আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

গাজীপুরে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অটোরিকশার সঙ্গে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোচালকসহ তিনযাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত দুই যাত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শনিবার (৩০ জুলাই) রাত পৌনে ১১টার দিকে কালিয়াকৈরের টিএনটি বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, অটোচালক সিদ্দিকুর রহমান ও যাত্রী মেহেদি হাসান ও আতিকুল ইসলাম। কালিয়াকৈর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ড থেকে ইতিহাস পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি চন্দ্রার দিকে যাচ্ছিল। বিপরীত দিক থেকে অটোরিকশাচালক চারজন যাত্রী নিয়ে কালিয়াকৈরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে টিএনটি বটতলা এলাকায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশাচালক সিদ্দিকুর রহমান ও যাত্রী মেহেদি হাসান মারা যায়। গুরুতর আহত অটোরিকশার তিন যাত্রীকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আতিকুল ইসলাম নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়। আহত অপর দুই অটোরিকশার যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


আরও খবর



ফোর্বসের শতকোটিপতির তালিকা প্রকাশ, শীর্ষে বার্নার্ড আর্নল্ট

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চলতি বছরটি বিশ্বের বিলিয়নিয়ারদের দারুণ কাটছে। ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ২০২৪ সালের ধনীদের নতুন তালিকা থেকে জানা গেছে, গত এক বছরে তাদের সম্পদমূল্য বেড়েছে দুই লাখ কোটি ডলার।

ফোর্বসের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় এই বছরে সবার ওপরে বার্নার্ড আর্নল্ট ও তার পরিবার। গত জানুয়ারিতেই ইলন মাস্ককে হটিয়ে বার্নার্ড আর্নল্ট বিশ্বের শীর্ষ ধনীর আসন লাভ করেন। তার সম্পদমূল্য ২২ হাজার ২৪০ কোটি ডলার। শীর্ষ ১০ ধনীর মধ্যে প্রথম স্থানে থাকা বার্নার্ড আর্নল্ট পরিবার ছাড়া বাকি সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। আর্নল্ট পরিবার ফরাসি।

ফোর্বসের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন অ্যামাজনের সহপ্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, তার সম্পদমূল্য ১৯ হাজার ৮৭০ কোটি ডলার। তৃতীয় স্থানে আছেন টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। তার সম্পদমূল্য ১৯ হাজার ২০ কোটি ডলার। সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ আছেন তালিকার চতুর্থ স্থানে। তার সম্পদের পরিমাণ ১৭ হাজার ৪৪০ কোটি ডলার। আর তালিকার পঞ্চম স্থানে আছেন বিশ্বের অন্যতম ধনী ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন। তার সম্পদমূল্য ১৫ হাজার ৩৪০ কোটি ডলার।

ফোর্বসের ধনীদের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে আছেন ওরাকল অব ওমাহা ও বিনিয়োগ গুরু হিসেবে খ্যাত ওয়ারেন বাফেট। তার মোট সম্পদমূল্য ১৩ হাজার ৭৭০ কোটি ডলার। সপ্তম স্থানে রয়েছেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তার সম্পদমূল্য ১৩ হাজার ৭০ কোটি ডলার। অষ্টম স্থানে আছেন অ্যালফাবেটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ। তার সম্পদমূল্য ১২ হাজার ৮৮০ কোটি ডলার।

ফোর্বসের তথ্যমতে, নবম স্থানে যৌথভাবে দুইজন শীষ ধনী রয়েছেন। ১২ হাজার ৪৭০ কোটি ডলারের সম্পদ নিয়ে নবম স্থানে আছেন লস অ্যাঞ্জেলেস ক্লিপার্সের স্বত্বাধিকারী স্টিভ বালমার এবং অ্যালফাবেটের আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা সার্জেই ব্রিন আছেন নবম স্থানে। তার সম্পদমূল্য ১২ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার।

তালিকায় ১১তম স্থানে আছেন ভারত ও এশিয়ার শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি। তার সম্পদমূল্য ১১ হাজার ৬২০ কোটি ডলার। আরেক ভারতীয় শীর্ষ ধনী ও একসময় এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির সম্পদমূল্য ৮ হাজার ৪৭০ কোটি ডলার। তার অবস্থান ১৭তম।

এদিকে ধনীদের তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি শতকোটিপতি আছেন চীনে। দেশটির ধনীদের মধ্যে শতকোটিপতির সংখ্যা ৪৭৩ জন। তবে সামগ্রিকভাবে চীনা ধনীদের সম্পদমূল্য কমেছে ৩০ হাজার কোটি ডলার।

