আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গাজীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও একজন। রবিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি থানার আমবাগ মিতালী ক্লাব এলাকার রবি টাওয়ারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলটি পথচারীর ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেলের এক আরোহী কলেজ ছাত্র সৈকত আহমেদ সৌরভ (১৮) ও পথচারী মোঃ শামসুজ্জামান শানু (৪৫) মারা যান। মোটরসাইকেল চালকও গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন-মোঃ আমির হোসেনের ছেলে সৌরভ ও আব্দুল হামিদ রেনু মোল্লার ছেলে শানু (৪৫)। আহত ইফতি (১৮) আনিছুর রহমানের ছেলে। এদের মধ্যে সৌরভ ও ইফতি’র বাড়ি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি থানাধীন আমবাগ মিতালী ক্লাব এলাকায়। তারা ক্যামব্রিজ স্কুল এন্ড কলেজের কোনাবাড়ি শাখার দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। ঝুট ব্যবসায়ী শানুর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার মাজিয়ারা এলাকায়।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানার এস আই সাখাওয়াত ইমতিয়াজ জানান, রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কোনাবাড়ি থানাধীন আমবাগ মিতালী ক্লাব সড়কের রবি টাওয়ারের সামনে সড়ক পার হচ্ছিলেন ব্যবসায়ী শামসুজ্জামান শানু। এসময় আমবাগ ঈদগাহ হতে মিতালী ক্লাবগামী একটি মোটর সাইকেল তাকে সজোরে ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু সৌরভ ও ইফতি ছিটকে পড়ে আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সৌরভ ও শানুকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অপর আহত ইফতিকে গুরুতর অবস্থায় সেখান থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।   


আরও খবর



ওয়াশিংটনে ট্রাম্পকে হারিয়ে নিকি হ্যালির প্রথম জয়

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে ধাক্কা খেলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটন ডিসিতে রিপাবলিকান প্রাইমারিতে নিকি হ্যালির কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে ট্রাম্পকে হারিয়ে এই প্রথমবারের মতো প্রাইমারিতে জয় তুলে নিয়েছেন নিকি হ্যালি। সোমবার (০৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন ডিসিতে রিপাবলিকান প্রাইমারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়েছেন নিকি হ্যালি। ২০২৪ সালের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার অভিযানে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এটিই হ্যালির প্রথম জয়।

নিকি হ্যালি অবশ্য তার নিজের অঙ্গরাজ্য সাউথ ক্যারোলিনায় ট্রাম্পের কাছে হেরেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী যিনি রিপাবলিকান প্রাইমারিতে জয়ী হলেন। এরপরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। আর এতে করে সম্ভবত চলতি বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখোমুখি হতে পারেন তিনি।

জাতিসংঘে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি ওয়াশিংটন ডিসির প্রাইমারিতে ৬২.৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। এর বিপরীতে ট্রাম্প পেয়েছেন ৩৩.২ শতাংশ ভোট।

ওয়াশিংটন ডিসিতে হারলেও ট্রাম্প মূলত আগেই বেশ কয়েকটি প্রাইমারিতে জয় পেয়েছেন। আর তার এই জয় আরও একটি বিষয় প্রায় নিশ্চিত করে দিয়েছে। তা হচ্ছে- আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের বিরুদ্ধে তিনিই রিপাবলিকান প্রার্থী হতে চলেছেন।

তবে আদালতে একাধিক মামলা চলছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ক্যাপিটলে দাঙ্গা বাঁধানোর অভিযোগও আছে। আদালত যদি কোনও কারণে ট্রাম্পের প্রার্থীপদ বাতিল করে দেয়, তাহলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের একজন বিচারক সম্প্রতি রায় দিয়েছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদ্রোহের সাথে জড়িত। একইসঙ্গে ট্রাম্পকে অঙ্গরাজ্যটির প্রাথমিক ব্যালট থেকে নিষিদ্ধও করেছেন তিনি।


আরও খবর



সৌদি প্রবাসীদেরকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে বৈধ পথে দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে সৌদি আরবের জেদ্দায় স্থানীয় একটি হোটেল প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদিতে আমাদের দেশের প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষ রয়েছেন। প্রত্যেক প্রবাসীই দেশের প্রতিনিধি এবং তাদের আচরণেই দেশ পরিচিত হয়। সবাই বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠালে দেশের অর্থনীতিতে সেটি বড় ভূমিকা রাখে।

মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুপ্রতিম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই সম্পর্ককে বহুমাত্রিক করেছে।

তিনি বলেন, আগে শুধু সৌদি আরবে জনশক্তি রপ্তানির সম্পর্ক ছিলো। এখন পেট্রোলিয়াম, কৃষি, পরিবেশ, অবকাঠামো নির্মাণ, বাণিজ্য-বিনিয়োগ, প্রযুক্তি এমন নানাখাতে সহযোগিতাসহ সেই সম্পর্ককে আমরা বহুমাত্রিক করেছি।

সভায় জেদ্দায় সদ্যসমাপ্ত ১৯তম ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক্সট্রাঅর্ডিনারি সেশনে যোগদানের পাশাপাশি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের ওপর আলোকপাত করেন ড. হাছান।

তিনি জানান, তারা উভয়েই টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। রোহিঙ্গা ইস্যুতে পূর্ণ সহযোগিতা ও ফিলিস্তিনে সহিংসতা অবসানে একযোগে কাজের প্রত্যয় জানিয়েছেন।

অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সঙ্গে বৈঠকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফর, পেট্রোলিয়াম ক্রয়, শিল্প সহযোগিতাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা তুলে ধরে হাছান মাহমুদ জানান, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন।

রিয়াদে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, জেদ্দায় নিযুক্ত কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ নাজমুল হক এবং প্রবাসীদের মধ্যে ইসমাইল হোসাইন, ওয়াজিউল্লাহ মিয়া, মোশারফ হোসেন খান, হুমায়ুন কবির, কাজী আব্দুল্লাহ, কামরুল হাসান জুয়েল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুদ্দিন ভূঁইয়া, দেলোয়ার হোসেন সরকার, আতাউর রহমান ভূঁইয়া, শামীম চৌধুরী প্রমুখ অভ্যর্থনা সভায় অংশ নেন।


আরও খবর



গাজায় যুদ্ধবিরতির আশা আলোচনা শুরু আজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরি এ আশার কথা শুনিয়েছেন।

রয়টার্স জানায়, আন্তর্জাতিক জোট আনতালিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে তুরস্কে গেছেন শৌকরি। সেখানে গত শুক্রবার এক ভাষণে তিনি বলেন, আমি আপনাদের বলতে পারি যে এই যুদ্ধের সব পক্ষ, অর্থাৎ আমরা সবাই ইতিমধ্যে সমঝোতার একটি পয়েন্টে পৌঁছাতে পেরেছি। আশা করছি, রমজানের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি হস্তান্তর শুরু হবে।

সামেহ শৌকরি জানান, প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে ১০ কিংবা ১১ মার্চ। এ সময়েই রমজানের শুরু হতে পারে। এই যুদ্ধবিরতি হলে ৪০ দিনের জন্য গাজায় অভিযান বন্ধ রাখবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং সেখানে প্রতিদিন প্রবেশ করবে ত্রাণ ও খাদ্যপণ্যবাহী ট্রাক। সেই সঙ্গে প্রতি ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ১০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে আজ রোববার মিসরের রাজধানী কায়রোতে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা আবার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। গতকাল শনিবার মিসরের নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি গণমাধ্যম আল-আরাবিয়া।

নিরাপত্তা সূত্রটি বলছে, উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরতির সময়সীমার পাশাপাশি জিম্মি ও বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষও আশা করছে রমজানের আগে যুদ্ধবিরতি হতে পারে। গতকাল ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গতকাল আনতালিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরামে তিনি বলেন, আমরা আশা করি, রমজানের আগেই যুদ্ধবিরতি অর্জন করতে সক্ষম হব, আমরা গতকাল এবং আজ এটি অর্জনে ব্যর্থ হয়েছি। তবে আমরা আশাবাদী।

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মালিকি।

একই আশাবাদ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। গত শুক্রবার তিনি বলেন, আমরা আশা করছি মুসলিমদের পবিত্র মাসের শুরুতেই গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হবে ইসরায়েল। এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আমরা ব্যাপকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি।

চার মাসের বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০ হাজার। এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর গোলায় বাড়িঘর হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে আরও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

