গাইবান্ধায় মুজিব শতবর্ষের ঘর পেয়ে আনন্দের সীমা ছিলনা ভূমিহীনদের। তবে নদীতে পানি বৃদ্ধি এবং তীব্র ভাঙন যেন অসহায়দের ভিটে ছাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের বসতিতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই ভাঙনের ফলে আশ্রয়ণের ঘরসহ অনেক পরিবার ভিটে ছাড়ার উপক্রম। বর্তমানে ভাঙনকবলিত অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন স্থানে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, কাপাসিয়া ইউনিয়নের অনেক জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে কাপাসিয়া ইউনিয়নের বাদামের চরের আধা কিলোমিটার জায়গায় ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার। স্থানীয়রা বলছেন নদীর স্রোতের ধারা এমনভাবে যাচ্ছে অনতিবিলম্বে জিও ব্যাগ না ফেলা হলে এখানকার নতুন, পুরাতন আশ্রয়ণ সহ পাঁচ শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে। এখানকার লালচামার চরে গড়ে ওঠা মুজিব শতবর্ষের প্রায় ৩০টি ঘর হুমকির মুখে। যে কোন সময় এই প্রকল্পের ঘর নদী ভাঙনের কবলে পড়তে পারে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। তাদের দাবি খুব দ্রুত সেখানে জিওব্যাগ ফেলা হোক।
কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়া জানান, বাদামের চরের ভাঙনে আমি হতবাক। নদীতে ড্রেজিং করে স্রোতের গতিপথ বদলালে চরাঞ্চলের মানুষ এই ভাঙনের স্থায়ী সমাধান পাবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পরিদর্শন পূর্বক জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধ কল্পে কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, নদী ভাঙনের ফলে মানুষজন আতঙ্কে দিন পার করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে জিওব্যাগ দিলে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাবে চরাঞ্চলের লোকজন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, আমরা এখনো মেইনল্যান্ডের কাজ শেষ করতে পারিনি। গাইবান্ধায় তো ১৬৫টি চর রয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের কথা বলতেই তিনি বলেন, আমরা স্থানটি দেখে এসেছি।