আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ফিলিপাইনে ৬.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ১০টা ৫৯ মিনিটে ডোলোরেসের শহরের কাছে, রাজধানী ম্যানিলা থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে ভূমিকম্পের তীব্রতা বেশি অনুভূত। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে এসব তথ্য। প্রবল ভূ-কম্পনের কারণে কেঁপে উঠে শহরের নানা স্থাপনা।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে গভীরতা ছিল ১৫ দশমিক ২ কিলোমিটার পর্যন্ত এবং ৬০ কিলোমিটার উত্তরে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ডোলোরেসের প্রায় ৬০ কিলোমিটার উত্তরে বাটাক শহরে, ২০০-শয্যার মারিয়ানো মার্কোস মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে রোগী ও কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ডোলোরেস শহরের পুলিশ কর্মকর্তা জেফরি ব্লেন্স বলেন যে, ভূ-কম্পনের সময় লোকজন আতঙ্কে বাড়ির বাইরে রাস্তায় বের হয়ে আসেন। প্রাথমিকভাবে রাস্তাঘাট ও একটি হাসপাতালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি এখনও।

আবরা প্রদেশের বেসামরিক প্রতিরক্ষা অফিস, যেখানে ডোলোরেস অবস্থিত, বলছে যে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি এখনও, তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানতে সময় লাগবে।

গত জুলাই মাসে পাহাড়ি আবরা প্রদেশে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ১১ জন নিহত হন এবং আহত হন কয়েকশ মানুষ। এর আগে ২০১৩ সালের অক্টোবরে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে, কেন্দ্রীয় দ্বীপ বোহলে প্রায় দুশো মানুষ নিহত হন।

ফিলিপাইনে ভূমিকম্প একটি নিত্যদিনের ঘটনা, যা প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ার বলয়ের মধ্যে অবস্থিত।


আরও খবর



সাভারে পাঁচটি গাড়িতে আগুন, প্রাণ গেল ১ জনের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ঢাকার অদূরে সাভারের জোরপুল এলাকায় একটি তেলের লরি- পিকআপ ভ্যানে সংঘর্ষে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তেলের লরি- পিকআপ ভ্যানসহ আগুনে পুড়ে যায় আরও তিনটি গাড়ি। এসময় একজন নিহত ও  তিনজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোর ৫টা ৩৮ মিনিটে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুরের জোরপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসের ৩টি গাড়ি চেষ্টা চালিয়ে সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানান, ফায়ার সার্ভিসের তিনটি গাড়ি চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে একজনের মৃত্যু ও দুজন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত ওই ব্যক্তির নাম ইকবাল। তার বাড়ি যশোরের চৌগাছায়। তিনি সিমেন্টের ট্রাকের লোড আনলোডের কাজ করতেন।

সাভার ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার আসাদ গণমাধ্যমকে জানান, পাঁচটি গাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে তাৎক্ষণিক-ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।


আরও খবর



ওপার বাংলায় ফেলুবক্সীর লাবণ্য হয়ে আসছেন পরীমনি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টির প্রতি দারুণ অনুরাগী ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি। রাবিন্দ্রিক সাজে প্রায়ই ফেসবুকে দেখা দেন তিনি। কখনও-সখনও পোস্ট করেন কবিগুরুর কবিতা বা গানের লাইন। তার সাহিত্যের চরিত্রে কাজ করতেও আগ্রহী পরী। হয়তো কোনো দিন রবিঠাকুরের বিখ্যাত উপন্যাস শেষের কবিতার নায়িকা লাবণ্য হিসেবে পরীমনিকে দেখা যাবে।

তবে আপাতত তিনি বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত দুই গোয়েন্দা ফেলুদা আর ব্যোমকেশ বক্সীর মিশ্রণে নির্মিতব্য সিনেমায় লাবণ্য হয়ে আসছেন। কলকাতার সিনেমায় কাজ করছেন পরী সে খবর বেশ পুরোনো। ছবির নাম ফেলুবক্সী’। সম্প্রতি প্রকাশ হলো সে সিনেমায় পরীর লাবণ্য চরিত্রের ফার্স্ট লুক।

