ফিলিস্তিনের
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় প্রতিদিন গড়ে ১০ জনের বেশি শিশু তাদের এক বা
দুটি পা হারিয়ে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। এমনকি হামলায় জখম এসব শিশুদের অনেক ক্ষেত্রে ব্যথানাশক
অ্যানেস্থেশিয়া ছাড়াই অঙ্গছেদ করতে হচ্ছে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে এমন
ভয়াবহ তথ্য সামনে নিয়ে এসেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিশুবিষয়ক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।
খবর সিএনএনের।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক জেসন লি বলেছেন, এই সংঘাতে শিশুদের দুর্ভোগ অকল্পনীয়। এমনকি এর চেয়েও বেশি। কারণ এই সংঘাতের কোনো প্রয়োজন নেই। এটা পুরোপুরি এড়ানো যেত।
তিনি বলেন, শিশুদের হত্যা ও পঙ্গুত্ব তাদের অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন, যা নিন্দার যোগ্য। এসব অপরাধীকে অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
গত ১৯ ডিসেম্বর
গাজা থেকে ফিরে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেছিলেন,
৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় এক হাজার শিশু তাদের এক বা দুটি
পা হারিয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিবৃতির বরাত দিয়ে সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, গাজায় চিকিৎসা
সরঞ্জাম ও নিত্যপণ্যের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ কারণে ইসরায়েলি হামলায় আহত শিশুদের
অনেকের অপারেশন অ্যানেসথেসিয়া ছাড়াই করা হয়েছে।
জেসন লি বলেন, বোমা হামলায় জখম শিশুদের নিয়ে আসলে চিকিৎসক ও নার্সদের সম্পূর্ণ ভেঙে পড়তে দেখেছেন তিনি। শিশুদের ব্যথায় কাতরাতে দেখেও তাদের চিকিত্সা দেওয়ার মতো সরঞ্জাম, ওষুধের অভাব খুব বেশি (কষ্টদায়ক)। এমনকি অভিজ্ঞ চিকিৎসকরাও তা সহ্য করতে পারেননি।
হামাসের হামলার
জবাবে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায়
এরই মধ্যে প্রায় ২৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু ও নারী।
আহত হয়েছেন আরও ৫৮ হাজার ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় নিখোঁজ হয়েছেন আরও কয়েক
হাজার মানুষ।