আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ফেরিঘাটে তীব্র গরমে মারা যাচ্ছে গরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

লোকডাউন শিথিলের ঘোষণায় ঈদের ছুটি কাটাতে রাজধানী ছাড়ছে দক্ষিণা অঞ্চলের মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নেমেছে।

এদিকে পাড়ের অপেক্ষায় ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে অসংখ্য গরুর ট্রাক। এ সময় তীব্র গরমে ট্রাকেই মারা যাচ্ছে গরু। তবু ও নদী পাড় হতে পারছে না গরু ব্যবসায়ীরা। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।

গরু ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন বলেন, ফেরি পার হতে পারছি না। এই গরমে গরু অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে অনেকের গরু মারা গেছে।

বিআইডব্লিটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহম্মেদ জানান, নদীতে তীব্র স্রোত থাকার কারণে সব কটি ফেরি চলাচল করতে করতে না পারায়। ঘাট এলাকায় কিছু টা চাপ রয়েছে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমরা গরুর ট্রাক পাড় করছি।

তিনি আরও জানান, বাংলাবাজার শিমুলিয়া নৌ রুটে ১৮টি ফেরি মধ্যে ১২টি ফেরি চলাচল করছে। নদীতে স্রোত থাকার ফলে ছোট ৬টি ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে যাত্রী পারাপারে ৭৮টি লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর
কপালের বলিরেখা দূর করার উপায়!

শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অভিযানেও স্বস্তি ফেরেনি চালের বাজারে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪




পেঁয়াজের দাম কমে অর্ধেক, তবুও নেই ক্রেতা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের পাইকারি বাজার দাম ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজি থাকলেও প্রশাসন কোনো অভিযানে নামেনি। এ ছাড়া আমদানিকারকরা বিকল্প উৎস থেকেও পেঁয়াজ আনেনি। এর পরও পেঁয়াজের কেজি অর্ধেকে নেমে এখন ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। তবুও ক্রেতা নেই।

এদিকে ঢাকার খুচরা বাজারেও সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। পাইকারি বাজারে গতকাল এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৩ টাকা কেজি।

ঢাকার পাইকারি কারওয়ান বাজারের আড়তদার জালাল বলেন, পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। আজ (মঙ্গলবার) আমরা পাইকারিতে ৪২ থেকে ৪৩ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি।

হঠাৎ করে দাম কমার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, রোজার আগে থেকে অনেক আড়তদার পণ্যটি মজুদ করেছিলেন বলে তথ্য দিয়েছেন ব্যবসায়ীরাই। এখন আমদানির খবর পেয়ে তারাই অতিরিক্ত লোকসানের ভয়ে কম দামে পণ্যটি ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা দাবি করেছেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। এটি মজুদ করা সম্ভব নয়। এখন দেশি পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ হওয়ায় দাম কমছে।

গত ৭ ডিসেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণার পর অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে পেঁয়াজের বাজার। রাতারাতি খাতুনগঞ্জেই কেজিপ্রতি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম উঠেছিল ২০০ টাকায়। পুরোনো এলসির প্রায় পাঁচ হাজার টন পেঁয়াজ আসায় গত ২২ ডিসেম্বর খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল কেজিপ্রতি ১৭০ টাকা।

এরপর ভারত থেকে বৈধ পথে আর কোনো পেঁয়াজ দেশে আসেনি। এখন আড়তগুলোতে যেসব ভারতীয় পেঁয়াজ দেখা যাচ্ছে সবটাই চোরাইপথে আসা।

চলতি বছরের শুরুতে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছিল ১৩০ টাকা পর্যন্ত। এরপর দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে এলে ১০০ টাকার নিচে চলে আসে পেঁয়াজের কেজি। ফেব্রুয়ারির ২৯ তারিখ পর্যন্ত খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। মার্চের ১৫ তারিখ থেকে ক্রমাগত এক-দুই টাকা করে কমতে থাকে দাম। সর্বোচ্চ গত সোমবার দাম নেমে আসে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।

