আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো নিয়ে ভোটের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসেছে। শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এ বৈঠক শুরু হয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস সংস্থাটির সনদের ৯৯ অনুচ্ছেদ আহ্বান করার অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নেওয়ার দুই দিন পরে এ বৈঠক হচ্ছে। বিগত কয়েক দশক ধরে জাতিসংঘের কোনো মহাসচিব এ ধরনের পদক্ষেপ নেননি।

৯৯ অনুচ্ছেদে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য হুমকি হতে পারে এমন যেকোনো বিষয়ে কাউন্সিলের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য মহাসচিবকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে। এই প্রস্তাবের পক্ষে কমপক্ষে নয়টি ভোট প্রয়োজন এবং পাস করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স বা ব্রিটেনের কোনও ভেটো লাগবে না।

বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের কূটনীতিকদের বৈঠকে ভাষণ দেবেন গুতেরেস। এর আগে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং বেশ কয়েক জন আরব মন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।


আরও খবর



পাবনায় এগারো বছরেও মেলেনি নৈশ প্রহরীর সন্ধান

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুবায়ের খান প্রিন্স, পাবনা

Image

পাবনা'য় নিজ বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণে করে নিয়ে যাওয়ার ১১ বছর পরেও সন্ধান মেলেনি নৈশ প্রহরী খবির প্রামাণিক (৪০)'র। রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘ এগারো বছরে নেওয়া হয়নি কোন মামলা। এমনকি ভুক্তভোগীর পরিবার কে বিভিন্ন ভাবে করা হয়েছে অসহনীয় নির্যাতন, দেওয়া হয়েছে হত্যার হুমকি।

ঘটনাগুলো ঘটেছে আতংকের জনপদ খ্যাত পাবনার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের চর-বলরামপুর এলাকায়। দীর্ঘ এগারো বছর পরে আশার আলো দেখতে পেয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। অপহরণ হওয়া খবির প্রামাণিককে ফিরে পেতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পরিবারের সদস্যরা।

অপহরণের শিকার খবির প্রামাণিকের পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি চর-বলরামপুর গ্রামস্থ নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ হন পাবনা জেলার সদর উপজেলাধীন ভাঁড়ারা ইউনিয়নের অন্তর্গত  চর-বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী খবির প্রামাণিক।

অপহরণের শিকার খবির প্রামাণিকের স্ত্রী চাম্পা খাতুন (৩৫) বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে মনছের প্রামাণিকের ছেলে রিপন (৩২) ও উম্বার প্রামাণিকের ছেলে ইকবাল (৩০) আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আমার স্বামী আর ফিরে আসে নি। ওরা আমার স্বামীকে খুন করেছে নাকি গুম করেছে তা জানি না। ঐদিনের পর আমার স্বামী ফেরত না আসলে ওদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে আমাদের মারধর করে ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। বিগত সরকারের আমলে আমরা কথা বলতে পারি নি। এখন যেহেতু দেশ স্বাধীন হয়েছে, স্বাধীন দেশে  আমরা আমার স্বামীকে ফেরত চাই, আর যদি আমার স্বামীকে ওরা মেরে ফেলে তাহলে আমি ওদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই।

অপহরণের কারণ সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীদের ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান চর- বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী পদের নিয়োগ নিয়ে একই গ্রামের মৃত বাছের মালিথার ছেলে মোহাম্মদ (৫০)'র সাথে ঝামেলা ছাড়াও ইবাদুল ও মাবুদ হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি করায় আমার স্বামী কে অপহরন করা হয়।

পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য খবির প্রামাণিককে রিপন ও ইকবাল বাড়ি থেকে নিয়ে গেলেও এই অপহরণ ও গুমের সাথে মৃত রজব আলীর ছেলে আহসান (৪০), মৃত বাছের মালিথার ছেলে মোহম্মদ (৫০),মৃত সুরুজ মন্ডলের ছেলে আজাহার মন্ডল (৬০), মৃত রিকাত প্রামাণিকের ছেলে সাইফুল ইসলাম সাকু (৪৮), নাদের প্রামাণিকের ছেলে কুদ্দুস (৪৫), নাদের প্রামাণিকের ছেলে শফিকুর (৩৬), ময়ছের প্রামাণিকের ছেলে শাহিন (৩৭),মৃত কাশেম প্রামাণিকের ছেলে নাহের প্রামাণিক (৪৫), মৃত বাছের মালিথার ছেলে মোতাহের মালিথা, আক্কাস মালিথার ছেলে শামছুর (৩৬), রজব খাঁ'র ছেলে রানু খান (৪৫), লুকাই খাঁ'র ছেলে বক্কার (৫৫), আকবার প্রামাণিকের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৪৫) ও মৃত কফিলউদ্দিন খন্দকারের ছেলে আতাউর রহমান (৫৫) সরাসরি জড়িত। অনতিবিলম্বে এই সকল অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি অপহরণ ও গুমের রহস্য উদঘাটন করে খবির প্রামাণিককে পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান তারা।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর



