ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় একটি হাসপাতালে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চালানো এই হামলায় ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণলায়ের বরাতে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই নিহতের সংখ্যা অন্তত ২০০ বলে উল্লেখ করেছে। তবে বিবিসি, আল জাজিরা, আনাদোলু এজেন্সির খবরে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বরাতে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৫০০ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি ও মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে নিহতের সংখ্যা ২০০ থেকে ৩০০ বলে জানিয়েছে।
ইসরায়েলি হামলার সময় আল আহলি হাসপাতালে কয়েক শ’ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। আল জাজিরা বলেছে, কোনও সতর্কবার্তা ছাড়াই হাসপাতালে হামলা চালানো হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হামাস পরিচালিত গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা বলেছেন, শত শত মানুষ আশ্রয় নেওয়া অবস্থায় ইসরায়েলি দখলদাররা হাসপাতালে হামলা করেছে। চিকিৎসাকর্মীরা এখন মরদেহ খুঁজে বের করছেন।
তিনি আরও বলেছেন, আমরা এখন সংকটাপন্ন অবস্থায় আছি। এই মুহূর্তে হত্যাযজ্ঞ চলছে।
বার্তা সংস্থার এপির ছবিতে দেখা গেছে, হামলার পর হাসপাতালে আগুন, ছিন্নভিন্ন কাঁচ এবং মানুষের দেহের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, হাসপাতালে হামলার বিষয়ে তাদের কাছে তথ্য নেই। তথ্য পেলে জানানো হবে।
এপি জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ৫০০ হলে ২০০৮ সালের পর গাজায় এটিই হবে ইসরায়েলের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও কয়েক শ’ হতাহত রয়েছেন।
গাজার শাসক গোষ্ঠী হামাস এই হামলাকে একটি ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হাসপাতালে ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলার পর তিন দিনের শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।