মঙ্গলবার সকালে খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ আড়ত দেশি পেঁয়াজে ভর্তি। কিছু ভারতীয় পেঁয়াজও আছে।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স আলম অ্যান্ড সন্সের কর্ণধার কবির হোসেন চৌধুরী বলেন, কয়েক দিন ধরে পেঁয়াজের বাজার উঠানামা করছে। গত সোমবার হঠাৎ দাম অর্ধেক হয়ে যায়। তখন দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল। আজকে (মঙ্গলবার) আবার বেড়ে গেছে। দেশি পেঁয়াজ ৫০ আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান, এক সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি। এখন পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে দামও অর্ধেক কমেছে। তবে ক্রেতা নেই।

এদিকে চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৬০ টাকা। ভ্যানগাড়িতে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। ভ্যানগাড়ির পেঁয়াজ বিক্রেতা আবদুর রহিম জানান, দেশি পেঁয়াজ ছোটগুলো ৫০ টাকা আর আকারে বড়গুলো ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।

দাম কমে আসার কারণ হিসেবে খাতুনগঞ্জের একাধিক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, অনেক আড়তদার আছেন; যারা কৃষকের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনে মজুদ করেছিলেন। তারা যখন দেখতেছেন এপ্রিলেই দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ চলে আসবে, তখন অতিরিক্ত লোকসান হবে। সেই ভয়ে সংগ্রহে থাকা পেঁয়াজ বাজারে ছাড়ছেন। ফলে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পণ্য বাজারে থাকায় দাম কমছে।

তবে মজুদ করার বিষয়টি মানতে নারাজ খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পেঁয়াজের আড়তদার মোহাম্মদ ইদ্রিস। তিনি বলেন, এখন কৃষকরা নতুন পেঁয়াজ বিক্রির জন্য তুলতে শুরু করেছেন। ক্ষেত থেকে টন টন পেঁয়াজ আসছে আড়তে। আড়তগুলোতে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ বেশি। তাই দাম কমছে। এটি পচনশীল পণ্য। আড়তদারদের মজুদ করার সুযোগ নেই।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




২৭ বছর ধরে ফাঁকা বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২৭ বছর ধরে ফাঁকা পড়ে আছে বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবন। বিরোধীদলীয় নেতাদের কেউ বাড়ি বরাদ্দ পেয়েও ওঠেননি, কেউ বা আবার বরাদ্দ চেয়েও পাননি। বাড়িটি পরিত্যক্ত পড়ে থাকলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবনে প্রবেশে কোনো বাধা নেই। যে কেউ যখন তখন প্রবেশ করতে পারেন। রাজধানীর মিন্টো রোডে আড়াই একর জমির ওপর বাড়িটির পেছনের অংশে বেশ কয়েকটি আধাপাকা টিনশেড ঘর। সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন দুজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও একজন পানির লাইনের মিস্ত্রী।

এ ছাড়াও সেখানে বসবাস করছেন কয়েকটি সরকারি দপ্তরের মালি, গাড়িচালক ও পাহারাদারদের পরিবার। আরও দুটি টিনশেড ঘরে ১০-১২ জন ব্যাচেলর থাকেন।

মূল ভবনটি বসবাস অনুপেযাগী। দরজা-জানালা ভাঙা। বেশিরভাগ আসবাবপত্র নষ্ট। বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। বাড়িটি দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই এটি একটি দেশের বিরোধী দলের নেতার সরকারি বাসভবন।

১৯৯১ সালে প্রথম বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে বাড়িটিতে ওঠেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে ২০০১ সালে বরাদ্দ পেয়েও তিনি ওঠেননি। আর ১৯৯৬ সালে বরাদ্দ পেয়েও ওঠেননি খালেদা জিয়া।

