পদ্মার পানি বিপৎসীমার
ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া পয়েন্টে
পদ্মার পানি ৪ সেন্টিমিটার কমলেও বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়ায় লঞ্চ ও ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
এতে ঘাট এলাকায়
ও ঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করছে শত শত যানবাহন। ফেরি
পারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে চালক ও সহকারীদের।
শুক্রবার (২৭
আগস্ট) দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে ঘাট
এলাকায় দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া
ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকায় মহাসড়কের দুই লাইনজুড়ে প্রায় ৩০০ গাড়ির
দীর্ঘ লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে। অপেক্ষমাণ এসব যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা
বেশি।
অন্যদিকে ফেরিঘাটে
যানজট কমাতে ঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ
মোড় থেকে কল্যাণপুর জামে মসজিদ পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ২০০ অপচনশীল পণ্যবাহী
ট্রাককে আটকে রাখা হয়েছে, যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হবে।
গোয়ালন্দ মোড়ে আটকে থাকা ট্রাকচালক আকাশ শেখ বলেন, বেনাপোল থেকে মাল নিয়ে ঢাকা যাচ্ছি। গতকাল রাতে গোয়ালন্দ মেড়ে এলে ট্রাফিক পুলিশ আটকে দেয়। পরবর্তী সিরিয়ালে আটকে থাকি। রাত পার হয়ে সকাল হলেও এখনো ফেরির দেখা পাইনি।
ঘাটসংশ্লিষ্ট
ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত। ফলে দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরি
ভিড়তে সময় বেশি লাগছে। দৌলতদিয়া থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে যাওয়ার সময় স্রোত কমবেশি
অনুকূলে থাকছে। ফলে ফেরি পৌঁছে যাচ্ছে ২০-২৫ মিনিটেই। কিন্তু পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়ায়
আসার সময় বিপত্তি বাধছে।
তীব্র স্রোতের
বিপরীতে চলতে গিয়ে সময় বেশি লাগছে। আবার স্রোতের কারণে ঘাটে ভিড়তেও বেগ পেতে হচ্ছে।
সব মিলিয়ে ৪৫ থেকে ৫৫ মিনিট পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে। বিশেষ করে এই নৌপথের অধিকাংশ ফেরির
বয়স অনেক বেশি। ফলে ইঞ্জিনের শক্তি কমে এসেছে। এ কারণে সমস্যা বাড়ছে।