আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

গেল বছর ধর্ষণের শিকার ৭৭৪ শিশু, নিহত ৫৯৬

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০২১ সালে শারীরিক নির্যাতনে মৃত্যু, ধর্ষণের পরে হত্যা, ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা, অপহরণ ও নিখোঁজের পর হত্যাসহ বিভিন্ন কারণে অন্তত ৫৯৬ শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭৭৪ শিশু এবং বলাৎকারের শিকার ৭৮ ছেলে শিশু।

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২১: আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পর্যালোচনা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে বলা হয়,  শিশু অধিকারের ক্ষেত্রেও ২০২১ সালের চিত্র ছিল হতাশজনক। হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, বলাৎকার, অনলাইনে যৌন হয়রানিসহ শিশুর প্রতি নানা সহিংসতার ঘটনা অব্যাহত থেকেছে বছরজুড়ে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, 'আসক তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের হিসাব মতে, ২০২১ সালে শারীরিক নির্যাতনের কারণে মৃত্যু, ধর্ষণের পরে হত্যা, ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা, অপহরণ ও নিখোঁজের পর হত্যাসহ বিভিন্ন কারণে নিহত হয় মোট ৫৯৬ শিশু।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে নিহত শিশুর সংখ্যা ছিল ৫৮৯। এছাড়া ২০২১ সালে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয় ১৪২৬ শিশু। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয় ৭৭৪ শিশু ধর্ষণ চেষ্টা ও যৌন হয়রানীর শিকার হয় ১৮৫ শিশু এবং বলাৎকারের শিকার হয়েছে ৭৮ ছেলে শিশু।

গৃহকর্মী নির্যাতন ও অ্যাসিড নিক্ষেপ

আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে ৪৫ নারী গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের পরবর্তী সময়ে মারা যান ৩ নারী। অন্যদিকে এ বছরে অ্যাসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছেন ২৩ নারী। 

সংবাদ সম্মেলনে ২০২১ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির ও সহকারী সমন্বয়কারী অনির্বাণ সাহা।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আসক নির্বাহী কমিটির মহাসচিব মো. নূর খান। অন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আসকের নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামাল ও পরিচালক নীনা গোস্বামী।


আরও খবর



মানুষের মৃত্যুর লাইসেন্স আমরা দিতে পারি না: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় সাভার চামড়া শিল্পনগরীর আর কোনো দূষণই গ্রহণযোগ্য হবে না। এখানকার শিল্পকারখানাগুলোতে ইটিপি চালু করতে টাইমলাইন দিতে হবে। কোরবানির পর আর ছাড় দেওয়া হবে না। অবৈধ কারখানাগুলোর পরিবেশের ছাড়পত্র বাতিল কার্যক্রম শুরু করা হবে। মানুষের মৃত্যুর লাইসেন্স আমরা দিতে পারি না। দূষণ রোধে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয় একমত, যৌক্তিক সীমানার বাইরে যাওয়া সম্ভব না।

আজ বুধবার বিকেলে সাভারের হেমায়েতপুরে অবস্থিত বিসিক চামড়া শিল্পনগরীর দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে শিল্পনগরীর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বিশেষ আলোচনা সভায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণে লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের চাহিদা পূরণ না করতে পারলে পন্য রপ্তানি করা যাবে না। আমরা বিগত ১০ বছরে মাইনাসে আছি। দূষণ রোধে এখন গুরুত্ব দিতে হবে। দুষণের কারণে মানুষেরক্যান্সার হয়। মানুষের মৃত্য কারণ হয়। অক্সিজেন না থাকায়, পানি পচে গেছে, এমনকি এখানে ব্যাকটেরিয়াও বেঁচে থাকতে পারে না। কোরবানির পর সম্ভাব্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ কাজে সকলের সহযোগিতা দরকার।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারিখাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বিসিকের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা ও বিসিক চামড়া শিল্পনগরীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ। 


