আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

গাইবান্ধায় বাজারের টাকা চাওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গাইবান্ধায় বাজারের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ডলি বেগম (৩৬) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মাদকাসক্ত স্বামী ছকু মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে ছকু পলাতক রয়েছেন।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ডলির শাশুড়ি জরিনা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেল ৫টার দিকে গাইবান্ধা রেলস্টেশনের পূর্ব-প্রান্তের বস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রেলবস্তির একটি টিনের ঝুপড়ি ঘরে স্ত্রী ডলি ও মা জরিনা বেগমকে নিয়ে বসবাস করতেন ছকু। বিয়ের পর থেকে ছকুর সঙ্গে স্ত্রী ডলির ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। এছাড়া মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই ডলিকে মারধর করতেন ছকু। আজ বিকেলে ডলি স্বামী ছকুর কাছে বাজারের টাকা চাইতে গেলে দুইজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে ছকু তার স্ত্রী ডলিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নিহত ডলির পায়ে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। এ খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। একইসঙ্গে পুলিশ নিহতের শাশুড়িকে আটক করে। 

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত ছকু মিয়া পালিয়েছেন। তবে, জড়িত সন্দেহে স্বামী ছকুর মা জরিনাকে আটক করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: কুপিয়ে হত্যা

আরও খবর



পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় চিত্র নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে এ আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। শুনানি শেষে আদালত আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এ তথ্য জানান।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন নাসির উদ্দিন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।

পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন।

এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।


আরও খবর



ইসরায়েলকে সন্তুষ্ট করতে কোরআনের আয়াত সরাচ্ছে সৌদি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে এগোতে শুরু করে সৌদি আরব। তবে মুসলিম বিশ্বের প্রতিক্রিয়ার ভয়ে সে কার্যক্রম চলে একেবারেই গোপনে।

গেল বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে সেই প্রক্রিয়া থেমে গেলেও থেমে নেই ইহুদিবাদী দেশটির সঙ্গে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠায় সৌদি প্রচেষ্টা।

এমন লক্ষ্যে গত কয়েক বছর ধরেই সৌদি আরবের পাঠ্যবইতে পরিবর্তন আসছে। এবার দেশটির পাঠ্যপুস্তক থেকে কুরআনের বিভিন্ন আয়াত বাদ দেয়ার অভিযোগ করেছেন ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠির নেতা আব্দুল মালেক আল-হুতি। শনিবার ইরানের আধাসরকারি বার্তাসংস্থা মেহের নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আব্দুল মালেক আল-হুতি বলেন, কোরআনের যেসব আয়াতে ইহুদিদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে সে আয়াতগুলো সৌদি আরবের পাঠ্যপুস্তক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ ধরনের পদক্ষেপ ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি বড় অবিচার উল্লেখ করে হুতি নেতা বলেন, সম্ভবত ইসরাইলি সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য সৌদি সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

এ সময় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী আরেক আরব দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতও পাঠ্যপুস্তক থেকে কোরআনের শিক্ষা বাদ দেয়ার এই নীতি অনুসরণের কথা ভাবছে বলে অভিযোগ করেন আল হুতি।

সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের মে মাসে ইসরাইল ও লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর মনিটরিং পিস অ্যান্ড কালচারাল টলারেন্স ইন স্কুল এডুকেশন প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি পাঠ্যপুস্তকের সর্বশেষ সংস্করণগুলোতে ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের সম্পর্ককে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করার প্রচলিত ধারা থেকে বের হয়ে এসেছে কর্তৃপক্ষ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।


আরও খবর



হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের মাঝে হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা জাতের হীরা-৬ ধান। অন্যান্য জাতের ধানের তুলনায় চাষীরা রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন হীরা-৬ জাতের হাইব্রিড ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে গৌরনদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী মিশন পাড়ার অনুষ্ঠিত হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রীম সীড কোম্পানীর আয়োজনে হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসে স্থানীয় কৃষক আব্দুল আজিজ মৃধার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানীর জোনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনিতা মজুমদার। কোম্পানীর রিজিওনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ আসাদুল আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় পরিবেশক দুলাল রায়, কৃষক শওকত আকন প্রমুখ।

