আবারও শুরু হয়েছে
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কর্তৃক দেশটির রোহিঙ্গা নাগরিকদের গণহত্যার মামলার কার্যক্রম।
আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে সোমবার মামলাটির কার্যক্রম শুরু হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম
আল জাজিরার এক থেকে প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক আদালত
২০১৭ সালে মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন স্টেটের রোহিঙ্গা নাগরিক গণহত্যার বিষয়ে মিয়ানমার
সরকারের প্রাথমিক অভিযোগগুলোর শুনানির বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে
আল জাজিরার ওই প্রতিবেদন থেকে।
সোমবার থেকে শুরু
হওয়া এই মামলার শুনানি এগিয়ে নিতে বাড়তি তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে গত বছরের ফেব্রুয়ারি
মাসে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন
সরকার হটিয়ে ক্ষমতা দখল করলে মামলার বিষয়টি জটিল হয়ে পড়ে।
২০১৯ সালে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া অর্গানাইজেশন ফর
ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সহযোগিতায় মিয়ানমারকে অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক ন্যায়রবিচারক
আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কর্তৃক
‘বড় আকারের’ গণহত্য, গণধর্ষণ চালানোসহ বাড়িঘর পুড়িয়ে
দেয় মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন অঞ্চলের রোহিঙ্গা নাগরিকদের। যার ফলে, সেখান থেকে ৭ লাখেরও
বেশি মানুষ পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
জাতিসংঘের একটি
তদন্তে দেখা গেছে, সেই সময়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কতৃক পরিচালিত সেই ক্র্যাকডাউনটি ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ নিয়েই চালানো হয়েছিল। তদন্তে দেশটির সেনাপ্রধান
মিন অং হ্লাইংসহ আরও পাঁচ জেনারেলের বিরুদ্ধে বিচারের সুপারিশ করা হয়েছিল।
এর আগে ২০১৯ সালের
ডিসেম্বরে মিয়ানমারের তৎকালীন ক্ষমতাসীন বেসামরিক নেতা অং সান সু কি দ্য হেগে আন্তর্জাতিক
ন্যায়বিচার আদালতে গিয়েছিলেন মামলায় মিয়ানমারের পক্ষে লড়তে। সামরিক সরকারের পক্ষ থেকে
বলা হয়েছিল, তাঁদের প্রতিনিধিরা আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে আনীত প্রাথমিক অভিযোগগুলোর
বিষয়ে যুক্তি দেবে।