আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

গাজীপুরে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের ছড়াছড়ি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের ধুম পড়েছে। তিতাস গ্যাস কোম্পানীর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশে এক শ্রেণির ঠিকাদার ও দালালদের সহযোগিতায় অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে ওই অবৈধ গ্যাস। এতে সরকারি মূল্যবান সম্পদ গ্যাস অপচয়সহ সরকার হারাচ্ছেন কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

বিভিন্ন মাধ্যম ও সূত্র মতে জানা গেছে, সরকার আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ করার পর থেকে বাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকরা সুযোগ বুঝে অপকায়দায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ গ্রহণ করছেন। গাজীপুরে ১০ হাজারের অধিক আবাসিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। গাজীপুর মহানগরের বড়বাড়ি, তারগাছ, টঙ্গীর সাতাইশ গাজীপুরার হিন্দু বাড়ির মোড়, কাশিমপুর, কোনাবাড়ি, মৌচাক, পল্লী বিদ্যুৎ, বেলতলা, সাত্তার গেটসহ বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের বড় বড় সিন্ডিকেটের তথ্য পাওয়া  গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়- বোর্ড বাজারস্থ বড় বাড়িতে জনৈক হুমায়ুন কবির তার দোতলা বিশিষ্ট বাড়িতে চলছে অবৈধ গ্যাস। কিভাবে চালানো হচ্ছে- জানতে চাইলে বাড়ির কেয়ারটেকার সুলতান অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের কথা স্বীকার করে আজকের দর্পণকে বলেন, কাকে কি দিয়ে গ্যাস চালায় তা মালিক জানেন। আমি জানিনা। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বাড়ির মালিক হুমায়ুন কবির বলেন- জাকির নামের এক ঠিকাদারের মাধ্যমে মাসিক ৩ হাজার টাকা দিয়ে লাইন চালানো হচ্ছে।

তার পাশেই রয়েছে ৬তলা বিশিষ্ট বাড়ি। বাড়ির মালিক রেজা মহানগরের টঙ্গীর সাতাইশ গাজীপুরার হিন্দু বাড়ির মোড়। সেখানে পাশাপাশি তিনটি বহুতল ভবনে চলছে অবৈধ গ্যাসের ব্যবহার। একটি বাড়ির মালিকের নাম সৈকত। সেখানে গেলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। কথা বলেন তার স্ত্রী। অবৈধ গ্যাস ব্যবহার বিষয়ে তিনি বলেন- দোতলা পর্যন্ত আমাদের গ্যাস লাইন বৈধ। বাকি ৪ তলায় গ্যাস অফিসকে ম্যানেজ করেই লাইন চালানো হচ্ছে। কার মাধ্যমে চালানো হয়, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত তথ্য দিতে রাজি হননি। তার স্বামীকে ফোন করলেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

পার্শ্ববর্তী বাড়ির মালিক টঙ্গী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল র্লিখক। তাকেও বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে তাদের গ্যাস লাইন বৈধ বলে দাবি করলেও আশপাশের বাসিন্দারা জানান, তাদের পুরো গ্যাস লাইনই অবৈধ। তারা তাদের এক পুলিশ কর্মকর্তার আত্মীয় পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে গ্যাস ব্যবহার করেন। তাদের পার্শ্ববর্তী আরেক বাড়ি ওয়ালা সানাউল্লাহ। তিনি গ্যাস বিলের একটি বই দেখিয়ে বলেন- আমার কোন অবৈধ গ্যাস লাইন বা চুলা নেই। তবে প্রতিবেশীদের অভিযোগ- ওই ৩ বাড়ির কোন বাড়িতেই বৈধ গ্যাস লাইন নেই।

গাজীপুরার কাজী বাড়ি সড়কে রয়েছে আরেকটি ১০তলা বিশিষ্ট আলিসান বাড়ি। ওই বাড়ির নীচ তলায় রয়েছে নামমাত্র কয়েটি এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। কিন্তু পুরো বাড়িই চলছে তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে। বাড়ির কেয়ারটেকার মান্নান বিষয়টি স্বীকার করলেও মালিক পক্ষের কারো সাথে কথা বলা যায়নি।

