সাভারে মধ্যরাতে
ঘরে ঢুকে ছাত্রলীগ নেত্রী বাবলী আক্তারকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
উঠেছে। সোমবার (০৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাভার পৌরসভার নয়াবাড়ী
মহল্লার সরকারবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের
করেছেন তিনি।
বাবলী আক্তার
ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ
ঢাকা জেলা উত্তর শাখার সিনিয়র সহসভাপতি। তিনি সাভার সরকারি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের
দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আহত বাবলী বর্তমানে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্তরা হলেন-
সাভার পৌরসভার নয়াবাড়ী এলাকার স্থানীয় মাতব্বর মো. রাব্বানী এবং আব্দুল হালিমের
ছেলে মো. পাশা। এতে আরও ২-৩ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি জড়িত রয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা
হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মো. রাব্বানী ও তার স্ত্রী মাসুদা ওরফে মাসুর সঙ্গে বাবলীর
পরিবারের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে রাব্বানী, পাশাসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাবলীর রুমের দরজায় কড়া নাড়েন। বাবলী দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই রাব্বানী তার হাতে থাকা স্টিলের লাইট দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় আঘাত করেন। পরে গলা টিপে শ্বাসরোধে তাকে হত্যার চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। এ ছাড়া গালে-মুখে থাপ্পর মারতে মারতে ঘর থেকে বের করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। তিনি চিৎকার করলে এক পর্যায়ে তারা তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান। এসময় বাবলীর গলায় থাকা ৪০ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্বর্ণের চেইন এবং ৮ হাজার টাকা মূল্যের ডায়মন্ডের নাকফুলও নিয়ে যান মাতব্বর রাব্বানী, পাশা ও তাদের সহযোগীরা।
মামলার বিষয়ে
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী বাবলী আক্তার তাকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, পুলিশের কাছে ভুল
তথ্য দিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সেই মামলার সাক্ষী হয় আমার
ওপর নির্যাতনে নেতৃত্ব দেওয়া অভিযুক্ত রাব্বানীর স্ত্রী মাসুদা ওরফে মাসু। তারা আমাকে
এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হুমকি দিচ্ছে।