আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ফরিদপুরে বিবাহিত ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক, আছে সন্তানও!

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ফরিদপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হয়েছেন শাহীন আহমেদ সোহান এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রানা। অভিযোগ উঠেছে, সভাপতি ও সম্পাদক হওয়া দুজনেই বিবাহিত। তাদের একটি করে সন্তানও রয়েছে।

এ ছাড়া নতুন কমিটিতে বিতর্কিত অনেকের নাম আছে বলে বলে দাবি করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশ। গঠনতন্ত্র অমান্য করে বিবাহিতদের সভাপতি ও সম্পাদক করায় মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তারা।

এর আগে সোমবার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফাহিম আহামেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটির মেয়াদ এক বছর বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে এই কমিটির বিরোধিতা করে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি অমিয় সরকার বলেন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি সোহানের এক বছর বয়সী কন্যা ও সাধারণ সম্পাদক রানার চার বছরের ছেলে আছে, যা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি। অবিলম্বে এ কমিটি বাতিল করা হোক।

সদ্য বিলুপ্ত সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি আশিকুর রহমান বিপ্লবের অভিযোগ, অবৈধভাবে বিতর্কিত ও অযোগ্যদের পদ দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক।

জেলা ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, নতুন কমিটির সভাপতি শাহীন আহমেদ সোহানের স্ত্রীর নাম জেনিমি সুরাত জেনি। ডাকনাম বিথী। সোহানের শ্বশুরবাড়ি সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নে। তার শ্বশুরের নাম বিল্লাল শেখ। তার মেয়ের বয়স এক বছর।

তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে নতুন কমিটির সভাপতি শাহীন আহমেদ সোহান বলেন, আমার নামে ষড়যন্ত্র চলছে। আমি তো বিবাহিতই না; বাচ্চা থাকবে কীভাবে? এগুলো আমার নামে পদবঞ্চিতদের অপপ্রচার। যাচাই না করেই মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

সোহান আরও বলেন, আগের কমিটি ঘোষণার পর তার মেয়াদ হয়েছিল ৯ বছর। সেই কমিটিতে আমি সেক্রেটারি ছিলাম। আর ৯ বছর তো একটি কমিটির মেয়াদ থাকতে পারে না। তাই আগের কমিটি ভেঙে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে কথা বলে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে জেলা ছাত্রলীগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র দাবি করেছে, নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রানার স্ত্রীর নাম আম্বিয়া। তার শ্বশুরবাড়িও অম্বিকাপুর ইউনিয়নে। চার বছর বয়সী তার ছেলের নাম আয়ান।

তবে এসব অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন রানা। তিনি বলেন, যারা অভিযোগ তুলেছে, তারা প্রমাণ করুক। প্রমাণ দিতে পারলে অব্যাহতি নেব।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান বলেন, এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমরা খোঁজ নিয়েই কমিটি দিয়েছি। বিবাহিত কারও ছাত্রলীগে স্থান পাওয়ার সুযোগ নেই। সভাপতি-সম্পাদক বিবাহিত প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক বলেন, আমিও এমন শুনেছি। তবে এখনও যাচাই করিনি। যেহেতু বিষয়টি ছাত্রলীগের, সেহেতু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগই এটি দেখবে।

নিউজ ট্যাগ: ফরিদপুর

আরও খবর



টেকনাফ থেকে আবারও ৮ জনকে অপহরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে আবারও ৮ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং বাদিবন্যা পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গল কাটতে ও গরু চরাতে গিয়ে তারা অপহৃত হন।

অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচিপাড়া এলাকার বেলালের দুই ছেলে জুনাইদ (১২) ও মোহাম্মদ নূর (১০), একই এলাকার লেদুর ছেলে শাকিল (১৫), শহর আলীর ছেলে ফরিদ আলম (৩৫), নুরুল ইসলামের ছেলে আকতার (২৫), নাজির হোসেনের ছেলে ইসমাইল প্রকাশ সোনায়া (২৪), রৈক্ষং এলাকার কালা মিয়ার ছেলে ছৈয়দ হোছাইন বাবুল (৩৩) এবং একই এলাকার আকবরের ছেলে ফজল কাদের (৪৫)।

অপহরণ হওয়া শাকিলের বাবা লেদু মিয়া বলেন, প্রতিদিনের মতো আমার ছেলে শাকিল গরু চরাতে যায় হোয়াইক্যং বাদিবন্যা পাহাড়ে। দুপুরে অপহরণকারী আমাকে ফোন করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমি গরিব মানুষ মাটি কেটে সংসার চালাই। টাকা না দিলে ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে তারা। আমার ভাই ফরিদ আলমও অপহরণের শিকার। প্রশাসনের কাছে ভাই ও ছেলেকে জীবিত উদ্ধারের দাবি জানাই। 

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, তিনি মুক্তিপণ দাবি করার বিষয়টি জানেন না।

এর আগে ২১ মার্চ ভোরে হ্নীলার পানখালীর পাহাড়ি এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি হন পাঁচ কৃষক। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসেন তারা। ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদরাসাছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) অপহরণ করা হয়। তবে এখনও তাকে উদ্ধার করা যায়নি।

জানা যায়, গত এক বছরে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে ১০৩ জনকে অপহরণ করা হয়। তাদের মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা।

