গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া-বারকোনা সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে কামালের পাড়া ইউনিয়নের ছিলমানানের পাড়ায়, বাঙ্গাবাড়ী ব্রিজের উত্তর পাশে, নশিরাপাড়া ভিটার মধ্যে, বোনারপাড়া- বটতলা সড়কের পূর্বপার্শ্বে ঘুড়িদহ ইউনিয়নের মথরপাড়া ভিটার মধ্যে ও ধনারুহা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটু দুরেই ধনারুহা এলাকায় একটি সহ মোট ৫টি অবৈধ চুল্লিতে অবাধে কাঠ পুড়িয়ে দীর্ঘদিন যাবত তৈরি হচ্ছে কয়লা।
গাছ লাগাও পরিবেশ বাঁচাও সরকারের এই স্লোগানের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন গ্রাম থেকে বনজ ও ফলদ গাছ কেটে এখানে কাঠ কয়লার চুল্লিতে সরবরাহ করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এসব কয়লা তৈরির বিশেষ ধরনের চুলা গড়ে উঠেছে। এতে একদিকে যেমন বনজ সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে, পাশাপাশি সৃষ্ট ধোঁয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট জনিতসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। অপরদিকে জীব-বৈচিত্র্যেরও ক্ষতিসহ প্রকৃতিক পরিবেশ মারাত্মক হুমকীর মধ্যে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা এসব কয়লার কারখানায় গাছ খেকো ব্যক্তিরা দিন-রাত অবৈধ চুল্লিতে দেদারছে গাছের ছোট-বড় গুড়ি পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করছে। উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অনুমোদন ছাড়াই এসব কয়লা তৈরির কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। সরকারি বিধিনিষেধ থাকার পরও ফসলি জমি নষ্ট করে এসব কারখানা স্থাপন করা হলেও যেন এসব দেখার কেউ নেই।
এলাকাবাসির অভিযোগ, কয়লা তৈরির চুল্লির কালো ধোঁয়ায় শিশুসহ এলাকার মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ, নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি, উজার হচ্ছে বনজ, ফলদ ও কাঠের বাগান। সেই সঙ্গে জীববৈচিত্র্যসহ পরিবেশ হচ্ছে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। বিভিন্ন গাছপালায় মড়ক দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসাহাক আলী বলেন, অবৈধ কয়লার কারখানা বন্ধসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।