কৃষক শওকত আকন জানিয়েছেন, তিনি তার ৬০ শতক জমিতে হীরা-৬ জাতের বোরো ধান চাষ করে এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আগামীতেও তিনি এ জাতের ধান চাষ করবেন।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে যেসব হাইব্রিড ধান চাষ হয় হীরা-৬ ধান তার মধ্যে অন্যতম। উচ্চ ফলনশীল হওয়ার কারণে এই ধান তাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

মাঠ দিবসের আলোচনার শুরুতে অতিথিরা কৃষকদের সাথে নিয়ে হীরা-৬ ধানসহ অন্যান্য জাতের চাষ করা কয়েকটি বোরো ক্ষেত পরিদর্শন করে ধানের চারা সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে গণনা করে হীরা-৬ ধানের প্রতিটি শীষে গড়ে ৩০৬ থেকে ৩১০টি ধান পাওয়া গেছে। অন্যান্য জাতের ধানে সর্বোচ্চ ২০০টি ধান পাওয়া যায়।

এরপর অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মশিউর রহমান বলেন, হীরা-৬ বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা হাইব্রিড ধান। এই জাতের ধানে অন্য যেকোন হাইব্রিড ধানের তুলনায় বেশি ফলন হয়। রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন ১৪৫ দিনের জীবন কাল হীরা-৬ ধানের জাতে প্রতি শতকে এক মনের অধিক ধান পাচ্ছেন কৃষক। পাশাপাশি এ ধানের খোসা অত্যন্ত পাতলা হওয়ায় প্রতি ১০০ মন ধানে ৭৩ মনের অধিক চাল পাওয়া যায়। এছাড়াও এ ধানের চাউলের ভাত অন্যান্য জাতের মতো আঠালো হয়না।

সভায় উপস্থিত প্রায় দুই শতাধিক কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বোরো চাষের শুরুতে আগে ভাবতে হবে কোন ধানের বীজ বপন করে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। কারণ এটা শুধু বীজ নয়; একটি পরিবারের স্বপ্ন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে যে কয়টি কোম্পানি হাইব্রিড ধানের আমদানির অনুমতি পেয়েছে তাদের মধ্যে একটি সুপ্রীম সিড। কোম্পানিটি বাংলাদেশে প্রথম চীন থেকে বাংলাদেশে হীরা ধানের বীজ এনে বাজারজাত করেন। এরপর তারা নিজস্ব উৎপাদনে যায়। বর্তমানে ৯০ শতাংশ বীজ নিজেরাই উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, হাইব্রিড ধান সাধারণত ৭০-৭৫ শতাংশ পাকলেই কাটতে হয়। কারণ ধান বেশি পাকার ফলে ক্ষেতেই ঝড়ে যায়। তখন হাইব্রিড ধানের বিষয়ে নেতিবাচক প্রচারণা হয়। যে কারণে কৃষকদের সচেতনতার জন্যই মূলত হীরা-৬ ধানের মেগা মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে।


আরও খবর



ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে নেই যানজট

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

এবারের ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে যানজট ছাড়াই চলাচল করছেন যাত্রী ও চালকেরা। ঈদের ক‌য়েক‌দিন আগেও যেই মহাসড়কে চরম ভোগান্তি নিয়ে চলাচল কর‌তে হ‌তো সেই পথ দিয়ে নির্বিঘ্নে গাড়ি চলছে।

