আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের দায়ে যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ফরিদপুরে ভাঙ্গা উপজেলার পৌর এলাকা পশ্চিম হাসামদিয়া গ্রামের চার বছরের শিশু ধর্ষনকারী একই গ্রামের রকিবুল মিয়াকে ১০ বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলায় আ.লীগ নেতা কারাগারে

সোমবার (১৫ মে) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, ফরিদপুরের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। এসময় আসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

সরকার পক্ষের কৌশুলী (পিপি) এ্যাড. স্বপন পাল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ২০১৯ সালের ২০ আগষ্ট পৌরসভার পশ্চিম হাসাম দিয়া গ্রামের ওবায়দুল মিয়ার কিশোর পুত্র রাকিবুল মিয়া প্রতিবেশী প্রবাসীর চার বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষন করে।  এঘটনায়  ২৯ নভেম্বর রকিবুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দেয়া হয়। দীর্ঘ সময় ধরে শুনানী ও সাক্ষ্য প্রমান সাপেক্ষে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং আসামীর বয়স ওই সময়ে ১৬ বছর (শিশু) হওয়ায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও  তিনমাসের কারাদন্ডের রায় দেন বিচারক। মামলার রায়ে আদালতে ন্যায় বিচার পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন বাদী পরিবারের  স্বজনরা।

 

 


আরও খবর



রেলের টিকিট কালোবাজারি: সহজ ডটকমের দুই কর্মীসহ গ্রেফতার ৯

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের অন্যতম হোতা সহজ ডটকমের পিয়ন মো. মিজান ঢালী ও সার্ভার অপারেটর নিউটন বিশ্বাসসহ নয়জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। রাজধানীর কমলাপুর ও সবুজবাগ এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে র‍্যাব ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)।

এসময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে কালোবাজারির আলামত এবং অবৈধভাবে সংগ্রহ ও মজুত করা বিপুল সংখ্যক ট্রেনের টিকিট।

র‍্যাব জানায়, ২০০৩ সালে কমলাপুর রেলস্টেশন শাখায় পিয়ন হিসেবে যোগ দেন মিজান। পরে CNS.bd এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে, অভিজ্ঞ কর্মী হিসেবে তাকে চাকরিতে বহাল রাখা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে রেলওয়ে টিকিটের চুক্তি সহজকে দেওয়া হলে সেখানেও গ্রেফতার মিজানের চাকরি বহাল থাকে। মিজান দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত।

অন্যদিকে নিউটন ২০১২ সালে স্টেশন সাপোর্ট কর্মী হিসেবে সিএনএস বিডিতে যোগদান করে ২০১৬ সালে সার্ভার অপারেটরের দায়িত্ব পান। ২০২০ সালে সহজের সঙ্গে চুক্তি হলে তার চাকরি বহাল থাকে এবং পুনরায় সার্ভার অপারেটরের দায়িত্ব পান।

র‍্যাব আরও জানায়, সার্ভার অপারেটর হওয়ায় বিভিন্ন ট্রেনের সিডিউল ও টিকিট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেন বিধায় এ বিষয়ে সিন্ডিকেটের মূলহোতা মিজানকে তথ্য প্রদান করতেন। মিজান ও নিউটন দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কমলাপুর ও সবুজবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

গ্রেফতাররা হলেন মো. মিজান ঢালী (৪৮), মো. সোহেল ঢালী (৩০), মো. সুমন (৩৯), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৯), মো. শাহজালাল হোসেন (৪২), মো. রাসেল (২৪), মো. জয়নাল আবেদীন (৪৬), মো. সবুর হাওলাদার (৪০) ও নিউটন বিশ্বাস (৪০)।

এসময় জব্দ করা হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ট্রেনের বিপুল পরিমাণ টিকিট, ৮টি মোবাইল ফোন, একটি এনআইডি, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, কালোবাজারির বিভিন্ন আলামত এবং টিকিট বিক্রয়ের নগদ ১১ হাজার ৪২২ টাকা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য দেন।

শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

সহজ ডটকমের পিয়ন কে এই মিজান ঢালী

তিনি বলেন, দেশব্যপী ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি ঢালী সিন্ডিকেটের মূলহোতা গ্রেফতার মিজানের নেতৃত্বে এই চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় সকল ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল। মিজান দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বুকিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