তবে ২০১৪ সালে রওশন এরশাদ বাড়িটি বরাদ্দ চেয়েও পাননি। ২০১৮ সালে  হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বরাদ্দ পেয়েও ওঠেননি। সবশেষ জিএম কাদের বরাদ্দ পেলেও বাড়িটিতে ওঠা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, অব্যবহৃত একটা বাড়ি আছে। আমরা গেলে হয়ত সেটা ব্যবহার করব। দেশের স্বার্থে যদি কিছু হয় আমরা সেটার চেষ্টা করব। আমরা চেষ্টা করব ওখান থেকে অফিস মেইনটেইন করার। আবাসিক ছাড়াও ওই বাড়িতে কিছু সুযোগ-সুবিধা আছে। ওই বাড়িতে আমাদের কাজের কিছু সুবিধা হবে বলে মনে করছি।

তবে গণপূর্ত বিভাগ বলছে, বাড়িটি সংস্কার করতে ঠিকাদার খোঁজা হচ্ছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব হাসান বলেন, বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাড়িটির সংস্কার কাজের জন্য ঠিকাদার দেখা হচ্ছে। কাজ শেষ হতে তিন থেকে চার মাস লাগতে পারে।

বাড়িটিকে ২০০৯ হেরিটেজ ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। যে কারণে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাড়িটি ভেঙ্গে নতুন করে বানানো যাচ্ছে না।


আরও খবর



মস্কোয় হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কনসার্টে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিলেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা রাশিয়ান সিকিউরিটি কাউন্সিলের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে মেদভেদেভ এই হুঙ্কার দেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা শুধুমাত্র সন্ত্রাসের ভাষা বোঝে। যদি বলপ্রয়োগ করা না যায়, যদি সন্ত্রাসীদের হত্যা এবং তাদের পরিবার-স্বজনদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়— তাহলে কোনও তদন্ত বা বিচার কাজে আসবে না। আমাদের সামনে আর কোনও উপায় নেই।’

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় কনসার্ট হলে হামলা চালায় বন্দুকধারী সন্ত্রাসীরা। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৪৭ জন। রুশ তদন্ত কমিটির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

ওই ভবনটির অডিটোরিয়ামে পিকনিক নামের একটি রুশ ব্যান্ডের কনসার্ট ছিল। কনসার্ট হলটির ধারণক্ষমতা সাড়ে ৭ হাজার এবং সন্ত্রাসীরা যখন আক্রমণ শুরু করে তখন হলটি প্রায় পরিপূর্ণ ছিল। কনসার্ট শুরুর আগে দর্শনার্থীরা যখন আসন গ্রহণ করছেন, সে সময়ই ঘটে অতর্কিত বন্দুক হামলা। হামলার পর ভবনটিতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।

২০০৯ সালে চালু হওয়া একটি বিনোদন কেন্দ্রের একটা অংশ এই কনসার্ট হলটি। পুরো কমপ্লেক্সে একটি শপিং মল ও একটি হোটেলও রয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, পাঁচজন বন্দুকধারী হামলাতে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের হাতে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য সামরিক অস্ত্র ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

হামলাকারীরা ওই হলের নিরস্ত্র নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। এ সময় তারা ভেতর থেকে হলটি বন্ধ করে রাখে।

কনসার্ট হলের একেবারে ভেতরে ঢুকে সেখানে থাকা চেয়ারগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। ওই আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।

হামলার কয়েক ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে স্বীকার করে বিবৃতি দেয় ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে)। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মস্কোতে আইএস যোদ্ধারা হামলা চালিয়ে শতাধিক মানুষকে হতাহত করেছে এবং ঘটনাস্থলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে নিরাপদে তাদের ঘাঁটিতে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি ও মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়মিত এ ঘটনার হালনাগাদ তথ্য জানানো হচ্ছে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ভয়ংকর দাবানলের কবলে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভয়ংকর দাবানলের কবলে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস। দাবানল পাশের রাজ্য ওকলাহোমাতেও ছড়িয়েছে। উত্তর টেক্সাসে এক হাজার সাতশ বর্গ মাইল বা চার হাজার চারশ বর্গ কিলোমিটার বনভূমি জুড়ে দাবানল জ্বলছে। টেক্সাসের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় দাবানল।