ঢাকা থে‌কে ছে‌ড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী প‌রিবহনগু‌লো বি‌রতিহীনভা‌বে চলাচল কর‌ছে। ফ‌লে কোনো ভোগা‌ন্তি বা যানজট ছাড়াই অনায়া‌সে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হচ্ছে মানুষ। একইভা‌বে উত্তরবঙ্গ থে‌কে ছে‌ড়ে আসা ঢাকাগামী প‌রিবহনগু‌লোও স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তে চলাচল কর‌ছে। জেলা প্রশাসন ও পু‌লিশ প্রশাস‌নের সম‌ন্বিত উদ্যো‌গের কার‌ণে এবার স্বস্তি নিয়ে বা‌ড়ি ফির‌ছে সবাই।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল‌ থে‌কে মহাসড়‌কের কোথাও কোনো প‌রিবহ‌নের ধীরগ‌তি বা চাপ দেখা যায়‌নি। ত‌বে গভীররা‌তে প‌রিবহ‌নের চাপ ছিল। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কি‌লো‌মিটারের দুই লে‌নের সড়‌ক নি‌য়ে সবার দু‌শ্চিন্তা থাক‌লেও এতে যান চলাচ‌লে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়‌নি। ওই সড়ক দিয়ে শুধুমাত্র ঢাকা থে‌কে ছেড়ে আসা প‌রিবহনগু‌লো উত্তরব‌ঙ্গের দি‌কে চলাচল কর‌ছে। তবে উত্তরবঙ্গ থে‌কে ছে‌ড়ে আসা ঢাকাগামী প‌রিবহনগু‌লো এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতুর ১৩ কি‌লো‌মিটার সড়‌কে প্রবেশ কর‌তে দেওয়া হয়‌নি। ঢাকাগামী ওই সব প‌রিবহনগু‌লো ভুঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চ‌লিক বিকল্প সড়ক ব্যবহার ক‌রে ঢাকার দি‌কে চলাচল কর‌ছে। এতে য‌দিও প‌রিবহনগু‌লো‌র বাড়‌তি ১৫ কি‌লো‌মিটার সড়ক ঘু‌রে যে‌তে হ‌চ্ছে।

এদি‌কে গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু‌তে টোল আদায় বে‌ড়ে‌ছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় সেতু‌তে ২৯ হাজার ৭৮০‌টি প‌রিবহ‌নের থেকে ২ কো‌টি ৫০ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকা টোল আদায় হ‌য়ে‌ছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছে বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পা‌ভেল।

যাত্রীরা বলেন, টাঙ্গাইল অং‌শের মহাসড়‌কে কোথাও কোনো যানজট পাইনি। চির‌চেনা মহাসড়ক এবার ঈদযাত্রায় স্বস্তি দি‌য়েছে। ত‌বে আরও দুইদিন বা‌কি র‌য়ে‌ছে ঈদের। এখনও প্রচুর মানুষ আস‌ছে। মহাসড়‌কের যে অবস্থা তা‌তে যানজট হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম।

বগুড়াগামী এসআই প‌রিবহ‌নের চালক ইয়াকুব আলী বলেন, ঈদের আগে এই সময় মহাসড়‌কে ব্যাপক যানজট থাক‌তো। কিন্তু সড়ক উন্নয়ন আর প্রশাস‌নের হস্ত‌ক্ষে‌পে এবার যানজটমুক্ত। কোথাও কোনো সমস্যা হ‌চ্ছে না। স্বাভাবিক গ‌তি‌তেই গাড়ি চালা‌চ্ছি।

দিনাজপুরগামী হা‌নিফ প‌রিবহ‌নের সুপারভাইজার মোবারক বলেন, যাওয়া এবং আসা‌তে কোথায় কোনো যানজট পাইনি। এলেঙ্গা হ‌তে কিছু অংশ এবং সেতুর আগে কিছু অংশ বাড়‌তি লেন করায় মহাসড়‌কে যানজট হয়‌নি। ত‌বে সেতু‌র টোল প্লাজায় একটু ধীরগ‌তি তৈ‌রি হ‌লেও সেতু পার হ‌তে তেমন সময় লা‌গে‌নি।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ বলেন, এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত কোথাও কোনো পরিবহ‌নের চাপ নেই। স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তেই প‌রিবহনগু‌লো চলাচল কর‌ছে মহাসড়‌কে। প‌রিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখ‌তে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দা‌য়িত্ব পালন কর‌ছে।


