গাজার সবচেয়ে
জনবহুল এলাকা গাজা সিটির ভেতর প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া, পশ্চিম তীরসহ বিভিন্ন
এলাকায় হামলা চালাচ্ছে তারা। জাতিসংঘ বলছে, গাজার কোথাও নিরাপদ আশ্রয় নেই। অবরুদ্ধ
গাজায় স্বাধীনতাকামী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। গাজায় এ পর্যন্ত
১০ হাজার ৩শ’ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৪ হাজারেরও বেশি।
একের পর এক
বোমা হামলায় বিধ্বস্ত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। বাদ যাচ্ছে না পশ্চিম তীরের বেসামরিক এলাকাগুলোও।
গেল রাতে গাজা
উপত্যকার দেইর এল-বালাহতের তিনটি আবাসিক ভবনে রকেট হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে প্রাণ
হারিয়েছেন বহু মানুষ। ধ্বংসস্তূপে আটকে আছেন নারী ও শিশুসহ অনেকেই।
অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারী দলগুলো লাশগুলো ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করার চেষ্টা করছে। রাতভর তল্লাশীর নামে আটক করা হয়েছে পশ্চিম তীরের বহু বেসামরিক বাসিন্দাকে।
আরও পড়ুন>> গাজায় প্রতিদিন নিহত হচ্ছে ১৬০ শিশু: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
এছাড়া খান ইউনিস,
রাফাহ এবং দেইর আল বালাহ শহরে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। রাফাহগামী একটি অ্যাম্বুলেন্সে
ইসরাইলি হামলার সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে,
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, গাজা শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রবেশ
করেছে ইসরায়েলের সেনারা। হামাসের প্রতিটি ঘাঁটি ধ্বংস করা হবে বলে জানান তিনি।
জাতিসংঘ বলছে,
গাজায় প্রতিদিন গড়ে ১শ’ ৬০ জন করে শিশু প্রাণ হারাচ্ছে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ইসরায়েল
ও হামাসের যুদ্ধে মৃত্যু ও দুর্ভোগের মাত্রা বোঝা কঠিন।
অপরদিকে, গাজার
ভেতরে প্রবেশের পর হামাস যোদ্ধাদের কঠোর প্রতিরোধের মুখে পড়েছে ইসরায়েলের সেনারা।