এছাড়া গাজীপুর মহানগরের বাইরে কালিয়াকৈর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার বেলতলা সাত্তার গেট নামক স্থানে রয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। যেখানে বহুদিন যাবৎ তিতাসের অবৈধ লাইন সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাড়িগুলোর মধ্যে কুটি মোল্লার বাড়ি অন্যতম। তার সাথে কথা বললে- তিনি তার বাড়ি বাদে আশ-পাশের সকল বাড়িতে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ করেন।

মাঝেমধ্যে তিতাস কতৃপক্ষ লোকদেখানো অভিযান পরিচালনা করে কিছু সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও কদিন পরেই সেগুলো আবারো সচল হয়। এসব অবৈধ লাইন সম্পর্কে তিতাস ডিএমডি সাইদুল হাসান জেনেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

গাজীপুরের বৈধ গ্যাস ব্যবহারকারি গ্রাহকরা মনে করেন- অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারিদের কারণে তারা চাহিদা মতো গ্যাস পাচ্ছেন না। প্রায় সময়ই চাপ না থাকায় রান্নার কাজে ব্যবহার করতে হচ্ছে এলপি গ্যাস। এজন্য গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।

পক্ষান্তরে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের নিকট থেকে অবৈধ টাকা পয়সা নিয়ে তিতাসের এক শ্রেণির কর্মকর্তা ও কমচারীসহ ঠিকাদার ও দালালরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে। যে কারণে সরকারি সম্পদ গ্যাস শুধু অপচয়ই হচ্ছে না, সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিতাসের গাজীপুর আঞ্চলিক বিপনন বিভাগ এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) প্রকৌশলী কাজী সাইদুল হাসান অবৈধ গ্যাস সংযোগের সাথে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকতে পারেন স্বীকার করে আজকের দর্পণকে বলেন- আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর অবৈধ গ্যস সংযোগ বন্ধে আমরা নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

নিউজ ট্যাগ: গাজীপুর

আরও খবর



মস্কোয় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত বেড়ে ৯৩, আটক ১১

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর একটি কনসার্ট হলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) রুশ তদন্ত কমিটি এই জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

সাংবাদিক ইউলিয়া শাপোভালোভা আলজাজিরাকে বলেছেন, এই ঘটনায় আট শিশুসহ অন্তত ১৮৭ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে মস্কোর কাছে ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায় বলে জানা গেছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে ক্রোকাস সিটি হলে জনপ্রিয় রক ব্যান্ড পিকনিকের পারফরমেন্স দেখতে হাজারো মানুষ জড়ো হন। একপর্যায়ে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রধারী অন্তত পাঁচ ছদ্মবেশী বন্দুকধারী ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। গুলির পাশাপাশি তারা বিস্ফোরণ ঘটায়। ফলে সেখানে বড় ধরনের আগুনের সূত্রপাত হয়।

এ ঘটনাকে ভয়াবহ ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করে মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, ক্রোকাস সিটি সেন্টারে ভয়ানক ট্র্যাজেডি ঘটেছে। নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমার সমবেদনা। এ ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সকলকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

এদিকে হামলার পরপর রাশিয়ায় বিমানবন্দর ও স্টেশনের পাশাপাশি রাজধানী মস্কোজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখনো জনসমক্ষে এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এটি সন্ত্রাসী হামলা।

রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে জানিয়েছে, এই হামলার পর ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন সরাসরি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের বরাতে বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স এসব তথ্য জানিয়েছে।


আরও খবর



টিকটকার বিয়ে করে সর্বস্বান্ত জল্লাদ শাহজাহান

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কারাগার থেকে বের হওয়ার পর বার বার প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আলোচিত সেই জল্লাদ শাহজাহান। পাশাপাশি বিয়ে করে তিনি সর্বস্বান্ত হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন।

সোমবার (১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্ত্রী ও শাশুড়ির কাছে জল্লাদ শাহজাহানের প্রতারণার বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে টাইমস পিআর।

শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য উপাদান খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা- এগুলোর কোনোটাই আমি পাচ্ছি না। আমি আমার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। আমার মা-বাবা নেই, দায়িত্ব নেওয়ার মতো ভাই-বোন নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিত্তবানদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আমাকে থাকার ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিন। আমি চরম অর্থনৈতিক সংকটে আছি। আমার কাজ করার মতো ক্ষমতা নেই, আয়-রোজগার নেই, অর্থের জোগান নেই, নিজের থাকার জায়গা নেই।

তিনি বলেন, ৪৪ বছর কারাভোগ শেষে এখন এসে আমি বাইরের মানুষদের বুঝতে পারছি না। যেখানে যাচ্ছি, প্রতারণার শিকার হচ্ছি। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বিয়ে করে সেখানেও সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। বিয়ের কাবিন ৫ লাখ টাকা হলেও ১০ লাখ টাকা দেনমোহর লিখিত দিয়ে আমার স্ত্রী সাথী আক্তার ফাতেমা ৫৩ দিনের মাথা পালিয়ে যায়। পালিয়ে গিয়ে আমার নামে যৌতুকের মামলা দিল, আমি মামলা দিতে গেলে বউয়ের নামে মামলা হয় না কোনো। আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে।

শাহজাহান বলেন, পরে আইনজীবীর সহায়তায় গতকাল রবিবার আদালতে আমার স্ত্রী ও শাশুড়িসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এখানে যাদের আমি আসামি করেছি তারা এই কাবিনের স্বাক্ষী, তারা এই যৌতুকের টাকা নেওয়ার স্বাক্ষী, তারা এই ১০ লাখ টাকা নেওয়ার স্বাক্ষী, ওদের (স্ত্রীর) আত্মীয়রাই এখানে (আসামির তালিকায়)।

তিনি বলেন, ৪৪ বছর কারাভোগ শেষে বাইরে এসে প্রতারণার শিকার হচ্ছি। কারাগারে থাকতেই ভালো ছিলাম। কারাগারের বাইরের জীবন এত জটিল কেন? জীবন এত কঠিন হবে, জানলে কারাগারেই থেকে যেতাম। আমি কারাগার থেকে বের হলে আমার ভাগ্নে নজরুল অটোরিকশা কিনে দেবে বলে টাকা মেরে দেয়।

প্রতারণার শিকার হওয়ার আরেক উদাহরণ দিয়ে দেশের আলোচিত এ জল্লাদ বলেন, এরপর অনেক কষ্ট করে একটা চায়ের দোকান দেই, আমার সঙ্গে যে ছেলেটি ছিল দোকানে আমার সঙ্গে সময় দিত। সে চার মাস থাকার পরে দোকানে থাকা ৩০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়।

শাহজাহান বলেন, আমি এখন উভয়সংকটে জীবনযাপন করছি। একে তো আমার অচল অর্থনৈতিক অবস্থা, অন্যদিকে একজন নারী আমার জীবনের শেষ জমানো টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে এবং আমাকে যৌতুকের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। অথচ আমার থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়েছে, যার প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে ডাকাতি ও হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে যান শাহজাহান। ২০০১ সালের আগে ১৯৮৮ সাল থেকে সহকারী জল্লাদ হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। তখন তার বয়স ৩০ এর কিছু বেশি।

৪৪ বছর কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান শাহজাহান ভূঁইয়া। বর্তমানে তার হার্টের সমস্যা, রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে।


আরও খবর



ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ট্রি অব পিস পুরস্কার পেয়েছেন বলে যে তথ্য প্রচারিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ইসরায়েলি একজন ভাস্করের দেওয়া পুরস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচার চালিয়েছেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

গত ২১ মার্চ ইউনূস সেন্টারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আজারবাইজানের বাকুতে ১৪-১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত একাদশ বিশ্ব বাকু ফোরামের শেষ দিনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্য ট্রি অব পিস পুরস্কারে ভূষিত করে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

এদিকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।

রায়ে তাদের শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।


আরও খবর



দ্বিতীয় ধাপের ১৬৩ উপজেলায় ভোট ২১ মে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ১৬৩ পরিষদের নির্বাচন আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। সোমবার (০১ এপ্রিল) কমিশনের ৩০তম সভা শেষে ইসি সচিব গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচনের মতো দ্বিতীয় ধাপেও প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র অনলাইনে জমা দেবে। একইসঙ্গে প্রার্থীদের জামানত অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