আরও খবর



লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও আমল

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ রজনী লাইলাতুল কদর। ফারসি ভাষায় যা শবে কদর নামে খ্যাত। লাইলাতুল কদর এমন এক মহিমান্বিত রজনী যে রজনীতে আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় হাবিব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পবিত্র কুরআন নাজিল করেছেন। মূলত এজন্যই এই রজনী এত ফজিলতপূর্ণ আর এই রজনীর কারণেই মাহে রমজান এত সম্মানিত।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে এই রজনীর গুরুত্ব বুঝাতে কদর নামে একটি সুরা অবতীর্ণ করেছেন। তিনি ইরশাদ করেন: নিশ্চয়ই আমি এই কিতাব (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি লাইলাতুল কদরে। আর আপনি কি জানেন লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর অর্থাৎ কদরের রজনী হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। এই রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরাইল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে। শান্তিময় সেই রাত, ফজরের সূচনা পর্যন্ত। সুরা কদর: ১-৫

পবিত্র কুরআনে লাইলাতুল কদরকে আল্লাহ তাআলা হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। অর্থাৎ আল্লাহর কোন বান্দা যদি এই রাতে ইবাদত-বন্দেগী করে তবে সে হাজার মাস ইবাদত-বন্দেগী করার সাওয়াব লাভ করবে। এক হাজার মাসে ৩০ হাজার রাত্রি হয়। অর্থাৎ এই রাতের মর্যাদা ৩০ হাজারগুণ অপেক্ষাও বেশী!

সুতরাং বলা যায় এ রাতের একটি তাসবিহ অন্যান্য রাতের ৩০ হাজার তাসবিহ অপেক্ষা উত্তম। অনুরূপভাবে, এই রাতের এক রাকাত নামাজ অন্যান্য রাতের ৩০ হাজার রাকাতের চেয়েও উত্তম। বলা বাহুল্য, এই রাতের আমল লাইলাতুল কদর বিহীন অন্যান্য ৩০ হাজার রাতের আমল অপেক্ষা অধিক শ্রেষ্ঠ। তাই যে ব্যক্তি এই রাতে ইবাদত করল, মূলত সে যেন ৮৩ বছর ৪ মাস অপেক্ষা বেশি সময় ধরে ইবাদত করল।

এছাড়াও লাইলাতুল কদরের রাতের অনেক ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। কদর রজনীর ইবাদত, সালাত আদায়ের ফলে পূর্ববর্তী জীবনের গুণাহসমূহ মাফ হয়ে যায়। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি রমজানে ইমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় সিয়াম পালন করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয় এবং যে ব্যক্তি ইমানের সাথে, সাওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয়। সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০১৪।

এই ফজিলতপূর্ণ রাতটি কখন? কোন সময় আসে? এ সম্পর্কে রসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমরা রমজানের শেষ-দশকে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। বুখারী: ২০২০

তাহলে শেষ-দশক মানে কি রমজানের শেষ দশকে প্রতিদিন লাইলাতুল কদর তালাশ করতে হবে? এই প্রসঙ্গে নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: তোমরা রমজানের শেষ-দশকের বেজোড় রাতসমূহে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। বুখারী : ২০১৭

অর্থাৎ মাহে রমজানের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ এ পাঁচটি রাতের মধ্যে লাইলাতুল কদর বা শবে কদর তালাশ করতে হবে। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে আমরা যে ২৭ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে লাইলাতুল কদর পালন করি এর ভিত্তি কী? প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের জন্য এ রাতের ব্যাপারে আরও নির্দিষ্ট করে বলছেন: তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অক্ষম হয় বা দুর্বল থাকে তাহলে সে যেন ২৭ রমজানের রজনীকে লাইলাতুল কদর বলে বিবেচনা করে ইবাদত করে। মুসলিম: ১১৬৫

