আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী রুহুল আমীন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:

ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের দুই বারের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রুহুল আমীন। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আওয়ামী লীগ সহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন।

এরপর বঙ্গবন্ধু, জাতীয় ৪ নেতা, জাতীয় সংসদের উপনেতা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীসহ আ.লীগের অন্যান্য নেতাদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তারপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীনসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। পরে মঞ্চে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রুহুল আমীন বলেন, দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর আস্থা রেখেছেন বলেই মনোনয়ন দিয়েছেন। আপনাদের সাথে নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগামী ১৮ অক্টোবরের নির্বাচনে সকল কিছুর উর্ধ্বে থেকে আপনারা সহযোগিতা করবেন। আপনারা দোয়া করবেন যাতে জয়ী হতে পারি। দলীয় নেতাকর্মীরা সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবাইকে একসাথে নির্বাচনে কাজ করার আহ্বান জানান। যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তারা। শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার মৃধাপাড়া গোরস্থানে জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দীন মন্ডলের কবর জিয়ারত করেন আলহাজ রুহুল আমিন।

এরআগে, তিনি ঢাকা থেকে আসার পথে রাজশাহীতে যাত্রাবিরতি দিয়ে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম. শহীদ কামারুজ্জামানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মোনাজাত করেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাতের জন্য প্রস্তুত ঐতিহাসিক শোলাকিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

মাঠের রেওয়াজ অনুযায়ী, বন্দুকের ফাঁকা গুলির শব্দের মাধ্যমে প্রতি বছরের মত এবারও দেশের বৃহত্তম ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। এবার ১৯৭তম ঈদুল ফিতর জামাতে ইমামতি করবেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, ইসলামি ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের খতিব মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। নামাজ শুরু হবে সকাল ১০টায়।

মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, এবার শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের চারদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছিদ্র করতে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সারা মাঠে ৪টি উচু অস্থায়ী টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। এসব টাওয়ারে পুলিশ সদস্যসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা টাওয়ারের মাধ্যমে মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।

শোলাকিয়া জামাতকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটি ইতোমধ্যে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছে। তাছাড়া বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাসহ নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে সর্বিক ব্যবস্থা সুসম্পন্ন করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, বৃহত্তম ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের জঙ্গি হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে শোলাকিয়া ময়দানে চারস্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এবারের জামাতের সারা মাঠ ও আশপাশ এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা থাকবে। পাঁচ প্লাটুন বিডিআর, ৭০০ পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি র‌্যার ও গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতিতে শোলাকিয়া বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৭ এপ্রিল) থেকে ঈদের রাত পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব মাঠে থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেটাল ডিডেকটর দিয়ে সারা মাঠ তল্লাশি করবেন।

ঈদের দিন সকাল থেকে মাঠের ২৮টি গেইটে মেটাল ডিডেকটর দিয়ে তল্লাশি করে মুসুলিদের প্রবেশ করানো হবে। এছাড়া সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকবে। পুলিশের ডক স্কোয়াডের মাধ্যমে মাঠের চারদিকে বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক আরও জানান, শোলাকিয়া জামাতে মুসল্লিদের আসা-যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে  ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুইটি শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে।

ঈদের দিন ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে সকাল ৭টায় কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। নামাজের পর বিশেষ ট্রেন ফিরতি যাত্রা করবে। এবার গত বছরের তুলনায় আরও বেশি সংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটবে-এমন ভাবনায় সবদিক থেকে শোলাকিয়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে।

পৌরসভা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ, জেলা চেম্বার অব কমার্সসহ সংশ্লিষ্ঠ বিভাগ সমূহ মাঠে অজু, গোসল এবং শোলাকিয়া মাঠে সহজে প্রবেশের ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অব্যাহত রাখাসহ মুসল্লিদের সার্বিক সু-ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (সদর) মো. আবু রাসেল জানান, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উচ্ছ্বাস নিয়ে দেশের দূর-দূরান্ত, এমনকি বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে আসবে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা কাতার রাখা হবে। নামাজের জন্য শোলাকিয়া মাঠ প্রস্তুত। সকাল ১০টায় জামাত শুরু হবে।

প্রসঙ্গত, ১৮২৮ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লির সমাগম ঘটেছিল। সোয়া লাখ থেকেই বিবর্তনের ধারায় এ মাঠের নাম শোলাকিয়া হয়েছে। দিন দিন এর প্রচারণা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতি বছরই মুসল্লিদের সমাগম বাড়ছে।


আরও খবর



পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন বাদীপক্ষ পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এর আগে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।

মামলায় নাসিরউদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পারসেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।

এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পারসেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।


আরও খবর



ভোলায় ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ২, শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভোলা প্রতিনিধি