২০০ বিলিয়নিয়ার বা শতকোটিপতি নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে ভারত, দেশটির ধনীদের জন্য এটি নতুন রেকর্ড। অর্থাৎ এর আগে আর কখনো এতসংখ্যক ভারতীয় শতকোটিপতি ছিলেন না।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




সংসদ এলাকায় ড্রোন: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সাবেক এমপিপুত্র

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংসদ ভবন, পুরাতন বিমানবন্দর, চন্দ্রিমা উদ্যান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবন এবং বঙ্গভবন ইত্যাদি রাজধানীর ভিভিআইপি ও স্পর্শকাতর এলাকা। এসব এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে গত ১৫ এপ্রিল সেই আইন ভেঙে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সড়কে আঁকা আল্পনার ছবি ও ভিডিও করতে ওই এলাকায় ড্রোন উড়ান সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এইচএম গোলাম রেজার ছেলে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ। সেই অপরাধে তাকে আটকও করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। পরে অবশ্য মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান এই এমপিপুত্র।

এ প্রসঙ্গে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আঁকা আল্পনার একটি ভিডিওগ্রাফি ও ছবি তোলার জন্য তিনি পূর্ব অনুমতি ছাড়া তার ব্যক্তিগত ড্রোন ব্যবহার করেন। এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। এলাকাটি রেস্ট্রিক্টেড এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সচেতন থাকা উচিত ছিল জানিয়ে নিজের ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। আইনের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থাকবেন জানিয়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে আর কখনো করবেন বলেও অঙ্গীকার করেন মায়াজ।

নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আছে। বিশেষ করে রেড জোনে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ। আইন অনুযায়ী, দেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও লেজার রশ্মি ব্যবহারে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এজন্য একটি নির্দিষ্ট সময় আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে দেওয়া ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি নিতে হবে।

সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) অনুমতি ছাড়া ড্রোন না ওড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশ সীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (ইউএভি/আরপিএএস), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস ইত্যাদি উড্ডয়ন করছেন। জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

রেড জোনে ড্রোন উড়ানোর বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেঁজগাও ডিভিশনের মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি রওশানুল হক সৈকত বলেন, নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর সব দেশেই স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে কঠোর বিধি-নিষেধ আছে। আমাদের দেশেও স্পর্শকাতর এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষেধ। এটা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য জরুরি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী ড্রোন অপারেশন জোন রয়েছে, যেখানে রেড জোনে ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ। বিমানবন্দর বা বিশেষ কেপিআই রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া রেড জোনে ড্রোন উড়ানো যাবে না; এ বিষয়ে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। যেকোনো দেশের রাষ্ট্রের নিরাপত্তার সঙ্গে কেপিআইয়ের নিরাপত্তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




সাড়ে তিন বছর পর দলে ফিরে যা বললেন আমির

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

প্রায় এক বছর আগে থেকেই তারকা পেসার মোহাম্মদ আমিরের পাকিস্তান দলে ফেরার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তবে নানান কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি। সব বাধা টপকে আবারও অবসর ভেঙে ফেরার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে পাকিস্তানের ট্রেনিং ক্যাম্পেও ডাক পড়ে তারকা এই পেসারের। আমিরকে দলে ফেরাতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বৈঠকে বসেন। এতে তার জাতীয় দলে ফেরা অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল। এরপরই অবসর ভেঙে দলে ফেরার ঘোষণা দেন আমির। এর আগে, একই প্রক্রিয়ায় ইমাদ ওয়াসিমকে দলে ফিরিয়েছে পিসিবি।

শেষমেশ এই দুই তারকা ক্রিকেটারকে নিয়েই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৭ জনের দল ঘোষণা করেছে পিসিবি।

আমির ও ইমাদকে ফেরানোর বিষয়ে নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজের ভাষ্য, ইমাদ ও আমিরকে দলে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজই ছিল। তারা খেলার জন্য প্রস্তুত আর হারিস রউফের চোট এবং মোহাম্মদ নেওয়াজের বর্তমান ফর্মও ছিল বিবেচনায়। আমির ও ইমাদ যে ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়, সেটা অস্বীকারের সুযোগ নেই। আমরা বিশ্বাস করি, দলের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য পূরণে তারা বলিষ্ঠ পারফরম্যান্স করবেন।

এর আগে, ২০২০ সালে তৎকালীন প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হক ও বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। জাতীয় দলের খেলা বাদ দিলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলছেন আমির। সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল) খেলেছেন তিনি। দ্য গ্রিন ম্যানদের হয়ে সব মিলিয়ে ১৪৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন আমির।

দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) জাতীয় দলে জার্সি পরিহিত একটি ছবি শেয়ার করেছেন আমির।