আরও খবর



প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোট ৮ মে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ১৫ এপ্রিল এবং ভোটগ্রহণ আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

অশোক কুমার দেবনাথ জানান, আগামী ৮, ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। জামানতের টাকা বাড়িয়ে ও স্বতন্ত্রদের প্রার্থিতা সহজের পর এ নির্বাচন হচ্ছে। এসব উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের এ সাধারণ নির্বাচন হবে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। ভোট হবে ৮ মে। ইভিএমে ভোট হবে ২২টি উপজেলায় এবং বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে নির্বাচন হবে। দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচন হবে। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থিতাও রয়েছে।

উল্লেখ্য, সংশোধিত নির্বাচন পরিচালনা বিধি ও আচরণ বিধি অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে কোনো সমর্থন সূচক তালিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই; রঙিন পোস্টার ছাপাতে পারবেন প্রার্থীরা। প্রচারণার সময়ও পাচ্ছে বেশি; তবে জামানতের পরিমাণ বেড়েছে এবার।

এর আগে, ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন ছয়টি ধাপে ও ২০১৯ সালে পাঁচ ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের ভোট হয়। আগের চারটি উপজেলা নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও আইন সংশোধন হওয়ায় ২০১৭ সালের মার্চে মেয়াদোত্তীর্ণ তিনটি উপজেলায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হয়।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিএনপি পরে নির্দলীয় উপজেলা ভোটে অংশ নিয়েছিল। গেল ১০ বছর ধরে উপজেলা ভোটে দলীয় প্রার্থী দেয়নি দলটি। দলীয় প্রতীকে ভোট হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিচ্ছে না। আর বিএনপি অংশ নিচ্ছে না এ নির্বাচনে।


আরও খবর



ইসরায়েলি কমান্ড সেন্টারে হামাসের হামলা, নিহত ৭

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজার প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা ইসরাইলের একটি কমান্ড সেন্টারে হামলা চালিয়েছে। এদিকে পৃথক পৃথক হামলায় অন্তত ৭ ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করার দাবি করেছে হামাস। আল কাসাম ব্রিগেড শুক্রবার এক বিবৃতিতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে এই তথ্য জানিয়েছে।

বেইত হানুন শহরের পূর্বপাশে অবস্থিত ওই কমান্ড সেন্টারটিতে একটি ড্রোন ব্যবহার করে দুটি অ্যান্টি পার্সোনাল রকেটে ছোড়ে হামাস যোদ্ধারা। একই শহরে আরো এক ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করার দাবি করেছে হামাসের ব্রিগেডটি। 

আরও পড়ুন>> গাজায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ মাথায় পড়ে নিহত ৫

আলাদা বিবৃতিতে আল কাসাম জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের একটি বাড়ির ভেতরে অবস্থান করা ছয় ইসরায়েলি সেনাকেও হামলা করে হত্যা করেছে তারা।

৭ অক্টোবর হঠাৎ করেই ইসরয়েলে হামলা চালিয়েছিলো হামাস যোদ্ধাদের একটি দল। তারপর থেকেই পাল্টা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। এ পর্যন্ত ইসরাইলের প্রায় ছয়শ' সেনা প্রাণ হারিয়েছে হামাসের বহুমুখী আক্রমণে। বিপরীতে ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলা ও স্থল অভিযানে প্রাণ গেছে প্রায় ৩১ হাজার ফিলিস্তিনির। 


আরও খবর



বাপ-দাদার শেখানো পেশায় যাদের জীবন জীবিকা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

এক সময় মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, থালা-বাসন, ঘটি, মটকা, সরা, চারি, কাসা, কলস, ব্যাংক, প্রদীপ, পুতুল, কলকি, দেবদেবীর মূর্তি ও ঝাঝরের বিকল্প ছিল না তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের রুচির পরিবর্তনে মাটির তৈরি সামগ্রীর স্থান দখল করে নিয়েছে প্লাস্টিক, মেলামাইন, স্টিল আর অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি নানা রকম আধুনিক সামগ্রী। তাই বর্তমানে বাজারে চাহিদা কম থাকায় এবং কাঁচামালের চড়ামূল্য ও পুঁজির অভাবে টিকতে না পাড়ায় সংকটে পড়েছে পাবনার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পীরা।