ফেসবুকে নিজেই সেই লুকের ছবি পোস্ট করে সবার সঙ্গে ফেলুবক্সীর লাবণ্যকে পরিচয় করিয়ে দিলেন বাংলা সিনেমার ডানাকাটা পরী। দেবরাজ সিনহা পরিচালিত এ সিনেমায় অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, মধুমিতা সরকারদের সঙ্গে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। এতে কাজ করা প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, লাবণ্য চরিত্রটা যখন পড়লাম, তখন থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, এই চরিত্রটা সঠিকভাবেই ফুটিয়ে তুলতে পারব। এবার কতটা ভালো পেরেছি, সেটা দর্শক বলবেন।’

ছবিতে সব রহস্য পরীমনির চরিত্রটা কেন্দ্র করেই ঘনীভূত হবে। তবে পরিচালক বললেন, এখানে প্রোটাগনিস্ট সোহম। এই চরিত্রটা মজাদার, টেক স্যাভি, বিশ্বের নিত্যনতুন টেকনোলজির বিষয়ে নিজেকে আপডেট রাখে। এমনিতেই বাঙালির প্যাশান খাওয়াদাওয়া আর রহস্য সমাধান জমিয়ে রেসিপি পড়ার মতো করে রহস্যের কিনারা করে সে। ফেলুবক্সী নামটা শুনেই নিশ্চয় দর্শকরা বুঝতে পারছেন বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি চরিত্রের প্রভাব রয়েছেন তার মধ্যে। তবে আবার নাম শুনেই এ সিনেমা নিয়ে দর্শককে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বারণ করলেন নির্মাতা। কারণ চিত্রনাট্যের মজা নিতে ছবিটা দেখতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।


আরও খবর
নতুন রেকর্ড গড়লেন টেইলর সুইফট

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




প্লাস্টিক দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী কোকা-কোলা ও পেপসিকো: গবেষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকের জন্য দায়ী মাত্র ৫৬টি কোম্পানি। এর মধ্যে কোকা-কোলা একাই মোট ১১ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোকা-কোলা ছাড়াও ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে (শনাক্তকৃত) পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় ছয়টি মহাদেশের বেশ কিছু বড় কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর নাম উঠে এসেছে, যারা ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত। গবেষকরা এক লাখের বেশী স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়নের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তাদের গবেষণার জন্য আলাদা করেছেন।

প্রতি বছর বিভিন্ন কোম্পানি সাড়া পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক উৎপাদন করে। এই প্লাস্টিকের কিছু নদী বা সমুদ্র সৈকতে জমা হয়ে পানির স্বাভাবিক স্রোতে বাধা সৃষ্টি করে। আবার কিছু প্লাস্টিক ভেঙ্গে অতিক্ষুদ্র মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিকেও পরিণত হয়। এ ধরনের অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক বাতাসে ভাসতে পারে। এমনকি মানুষের ফুসফুস ও রক্তসহ অন্যান্য অঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি এক হাজার ৫৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

পরীক্ষা চালানো ১ দশমিক ৮ মিলিয়নেরও বেশি প্লাস্টিকের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার প্লাস্টিকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্ন পাওয়া গেছে। [সূর্যালোক এবং আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসার কারণে প্লাস্টিক তার ব্র্যান্ড মার্কারগুলো (চিহ্ন) হারাতে পারে।]  ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্নের ওপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলো (শনাক্তকৃত) হলো কোকা-কোলা, পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

কোকা-কোলার একজন মুখপাত্র মেইলে কোম্পানিটির 'ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট' নামক কৌশলের কথা উল্লেখ করে জানান, কোকা-কোলা ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি প্যাকেজিংয়ের জন্য ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায়।

এ ছাড়া নেসলে জানিয়েছে, নতুন প্লাস্টিকের ব্যবহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য আরো বেশি করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা কোম্পানির মূল লক্ষ্য। আর পেপসিকো ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

