আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ফিলিস্তিনি আন্দোলনের নতুন মধ্যমণি যমজ ভাই-বোন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গাজায় যুদ্ধবিরতির দুসপ্তাহের মাথায় আবারও ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমের শেখ জারাহ মহল্লায় উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। রোববার (৬ জুন) ইসরায়েলি পুলিশ শেখ জারার একটি এল কুর্দ পরিবারের বাড়িতে ঢুকে ২৩ বছরের তরুণী মুনা এল কুর্দকে ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তার যমজ ভাই মোহাম্মেদ এল কুর্দ পুলিশ স্টেশনে গিয়ে স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তারবরণ করেন।

তাদের আটকের খবর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে তাদের প্রচুর সমর্থক দলে দলে পূর্ব জেরুজালেমের ওই পুলিশ স্টেশনের কাছে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। সে সময় পুলিশের ছোঁড়া স্টান গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি জখম হয়।

এর কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু এই দুই যমজ ফিলিস্তিনি ভাই-বোন এখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ আন্দোলনের মধ্যমণি হয়ে উঠেছেন।

মুনা এবং মোহাম্মেদের বাবা নাবিল এল কুর্দ পরে সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ ঘরে ঢুকে পুলিশের তল্লাশি এবং মেয়েকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তিনি হতবাক হয়ে পড়েছিলেন। কেন বিনা উস্কানিতে তার মেয়েকে ইসরায়েলি পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি পুলিশ জানায়, সম্প্রতি পূর্ব জেরুসালেমে দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে করা এক মামলায় মুনা এল কুর্দকে আটক করা হয়।

সেই সময় মুনা বা তার ভাই মোহাম্মেদ শেখ জারাহ বা আল আকসা মসজিদ চত্বরে ইসরায়েলি পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়েছিলেন কিনা বা ছুঁড়তে উৎসাহ দিয়েছিলেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। তবে শেখ জারাহ থেকে ফিলিস্তিনি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে প্রতিবাদ তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন এই দুই ভাই-বোন।

গত কমাসে তরুণ বয়সী এই দুই ভাই-বোন শেখ জারাহ থেকে উচ্ছেদ ঠেকানোর আন্দোলন এবং সার্বিকভাবে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিবাদ আন্দোলনের অত্যন্ত পরিচিত দুই মুখ। বিশেষ করে সোশাল মিডিয়ায় এই আন্দোলনে তারা কার্যত নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা দুজনই টুইটার এবং ইনস্ট্রগ্রামসহ সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্মে খুবই সরব।

ইনস্টাগ্রামে মুনার ফলোয়ারের সংখ্যা এখন ১৩ লাখের মত। আর টুইটারে অ্যাকাউন্ট খুলছেন মার্চ মাসে, এরই মধ্যে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ৬৪ হাজার। দিনে দিনে সেই সংখ্যা বাড়ছে।

তিন মাস আগে মুনা 'সেভ শেখ জারাহ' হ্যাশটাগে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ক্যাম্পেইন শুরু করেন, সেটাই সারা বিশ্বের ফিলিস্তিনি এবং তাদের সমর্থকদের নজর কাড়ে। দ্রুত তা বড় একটি আন্দোলনে দানা বাঁধে।

মোহাম্মেদ এই মুহূর্তে জেরুজালেমে থাকলেও উচ্চশিক্ষার জন্য নিউইয়র্কে থাকেন তিনি। কিন্তু সেখানে বসেই ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগের বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি অনলাইনে এবং মূলধারার মিডিয়াতে নিয়মিত লেখালেখি করেন। বয়স মাত্র ২৩ হলেও সিএনএন, গার্ডিয়ান বা আল জাজিরাসহ প্রথম সারির মিডিয়ায় তার একাধিক সাক্ষাৎকার এবং লেখা প্রচার হয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগের ইতিহাস নিয়ে লেখা তার একটি বই বর্তমানে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।

রবিবার (৬ জুন) পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মুনা সাংবাদিকদের সামনে বলেন, আমাদের ভয় দেখাতে, আতঙ্কিত করতে তারা (ইসরায়েল) যাই করুক না কেন, যতবারই আমাদের গ্রেপ্তার করুক, আমরা ভয় পাইনা।

পরপরই ভাই মোহাম্মেদ টুইট করেছেন, আমরা স্বাধীন, মুক্ত। আমাদের ভয় নেই। তারা (ইসরায়েল) কখনই আমাদের আতঙ্কিত করতে পারবে না।

তাদের এসব কথা, টুইট হাজার হাজার শেয়ার হচ্ছে।

কেন মুনা এবং মোহাম্মেদ এই বয়সে শেখ জারাহ নিয়ে এতটা তৎপর হয়ে পড়লেন? কারণ, শেখ জারায় যা হচ্ছে তার সরাসরি শিকার হয়ে পড়েছেন তারা এবং তাদের পরিবার। যে চারটি পরিবারকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে আল কুর্দ পরিবার তাদেরই একটি।

যে চারটি পরিবারকে শেখ জারাহ থেকে উচ্ছেদ করার পক্ষে জেরুজালেমের একটি আদালত রায় দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো- যে জমিতে তাদের বাড়ি তার মালিক তারা নয়। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র তৈরির আগে ওই জমি ছিল ইহুদিদের এবং তাদেরকে সেই জমি ফেরত দেয়া হচ্ছে।

কুর্দ পরিবার বলছে, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র তৈরির সময় হাইফা শহর থেকে বাড়ি-ঘর ফেলে তারা পূর্ব জেরুজালেমে পালিয়ে আসলে শেখ জারায় তাদের পুনর্বাসন করা হয়। পূর্ব জেরুজালেম তখন জর্ডানের নিয়ন্ত্রণে ছিল।