নিউজ ট্যাগ: টেকনাফ

আরও খবর



জব্বারের বলিখেলায় এবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলিখেলার ১১৫তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার শরীফ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে তাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন রেফারিরা। এবারের আসরে রানার আপ হয়েছেন কুমিল্লার মোহাম্মদ রাশেদ।

বিকেল ৫টা ২৯ মিনিটে দুই বলির চূড়ান্ত কুস্তি শুরু হয়। ১২মিনিট পর শরীফ বলীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এবারের বলিখেলায় ৮৬ জন কুস্তিগির অংশ নিয়েছিলেন। প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে সৃজন চাকমা ও সীতাকুণ্ডে রাশেদ।

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জব্বারের বলিখেলায় প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

এর আগে বিকেল ৪টার দিকে বলিখেলা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বলিখেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর।

বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া শরীফ ট্রফির পাশাপাশি প্রাইজ মানি পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকারীরা ট্রফির সঙ্গে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০ হাজার, ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা। বলীখেলায় সেমিফাইনালে পর্যায়ের আগে মোট ৪৩ রাউন্ড খেলা হয়। প্রাথমিক রাউন্ডে জয়লাভকারী প্রত্যেকে দেড় হাজার টাকা পেয়েছেন।

জব্বারের বলিখেলার ইতিহাস

১৯০৯ সালে বকশিরহাটের স্থানীয় ধনী বণিক বদরপাতি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার সওদাগর এই কুস্তি প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। জানা যায়, এই ব্যবসায়ীর শুধু কুস্তির প্রতি ভালোবাসা ছিল না বরং তার মধ্যে ছিল দেশের প্রতি ভালোবাসা। ওই সময় ভারতে ব্রিটিশ শাসনে অবসানে চট্টগ্রামে দানা বাঁধছিল আন্দোলন। পরে তার নাম অনুসারেই এই আয়োজনের নামকরণ হয়েছে।

আয়োজক কমিটির সেক্রেটারি ও প্রতিযোগিতার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল জব্বারের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, আমার দাদা এই আয়োজনের সূচনা করলেও এটা এখন আর পারিবারিক ঐতিহ্য নয়। এটা চট্টগ্রামের সকল মানুষের এবং তারা এই অনুষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।


আরও খবর



ফের উত্তপ্ত টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাত আবারও তীব্র হয়েছে। সেখান থেকে একের পর এক মর্টার শেল ও ভারী গোলা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে।

কয়েকদিন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) ভোর থেকে টেকনাফ পৌরসভা, সেন্টমার্টিন, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং সীমান্তজুড়ে থেমে থেমে শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ।

হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা রশিদ আহমেদ বলেন, সেহেরির পর থেকে বাড়িতে আর ঘুমাতে পারিনি। মিয়ানমারের ভেতর থেকে একের পর এক যেভাবে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে, মনে হচ্ছে আমার বাড়িতে মর্টারশেল পড়ছে। ভোর থেকে এখনো পর্যন্ত থেমে থেমে বিকট শব্দে কাঁপছে এপারে বাড়ি-ঘর।

হ্নীলার বাসিন্দা জেলে সৈয়দ হোসাইন বলেন, সকালে চিংড়ি ঘেরে মাছ ধরতে গিয়েও ফিরে আসলাম। মিয়ানমারের রাখাইন থেকে যে হারে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে, আতঙ্কে চলে এসেছি।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা নুরুল আমিন বলেন, রাখাইনের মংডু ও বলি বাজার শহরের কাছাকাছি আরাকান আর্মি ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। এ কারণে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ সীমান্তের এপারে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে।

জানা গেছে, মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠি আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন রাজ্য দখল করতে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে গত আড়াই মাস ধরে সীমান্তের এপারে একের পর এক বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে। এর আগে আরাকান আর্মিসহ আরও কয়েকটি বিদ্রোহী গ্রুপ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজিপির ক্যাম্প ও সীমান্ত চৌকিসহ অধিকাংশ অঞ্চল দখল করেছিল। সম্প্রতি নতুন করে আবারও রাখাইনের আকিয়াব জেলার মংডু ও বলি বাজার শহরসহ সেনা ক্যাম্প দখল করতে হামলা অব্যাহত রেখেছেন বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী।

টেকনাফ (২ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সব সময় সর্তক রয়েছে।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঈদ উপহার পেলেন ৩ শতাধিক নারী-পুরুষ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে লক্ষ্মীপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল ৩ শতাধিক নারী-পুরুষের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ি-লুঙ্গী ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাগবাড়ী এলাকায় এ উপহারগুলো বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সুজায়েত উল্যা, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মুক্তার শাহ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক হাসেম আহমেদ রুপম, লক্ষ্মীপুর পৌর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল হাওলদার, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহিম ফয়সাল মাশরাহ, সাবেক ছাত্রনেতা সাইদুর রহমান প্রমুখ।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, ঈদে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নতুন শাড়ি-লুঙ্গী উপহার দিয়েছি। একইসঙ্গে খাদ্য সামগ্রীও দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা পাওয়ার রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনার কাজ। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় ৪ মাস ১০ দিন পর এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাংক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩টি বস্তায় ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। ঐতিহাসিক এ মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এত টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। এবার সে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।


আরও খবর