর আগে গত মাসে আফ্রিকা-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে
দেখা যায় প্রিগোজিনকে। গত জুনে রাশিয়ায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিলেন
তিনি। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটি ব্যর্থ হয়।
২০১৪ সালে রুশ ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার প্রতিষ্ঠা
করেন পুতিনের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ প্রিগোজিন। রুশ এ ধনী ব্যবসায়ী ‘পুতিনের বাবুর্চি’ নামে পরিচিতি
পেয়েছিলেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল এই বাহিনী। তবে অভ্যুত্থানচেষ্টার পর
তাদের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় পুতিন প্রশাসন।