Image

ভোলা জেলার লালমোহন, মনপুরা ও তজুমদ্দিন উপজেলায়  আজ সকালে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শতাধিক বাড়ি-ঘর, গাছপালা, বিদ্যুৎ লাইন, মাঠের ফসল  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ আকস্মিক ঝড়ে লালমোহন উপজেলায় ঘর চাপা পড়ে হারিস (৬৮) ও বজ্রপাতে বাচ্চু (৪০) নিহত হন।

নিহত দুজনের পরিবারকে সরকারিভাবে ২৫ হাজার করে  মোট ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, আজকের ঝড়ে লালমোহন উপজেলায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বদরপুর ইউনিয়নে হারিস ঘর চাপা পড়ে মারা গেছেন। তার বাড়ি ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নে। তিনি ভিক্ষা করতেন। এছাড়া  চরভুতা ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া গ্রামে বজ্রপাতে বাচ্চু নামে একজন নিহত হয়েছেন।

তিনি জানান, লালমোহন উপজেলায় বেশ কিছু বাড়িঘর আংশিক ও সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের তারে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি হয়েছে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, ঝড়ে লালমোহন উপজেলায় নিহত দুজনের পরিবারকে জনপ্রতি ২৫ হাজার করে মোট ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। প্রাথমিকভাবে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রচুর গাছপালার ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে তজুমদ্দিন, মনপুরা ও লালমোহন উপজেলায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তিনি জানান,  ইতোমধ্যে প্রাথমিকভাবে লালমোহন উপজেলায় ৮ মেট্রিক টন চাল, মনপুরায় ৫ মেট্রিক টন চাল ও তজুমদ্দিনে ৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে।


আরও খবর



‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, নির্বাচনে আমি ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ করেছি, এটা তুলবো। এটা যেভাবেই হোক আমি তুলবো। এটুকু অন্যায় করবো, আর করবো না।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে সংসদ সদস্য আজাদকে এমন বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। ভিডিওটি গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) লালপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের। এ নিয়ে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা হচ্ছে।

সংসদ সদস্য আবুল কালাম বলেন, আপনার টাকা আমার প্রকল্প থেকে দিয়েছি। আমি তো বাড়ির জমি বিক্রি করে দেইনি। আমার বেতন-ভাতার টাকাটাও দেইনি। আমার ৫ বছরের বেতন-ভাতার ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ছাড়া আমার কোনো সম্পদ ছিল না। আগামীতেও থাকবে না। তবে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা আমি খরচ করেছি, এটা তুলবো। এটা আমি যেভাবেই হোক তুলবো। এটুকু অন্যায় করবো, আর করবো না।’

তিনি বলেন, ২৫ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছি। ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি কিনেছিলাম ২৭ লাখ টাকা দিয়ে। আমি চাইলে ১ কোটি টাকা দিয়ে কিনতে পারতাম। যেহেতু আমার টাকা নেই, আমি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এবার আমি ওই টাকা দিয়ে কিনব। ওই টাকা, আমি তুলে নেবো এবার। নিয়ে আর কিছু করবো না। খালি এই এক কোটি ২৬ লাখ টাকা তুলব। আমার প্রকল্প থেকে আগে সাইকেল দিয়েছি, দরকার হলে মোটরসাইকেল দেবো, অসুবিধা নেই। আমি অন্যায় করবো না। যার টাকা তাকে দেবো।’

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতারকে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি তো তা বলিনি। আমি বলেছি, মানুষের তো নির্বাচনে খরচ হয়। সেই খরচের কথা এমনিতে যুক্তি হিসেবে বলেছি। আমি মানুষের উন্নয়নে ও কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছি।’


আরও খবর



তিতুমীরে সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও দৈনিক সময়ের আলোর প্রতিবেদক সাব্বির আহমেদকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় মহাখালীর লাইফ লাইন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা এস এম ইমরুল রুদ্রকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজিবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারাদেশ প্রদান করা হয়।

এর আগে শুক্রবার বিকালে ইফতার মাহফিল থেকে অফিসে যাওয়ার পথে তিতুমীর কলেজের আক্কাছুর রহমান আঁখি হলের সামনের প্রধান সড়কে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়লের নেতৃত্বে কলেজ ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক এস এম ইমরুল রুদ্র এই হামলা করে।

ঘটনার বিষয়ে সাব্বির আহমেদ বলেন, আমার ডিপার্টমেন্টে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে ক্যাম্পাসে যাই। সেখানে ছাত্রলীগের নেতা এস এম ইমরুল রূদ্র এসে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।  ইফতার শেষে রূদ্র আক্কাসুর রহমান আঁখি হলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।’

তিনি আর‌ও বলেন, তারা রড, লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। একপর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।’

সাব্বির আহমেদ বলেন, কলেজ প্রশাসনকে পরিচালনা করছেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল। ক্যাম্পাসে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলেও কলেজ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয় না।’

হামলার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে অবগত করা হয়। তারা বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনার নিশ্চয়ই অনাকাঙ্ক্ষিত। ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী হামলার সঙ্গে জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ঘটনার বিষয়ে জানতে তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।


আরও খবর