লাস ভেগাসে একটি ফিল্ম স্টুডিও তৈরি করতে চেয়েছিলেন নিকোলাস কেজ। জিমি কিমেল লাইভ শোতে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। এজন্য তিনি ৮ কোটি ডলারও জমা করেছিলেন। কিন্তু সম্ভব হয়নি। কেননা, ইলোন মাস্কের প্রজেক্ট মাঝখানে চলে আসে। লাস ভেগাসের পক্ষ থেকেই স্টুডিও নির্মাণের জন্য রাখা টাকা টেসলা করপোরেশনে দেয়া হয়েছিল।
ভেগাসের সঙ্গে নিকোলাসের সম্পর্ক বহুদিনের। তার অনেক সিনেমা ভেগাসের পটভূমিতে তৈরি। এর মধ্যে লিভিং ভেগাস ও হানিমুন ইন ভেগাস অন্যতম। এর মধ্যে লিভিং ভেগাস সিনেমার জন্য তিনি অস্কার পেয়েছিলেন। ভেগাসের প্রতি তাই তার ভালোবাসা রয়েছে। কেজ বলেন, ‘ভেগাস আমার জন্য বেশ ভালো ছিল। এটা একদিকে যেমন মফস্বলের মতো, তেমনি অন্যদিকে বেশ বড় একটা শহর। একটি স্বতন্ত্র ঠিকানা। আপনি ক্লাবে যেতে পারেন, আবার এখানকার মানুষদের সঙ্গেও মিশে যেতে পারেন।’
করসংক্রান্ত সুবিধার কারণে কেজ ভেগাসে এসেছিলেন। কিন্তু থাকতে থাকতে তিনি শহরটিকে ভালোবেসে ফেলেন। সেই আবেগ থেকেই তিনি একটি ফিল্ম স্টুডিও করার চিন্তা করেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে কেজ বলেন, ‘আমি একটা মুভি স্টুডিও করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তখন ইলোন মাস্ক নতুন প্রজেক্ট নিয়ে এল। আমি ৮ কোটি ডলার দিয়েছিলাম, যেটা তখন টেসলা করপোরেশনকে দেয়া হয়।’ কেজের কণ্ঠে এক ধরনের হতাশার সুর শোনা যায় যখন তিনি বলেন, ‘আমি স্টুডিওটা প্রায় করে ফেলেছিলাম!’
নিকোলাস কেজ এ সময় তার নতুন সিনেমার প্রচারে ব্যস্ত। দ্য আনবিয়ারেবল ওয়েইট অব ম্যাসিভ ট্যালেন্ট নামের এ সিনেমায় কেজের জীবনকে ভিত্তি করে একটি কাল্পনিক চরিত্র তৈরি করা হয়েছে। সিনেমাটিতে কিছুটা কমেডি আছে, খানিকটা হালকা চালের। ভ্যারাইটির সিনেমা ক্রিটিক ওয়েন গিলবারম্যানের মতে, ‘এটা এক ধরনের বাণিজ্যিক কমেডি ধারার সিনেমা হলেও শেষ পর্যন্ত বিশেষ হয়ে ওঠে।