তিনি বলেন, কমিশন উপজেলা পরিষদের চারটি ধাপে নির্বাচন করার পরিকল্পনা করেছে। সেখানে প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। আজকে দ্বিতীয় ধাপের তফসিল চূড়ান্ত হয়েছে।

সে অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল। মনোনয়ন পত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল। মনোনয়ন বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ২৯ এপ্রিল। প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। ভোটগ্রহণ ২১ মে।

তিনি আরও বলেন, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯টি জেলায় ইভিএম ব্যবহার করা হবে। বাকি জেলাগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়েছেন ৩ হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

মালয়েশিয়ায় গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেকেন্ড হোম গড়েছেন সাড়ে তিন হাজারের বেশি বাংলাদেশি। দেশটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সেকেন্ড হোম গড়ার তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশিরা।

মালয়েশিয়ার পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী দাতুক সেরি তিয়ং কিং সিং দেশটির মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএম২এইচ) কর্মসূচির আওতায় সেকেন্ড হোম গড়া বাংলাদেশিদের এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন। দেশটির সংসদে বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ার এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন তিনি।

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মালয় মেইলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ৩ হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি সেকেন্ড হোম গড়েছেন বলে জানিয়েছেন দাতুক সেরি তিয়ং কিং সিং।

সংসদে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে দাতুক সেরি তিয়ং বলেছেন, ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ৫৬ হাজার ৬৬ জন সক্রিয় ‌‌সেকেন্ড হোম’ পাসধারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে অংশগ্রহণকারী পাসধারীর পাশাপাশি নির্ভরশীল পাসধারীও রয়েছেন।

গত ১১ মার্চ দেশটির সংসদকে তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ায় সবার শীর্ষে আছেন চীনের নাগরিকরা। দেশটিতে চীনের ২৪ হাজার ৭৬৫ জন নাগরিকের মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম পাস রয়েছে। এরপরই এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া; দেশটির এই সংখ্যা ৯ হাজার ২৬৫ জন। দক্ষিণ কোরিয়ার ৪ হাজার ৯৪০ জন, জাপানের ৪ হাজার ৭৩৩ জন, বাংলাদেশের ৩ হাজার ৬০৪ জন ও যুক্তরাজ্যের ২ হাজার ২৩৪ জন।

মালয় মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ছাড়া এই কর্মসূচিতে তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও ভারতের এক হাজারের বেশি করে এমএম২এইচ পাসধারী আছেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে মালয়েশিয়ার সরকার সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে সংস্কার আনে। সেই সময় এই কর্মসূচিকে তিন স্তরে বিভক্ত করা হয়।

নতুন এই ব্যবস্থার আওতায় আবেদনকারীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। দেশটির সরকার তখন বলেছিল, প্রাথমিকভাবে আবেদনের পর এমএম২এইচ কর্মসূচিতে পরীক্ষামূলকভাবে এক বছর থাকতে হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য শর্তাবলি পর্যালোচনা করে কর্মসূচিতে সমন্বয় করা হবে। নতুন ব্যবস্থায় আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩০ বছর কিংবা তার বেশি নির্ধারণ করা হয়।

তিন স্তরবিশিষ্ট ব্যবস্থার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আবেদনকারীদের আর্থিক সক্ষমতার ভিত্তিতে বিভক্ত করা। এই তিন স্তর হলো— প্লাটিনাম, গোল্ড ও সিলভার। নতুন নিয়মে প্লাটিনাম স্তরের আওতায় আবেদনকারীদের ৫০ লাখ রিঙ্গিত, গোল্ড স্তরে ২০ লাখ ও সিলভার স্তরে ৫ লাখ রিঙ্গিত স্থায়ী আমানত থাকতে হবে বলে জানানো হয়। এ ছাড়া নির্বাচিত সব স্তরের অংশগ্রহণকারীদের বছরে মোট ৬০ দিন মালয়েশিয়ায় বসবাস করতে হবে।


আরও খবর