মৃৎশিল্পীরা জানান, বর্তমান মানুষের ব্যবহারিক জীবনে মৃৎশিল্পের তেমন কোন আর ভূমিকা নেই। প্রযুক্তি বিকাশের এ যুগে এই শিল্পের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধিত না হওয়ায় বর্তমানে এই পেশায় টিকে থাকা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে কালের আবর্তে বাপ-দাদার পেশা হারিয়ে যেতে চললেও এখনোও টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পাবনা চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের গৌড়িপুর পালপাড়া গ্রামের মৃৎশিল্পীরা।

সরেজমিনে গৌড়িপুর পালপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, ভোরের আলো ফুটতেই মাটির হাঁড়ি পাতিল তৈরি করে রোদে শুকাতে দিচ্ছে কুমাররা, কেউ বা ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন সামগ্রী তৈরীতে, কেউ বা করছেন রং এভাবেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলছে তাদের কর্মব্যস্ততা।

পালপাড়ায় গিয়ে কথা হয় মায়া রাণীর সাথে তিনি জানান, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে মাটির তৈজসপত্র তৈরী করে আসছেন তিনি। আগে মাটির সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা থাকলেও এখন আর তেমন কোন চাহিদা নেই, তাই শীত মৌসুমে পিঠাপুলির সামগ্রী তৈরী করেই কোনোমতে চলছে তার সংসার।

এমনিতেই ব্যবসা চলে কম তার উপরে নেই রাস্তাঘাট তাই গৌড়িপুর পালপাড়া থেকে নিমাইচড়া বাজার পর্যন্ত পাকা সড়কের দাবি জানান তিনি।

মৃৎপাত্র পোড়ানোর সময় কথা হয় দুলাল পালের সাথে কথা হইলে তিনি জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে বাপ-দাদার শেখানো পেশায় কাজ করছেন। আগের দিনে বাজারে মৃৎপাত্রের প্রচুর চাহিদা থাকলেও এখন অনেকটাই কম। অন্য কোন কাজ না জানায় এই পেশাই আঁকড়ে ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।

দুলাল পাল আরও বলেন, পেশাগত প্রয়োজনে ব্যাংক ঋণ পাননা তারা। সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ পেলে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন তিনি। স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা মনে করেন, ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্পকে বাঁচাতে সরকারের বহুমুখী উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজন।

কথা হয় বিকাশ পাল, সম্বল পাল, দরদী পাল ও সুবর্ণা পালের সঙ্গে, তারা এই প্রতিবেদককে জানান, এক সময়ে এই গ্রামে মৃৎশিল্পের রমরমা ব্যবসা ছিল। আগে গৌড়িপুর গ্রামে প্রায় ১১০টি ঘর মৃৎশিল্পের কাজ করতো কিন্তু বর্তমানে বেশির ভাগ পালরা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় এখন ১০-১৫ টি ঘরে প্রায় ৩০-৩৫ জন পাল এই কাজের সাথে জড়িত বলে জানান তারা।

তারা আরও জানান, মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা সরকারি কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা বা প্রণোদনা কোন দিন পেয়েছেন কি না তা তাদের জানা নেই। তারা বলেন, এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও মৃৎশিল্পীদের শিল্প জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যদি আধুনিক করে গড়ে তোলা যায় তা হলেই কেবল গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব বলে তারা মনে করেন।