ছবির ক্যাপশনে তার ভাষ্য, বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। এর বাংলা অর্থ-পরম করুণাময় অতিশয় দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নতুন শুরুর ইঙ্গিতই দিয়েছেন তারকা এই পেসার।

২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৬ সালে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন এই পাকিস্তানি পেসার। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ভারতকে হারানোর অন্যতম নায়ক ছিলেন আমির।

উল্লেখ্য, আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে। একই ভেন্যুতে ২০ ও ২১ এপ্রিল হবে পরের দুটি ম্যাচ। এ ছাড়া ২৫ ও ২৭ এপ্রিল শেষ দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে লাহোরে।

পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড : বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), সাইম আইয়ুব, উসমান খান, ইফতেখার আহমেদ, আজম খান (উইকেটরক্ষক), ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আমির, আব্বাস আফ্রিদি, আবরার আহমেদ, ফখর জামান , ইরফান খান নিয়াজী, উসামা মীর ও জামান খান।

রিজার্ভ : হাসিবুল্লাহ, মোহাম্মদ আলী, আগা সালমান, সাহেবজাদা ফারহান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।

 


আরও খবর



পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় চিত্র নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে এ আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। শুনানি শেষে আদালত আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এ তথ্য জানান।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন নাসির উদ্দিন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।

পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন।

এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।


আরও খবর
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




মুম্বাইয়ে নয় জনের সঙ্গে একঘরে রাত কাটিয়েছেন নোরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিগ বস-এ তার উপস্থিতির মাধ্যমে রাতারাতি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন নোরা ফাতেহি। এরপর একের পর এক ছবি, মিউজিক ভিডিওর হাত ধরে এখন বিশ্বব্যাপী এক ঘরোয়া নাম হয়ে উঠেছেন তিনি। সম্প্রতি মাডগাঁও এক্সপ্রেস ছবিতে তার অভিনীত চরিত্রের জন্য সকলের মন জয় করেছেন নোরা। কিন্তু, একটা সময় বলিউডে পা রেখেই নোরা বুঝেছিলেন সফরটা এতোটা সহজ নয়। সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে, নোরা তার স্বপ্নের শহর মুম্বাইতে এসে কঠিন সময়ের অভিজ্ঞতা গুলো শেয়ার করেছেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মরোক্কান নৃত্যশিল্পী নোরা ফাতেহিকে মুম্বাই শহরে এসে ভয়ানক পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে। সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, প্রথম যখন এখানে এসেছিলেন নয় জনের সঙ্গে একটি ঘর শেয়ার করে থাকতেন। নোরা এই রুমমেটদের সাইকোপ্যাথ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, আমি তিন বিএইচকে অ্যাপার্টমেন্টে নয়জন সাইকোপ্যাথের সাথে থাকতাম যেখানে আমি অন্য দুই মেয়ের সাথে ঘরটি ভাগ করে নিতাম। সেখানে থাকাকালীন আমি ভাবতাম, আমি কীসের মধ্যে পড়েছি? আমি এখনও সেই ট্রমার মধ্যে আছি।

সাক্ষাৎকারে নোরা বলেন, হিন্দি শিখতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু অডিশনের সময় ভয়ানক অবস্থা হতো আমার। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতাম না। নিজেকে খুব বোকা বলে মনে হত। কিন্তু কিছু মানুষ তো ক্ষমা করেন না। সামনাসামনি হাসাহাসি করতেন তারা। বলতেন, আমি সার্কাস থেকে এসেছি। খুব অসম্মানজনক বলে মনে হয়েছে আমার। বাড়ি ফেরার সময় কাঁদতাম।

এছাড়া নোরা এজেন্সিগুলির হাত ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে এসে যে শোষণের সম্মুখীন হয়, তাও তুলে ধরেছিলেন। তাকে সামান্য বেতন দিত সেই এজেন্সি। সেই সময়ে ডিম-পাউরুটি খেয়ে বেঁচে ছিলেন বলে জানান নোরা।

বিগ বস ৯ সিজনে অংশগ্রহণ করেছিলেন নোরা। সে সময় প্রিন্স নারুলার সঙ্গে তার রোম্যান্টিক লিঙ্ক আপ আলোচিত হয়েছিল। বিগ বসের বাড়িতে তাদের প্রেম শিরোনাম তৈরি করতো।

বিগ বসের পর তাকে দেখা যায় ব্লকবাস্টার বাহুবলী ছবির একটি নাচের দৃশ্যে। ক্যারিয়ার শুরু হয় সেই থেকে। ঠিক মতো হিন্দি বলতে পারতেন না অভিনেত্রী। অনেক হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন নোরা। ধীরে ধীরে বলিউডের অন্দরমহলে নিজের জায়গা করেছেন তিনি।


আরও খবর