এদিকে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানে একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আলোচনার জন্য এই সপ্তাহে অটোয়াতে বিশ্ব নেতারা এবং মধ্যস্ততাকারীরা একত্রিত হবেন। অনেক পরিবেশগত সংস্থা এবং দেশগুলো এমন একটি চুক্তি চায় যা প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাস করবে যা মার্কিন মধ্যস্ততাকারীরা প্রতিরোধ করে আসছে। শিল্প গোষ্ঠী এবং সংস্থাগুলো যুক্তি দিয়েছে, বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদন, উন্নত রিসাইকেল ব্যবস্থা এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাহত না করেই এ সমস্যাটির সমাধান করতে পারে।

ওয়ার্ল্ড প্লাস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বেনি মারম্যানস বলেন, "আমাদের সদস্যরা বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সরবরাহ বাড়াতে বিভিন্ন অবকাঠামোতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে যাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকগুলো বর্জ্য, ভূমি বা পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশে প্রবেশ করতে না পারে।" তবে প্লাস্টিক শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্লাস্টিক বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এর উৎপাদন কমালে তা নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষকরা শুধু পুনর্ব্যবহার বাড়ানো বা বৃত্তাকার অর্থনীতির গুরুত্বের উপর জোর না দিয়ে প্লাস্টিক উৎপাদন কমানোর বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। তেল ও গ্যাস উৎপাদনকে লক্ষ্য করে জলবায়ু নীতি থাকা সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি হওয়া প্লাস্টিক এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা ধারণা করছে, প্লাস্টিকের জন্য এ শতাব্দীর মাঝামাঝি তেলের চাহিদা অর্ধেক বৃদ্ধি পাবে। আর বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনে বিধিনিষেধ না থাকায় সেটি পরিবেশের ক্ষতি করার পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


আরও খবর



রাবি ও চবিতে অধিভুক্ত হলো ৯ সরকারি কলেজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের সরকারি ৯ কলেজকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অধিভুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ কলেজকে চবি এবং ৪ কলেজকে রাবির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা ও অনুশাসন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের ৫ কলেজকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহীর ৪ কলেজকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার জন্য মন্ত্রণালয়ের এ বিভাগ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো হলো- ১. চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, ২. হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি কলেজ, ৩. স্যার আশুতোষ সরকারি (বোয়ালখালী) কলেজ ৪. সরকারি কমার্স কলেজ ও ৫. সাতকানিয়া সরকারি কলেজ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো হলো- ১. রাজশাহী সরকারি কলেজ, ২. রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ, ৩. রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ ও ৪. রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উক্ত অনুশাসন যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ ও অপরাপর করণীয় বিষয় সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিভাগে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।


আরও খবর



৩০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এসব বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি। ফলে ভর্তি হয়ে কেউ প্রতারিত হলে ইউজিসি কোনো দায়-দায়িত্ব নেবে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত সতর্কীকরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১১৪টি। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৪টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য রয়েছেন। এ ছাড়া অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। এর মধ্যে ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য নেই। ইউজিসি বারবার নির্দেশ দিলেও তা মানছে না এসব বিশ্ববিদ্যালয়।

ইউজিসি জানিয়েছে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ ও কমিশনের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রাম বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে শিক্ষার্থী ভর্তিপূর্বক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অননুমোদিত/অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকার জন্য কমিশন থেকে ইতোমধ্যে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেট-এ স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যর নিয়োগ করা ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

আরও বলা হয়েছে, কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উপর বর্তাবে না।

ইউজিসির সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস না থাকা, অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়াসহ নানা আইনভঙ্গের কারণে ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার সনদের কোনো বৈধতা নেই। ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ। আর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতেও সতর্কতা দিয়েছে ইউজিসি।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত বিভাগের অনুমোদন আছে কি না-সেটিও ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেখে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মঞ্জুরি কমিশন।


আরও খবর