রাষ্ট্রপতি তার শোকবার্তায় বলেন, ফকির
আলমগীরের মৃত্যুতে দেশের সঙ্গীত অঙ্গনে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা কখনো পূরণ হওয়ার
নয়। তার গান তরুণ প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেমের নবজাগরণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এ সময় রাষ্ট্রপতি প্রয়াত শিল্পীর আত্মার
মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এক শোকবার্তায় বলেন, এ দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে বিশেষ করে গণসংগীতকে জনপ্রিয়
করে তুলতে তার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী তার আত্মার মাগফিরাত
কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত, গতকাল রাত ১১ টায় রাজধানীর একটি
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর। মৃত্যুকালে
ফকির আলমগীরের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে রেখে গেছেন।
ফকির আলমগীর একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের
সময় তিনি স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন। ষাটের দশক থেকেই গণসংগীত করে
আসছিলেন তিনি। ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯ সালের
গণঅভ্যুত্থানে অসামান্য ভূমিকা রাখেন।
দেশ স্বাধীনের পর পপ ঘরানার গানে যুক্ত হন ফকির আলমগীর।পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে বাংলার লোকজ সুরের সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি বহু গান করেছেন। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে সরকার তাকে একুশে পদক দেয়।