ভোর থেকে ঢাকায় মুষলধারে বৃষ্টি, মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে অঝর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে। এরপর নগরীর একাধিক জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। দুর্ভোগ বেড়েছে শ্রমিক, দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরও।

সকাল ৭টার দিকে গ্রিন রোডে সিএনজিচালিত কয়েকটি অটোরিকশা পানিতে আটকে থাকতে দেখা যায়। কারওয়ান বাজারে রিকশার আসন পর্যন্ত পানি উঠতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া মহাখালী, সাতরাস্তা, আদাবর, নূরজাহান রোড, ধানমন্ডি, কলাবাগানের বশিরউদ্দিন রোড, কাঁঠালবাগান, শেওড়াপাড়া, মালিবাগ, পশ্চিম তেজতুরী বাজার, বংশাল, বকশীবাজার, সাতরাস্তা, তেজগাঁও, তেজকুনিপাড়া, মিরপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডি, গুলশান, বারিধারা, বিমানবন্দরসহ আশপাশের এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। এ সময় থেমে থেমে বজ্রপাতও হয়েছে।

কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউতে মূল সড়কের একাংশ পানিতে ডুবে থাকতে দেখা গেছে। ফলে গাড়িগুলোকে রাস্তার একপাশ দিয়ে চলতে দেখা গেছে। এতে যানজট হয়েছে।

এর আগে আবহাওয়া পূর্বাভাসে মঙ্গলবার সারাদেশে বৃষ্টির কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এদিকে সবশেষ ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ উড়িষ্যা এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে ছত্তিশগড় এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, স্থল নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল, উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



পরিবর্তনের সুফল যাতে জনগণ পায় সেজন্য একসাথে কাজ করতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আশরাফুল আলম সজিব, ভোলা

Image

দেশব্যাপী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপকূলীয় অঞ্চলের তৃণমূল পর্যায়ে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। তাদের কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান।

ভোলা জেলার সার্বিক নিরাপত্তা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর সুরক্ষা এবং যৌথ বাহিনীর কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন তিনি।

পরিদর্শন শেষে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ভোলা সার্কিট হাউজে নৌ কন্টিনজেন্ট, স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মতবিনিময় করেন। 

মতবিনিময় শেষে এক প্রেস ব্রিফিং কালে তিনি বলেন, আমাদের ছাত্র জনতার সফল আন্দোলনে দেশে যে পরিবর্তন এসেছে এ পরিবর্তনের সুফল যাতে এদেশের জনগণ পায় তাই সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। ভোলায় ১৫০ কিলোমিটার এলাকার জলপথ রয়েছে। এ জলপথ পাহারা দেয়ার জন্য আগে থেকেই পুলিশ ও কোস্ট গার্ড মোতায়েন ছিল। বর্তমানে নৌ বাহিনী এখানে কাজ করছে। জনগণের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। বিশেষ করে সাগর মোহনায় বাংলাদেশের জল সীমানায় কোনো বহিরাগত জেলেরা যেনো আমাদের মৎস্য সম্পদ নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য টহল জোরদার করা হবে যাতে কোনো ধরনের চাঁদাবাজী ও সহিংসতা না হয় সেজন্য নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড সর্বদা নিয়োজিত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, দেড় মাস যাবত আমাদের নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কার্যক্রম দেখার জন্যই আজ এখানে এসেছি। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ করে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী সব সময় জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রশাসনকে আমরা সহায়তা করছি। ভোলা এরিয়ায় যে কমান্ডার আছে তিনি জেলা প্রশাসনের সাথে বসে সমস্যার সমাধানের জন্য একসাথে কাজ করবে। তবে এখানে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষ করে জনগণের কিছু দাবি রয়েছে। এখানে প্রচুর গ্যাস রয়েছে, স্থানীয় এলাকাবাসী যাতে এই গ্যাস পায় সেজন্য তাদের দাবীগুলো আমি সরকারের কাছে উপস্থাপন করবো।

সরকার পতনের পর ভোলার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে নৈবাহিনী প্রধান বলেন, ৫ আগস্টের পর এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আমরা জানতে পেরেছি ভোলায় ৯৭ টি বৌধ আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ঢাকা দুইটিসহ মোট ৮৬টি অস্ত্র জমা পড়েছে। বাকি ১১ টি লাইসেন্স এর বিপরীতে কোন আগ্নেয়াস্ত্র কেনা হয়নি বলে জানা গেছে। উপকূলের চরাঞ্চলে যেসব অবৈধ অস্ত্র রয়েছে তা গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে এসব অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসনের সহায়তায় যৌথ বাহিনী কাজ করবে।