আল জাজিরা জানিয়েছে, গতকাল গাজার দেইর এল-বালাহ এবং জাবালিয়া এলাকায় তিনটি বাড়ি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় অন্তত ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছে।

এর আগে খাদ্য সহায়তার অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর গত বৃহস্পতিবার হামলার ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে জাতিসংঘের একটি দল। তাঁরা জানিয়েছেন, হামলায় আহত অনেককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে।

নিউজ ট্যাগ: রমজান

আরও খবর



সুপ্রিম কোর্ট বার : মাহবুব উদ্দিন খোকন সভাপতি, সম্পাদক মঞ্জুরুল হক

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হক। এছাড়া ৫ পদে বিএনপি সমর্থীত প্রার্থী ও ৭ পদে আ.লীগ সমর্থীত প্রার্থিরা বিজয়ী হয়েছেন।

এর আগে নানা নাটকীয়তার পর শনিবার (৯ মার্চ) বিকেল ৩টার পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়। ভোট গণনা ও ফল ঘোষণা উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যে ভবনে ভোট গণনা করা হয়েছে, সেখানে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

এর আগে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। পরে ওই ঘটনায় শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগ থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা ওই মামলায় আরও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ) বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এতে ১ নম্বর আসামি করা হয় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীকে। এছাড়া ২ নম্বর আসামি করা হয় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে।

শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় পল্টন চেম্বার থেকে সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারির ঘটনার জেরে বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলার ২ নম্বর আসামি।

এর আগে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথীর গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়েছে ৪ জনকে এবং (৯ মার্চ) দুপুরে এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি ব্যারিস্টার উসমানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার (৮ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট বারে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। এতে ১ নম্বর আসামি করা হয় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীকে। এছাড়া ২ নম্বর আসামি করা হয় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে।

এছাড়া অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিষ্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল, অলিউর, জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, ডা. কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল, অ্যাডভোকেট সোহাগসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনকে আসামিরা করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের নিচ তলার শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে হঠাৎ অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী (সম্পাদক পদপ্রার্থী), আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জন আইনজীবী এবং অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জন সু-কৌশলে ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অডিটোরিয়ামের দরজা খুলে দিলে অস্ত্র হাতে জোরপূর্বক বেআইনিভাবে অনাধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় আমাকেসহ নির্বাচন সাব-কমিটির অন্যান্য সদস্যদের গালিগালাজ করেন। এছাড়াও হত্যার চেষ্টাসহ নানাভাবে আঘাতের কথা এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ মামলার ৬ নম্বর আসামি ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী নামের এক আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


আরও খবর



জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্টের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ অন্যান্য নেতার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মানাঙ্গাগওয়ারের কর্মকাণ্ডের কারণে নিষেধাজ্ঞা থেকে বাদ যায়নি তার স্ত্রীও।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সম্পদ আটকে যাবে এবং সেখানে বেসরকারি উদ্যোগে বা ব্যক্তিগতভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন না তারা।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়ার পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের আরও ১০ জন ব্যক্তি এবং তিনটি ব্যবসার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই নিষেধাজ্ঞাগুলো একটি বিস্তৃত প্রোগ্রামের স্থালাভিষিক্ত হবে যা দুই দশক আগে চালু হয়েছিল। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করছি।

যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে জিম্বাবুয়ের ওপর অর্থনৈতিক এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে এবং অন্যান্য উচ্চ-পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে সেসময় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

মূলত তাদেরকে দেশে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার জন্য অভিযুক্ত করেছিল ওয়াশিংটন। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যসহ বিভিন্ন দেশ জিম্বাবুয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইতোমধ্যেই জিম্বাবুয়েতে বহু অপহরণ, শারীরিক নির্যাতন এবং বেআইনি হত্যার ঘটনা উল্লেখ করেছেন যা মানুষকে চরম শঙ্কার মধ্যে ছেড়ে দিয়েছে।

হোয়াইট হাউস বলেছে, এই শোষণ ও নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিসহ অন্যদের জবাবদিহি করার প্রচেষ্টার দিকে পুনরায় নজর দিচ্ছে তারা।

জিম্বাবুয়ের জাতীয় পুলিশ এবং সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন (সিআইও)-এর সদস্যসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদেরও এই নিষেধাজ্ঞায় টার্গেট করা হয়েছে।


আরও খবর