কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বসতঘর থেকে মা ও মেয়ের
(৪) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিছানায় মেয়ের গলায় তার পেঁচানো ও ফ্যানের সঙ্গে ঝুলেছিল
মায়ের মরদেহ। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে নিজ বাড়ি
থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হক জানান, গোপীনাথপুর
গ্রামের মাঝি বাড়ির শাহ জাহানের ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী আবুল কালামের সাথে পাঁচ বছর
পূর্বে একই উপজেলার বারেশ্বর গ্রামের মোঃ মোস্তাফার মেয়ে জান্নাত আক্তারের বিয়ে হয়।
বিয়ের এক বছর পর তাদের একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম নেয়। সম্প্রতি গত ৫ মাস আগে আবুল কালাম
ছুটি শেষ করে সিঙ্গাপুর যায়।
আরও পড়ুন: ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে লুট, পথচারী নিহত
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য
আবদুল হক আরো জানান, বুধবার রাতে পরিবারের সদস্যদের সাথে খাবার খেয়ে জান্নাত আক্তার
শিশু সন্তানকে নিয়ে নিজের রুমে ঘুমাতে যায়। প্রতিদিনের মতো সকালে ঘুম থেকে না উঠায়
শাশুড়ি ঘরের দরজায় ডাকতে থাকে। দীর্ঘক্ষণ কোন শব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকজনকে ডেকে আনে।
স্থানীয়া ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে মরদেহ দুটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়।
বুড়িচং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন
জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সকাল ১০ টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ দেখে ঘরের
বিছানায় একটি শিশুর মরদেহ পড়ে আছে। পাশেই ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত ছিল শিশুর
মা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে রাজমিস্ত্রী মেহেদী হত্যার মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৫
তিনি আরও বলেন, শিশুটির গলায় তার প্যাচানো
ছিলো। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো
হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব
আবু তাহের বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারি স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে ঝগড়া করে
শিশু সন্তানকে হত্যার পর মা আত্মহত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: ‘বিকাশ থেকে বলছি’ বলে টাকা হাতানো ৫ জনের কারাদণ্ড
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
ইসমাইল হোসেন বলেন, যতটুকু ধারণা হচ্ছে প্রথমে মা ওই শিশুকে হত্যা করে। পরে তিনি আত্মহত্যা
করেন। পারিবারিক কলহের জেরে এমনটা হতে পারে। মরদেহ দুটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বুড়িচং থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে
মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।