২০০৩ সালে সে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান ডেফোডিলের কমলাপুর রেলস্টেশন শাখায় পিয়ন হিসেবে যোগ দেয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বুকিং এ CNS.bd এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে, অভিজ্ঞ কর্মী হিসেবে তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল রাখা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে রেলওয়ে টিকিটের চুক্তি Sohoz.com-কে দেয়া হলে সেখানেও গ্রেফতার মিজানের চাকরি বহাল থাকে।

কমান্ডার মঈন আরও বলেন, দীর্ঘদিন টিকিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকায় সারাদেশব্যাপী বিভিন্ন স্টেশনের সহজ ডটকমের অফিসে এবং বড় বড় রেলওয়ে স্টেশনের কর্মচারীদের সঙ্গে মিজানের পরিচিতি বৃদ্ধি পায়।

এই পরিচয়ের সূত্র ধরেই সে বিভিন্ন স্টেশনে থাকা সহজ ডটকমের সদস্য, টিকিট কাউন্টার ও অন্যান্য কালোবাজির চক্রের সদস্যদের সমন্বয়ে বিভিন্ন কারসাজির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টিকিট বিক্রি করতো।

তিনি বলেন, সহজ ডটকমের কমলাপুর রেলস্টেশন সার্ভার রুমের সার্ভার অপারেটর গ্রেফতার নিউটন বিশ্বাস, স্টেশন রিপ্রেজেন্টেটিপ গ্রেফতার সবুর হাওলাদারসহ এবং পলাতক আব্দুল মোত্তালিব, আশিকুর রহমানসহ আরও কয়েকজন টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বিশেষ করে ঈদ, পূজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিনকে উপলক্ষ করে গ্রেফতার মিজান ও সোহেল বিভিন্ন কারসাজির মাধ্যমে সাধারণ সময়ের তুলনায় অধিক সংখ্যক টিকিট সংগ্রহ করতো। গ্রেফতার মিজান ও সোহেল প্রতি বছর ঈদ মৌসুমে দেশব্যাপী বিভিন্ন স্টেশনের সহজ ডটকমের কর্মচারী ও টিকিট কাউন্টারম্যানদের মাধ্যমে প্রায় ২-৩ হাজার রেলওয়ের টিকিট কালোবাজির মাধ্যমে বিক্রি করতো। তারা আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগের চাইতেও বেশি সংখ্যক টিকিট সংগ্রহের জন্য পরিকল্পনা করছিল।

র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, টিকিট বিক্রির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে ৫০ ভাগ Sohoz.com ও রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারম্যানরা পেতো এবং বাকি ৫০ ভাগ সিন্ডিকেটের মূলহোতা গ্রেফতার মিজান, সোহেলসহ বাকি বিক্রয়কারী সহযোগীদের মাঝে ভাগাভাগি হতো।

এই অর্থ কখনো তারা নগদ হাতে-হাতে বুঝিয়ে দিতো আবার কখনো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করতো। সিন্ডিকেটের প্রত্যেক সদস্য অবৈধভাবে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করে প্রতি মাসে ২০/২৫ হাজার টাকা উপার্জন করতো। এভাবেই পরষ্পরের যোগসাজশে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে দেশব্যাপী ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল।

গ্রেফতার সোহেলকে গ্রেফতার মিজান তার আত্মীয় হিসেবে সুপারিশ করে প্রথমে CNS.bd তে চাকরি পাইয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে Sohoz.com এ চুক্তিবদ্ধ হলে কমলাপুর শাখায় অফিস সহকারী হিসেবে তারও চাকরি বহাল থাকে।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, পরবর্তীতে গ্রেফতার সোহেল ঢালী সিন্ডিকেটের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করে। গ্রেফতার সোহেল অফিস সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় প্ল্যাটফর্মের টিকিট বুকিং কাউন্টারে বিভিন্ন দাপ্তরিক প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত আনাগোনা থাকতো। একপর্যায়ে সোহেল কাউন্টারে টিকিট বুকিংয়ের দায়িত্বে থাকা কাউন্টারম্যানদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং কাউন্টারম্যানদের যোগসাজশে বিভিন্ন কারসাজি করে বিপুল পরিমাণ টিকিট সংগ্রহ করে কালোবাজির মাধ্যমে অধিক মূল্যে বিক্রি করতো।

