কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড়ের গহীন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। এসময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও বিভিন্ন সরজ্ঞমাদিসহ সংঘবদ্ধ চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়।
র্যাব -১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের তেলখোলা পাইন্ন্যাসা গহীন পাহাডড়ি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
আটক আনোয়ার হোসেন (৩৫) রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের খরুলিয়া এলাকার মুছা আলীর ছেলে।
র্যাব জানিয়েছে, আটক আনোয়ার হোসেন অস্ত্র তৈরি ও কেনাবেচার সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। মূলত সে কারখানায় তৈরি অস্ত্র সরবরাহ এবং বেচাকেনার সাথে জড়িত।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শুক্রবার দুপুরে গোপন সংবাদে রামুর ঈদগড় ইউনিয়নের তেলখোলা পাইন্ন্যাসা গহীন পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানার খবর পায় র্যাব। পরে র্যাবের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উপস্থিতি টের পেয়ে ৩-৪ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অস্থায়ী তাঁবু টাঙ্গানো অবস্থায় র্যাব সদস্যরা একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পায়।
এসময় কারখানাটিতে তল্লাশী চালিয়ে দেশিয় তৈরি দু’টি বন্দুক, ৬০টি গুলি, গুলির খালি খোসা, ১৫টি শিসা, ১টি ছেনি, ১টি হাতুড়ি, ১টি বাইশ, ২টি রেত, ১টি প্লাস, ৫টি সুপারগ্লু গাম, ৫০ গ্রাম বারুদ ও ১৫০টি বিয়ারিং বল পাওয়া যায়।
আটক ব্যক্তির স্বীকারোক্তির বরাতে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আটক আনোয়ার হোসেন সংঘবদ্ধ অস্ত্র তৈরি চক্রের তিন সদস্যের ব্যাপারে তথ্য দিয়েছে। চক্রটির সদস্যরা ঈদগড়ের গহীন পাহাড় এলাকায় অস্থায়ী তাবু টাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি তৈরি করে আসছিল। আর অস্থায়ী কারখানায় তৈরি অস্ত্রগুলো কক্সবাজার শহর এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ আশপাশের এলাকার অপরাধী চক্রের কাছে সরবরাহ করে আসতো।’
পলাতকরাসহ অস্ত্র তৈরি চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে রামু থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।