আজ সকালে ফের
যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। জানিয়েছিল, ইউক্রেনের বন্দর-শহর মারিয়ুপোল থেকে সাধারণ
মানুষকে উদ্ধারের পথ করে দেওয়া হবে। কালকের মতো আজও তারা সেই প্রতিশ্রুতি ভাঙল। আকাশপথে
হামলা, গোলাগুলি, ক্ষেপণাস্ত্র হানা, সম্মুখসমর, সবই চলল দিনভর। ইউক্রেন সংঘর্ষবিরতি
লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলতে, তাদেরই দায়ী করল রাশিয়া। ক্রেমলিনে বসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির
পুতিন ফতোয়া দিলেন, বর্তমান (ইউক্রেনীয়) কর্তৃপক্ষের বোঝা উচিত, ওরা যা করছে, সেটা
যদি চালিয়ে যায়, ইউক্রেন দেশটার ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়বে। আর যদি তা-ই হয়, সে ক্ষেত্রে
তার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী হবে ওরাই।
আজভ সাগরের তীরে
মারিয়ুপোল বন্দরটি কৌশলগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লাগাতার হামলা চালিয়ে গেলেও এটিকে
এখনও দখল করতে পারেনি রুশ বাহিনী। এই বন্দরটি তাদের হাতে চলে এলে ক্রাইমিয়ার দিকের
রাস্তা সাফ হয়ে যাবে। সেখানকার রুশ সমর্থনপ্রাপ্ত বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও যোগ দিতে পারবে
পুতিনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে। তাই মারিয়ুপোলকে দখল করতে মরিয়া রুশরা। এ কারণেই হয়তো যুদ্ধ
থামাতে তারা নারাজ।
ইউক্রেনের অভিযোগ,
মস্কোর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা একেবারেই কথার কথা। গোলাবর্ষণ এক মুহূর্তের জন্য বন্ধ হয়নি।
শহরটিকে ঘিরে রেখেছে রুশ সেনা ও রাশিয়ার সমর্থনপ্রাপ্ত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাহিনী।
ইউক্রেনের একটি টিভি চ্যানেলে দাবি করা হয়েছে, সাধারণ মানুষকে উদ্ধারের জন্য যে নিরাপদ
করিডর গড়া হয়েছে, তাতে আজ লাগাতার গোলাবর্ষণ করেছে রুশরা। ফলে পালানোর সাহসই দেখাতে
পারেনি কেউ। অন্য একটি ইউক্রেনীয় সংবাদ সংস্থা তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ডনেৎস্কের
বিচ্ছিন্নতাবাদী
সংগঠন তাদের কাছে দাবি করেছে, হামলা বন্ধ রাখা হয়েছিল। ইউক্রেন সরকার সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার
করতে পারেনি। ওই সংগঠনের দাবি, মারিয়ুপোল থেকে ২ লক্ষ বাসিন্দাকে উদ্ধারের কথা বলেছিল
প্রশাসন। মাত্র ৩০০ জনকে বার করতে পেরেছে তারা।