প্যারিসে সপ্তম বারের মতো ফিফা বর্ষসেরারখেতাব জিতলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। এর পরই দল, সতীর্থ, কোচদের ধন্যবাদ
জানান এলএমটেন। বলেন, ‘আজ আমার সতীর্থদের ধন্যবাদ দিতে চাই। আজ
আমি, দিবু (এমিলিয়ানো মার্তিনেজ) এবং লিওনেল স্কালোনি এখানে উপস্থিত আছি। আমরা তাদের
(সতীর্থদের) প্রতিনিধিত্ব করছি। তাদের ছাড়া আমরা এখানে উপস্থিত থাকতে পারতাম না, যেমনটা
আমার কোচ স্কালোনি বলছিলেন।’
সর্বশেষ আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো
মারাদোনার হাত দিয়ে ল্যাটিনের দেশটিতে বিশ্বকাপ ট্রফি গিয়েছিল এরপর কেটে যায় ৩২ বছর।
মধ্যে ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ট্রফির খুব কাছ থেকে খালি হাতে ফিরে আসতে হয় মেসিদের। তবে
এবার আর তা হয়নি। কাতার থেকে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়েই ফিরেছেন তারা, ঘুচিয়েছেন তার বিশ্বকাপ
না ছুঁতে পারার আক্ষেপও। স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ বিষয়ে মেসি বলেন, ‘অনেক লড়াইয়ের
পর আমি আমার স্বপ্নপূরণ করতে পেরেছি। অনেক চাওয়ার পর অবশেষে সেটি ধরা দিয়েছে। এটা
(বিশ্বকাপ জয়) আমার ক্যারিয়ারে ঘটা সুন্দর জিনিসগুলোর একটি। আমার মনে হয়, সব ফুটবলারই
এটার স্বপ্ন দেখে এবং খুব কম মানুষই এটি অর্জন করতে পারে। আমি যথেষ্ট সৌভাগ্যবান যে
সেটা করে দেখাতে পেরেছি। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, আমি পেরেছি।’
এলএমটেন বলেন, ‘অবশেষে আমি আমার
পরিবার এবং আর্জেন্টিনার জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা এ অর্জনকে আমাদের মতো করে
উদ্?যাপন করেছে। সেটা খুবই বিশেষ একটা মাস ছিল, যা কি না অনেক দিন পর্যন্ত আমাদের সবার
স্মৃতিতে থেকে যাবে। আর বেশি কিছু নয়, আমি আমার সন্তানদের চুমু পাঠাতে চাই। যারা এটা
দেখছে। থিয়াগো, মাতেও এবং চিরো্তআমি তোমাদের ভালোবাসি। এখন ঘুমুতে যাও। সবাইকে অনেক
ধন্যবাদ।’
এর আগে সর্বপ্রথম ২০০৯ সালে ফিফা দ্য বেস্ট
পুরস্কার জেতেন মেসি। সেই ধারাবাহিকতা থাকে পরবর্তী তিন বছর। দুই মৌসুম বিরতি দিয়ে
২০১৫-তে আবারও তিনি বর্ষসেরার পুরস্কার জেতেন। এর পর ফিফা দ্য বেস্ট এবং ব্যালন ডি’অর আলাদা হওয়ার
পর ২০১৯ সালের ষষ্ঠবারের মতো এ পুরস্কার।