ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইস্যু করে বিএনপি আবার সেই ১/১১-এর অস্বাভাবিক সরকারের খেলায়
মেতে উঠতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল
কাদের।
তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইস্যু করে বিএনপি মাঠে নামতে চায়। এরই মধ্যে সেই
খেলা শুরু হয়ে গেছে। এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর পলাশী মোড়ে কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে
আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
আরও বক্তব্য দেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেন মন্ডল। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি
মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, সংসদ সদস্য হাজী সেলিমসহ সনাতন ধর্মের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ সময় শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন মেয়র তাপস। শোভাযাত্রাটি সেখান থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন
সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজধানীর বাহদূরশাহ পার্কের সামনে গিয়ে শেখ হয়।
বর্তমান সময়কে খুবই স্পর্শকাতর উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাড়ে তিন মাস পর জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে অশুভ
শক্তি নানা খেলা খেলবে।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এরা গতবার ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে নির্বাচনকে
ঘিরে অশুভ তান্ডব চালিয়েছে। এবার বিএনপি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইস্যু করে মাঠে নামতে
চায়। সেই অশুভ খেলা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ইউনূসকে নিয়ে তারা আবার সেই ১/১১-এর অস্বাভাবিক
সরকারের খেলায় মেতে উঠতে চায়। কাজেই যারা এ দেশে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা চান তাদের
শেখ হাসিনার সরকারের পাশে দাঁড়াতে হবে। শেখ হাসিনার সরকারই এই দেশে মাইনরিটির নিরাপত্তার
একমাত্র গ্যারেন্টি। কাজেই এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, দেখি তো মাঝে মাঝে অনেকেই উল্টাপাল্টা কথা বলেন। এসব অশুভ শক্তিকে নিয়ে
বিএনপি অশুভ খেলা খেলতে চায়। কাজে সাবধান থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সময়টা খুব
ভালো নয়। এখানে অসুরের আস্ফালন হচ্ছে। এখানে দুষ্টের সংখ্যা বেড়ে গেছে। শ্রী কৃষ্ণের
উপদেশ মতো শান্তি যাতে বজায় থাকে, সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, এটা প্রমাণ হয়েছে, গত সাড়ে ১৪ বছরে শাসক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
চেয়ে সনাতন ধর্মম্বলম্বীদের আর কোনো আপন মানুষ রাজনীতিতে নেই। মাইনরিটি বান্ধব সরকার
শেখ হাসিনার সরকার। শুধু কুমিল্লাসহ দুএকটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া প্রতিবছর
হিন্দু-ভাই বোনেরা নিরাপদে ছিল এবং আছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সময় খারাপ, এবার আমি ভয় পাচ্ছি।
অশুভ শক্তি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এমন কোনো ঘটনা ঘটাতে পারে, যা হিন্দুদের
সাথে বা ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারে। রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িক দুর্বিত্তরা
এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে। সুতরাং আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।’
আসন্ন দূর্গা উৎসবের সময় হিন্দু ভাইদের পাশে থাকতে প্রত্যেক ধর্মের মানুষের প্রতি
আহ্বান জানান ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘কোনো অশুভ শক্তি যেন আপনাদের বাড়িঘরের ক্ষতি না করতে পারে, আমি
সবাইকে আহ্বান করব, আপনাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। নিরাপত্তা দিতে হবে। বাসাবাড়ির নিরাপত্তা,
মন্দিরের নিরাপত্তা, মণ্ডপের নিরাপত্তা। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে
সতর্ক আছে। আমাদের জনগণকেও সতর্ক থাকতে হবে।’