এ সময় নৌবাহিনী প্রধান, সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে বিরাজমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করে একটি জনবান্ধব ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আরও খবর



মাঙ্কিপক্স আতঙ্ক: কঙ্গোতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (ডি আর) কঙ্গোতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ৫৭০ জন ছাড়িয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্যামুয়েল রজার কাম্বা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার (১৯ আগস্ট) রাজধানী কিনশাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৭০০ জন এবং এ রোগে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৭০ জন ছাড়িয়েছে। এই রোগের বিস্তার ঠেকাতে পুরো আফ্রিকা মহাদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা প্রয়োজন। অন্যান্য দেশের সরকারের সঙ্গে এ ইস্যুতে আমাদের আলোচনা চলছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডি আর কঙ্গোতে শুরু হয়েছে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব। দেশটির মোট প্রদেশের সংখ্যা ২৬টি, জনসংখ্যা ১০ কোটি। এই ২৬ প্রদেশের মধ্যে দক্ষিণ কিভু, উত্তর কিভু, শোপো, একুয়াটিউর, উত্তর উবাঙ্গি, শুয়াপা, মঙ্গালা এবং সানকুরু প্রদেশে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি।

ইতোমধ্যে ডি আর কঙ্গোর প্রতিবেশী দেশ বুরুন্ডি, কেনিয়া, রুয়ান্ডা এবং উগান্ডাতেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে জুলাই মাসে। রোগটির সংক্রমণ ঠেকাতে গত বুধবার জরুরি অবস্থা জারি করেছে জাতিসংঘের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।


আরও খবর



বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও তার ছেলে বিচার দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার বড় ভাই আব্দুল হালিম মৃধাসহ ৬ জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনায় জড়িত আমতলী উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকির ও তার ছেলে রাতাত ফকিরের বিচার দাবীতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ছুরিকাটা নামক স্থানে এলাকাবাসী এ মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধন শেষে সড়কে ঝাড় মিছিল করা হয়। ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনে সহস্রাধীক মানুষ অংশ নেয়।

জানাগেছে, আমতলী সদর ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা গ্রামে পাওয়ার গ্রীডের উপ-কেন্দ্রের শ্রমিক সরবরাহকে কেন্দ্র করে গত বুধবার বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন বিকেলে উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকিরের ছেলে রাহাত ফকির শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার বড় ভাই আবুল হালিম মৃধাসহ তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় আব্দুল হালিম মৃধা কবির খাঁন, মিজানুর রহমান তালুকদার, আবুল কালাম আজাদ, মুছা মিয়া, মিলন ও  ইউসুফ সরদারকে  কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তারা বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার তুহিন মৃধা বাদী হয়ে আমতলী থানায় জালাল উদ্দিন ফকিরকে প্রধান ও তার ছেলে রাহাত ফকিরসহ ২৬ জনকে আসামী করে হত্যা  চেষ্টা ও লুটপাটের অভিযোগ এনে আমতলী থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনার বিচার পেয়ে এলাকাবাসী শনিবার বিকেলে আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ছুটিকাটা নামক স্থানে মানববন্ধন করেছে। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে সহস্রারাধীক মানুষ অংশ নেয়। এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মোঃ ফোরকান মোল্লা। বক্তব্য রাখেন হাফসা, শিউলী বেগম,  পাশা মোল্লা, আবু সালেহ, সোহাগ, হাসান ও খোকন খাঁন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,  গত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পরে আমতলী উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকির ও তার ছেলে রাহাত ফকিরসহ  শতাধিক নেতাকর্মী আমতলী উপজেলায় ব্যাপক তান্ডব চালায়। পৌরসভা অফিস ও বাড়ী-ঘর ভাংচুর, জমি দখল, দোকান লুট, ট্যাম্পু স্ট্যান্ড দখল, চাঁদাবাজি ও অগ্নি সংযোগসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরেন। তাদের এ কর্মকান্ড উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা ও যুবদল সিনিয়ন সদস্য সামসুল হক চৌকিদার ও উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান রাকিব প্রতিবাদ করেন। এতে জালাল উদ্দিন ফকিরের অনৈতিক কর্মকান্ডে বাধাগ্রস্থ হয়।  পরে সে ক্ষুব্ধ হয়ে তুহিন মৃধার বড় ভাই আব্দুল হালিম মৃধার উপরে তার ছেলে রাহাত ফকির ও তার বাহিনী হামলা চালায়। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত জালাল উদ্দিন ফকির ও তার ছেলে রাহাতের বিচার দাবী করছি। 

আমতলী উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকির বলেন, আমার ও আমার ছেলের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমার নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: আমতলী

আরও খবর