আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঘোষিত বাজেটে প্রবৃদ্ধি অর্জনযোগ্য: জিপেক ওয়েবিনারে বক্তারা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
বাংলাদেশে করোনার মধ্যে অর্থনীতি সবল রাখতে বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে জিডিপির ৬.২%। তবে এ ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। বাংলাদেশকে বৈদেশিক ঋণ দিতে অনেক দেশই আগ্রহী

এবারের বাজেটে কর হ্রাসের মাধ্যমে বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির পদক্ষপে গ্রহণ করা হয়েছে। যা বাস্তবায়ন হলে অর্থনীতিতে আয় বাড়বে। ফলে ভোগ ও চাহিদা বাড়বে, অর্থনীতি সবল হবে এবং কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। তাই এ বাজেট প্রবৃদ্ধি অর্জনযোগ্য বাজেট। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গভর্নেন্স পলিসি এক্সপ্লোর সেন্টার (জিপেক) আয়োজিত সদ্য ঘোষিত বাজেট নিয়ে ভার্চুয়াল পর্যালোচনা সভায় আলোচকরা এ অভিমত ব্যাক্ত করেন।

বক্তারা আরও বলেন, কিছু বিষয় বাদ দিলে এ বাজেট অর্থনীতির জন্য সুফল বয়ে আনবে। তবে করোনার অভিঘাতে গ্রামীণ ও শহুরে নতুন দরিদ্রদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাভুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশে সঠিকভাবে দরিদ্রের তথ্যভান্ডার বা ডাটাবেজ গড়ে তোলা জরুরী। বাজেটের অর্ন্তবর্তী মূল্যায়ণ ও সঠিক সময়ে এবং সঠিক গুণে ও মানে প্রকল্প সমাপ্তকারীকে পুরস্কার এবং ব্যর্থ হলে শাস্তির ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়েছে।

জিপেক বাজেট পর্যালোচনা ২০২১-২২ শীর্ষক ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিপেক এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো (অনারারি) ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান জিপেক এর নির্বাহী পরিচালক ড. মিজানুর রহমান। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন বেসিক ব্যাংকের পরিচালক ও জিপেক চেয়ারপার্সন রাজীব পারভেজ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও জিপেক এর উপদেষ্টা মো. আবদুল কাইয়ুম এর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি আমিন হেলালি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ মাহমুদ বাশার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদ সরকার, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক্ অধ্যাপক ডা. মোহা. শেখ শহীদউল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. জেবউননেছা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেব, ফৌজিয়া হক এফসিএ, টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ এর সম্পাদক নাজনীন নাহার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক হালিমা হক প্রমুখ।

ওয়েবিনারে উপস্থাপিত প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশে করোনার মধ্যে অর্থনীতি সবল রাখতে বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে জিডিপির ৬.২%। তবে এ ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। বাংলাদেশকে বৈদেশিক ঋণ দিতে অনেক দেশই আগ্রহী হওয়ায় বাংলাদেশ সহজে বৈদেশিক ঋণ গ্রহন করতে পারবে। আবার বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ উৎস হতে অর্থ প্রাপ্তি সম্ভব। কোভিড-১৯ অতিমারির পরেও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির ৫ শতাংশ ও মোট বাজেটের ১৫ শতাংশ ব্যয় বরাদ্দ করতে হবে। ভূমিহীন ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য শস্য বীমা বা কৃষি বীমা, গবাদি পশু বীমা চালু করতে হবে। সার্বজনীন পেনশন স্কীম (কৃষকদের অন্তর্ভুক্ত করে) চালু করা যেতে পারে। বিনিয়োগবৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সারা দেশে চলমান ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের মূলধনী যন্ত্রাংশের উপর আরোপিত ১ শতাংশের অতিরিক্ত সব ধরনের শুল্ক-কর প্রত্যাহার করতে হবে। ই- কমার্স খাতের বিকাশের জন্য কর আরোপের পরিবর্তে প্রণোদনা, প্রযুক্তিগত সহায়তা, কর মওকুফ ও ইন্টারনেট খরচ কমানোর সুপারিশ করা হয়ছে। স্টার্টআপদের জন্য ট্যাক্স হলিডে বাড়াতে হবে। একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের মূলধন বৃদ্ধি করা ও সম্ভাবনাময় স্টার্টআপগুলোতে সরকারের বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা এবং রেজিস্টার্ড আউটসোর্সারদের জন্য ঋণসুবিধার ব্যবস্থা করা। উন্নয়নে পিছিয়ে থাকা অঞ্চলগুলোর উন্নয়নের জন্য নিয়মিত এডিপির অতিরিক্ত একটি নির্দিষ্ট শতাংশিক হারে গ্রহণযোগ্য এডিপির বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন। বাজেটে অন্যান্য দেশের মতো ইনোভেশন, রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট খাত তৈরি করে বাজেট বরাদ্দ দেয়ার সুপারশি করা হয়েছে।