টেক্সাসে দুইটি আলাদা দাবানল এখন একই স্থানে এসে মিশেছে। যা প্রতিববেশী ওকলাহোমাতেও ছড়িয়েছে। মাত্র তিন শতাংশ এলাকায় দাবানলকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ। তবে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বরফ পড়ায় আগুনের তীব্রতা কিছুটা কমে। কিন্তু ওই দাবানল বিপজ্জনক ও তা অনিয়ন্ত্রিত বলে জানানো হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) টেক্সাসে গেছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত পরিদর্শন করেন। বাইডেন বলেছেন, তিনি ফেডারেল কর্মকর্তাদের দাবানল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের প্রয়াস করতে বলেছেন। তিনি দুর্গত এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ওপরও জোর দিয়েছেন। জাতীয় এমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, টেক্সাস ও ওকলাহোমাকে পুরো ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

দাবানলে ৮৩ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এখনো দাবানল জ্বলছে। কত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বা কত ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে তা জানা য়ায়নি।

এই অঞ্চলে এই সময় দাবানলের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। এই বছর তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি ছিল। এ কারণেই দাবানল এভাবে ছড়িয়ে পেড়েছে। বন বিভাগ জানিয়েছে, আরেকটি দাবানল তিন হাজার তিনশ একর জুড়ে জ্বলছিল। তবে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।


আরও খবর



প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ১৯ মার্চ, প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে ঢাকার উত্তরে জয়দেবপুরে (বর্তমান গাজীপুর) অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙালিরা পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।

এই উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে শহীদদের কবর জিয়ারত ও আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চে দেওয়া ভাষণে তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে, এই মন্ত্রবলে বলিয়ান হয়ে ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই ঢাকার অদূরে জয়দেবপুরে অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙালিরা সশস্ত্র সেনাবাহিনীর সামনে প্রথমবার রুখে দাঁড়িয়েছিল। হাজার-হাজার জনগণ অবতীর্ণ হয়েছিল সেই সম্মুখযুদ্ধে।

১৯৭১ সালের ১৯ মার্চে ঢাকা ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার থেকে আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের নেতৃত্বে পাকিস্তানি রেজিমেন্ট জয়দেবপুরের (গাজীপুর) দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করার জন্য পৌঁছে যায়। এ খবর জানা-জানি হতেই বিক্ষুদ্ধ জনতা জয়দেবপুরে এক প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। সশস্ত্র পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করলে অকুস্থলেই শহীদ হন অনেকে। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ জয়দেবপুরের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে নিজ হাতে লিখে একটি বাণী দিয়েছিলেন। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই বাণী বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

ওই সময় বাণীতে বঙ্গবন্ধু বলেন, ১৯৭১ সালের ১৯ শে মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে আরো একটি স্মরণীয় দিন। ওইদিন পাক মিলিটারি বাহিনী জয়দেবপুরে ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টের জওয়ানদের নিরস্ত্র করার প্রয়াস পেলে জয়দেবপুর থানা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের যৌথ নেতৃত্বে কৃষক, ছাত্র, জনতা সবাই বিরাট প্রতিরোধের সৃষ্টি করে। ফলে, মিলিটারির গুলিতে তিনটি অমূল্য প্রাণ নষ্ট হয় এবং বহু লোক আহত হয়।

বাণীতে তিনি বলেন, আমি তার কয়েকদিন মাত্র পূর্বে ৭ই মার্চ তারিখে ডাক দিয়েছিলাম, যার কাছে যা আছে, তাই দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোল। জয়দেবপুরবাসীরা তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। আমি তাদের মোবারকবাদ জানাই।

তিনি বলেন, কোন মহৎ কাজই ত্যাগ ব্যতিত হয় না। জয়দেপুরের নিয়ামত, মনু, খলিফা ও চান্দনা চৌরাস্তায় হুরমতের আত্মত্যাগও বৃথা যায় নাই। শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। তাই আজ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের ফলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু বলেন, দেশকে স্বাধীন করার সংগ্রাম শেষ হয়েছে। আসুন আজ আমরা সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার সংগ্রামে লিপ্ত হই। তিনি জয় বাংলা বলে বাণীটি শেষ করেন।


আরও খবর
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