আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ফসলি জমির মাটি বিক্রি: দুই ইউপি সদস্যকে জরিমানা

প্রকাশিত:বুধবার ১২ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির অপরাধে দুই ইউপি সদস্যকে আড়াই লাখ টাকা জরিমিানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে উপজেলা কমিশনার (ভূমি) তাজমিন আলম তুলির নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। 

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো.সানাউল্লা ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো.জহির হোসেন স্বপন। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির সত্যতা পেয়ে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য

(মেম্বার) মো.সানাউল্লাকে এক লক্ষ টাকা এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জহির হোসেন স্বপনকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাৎক্ষণিক জরিমানা আদায় করায় তাদের অন্য কোনো শাস্তি আরোপ করা হয়নি। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।  


আরও খবর



রমজান সামনে রেখে বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে বরিশালে আরেক দফায় বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। মাছ-মাংসের দামও আকাশচুম্বী। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ ক্রেতাদের।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা। যা কিছুদিন আগেও ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। একইভাবে ৮০ টাকা কেজি দরের মসুর ডাল ১১০ টাকা, ৭৮ টাকার খেসারি ডাল ১১০ টাকা, ৭৫ টাকার ছোলা বুট ১০০ টাকা, ১৯০ টাকার রসুন ২০০ টাকা, ১৬০ টাকার আদা ২২০ টাকা, ১৩৫ টাকার এলসি চিনি ১৪৫ টাকা, মুগ ডাল ১৬০ টাকা, চিড়া ৭০ টাকা, আখের গুড় প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং সয়াবিন প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকায়।

নগরীর আলেকান্দার মুদি দোকানি জহুর কাজী বলেন, রমজান উপলক্ষে সব মালের দাম বাড়তি। পাইকরি বাজার থেকে তারা যে দামে পণ্য কেনেন তার চেয়ে সামান্য লাভে বিক্রি করেন। দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।

নগরীর সাগরদী বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ইসলাম ব্রাদার্সের মো. সাদী জানান, রমজানকে সামনে রেখে ডালজাতীয় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। ভারতীয় পিঁয়াজ না আসায় দেশীয় পিঁয়াজের বাজারও চড়া। তিনি বলেন, ডলার সংকটের কারণে বড় আমদানিকারকরা নিত্যপণ্য আমদানি করতে পারছেন না। যে পণ্য মজুদ আছে তার চেয়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেশি। এ কারণে বাজার দর বাড়তি। রমজানের আগে কোনো পণ্যের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে ধারণা করছেন তারা।

নিত্যপণ্যের পাশাপাশি মাছ-মাংসের দামও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি আড়াই শ টাকা এবং গরুর মাংস সাড়ে ৭শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি চিংড়ি ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০, বেলে মাছ ৬০০ থেকে ৮০০, দেশীয় রুই-কাতলা ৪০০, নদীর পাঙ্গাস ৮০০ থেকে ৮৫০, কোরাল ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। নগরীর পোর্ট রোড বাজারে ১ কেজি সাইজের একটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার টাকায়। রপ্তানিযোগ্য এলসি সাইজ প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে। রমজানে মাছের দাম আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন নগরীর পোর্ট রোড বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবদুল হালিম।

রমজান মাস শুরু না হতেই বগুড়ায় খেজুরের দাম বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। রমজান শুরু হলে দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা। এদিকে আমদানিকারক ও অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্ক ও করহার বৃদ্ধি, টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে এ বছর খেজুরের দাম বেড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে খেজুরের বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বগুড়ায় খেজুরের বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে তিউনেশিয়ার খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা। যা গত বছর বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকায়। মাশরুপ খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। যা গত বছর বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। গত বছর দাবাস খেজুর বিক্রি হয়েছিল ৩৫০ টাকা কেজি। কিন্তু এ বছর দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। এ ছাড়াও ফরিদা খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা, রেজিস ৩৫০ টাকা, জাহেদি ২৪০ টাকা, খালাস ৩৬০ টাকা, ব্লাকবড়ি ৬৫০ টাকা ও ইরাকি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে ইরাকি খেজুর প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছর ছিল ১০০ টাকা। দুবাইয়ের ইরাকি জাহেদি জাতের খেজুর ১০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ১ হাজার ৪০০ টাকা। দাবাস ও লুলু জাতের খেজুর ১০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ২ হাজার ৪০০ টাকা।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কোটি টাকার স্বর্ণসহ আটক ২