মোবাইল আর্থিক সেবার উপর কর্পোরেট কর বাড়ানোয় দরিদ্র লোকদের আর্থিক অর্ন্তভুক্তি অনিশ্চিত হবে। দীর্ঘমেয়াদে এ খাতে বিনিয়োগ সংকুচিত হতে পারে। তাই এ খাতে বর্ধিত কর প্রত্যাহার করে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা প্রয়োজন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্ভুত আয়ের উপর ১৫ শতাংশ কর বসালে তা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপর পড়বে। এ কর প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে করোনার সময়ে ব্যবসায়, উৎপাদনে মন্দা, কর্মহীন হয়ে যাওয়া ও জনগণের আয় কমে যাওয়ায় এই আয়সীমা ৪ লক্ষ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়ছে।

উপস্থাপিত প্রবন্ধে তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো, ব্যক্তিশ্রেণির ব্যবসায়িক টার্নওভার ট্যাক্স হ্রাস, বিত্তবানদের সম্পদের উপর সারচার্জ বৃদ্ধি, করনেট সম্প্রসারণে টিআইএন- এর বাধ্যবাধকতা, তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষে আইটি খাতে ১০ বছরের কর অব্যাহতির সুপারশি করা হয়। নারী উদ্যোক্তাদের ৭০ লক্ষ টাকা টার্নওভার সুবিধা, কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনে ১০ বছরের করমুক্ত সুবিধা, স্বাস্থ্যখাতে বেসরকারি বিনিয়োগ, বিদেশী পণ্যের নির্ভরশীলতা কমাতে দেশীয় শিল্পের ভ্যাট ও আগাম অব্যাহতি, কৃষি উপকরণে ও নারী স্বাস্থ্য সংরক্ষণে ভ্যাট অব্যহতি ও দেশীয় চাষীদের প্রতিরক্ষণের কথা বলা হয়েছে যা প্রশংসার দাবিদার।

ওয়েবিনারে আলোচকরা বলেন, একটি বাজেটের দর্শন হলো মূল নিয়ামক। তাই দর্শনকে ভিত্তি বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হওয়া উচিত। বাজেটে অধিক অর্থ বরাদ্দের আবেদনের চেয়ে এর সঠিক ব্যবহারের জোর তদারকি দরকার এখন বেশি। স্বাস্থ্য খাত এর জ্বলন্ত উদাহরণ। তাই আলোচকরা মনে করেন বাজেট বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলোর দক্ষতা বৃদ্ধি বিশেষ প্রয়োজন। বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন, বর্তমান বাজেটে জনপ্রশাসন খাতে বরাদ্দ অনেক বেশি, যা কমানো যেতে পারে, কৃষিক্ষেত্রে সুদের হার আরো কমানো, সামজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, ব্যক্তি করসীমা বাড়ানো, তথ্য প্রযুক্তি খাতে ট্রেনিংকে উৎসাহিত করা, গার্মেন্টস এর মতো অন্য শিল্পকেও গুরুত্বারোপ, ব্যবসা বহুমুখীকরণ, বিচার বিভাগের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ, বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য বিশেষ বরাদ্দ, তৃতীয় লিঙ্গের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ বিবেচনায় নেয়ার আহবান জানান।

কালো টাকা সাদা করার প্রসঙ্গে বলা হয়, ঢালাও সুযোগ না দিয়ে হাইটেক পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের সুযোগ, জরিমানা আদায় ও টাকার উৎস জানানো সাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে। তবে তা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকরী না থাকাই ভালো। এতে সৎ করদাতারা নিরুৎসাহিত হয়।

নিউজ ট্যাগ: জিপেক

আরও খবর



ঢাকাসহ ৩ বিভাগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ তিন বিভাগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে হতে পারে বজ্রপাতও। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ: বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলা সমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা: লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

দ্বিতীয় দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবৃদ্ধি পেতে পারে।

তৃতীয় দিনের আবহাওয়া সম্পর্কে জানানো হয়েছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবৃদ্ধি পেতে পারে।

বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



সোমবার থেকে ঢাকাসহ ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চলমান তাপদাহের কারণে পাঁচ জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদফতরের পরামর্শে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামীকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) তারিখ বন্ধ থাকবে।

তবে যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ চাইলে খোলা রাখতে পারবে। সোমবার পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।

উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। ফলে রবিবার থেকে নতুন করে সারা দেশে আবারও ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনের হিট অ্যালার্ট (তাপপ্রবাহ) জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ ২৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ ১ মে সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এই সময়ে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার থেকে তিন দফা ৭২ ঘণ্টা করে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে গরমের কারণে ঈদের ছুটির পর থেকে বন্ধ ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আজ রবিবার থেকে প্রাক-প্রাথমিক ছাড়া বাকি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তবে তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।


আরও খবর



বাংলাদেশে ফের প্রবেশ করলো ৪০ বিজিপি সদস্য

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ (বিজিপি) মিয়ানমারের ৪০ নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আজ শনিবার (৪ মে) ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে তারা প্রবেশ করেন। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নিয়ে নেয়।

সাবরাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা যায়, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন থেকে ১৫ জন এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২৫ জন প্রবেশ করে।

এর আগে সর্বশেষ গত ২৫ এপ্রিল মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। তার আগে প্রথম ধাপে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপির কর্নেল মিও থুরা নউংয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল ৩৩০ জনকে মিয়ানমার নিয়ে যান।


আরও খবর



বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় শুরু মহা-সাংগ্রাই উৎসব

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বর্ষবরণকে ঘিরে এখন বর্ণিল সাজে পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান। পাহাড়ে তিন সম্প্রদায়ের বড় সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই। জেলায় বসবাসরত ১২টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের প্রায় প্রতিটি ঘরে এখন উৎসবমূখর পরিবেশ। এর মধ্যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয়েছে আজ।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান শহরের ঐহিত্যবাহী রাজারমাঠ এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে পাহাড়ি সম্প্রদায়গুলোর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন মারমা, চাকমা, ম্রো, ত্রিপুরাসহ ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষসহ বাঙালিরাও। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী ও ৩০০ নং আসনের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসি।

এ সময় তিনি সকলকে বাংলা নববর্ষ ও সাংগ্রাই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বান্দরবানে সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব সব কিছুই আছে। তাই পরিবেশ এর প্রশ্ন তোলার কোনো প্রয়োজন নেই।

শান্তি সম্প্রীতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বান্দরবানবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-নেতৃত্বের কারণেই আজকে পার্বত্য অঞ্চলে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি বজায় রয়েছে। আগামীতে সকল দল মতের মানুষ শান্তিতে এগিয়ে যাবে।

পরে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বয়স্ক পূজার মধ্য দিয়ে সমাজের প্রবীণ ব্যক্তিদের সন্মান জানানো হয়।

আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে সাঙ্গু নদীর তীরে বৌদ্ধমূর্তি স্নান এবং সোম ও মঙ্গলবার স্থানীয় রাজার মাঠে সাংগ্রাইয়ের অন্যতম আকর্ষণ ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানি খেলা উৎসবে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটবে। পারস্পরিক মৈত্রীর বন্ধন অটুট রাখা এবং পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে ফেলাই হচ্ছে এ জলকেলির মূল উদ্দেশ্য।

নানা আয়োজনে চলবে মারমা সম্প্রদায়ের এই সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন। ১৬ এপিল সন্ধ্যায় বিহারে বিহারে সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ৪ দিনের এই সাংগ্রাই উৎসবের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী, বান্দরবান পৌর মেয়র মো. শামসুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ প্রমূখ।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ১১

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ১১ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ঝালকাঠির গাবখান সেতুর ঢালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সিমেন্টবাহী একটি ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে চলে যায়। এতে ইজিবাইকের ৭ আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া ওই ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে একটি প্রাইভেট কার। যাতে শিশুসহ ৬ জন আরোহী ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

এ ঘটনায় হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরওএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি জানিয়েছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৬ জনের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, টোল প্লাজায় টাকা দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল ইজিবাইক, প্রাইভেট কারসহ একাধিক গাড়ি। সিমেন্টবাহী ট্রাকটি সামনে থাকা সব গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে প্রতিবন্ধক ভেঙে রাস্তার পাশে চলে যায়।


আরও খবর