আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঘুমধুম সীমান্তে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকা থেকে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টায় ঘুমধুমের ৫ নম্বর ওয়ার্ড নয়াপাড়া থেকে অবিস্ফোরিত মর্টার শেলটি উদ্ধার করা হয়।

ঘুমধুম পুলিশফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঘুমধুম ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকা থেকে পাওয়া অবিস্ফোরিত মর্টার শেলটি বিজিবি উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আজ দুপুর সোয়া ১টার দিকে আমার ওয়ার্ডের নয়াপাড়া এলাকার ছোট শিশুরা অবিস্ফোরিত মর্টার শেলটি দেখতে পেয়ে বিজিবিকে খবর দেয়। ধারণা করা হচ্ছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনী পালিয়ে  বাংলাদেশে বিজিবির কাছে আশ্রয় নিতে আসার সময় রাস্তায় মর্টার শেলটি ফেলে গেছে।


আরও খবর



ঢাকাসহ দেশের ৪ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ দেশের চারটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, ঢাকা, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। আগের দিন রবিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার ঢাকার তাপমাত্রাও আগের দিনের তুলনায় কমেছে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে জনজীবনের অস্বস্তি বাড়ছে।


আরও খবর



আফগানিস্তানে বন্যায় অর্ধশত নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যার কারণে অন্তত ২ হাজাার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, হাজার হাজার গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেক মানুষ।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ভারি বর্ষণে বন্যার সৃষ্ট হয়। গত সপ্তাহের বন্যার ক্ষতি এখনো তারা সামলে উঠতে পারেনি। তারমধ্যেই আবারও আকস্মিক বন্যা হলো আফগানিস্তানে।

ঘোর এলাকার পুলিশের মুখপাত্র আবদুল রহমান বদ্রি এক বিবৃতিতে বলেছেন, শুক্রবার বন্যায় ঘোর প্রদেশের ৫০ জন বাসিন্দা প্রাণ হারান এবং আরো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।

সেন্ট্রাল ঘোর প্রদেশের তথ্য বিভাগের প্রধান মাওলাভি আবদুল হাই জাইম ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, শুক্রবারের দুর্যোগে কতজন আহত হয়েছেন তার নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।

জাইমের মতে, প্রদেশের রাজধানী ফিরোজ-কোহ-তে কমপক্ষে দুই হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়েছে, চার হাজার বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কমপক্ষে দুই হাজার দোকান পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং শত শত হেক্টর কৃষি জমি ধ্বংস হয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, আফগানিস্তান জলবায়ু-জনিত বিপর্যয়ের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে একটি। ২০২১ সালে দেশ থেকে বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহারের পর তালেবানরা ক্ষমতা দখল করে। তারপর থেকে সাহায্য তহবিলের ঘাটতির মুখে পড়েছে আফগানিস্তান।


আরও খবর



ইন্দোনেশিয়ায় ওষুধ, পাট ও সুতা রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য সম্পাদন হয়। তবে দুই দেশের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এটি দূর করতে বাংলাদেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যালস, পাটজাত পণ্য ও রিসাইকেল সুতা রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে।

গতকাল বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে দ্য চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালকদের সঙ্গে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, পরিচালক একেএম আক্তার হোসেন,  জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, মাহবুবুল হক মিয়া, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন ও আখতার উদ্দিন মাহমুদ বক্তব্য রাখেন। অন্যদের মধ্যে দূতাবাসের অ্যাটাচে রব্বি ফিরলি হারখা ও ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স সপ্তো রুদিয়ান্তোসহ  চেম্বার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধিত হয়েছে উল্লেখ করে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণে পিছিয়ে রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া খাদ্য সংরক্ষণ ও হালাল ফুড রফতানিতে বিশ্বে নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করেছে। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার সম্পাদিত এগ্রিকালচার সমঝোতা স্মারক কার্যকর করতে গবেষণার ওপর জোর দিতে হবে।

রাষ্ট্রদূত নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ইন্দোনেশিয়া চট্টগ্রামের মাতারবাড়ীতে ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প, ১০০ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন লাইন, ভোলা ও বরিশাল অঞ্চলে গ্যাস পাইপলাইন সম্প্রসারণে ইন্দোনেশীয় বিনিয়োগ প্রস্তাবের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি উভয় দেশের ট্যুরিজম, ম্যানুফ্যাকচারিং, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার এবং রিনিউয়েবল এনার্জি সেক্টরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার ওপর তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ভৌগোলিক সুবিধা তুলে ধরে চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, খাদ্য উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের মোট খাদ্য উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ বা ৩ বিলিয়ন ডলার সংরক্ষণ কিংবা প্রক্রিয়াকরণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার বিশ্বব্যাপী হালাল ফুড ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সুনাম রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার। তাই বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বিশাল বাজার ধরা ও রফতানিতে ইন্দোনেশীয় ব্যবসায়ীদের একক বা যৌথ বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি করে। যার মধ্যে পামঅয়েল, কয়লা, সিমেন্ট ক্লিংকার, পেট্রোলিয়াম প্রডাক্টসহ কৃষি পণ্য আমদানি করা হয়। বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি পোশাক ও পাটজাত পণ্য রফতানি করা হয়। অথচ বাংলাদেশের রয়েছে বিশ্ববিখ্যাত ওষুধ পণ্য। তিনি প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ওষুধ রফতানিতে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।


আরও খবর



চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ৯ মে দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলায় আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, ফারুক আব্বাসী,আদনান সিদ্দিকী, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন, আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

সবশেষ ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত। বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।


আরও খবর



চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডকে বিশেষ অর্থনৈতিক খাতে বিনিয়োগের সুযোগ পরীক্ষা করে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও একান্ত বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি-একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি আগ্রহপত্র সই হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশি স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখারও প্রস্তাব দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্রবন্দরকেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। আমাদের দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছি। আমি থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগের এবং বিশেষভাবে একটি এসইজেড এই সুযোগ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জন্য থাইল্যান্ড জ্বালানি সহযোগিতায় নিয়োজিত একটি সম্ভাব্য অংশীদার। জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অনুসন্ধান করতে, শক্তি সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর এখানে স্বাক্ষরিত দ্বিতীয় নথি। থাই জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সেরা পর্যটন অনুশীলন থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য আমরা পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছি।

সামুদ্রিক যোগাযোগের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে। থাইল্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ ল্যান্ডব্রিজ প্রকল্প বাংলাদেশ অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অনুসরণ করছে। আমি থাই পক্ষকে দুই দেশের মধ্যে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি।

সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান শেখ হাসিনা। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারি ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

বৈঠক শেষে সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে গতকাল বুধবার ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান।


আরও খবর