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ কেজি ১১৪ গ্রাম স্বর্ণসহ মো. শফিকুল ইসলাম ও মো. মোরশেদ নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।

শনিবার (২ মার্চ) সকালে শারজাহ থেকে আসা বিমানের যাত্রী ছিলেন তারা। আটক মো. শফিকুল ইসলাম চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা ও মো. মোরশেদ হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ স্বর্ণ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শারজাহ থেকে আসা দুই ব্যক্তি বিমানবন্দরের কাস্টমস এরিয়া অতিক্রম করার সময় স্ক্যানিংয়ে তাদের লাগেজে স্বর্ণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে তাদের লাগেজ তল্লাশি করে দুটি ব্লেন্ডিং মেশিনের ভিতর অভিনব কায়দায় লুকানো মোট ১ কেজি ১১৪ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। পরে এই যাত্রীদেরকে আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য এক কোটি টাকা বলে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।


আরও খবর



শিকলে বাঁধা যুবকের দুর্বিষহ জীবন, চিকিৎসা করবে কে?

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

জরাজীর্ণ ছোট একচালা ঘরের খুঁটির সঙ্গে বাঁধা যুবক। বিড়বিড় করে কি যেন একটা বলছে। এক সময়ের টগবগে যুবক এখন চার দেওয়ালে বন্দি। খুপড়ি ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে তাঁর। একটি দু'টিন বছর নয় এভাবে ছয় বছর ধরে শিকল বন্দি। পায়ে সঙ্গে শিকল যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাড়িঁয়েছে তাঁর। লোহার শিকল পরা অবস্থায় দিনের শুরু হয় আর বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে। এর পর রাত। তবুও যেন শিকল থেকে মুক্তি মিলছে না তাঁর। এভাবেই হাসি-কান্নার মধ্য দিয়েই কাটছে তাঁর শিকলে বাঁধা জীবন।

আর আদুরের সন্তানের চিকিৎসায় সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন দরিদ্র পরিবার। বসতভিটা ছাড়া নিজের বলতে আর কিছুই নেই তাদের। গায়ের মহাজনের কাছে ধারকার্য করে চিকিৎসা করিয়েছেন। তবুও সুস্থ্য করা যায়নি পঁয়ত্রিশ বছর বয়সী মিলনকে।

মিলন হক ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কুজিশহর গ্রামের মফিজ উদ্দীন ও শাহেদা বেগম দম্পত্তির ছেলে।

প্রাথমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করা মিলন আর পাঁচ শিশুর মতো ছিল হাসি-কান্না হইহুল্লোড়ে মাতিয়ে রাখত সবাইকে। মজার দুষ্টুমিতে মায়ের কাছে আসত হাজারো অভিযোগ। জন্মের ৯ বছর বয়সে গলায় টিউমার ধরা পড়ে মিলনের। চিকিৎসা নেওয়ার পরে কিছুদিন সুস্থ হলেও আবার শুরু হয় অসুস্থতা। পঁয়ত্রিশ বছর জীবনে পচিশ বছর অসুস্থ থাকলেও ছয় বছর চার দেওয়াল আর পায়ে শিকলই তার সঙ্গী। তবে বৃদ্ধা মা মারা গেলে কে দেখবে তাকে? এমন চিন্তায় প্রতিনিয়তই ডুকরে ডুকরে কাঁদছে মা শাহেদা বেগম।

স্বপ্ন ছিলো মিলন হক পড়াশোনা করে চাকরি করে সংসারের হাল ধরবেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে প্রাথমিকেই থমকে গেছে তাঁর জীবন। অপরিচিতদের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করলেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করেন। অনেক সময় নানা ভাবে বিড়ম্বনায় ফেলে স্থানীয়দের। পরিবারে উপার্জনক্ষম মানুষ না থাকায় হচ্ছে না উন্নত চিকিৎসা।