কথা হয় গোপাল চন্দ্রপালের সঙ্গে তিনি বলেন, আগের দিনে মৃৎশিল্পের প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন এঁটেল মাটি, রঙ, যন্ত্রপাতি ও জ্বালানি ছিল সহজলভ্য। কিন্তু বর্তমানে এসব প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা এখন হিমশিম খাচ্ছেন। তারা জানান, পূর্বে যেখানে বিনামূল্যে মাটি সংগ্রহ করা যেত বর্তমানে সেই মাটি ১০-১২ হাজার টাকায় কিনতে হয়। আগে খড় কিনতে তাদের কোন টাকা পয়সা লাগতো না, এখন সেই এক বুঝা খড় ৩০০ টাকায় কিনতে হয় তাদের।

গোপালচন্দ্র পাল বলেন, বর্ষা মৌসুমে তাদের হাতে তেমন কোন কাজ না থাকায় সে সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে মাটি সংগ্রহ করে থাকেন তারা। তবে অনেক সময় মাটি কিনতে আইনি জটিলতায় পড়তে হয় তাদের।

বাড়ির উঠোনে পাত্রগুলোতে রং করতে দেখা যায় উজ্জ্বল কুমার পালকে, তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, সাধারণত মৃৎপাত্রগুলো কুমার পরিবারের নারী-পুরুষ উভয়ে মিলেমিশে তৈরি করে থাকেন। এই তৈরিকৃত সামগ্রী বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে কিনেন। অনেকে আবার বাড়ি বাড়ি ফেরি করেও বিক্রি করেন। বর্ষা মৌসুমে কাজ বন্ধ থাকায় কুমারদের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ যায়। সে সময় কুমাররা সারা বছর কাজ করার জন্য এঁটেল মাটিসহ প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহে নেমে পড়েন। শুধু পাবনা নয়, গোটা দেশে এ পেশায় নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে কারও যেন কোন মাথাব্যথাই নেই।

বাড়ির উঠোনে মাটির পাত্র তৈরি করছেন অনিতা পাল ও প্রার্থনা পাল তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আগের দিনে তাদের ব্যবসা অনেক ভালো চলতো বর্তমানে মানুষ প্লাস্টিক, এ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করায় এখন কম চলে। তারা বলেন, আগে কলসিসহ বিভিন্ন তৈজসপত্র তৈরী করলেও বর্তমানে তা ব্যবহার কম হওয়ায় এখন শুধু ঝাঁঝর, কাসা, হাঁড়ি পাতিল তৈরী করে থাকেন তারা। 

এবিষয়ে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভিন সুলতানা মুক্তি বলেন, তারা কখনও আমার কাছে কোন দাবি নিয়ে আসেনি। আমি আমার এলাকার অনেক সড়কের কাজ করেছি, তাদের সড়কের বিষয়েও কাজ করার চেষ্টা করবো এবং আমি সবসময় তাদের পাশে থাকবো।


আরও খবর



ময়মনসিংহে ২৭ ও কুমিল্লায় ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে: ইসি

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। শনিবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ সিটিতে ২৭ শতাংশ ও কুমিল্লা সিটিতে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, সকাল থেকে স্থানীয় সরকারের ২৩১ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। সকালে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের একটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, দুই সিটির নির্বাচনে এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কুমিল্লা সিটি মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর ময়মনসিংহ সিটিতে ভোট পড়েছে ২৭ শতাংশ।

কুমিল্লা সংঘর্ষ নিয়ে রিটার্নিং অফিসার মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৭৪, ৭৫ ও ৭৬ নম্বর কেন্দ্র তিনটি পাশাপাশি। গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে, এতে আহত হয়েছেন ২ জন। তবে এ ঘটনা কেন্দ্রের বাইরে।

ভোটের কার্যক্রম সচল রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে নির্বাচন কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। এ ছাড়া ২০-২২ নম্বর কেন্দ্রের বাইরে একজনকে ছুরিকাহত করা হয়েছে বলেও জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা। কেন্দ্রের ভেতরে কোথাও ঝামেলা হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।


আরও খবর