দেশের বিভিন্ন স্থানে ঢালী সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যসহ গ্রেফতার সুমন, শাহজালাল, জাহাঙ্গীর, জয়নাল, ও রাসেল সিন্ডিকেটের মূলহোতা মিজানকে ট্রেনের টিকিটের চাহিদা দিতো। পরবর্তীতে তাদের চাহিদা অনুযায়ী গ্রেফতার মিজান ঢালী অবৈধভাবে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে কালোবাজির মাধ্যমে বিক্রির জন্য তাদের কাছে সরবরাহ করতো।

তিনি বলেন, গ্রেফতার সুমন রেলওয়ের সঙ্গে এক সময়ের চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান CNS.bd তে চাকরি করতো। পরবর্তীতে Sohoz.com এর সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর সে চাকরি বাদ দিয়ে গ্রেফতার মিজান ও সোহেলের মাধ্যমে ঢালী সিন্ডিকেটে যুক্ত হয়ে অবৈধভাবে সংগ্রহকৃত ট্রেনের টিকিটগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে বিক্রি শুরু করে।

কমান্ডার মঈন আরও বলেন, গ্রেফতার শাহজালাল একজন পাঠাও চালক, গ্রেফতার জাহাঙ্গীর কমলাপুরে অবস্থিত একটি আবাসিক হোটেলের ক্লিনার, গ্রেফতার রাসেল একই আবাসিক হোটেলের বয় এবং গ্রেফতার জয়নাল অপর একটি আবাসিক হোটেলের বয়। তারা তাদের এসকল কর্মস্থলে কাজের পাশাপাশি সবসময় অবৈধ উপায়ে টিকিটপ্রত্যাশী যাত্রী জোগাড় করে কালোবাজারির মাধ্যমে সংগ্রহকৃত টিকিটগুলো নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি করতো।

হোয়াটস্অ্যাপের মাধ্যমে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ট্রেনের টিকিটপ্রত্যাশীদের কাছে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে টিকিটগুলো প্রেরণ করতো।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেফতার নিউটন ২০১২ সালে স্টেশন সাপোর্ট হিসেবে CNS.bd-তে যোগদান করে ২০১৬ সালে সার্ভার অপারেটরের দায়িত্ব পায়।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে ২০২০ সালে Sohoz.com এ চুক্তিবদ্ধ হলেও তার চাকরি বহাল থাকে এবং পুনরায় সার্ভার অপারেটরের দায়িত্ব পায়। সে সার্ভার অপারেটর হওয়ায় বিভিন্ন ট্রেনের সিডিউল ও টিকিট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতো বিধায় এ বিষয়ে সিন্ডিকেটের মূলহোতা মিজানকে তথ্য প্রদান করতো। গ্রেফতার সবুর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের Sohoz.com এর স্টেশন রিপ্রেজেন্টেটিপ হিসেবে চাকরি করতো। গ্রেফতার সবুর সিন্ডিকেটের মূলহোতা গ্রেফতার মিজানের সঙ্গে ট্রেনের টিকিট কালোবাজির সঙ্গে জড়িত।

এক প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সহজ ডটকম টিকিট কালোবাজারির দায় এড়াতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ছিল।

আসন্ন ঈদুল ফিতরে টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে কি কি পদক্ষেপ নেবে র‍্যাব? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আর কিছুদিন পরেই টিকিট অনলাইনে ছাড়বে। টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে এনএসআই ও র‍্যাবের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে।


আরও খবর



আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্খা মুছে দেয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম অপারেশন সার্চলাইট।

এই অভিযানের নির্দেশ নামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনও লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়।

অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সেই আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।

অপারেশন সার্চলাইট কিভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লিখেছেন, ১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহন করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি। পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তাঁর কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন অপারেশন সার্চলাইট।

মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেপ্তার করা হলো আরও ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। এরপর সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হল। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।

পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল তাতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত অপারেশন সার্চ লাইট নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে।

ঢাকার ইপিআর সদর দফতর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের উইটনেস টু সারেন্ডার গ্রন্থেও এ সংক্রান্ত একটি বিবরণ পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অনুগত পাকিস্তানি হিসাবে পাক সামরিক জান্তার চক্রান্ত তিনি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন। ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর মুহূর্ত নিয়ে তিনি লিখেন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সামরিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এমন আঘাত হানার নির্ধারিত মুহূর্ত (এইচ-আওয়ার) পর্যন্ত স্থির থাকার চিহ্ন বিলুপ্ত হয়ে গেল। নরকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।

পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ রাত ১১ থেকে ১১টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ব্ল্যাক আউট পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দেবেন। এদিন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।

সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। এছাড়াও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে।


আরও খবর



৪০ বছরের খরা কাটিয়ে শিরোপা জিতল বিলবাও

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শিরোপা জয়ের স্বাদ প্রায় ভুলতে বসা আথলেতিক বিলবাও অবশেষে ৪০ বছরের খরা কাটাল। কোপা দেল রের ফাইনালে রিয়াল মায়োর্কাকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে বহু কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের দেখা পেল দলটি।

শনিবার সেভিয়ায় ম্যাচের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচটি শেষ হয় ১-১ সমতায়। এর আগে সবশেষ ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে কোপা দেল রে ও লা লিগার শিরোপা জিতেছিল বিলবাও।

কোপা দেল রের সফলতম দল বার্সেলোনার ট্রফি ৩১টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ হলো বিলবাওয়ের। রিয়াল মাদ্রিদের ২০টি।

বিলবাওয়ের এ দিন ম্যাচের শুরু থেকে দাপটছিল। তবে এগিয়ে যায় মায়োর্কা। ২১তম মিনিটে কর্নার থেকে ফিরতি বল ধরে জালে পাঠান দানি রদ্রিগেস। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেই শেষ করে বিলবাও। দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে তাদেরকে সমতায় ফেরান ওইয়ান সানসেট।

টাইব্রেকারে অবশ্য বিলবাও ছিল নিখুঁত। চার শটের সবকটিই জালে পাঠায় তারা। মায়োর্কার মানু মোরলেন্সের শট ঠেকিয়ে দেন বিলবাওয়ের গোলকিপার, আরেকটি শটে গোল করতে পারেননি নেমানিয়া রাদোনিচ। খরা ঘুচে যায় বিলবাওয়ের।


আরও খবর



‘ঈদ উপলক্ষে মার্কেটে গভীর রাত পর্যন্ত নিরাপত্তা থাকবে’

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ উপলক্ষে মার্কেটে গভীর রাত পর্যন্ত নিরাপত্তা থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরে দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করবে।

সোমবার (১ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে নির্দিষ্ট এলাকায় যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকা থেকে বের হওয়ার প্রতিটি পয়েন্টসহ দেশের যানজট প্রবণ সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে থাকবে। দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, রমজানে যানজট কিছুটা বাড়ে এটা সত্য। তবে ঈদ ঘনিয়ে আসলে এটা আরও বাড়ে। কারণ ঈদ শপিংয়ের জন্য মানুষ মার্কেটে যান। আবার উন্নয়ন কাজের জন্য কিছু রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঈদকে সামনে রেখে যানজট কীভাবে সহনীয় রাখা যায়, সে বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে। আশা করি শিগগিরই যানজট কমে যাবে।


আরও খবর



আজ থেকে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবে টেলিটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলালিংক-টেলিটককে দিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো ন্যাশনাল রোমিং। মঙ্গলবার এই উদ্যোগের উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদ্‌যাপনে আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে এর ঘোষণা দেন তিনি।

ফলে আজ হতে কোনো এলাকায় নিজেদের নেটওয়ার্ক না থাকলেও বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কথা বলাসহ সব ধরনের সেবা ব্যবহার করতে পারবেন টেলিটক গ্রাহকরা। শুরুতে সীমিত পরিসরে চালু হলো এই ন্যাশনাল রোমিং সেবা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেবার মান উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে আন্তঃঅপারেটর নেটওয়ার্ক শেয়ারের কথা বলা হচ্ছে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আরও আগেই এ-সংক্রান্ত অনুমোদন দিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে এই উদ্যোগে টেলিটকের লাভ বেশি। কারণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা দুর্বল। আর বাংলালিংকের সারাদেশে সাড়ে ১৪ হাজার টাওয়ারের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। ফলে টেলিটক গ্রাহকরা বাড়তি সুবিধা পাবেন; সঙ্গে অপারেটরটি তাদের গ্রাহকদের সেবা দিতে পারবে।

বর্তমানে বাংলালিংকের গ্রাহক ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার এবং টেলিটকের গ্রাহক ৬৪ লাখ ৮০ হাজার। রবি আর টেলিটকের মধ্যে নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের একটি প্রস্তাব বিটিআরসির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।


আরও খবর
ফের ফেসবুকে বিভ্রাট

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