স্বামী ব্রেন স্টোক করে প্যারালাইস, ছেলে শেকলে বাধাঁ। স্বামী সন্তানের মুখের খাবার জোগার করবেন না চিকিৎসা করাবেন এই দোটানায় চলছে শাহেদা বেগম। মানুষের বাড়িতে কাজ করে দু-মুঠো ভাতের জোগাড় করেন তিনি। চিকিৎসা করার আর্থিকভাবে ক্ষমতা নেই। তবে সুচিকিৎসা পেলে ভালো হবে মিলন এমন স্বপ্ন দেখেন তার মা। কিন্তু তার এই স্বপ্নে বাদ সেধেছে টাকা। কারণ টাকা ছাড়া এখন কিছুই মেলে না। তাই ছেলে সুস্থ করতে বিত্তবানদের সাহায্য চান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, মিলনের পরিবার খুবই গরিব। চিকিৎসা দুরের কথা ঠিকমতো একবেলা খাবারে জোগানো দায়। তার বাবা ব্রেইন স্ট্রোক করে দীর্ঘ দিন ধরে শয্যাশায়ী। ছেলেও শিকলে বন্দি। মিলনের প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসার। তা না হলে পরিবারটার জন্য সামনে আরো কঠিন হয়ে দাড়াবে।

শাহেদা বেগম বলেন, দিনে ও রাতে ছেলের পায়ে, কখনো হাতে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে ঘুমানোর ব্যবস্থা করি। এ দৃশ্য মা হয়ে সহ্য করতে পারছি না। গরীব মানুষ, ঠিকমতো সংসার চালানোই কঠিক হয়ে পড়েছে। ছেলের উন্নত চিকিৎসা করব কীভাবে?

তিনি আরো বলেন, ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছু নেই তাদের। স্বামী বিছানায় পড়ে আছে। একদিন কাজে না গেলে মুখে খাবার উঠেনা। যা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, বিষয়টি সত্যিই হৃদয়বিদারক। অতি দ্রুতই মিলন হকের খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর



৭ই মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) সকাল ৭টায় ১ মিনিটে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে মহান এ নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা জানানোর পর দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান দলীয় সভাপতি। তারপর কৃষক লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ৩২ নম্বর।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ বৃহস্পতিবার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা গৌরবের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহতি কাব্যের কবি শোনান তার অমর কবিতাখানি। তার বজ্রকণ্ঠের নিনাদে বাংলার আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হয়েছিল স্বাধীনতার ঘোষণা, যার অঙ্গুলিহেলনে গর্জে উঠেছিল উত্তাল জনসমুদ্র।

লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী স্লোগানের উদ্যমতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পত পত করে উড়েছিল বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত লাল-সবুজের পতাকা। উত্থিত হয়েছিল শপথের লাখো বজ্রমুষ্টি।

তৎকালীন ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উত্তাল জনসমুদ্রে বজ্রকণ্ঠে হুংকার দিয়েছিলেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।


আরও খবর



চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, গুরুতর আহত চালক হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ট্রেনের চালক মো. আতিকুল ইসলামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গৌরীপুর থেকে ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনের মাঝামাঝি বোকাইনগর এলাকায় একটি সেতুর কাছে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ট্রেনচালক আতিকুল ইসলাম ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বিরামপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে।

বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে কর্তব্যরত রেল পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হানিফ মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি বোকাইনগর এলাকার একটি সেতুর কাছে আসতেই দুর্বৃত্তরা পাথর নিক্ষেপ করে। এতে পাথরের আঘাতে ট্রেনের চালক আতিকুল ইসলামের নাক ফেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি ট্রেনটি ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনের প্লাটফর্মের কাছাকাছি নিয়ে থামিয়ে দেন। পরে তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে বলেও জানান রেল পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হানিফ মিয়া।


আরও খবর