আরও খবর



ফখরুলের কাছে ৬০ লাখ কারাবন্দির তালিকা চাইলেন কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারাবন্দি থাকা নেতা-কর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে। একটা সময় তারা বলেছে ২০ হাজার, এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কীভাবে? ৬০ লাখ বন্দির তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের জেলে থাকা ৬০ লাখ লোকের তালিকা দিতে হবে। এই তালিকা আমরা দেখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ দিবস, সেই দিনটিকে তারা অস্বীকার করে। ১০ এপ্রিল প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন হয় সেটা অস্বীকার করে। স্বাধিকার আন্দোলনের মাইলফলক ৭ জুন অস্বীকার করে। বিএনপির কাছ থেকে বাঙালি সংস্কৃতির চেতনা নিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি করবে এটা আমি বিশ্বাস করি না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম। বিএনপি বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায়। দেশের প্রতি তাদের কোনো ভালোবাসা নেই। ৭১-এ তাদের যে ভূমিকা, হঠাৎ করে বাঁশিতে ফুঁ দিলেন অমনিই তিনি ঘোষক হয়ে গেলেন। ২৪ বছরের যে আন্দোলন এসবের কোনো দাম নেই?


আরও খবর



সাংবাদিকদের শিকলে বাঁধার হুমকি দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার হুমকি দিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেশমা আক্তার।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে সংবাদ সংক্রান্ত ব্যাপারে ভোরের কাগজের প্রতিনিধি ও নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সাহিদুল হক খান ডাবলু তাকে ফোন দিলে এ কথা বলেন।

সাহিদুল হক খান ডাবলু বলেন, একটি নিউজের তথ্যের জন্য সকালে ইউপি চেয়ারম্যান রেশমা আক্তারকে কল দিয়ে পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথে তিনি খেপে গিয়ে বলেন, নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের কোনো সাংবাদিক আমার ত্রি-সীমানায় এলে তাকে আমি শিকল দিয়ে বেঁধে রাখব। এটা আমার চ্যালেঞ্জ। আপনারা যাকে বলার বলেন। এমপি, মন্ত্রী যাকে পারেন বলেন।

হঠাৎ ইউপি চেয়ারম্যান রেশমার মুখে এমন কথা শুনে তাজ্জব হয়ে যান স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। একজন চেয়ারম্যানের এমন অসৌজন্যমূলক আচরণে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। তবে কিসের ক্ষমতার জোরে চেয়ারম্যান এমন আচরণ করলেন তার অনুসন্ধান করছেন সংবাদকর্মীরা।

সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণের ব্যাপারে জয়কৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান রেশমা আক্তার মুঠোফোনে বলেন, এ ব্যাপারে আপনার সাথে কথা বলতে আমি বাধ্য নই। এরপর তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।


আরও খবর



ইসরায়েলের কোনও দূতাবাস নিরাপদ নয়: ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার একজন উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানীতে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হওয়ার পর কোনো ইসরায়েলি দূতাবাস আর নিরাপদ নয়’।

খবর অনুসারে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেন, ইহুদিবাদী সরকারের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়।

ইরানের বার্তা সংস্থাটি একটি গ্রাফিকসও প্রকাশ করেছে যাতে দাবি করা হয়েছে, নয় ধরণের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম।

গত সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ছাড়াও ছয়জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের আরেক জেনারেল আছেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, কূটনৈতিক মিশনে দিবালোকের এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অনুশোচনা’ করিয়ে ছাড়বে তেহরান।


আরও খবর



ঈদে ৯০ লাখ মানুষ সড়কপথে ঢাকা ছাড়বে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্বজনদের কাছে যাবে। এসব মানুষ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করে। এই বিপুলসংখ্যক ঈদযাত্রীর ৬০ শতাংশ যাবে সড়কপথে। এই হিসেবে সড়কপথের যাত্রীসংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ মানুষ নৌ ও রেলপথে ঢাকা ছাড়বে।

আজ সোমবার প্রকাশিত নাগরিক সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদপূর্ব পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো এবং সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে ঈদ যাতায়াতে জনদুর্ভোগ অনেক কমতে পারে বলে প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে জানান, বিগত বছরগুলোর মতো এবারও সড়কপথে জনভোগান্তি ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তবে নির্বিঘ্ন ঈদ যাতায়াতের জন্য সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। আশা করছি এবারের ঈদ যাতায়াতে জনদুর্ভোগ অনেক কমতে পারে।

সর্বশেষ জনশুমারির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিভাগে ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস করে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার জনসংখ্যা যথাক্রমে ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৭ ও ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৫। দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ গার্মেন্টস শিল্প (পোশাক কারখানা) গাজীপুর অঞ্চলে হওয়ায় গাজীপুর মহানগরের জনসংখ্যা এখন প্রায় ৭০ লাখ। নারায়ণগঞ্জ মহানগরে বাস করে ২৫ লাখ মানুষ। তিন শহরের বাইরে এসব জেলায় আরো প্রায় ৫০ লাখ মানুষ বাস করে। এছাড়া নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ জেলার জনসংখ্যা যথাক্রমে ২৬ ও ২০ লাখ।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা পাওয়ার রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনার কাজ। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় ৪ মাস ১০ দিন পর এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাংক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩টি বস্তায় ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। ঐতিহাসিক এ মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এত টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। এবার সে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।


আরও খবর