বিএনপি চেয়ারপার্সন
বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হবে। বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায়
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
দীর্ঘ পাঁচ
মাস হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি বাসায় ফেরেন বেগম খালেদা জিয়া।
এক মাস পর চিকিৎসকদের পরামর্শে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে
যান বিএনপি চেয়ারপারসন।
হাসপাতালে তার
স্বাস্থ্যের বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা তাকে বাসায় ফেরার পরামর্শ দেন।
পরে রাত ১২টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছান তিনি।
৭৮ বছর বয়সি
খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভার সিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ
ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। এরইমধ্যে
কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম
করা হলে তার হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
দুর্নীতির দুই
মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বেগম খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। দুই বছরের
বেশি সময় কারাবন্দী থাকার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিতের
মাধ্যমে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পান তিনি।
দণ্ড স্থগিত
করে সপ্তমবার বর্ধিত মুক্তির মেয়াদ শেষ হয় গত ২৪ সেপ্টেম্বর। এর আগেই তার মুক্তি ও
উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
কাছে আবেদন করা হয়।
এর প্রেক্ষিতে
অষ্টমবারের মতো বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ
আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়। মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ
থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শর্ত দুটি হলো: খালেদা জিয়া আগের মতোই ঢাকার নিজ বাসায়
থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।