হযরত উবাই ইবনে কাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ২৭ রমজানকে লাইলাতুল কদর বিবেচনা করে ইবাদত করতে বলেছেন।

এছাড়াও মুহাক্কিক ইমামগণ বলেন, আরবিতে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয়ে নয়টি হরফ বা আরবি বর্ণ রয়েছে; আর সুরা কদরে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয় তিনবার রয়েছে; নয়কে তিন দিয়ে গুণ করলে সাতাশ হয়, তাই সাতাশে রমজানের রাতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাফসিরে মাযহারি

যে রাতে লাইলাতুল কদর বা শবে কদর হবে তার কিছু আলামত হাদিস শরিফে এসেছে:

১. আকাশ মেঘমুক্ত ও উজ্জ্বল থাকবে। তিরমিজি

২. ঠাণ্ডা ও গরমের মাঝামাঝি তথা নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকবে। তিরমিজি

৩. রাতগত দিনে সূর্য উদিত হবে আলোক-রশ্মীহীন অবস্থায়, অর্থাৎ সূর্যের চিরচেনা তেজবিহীন অবস্থায়। মুসলিম, সহিহ ইবনে খুযায়মা

মহিমান্বিত এ রাত পেলে মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে কী প্রার্থনা করবে? কী চাইবে? এ সম্পর্কে হাদিস শরিফে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়। তিনি বলেন: একবার আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, যদি আমি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি, তাতে আমি কী দোয়া পড়বো? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলবে- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নী। অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। সুনানুত তিরমিজি, হাদিস: ৩৫১৩

সুতরাং, লাইলাতুল কদরে আমাদেরকে আমল ও দোয়ার মাধ্যমে রাত অতিবাহিত করা জরুরি। আর কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে এই রাতের কতিপয় আমল হলো-

১. নফল নামাজ পড়া।

২. মসজিদে প্রবেশ করে ২ রাকাত (দুখুলিল মাসজিদ) নামাজ পড়া।

৩. দুই রাকাত করে (মাগরিবের পর ৬ রাকাত) আউওয়াবিনের নামাজ পড়া।

৪. রাতে তারাবির নামাজ পড়া।

৫. শেষ রাতে সাহরির আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।

৬. সম্ভব হলে সালাতুত তাসবিহ পড়া।

৬. তাওবার নামাজ পড়া।

৭. সালাতুল হাজাত পড়া।

৮. সালাতুশ শোকর ও অন্যান্য নফল নামাজ বেশি বেশি পড়া।

৯. কুরআন তেলাওয়াত করা। সুরা কদর, সুরা দুখান, সুরা মুজ্জাম্মিল, সুরা মুদ্দাসির, সুরা ইয়াসিন, সুরা ত্বহা, সুরা আর-রাহমান, সুরা ওয়াকিয়া, সুরা মুলক, সুরা কুরাইশ, সুরা ইখলাস ইত্যাদি সুরা তিলাওয়াত করা।

১০. অধিক পরিমাণে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাম ও দরূদ শরিফ পাঠ করা।

১১. তাওবাহ-ইসতেগফার পড়া। সাইয়্যেদুল ইসতেগফার পড়া।

১১. জিকির-আজকার করা।

১২. কুরআন-সুন্নাহ বর্ণিত দোয়া পাঠ করা।

১৩. পরিবার পরিজন, বাবা-মা ও মৃতদের জন্য দোয়া করা,

১৪. কবর জেয়ারত করা।

১৫. বেশি বেশি দান-সদকাহ করা।

এছাড়াও এই রাতে নিজেকে নানাবিধ ইবাদতে ব্যস্ত রাখা। কারণ এই রাতের ইবাদতের দ্বারা আমাদের জীবনের গুণাহসমূহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন। তাই আমাদের উচিত এই রাতকে অবহেলায় না কাটিয়ে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল রাখা। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে লাইলাতুল কদর পালন করে কল্যাণ লাভ করার তাওফিক দান করুক। আমিন বিজাহিন নাবিয়্যিল কারিম রাউফুর রাহিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