হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির
চুক্তির অংশ হিসেবে সপ্তম দফায় এই ৩০ ফিলিস্তিনিকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সর্বশেষ
মুক্তপ্রাপ্তদের বেশিরভাগই নাবালক। অন্যদিকে হামাস গাজা থেকে আরও ৮ জিম্মিকে মুক্তি
দিয়েছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি
এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে
৩০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্ত করা হয়েছে বলে ইসরাইলি কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে চূড়ান্ত পর্যায়ে ওই ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি
দেওয়া হয়।
এএফপি বলছে, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস তাদের
হাতে আটক ৮ ইসরাইলি বন্দিকে মুক্ত করার কয়েক ঘণ্টা পর এসব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত এই ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দির মধ্যে ২৩ জন নাবালক ও সাতজন নারী।
এর আগে গাজা উপত্যকায় দেড় মাসের বেশি সময়
ধরে বন্দি থাকা ইসরাইলি দুই নারীকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ওই দুই নারীর পরিচয়
প্রকাশ করেছে।
তারা হলেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে
কনসার্ট থেকে অপহৃত ২১ বছর বয়সী মিয়া চেম এবং ৪০ বছর বয়সী অমিত সোসানা। মিয়া চেমের
ইসরাইলের পাশাপাশি ফরাসি নাগরিকত্বও রয়েছে।
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এর পর আরও ছয়জনকে
বন্দিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করে বলে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। হামাসের
হাত থেকে মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৯ থেকে ৪১ বছর বয়সী চারজন নারী রয়েছেন, যার মধ্যে
একজন মেক্সিকান-ইসরাইলি দ্বৈত নাগরিক বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, হামাসের সাথে ইসরাইলের মাঝে
প্রথম দফায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হয় গত ২৪ নভেম্বর। পরে চুক্তির
শেষ দিনে তা আরও দুদিনের জন্য বৃদ্ধি করা হয়। এরপর আরও একদফায় এই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো
হয়। আজ শুক্রবার এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
ইসরাইল আগেই হুমকি দিয়ে রেখেছে, যুদ্ধবিরতি
শেষ হওয়া মাত্রই আবারও গাজায় হামলা চালানো শুরু করা হবে।