আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ঘুরে আসুন মরমি সাধকের দেশে

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

লোকে বলে বলেরে, ঘরবাড়ি ভালা নায় আমার

কী ঘর বানাইমু আমি, শূন্যের-ই মাঝার

ভালা করি ঘর বানাইয়া, কয় দিন থাকমু আর

অয়না দিয়া চাইয় দেখি, পাকনা চুল আমার।

পরিচিত গানের কথাগুলো মরমি সাধক কবি দেওয়ান হাসন রাজার। গানের এ কথাগুলোর সঙ্গে হাসন রাজার জীবনবোধ যে একেবারে মিলেমিশে একাকার। বেশ মিল রয়েছে তাঁর সর্বশেষ স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটির। যেখানে একটি জাদুঘরে সংরক্ষিত হচ্ছে তাঁর স্মৃতিচিহ্নগুলো। এখনো বাংলার লোকগানে ফিরে আসেন হাসন রাজা তাঁর লেখা অসাধারণ জীবনবোধের কবিতা ও গান নিয়ে। আজ থেকে বহু বছর আগে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর ধারে প্রতাপশালী দাপুটে এ জমিদার বৈরাগ্য সাধনে মুক্তির পথ বেছে নিয়েছিলেন। প্রজাদের ওপর বিনা কারণে অত্যাচারী এবং ভোগবিলাসে মত্ত ছিলেন জমিদার হাসন রাজা। পরে এক আধ্যাত্মিক স্বপ্ন-দর্শন তাঁর জীবনকে আমূল পাল্টে দেয়। মন হয়ে ওঠে প্রসারিত, জীবন হয়ে ওঠে সহজ, সরল ও সাদাসিধে। বিলাসপ্রিয় জীবন ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাড়লেন জমকালো পোশাক। চরিত্রে এলো এক সৌম্যভাব; পরনে এলো সুফি পোশাক। জীবনের যত ভুলত্রুটি, শোধরাতে শুরু করলেন একে একে।

এতক্ষণে নিশ্চয় ভাবছেন, একদিন ঘুরে এলেই তো হয় হাসন রাজার বাড়ি। কেমন ছিলেন তিনি জানার প্রয়োজন। সাধারণ এক বাড়িতে সাধক এ রাজার যে স্মৃতিচিহ্ন এখনো অবশিষ্ট আছে, তা দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে সুনামগঞ্জ শহরের আরফিন নগরে। খুব সাদামাটা এক বাড়িতে সংরক্ষিত শেষ স্মৃতিচিহ্নগুলো নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি জাদুঘর, যা আপনাকে নিয়ে যাবে উনিশ শতকের শুরুর দিকের সেই সময়টাতে। ছোটখাটো কিন্তু সংরক্ষণের জন্য অনন্য সব জিনিস আপনাকে মুগ্ধ করবে নিশ্চিত। রাজার আয়েসি জীবন থেকে শুরু করে আপনি দেখতে পাবেন কবি জীবনের সব সংগ্রহ। বাদক যন্ত্র থেকে রাজার জমিদারি ম্যাপকী নেই সেই সংগ্রহে! আছে রাজার খড়মসহ ব্যবহার্য জিনিসপত্র। ঘরের এবং ঘরের বাইরের সব সংগ্রহের পাশাপাশি অবস্থান পেয়েছে বিশিষ্টজনের সঙ্গে রাজার সাক্ষাৎ ও দর্শনার্থীদের ভ্রমণের বিশেষ কিছু ছবি। এসব দেখতে দেখতে আপনি রাজার সেই আমলে ফিরে যাবেন; কল্পনার তুলিতে আঁকতে চাইবেন রাজার জীবন দর্শন। কীভাবে একজন রাজা একাধারে এত বড় রাজ্য শাসনের পাশাপাশি কবিতা ও গানের সঙ্গে নিজের জীবনবোধকে সাধনার রাজ্যে নিবিষ্ট করেছিলেন। কী ছিল তাঁর জীবন দর্শন?

এই মরমি সাধককে নিয়ে আজ দেশ-বিদেশে চলছে বিস্তর গবেষণা, তাঁর জীবনের বোধ কি এত সহজেই আবিষ্কার করা সম্ভব? না, তবে যেটুকু দেখে ফিরলেন তাতে হাসন রাজা সম্পর্কে জানার আগ্রহটা আরো বাড়িয়ে দেবে আপনার। সুনামগঞ্জের এই জাদুঘরের পাশাপাশি আপনি হাসন রাজা সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে অন্য একটা মিউজিয়ামও ঘুরে আসতে পারেন। সিলেট শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই মিউজিয়ামের নাম রাজাস মিউজিয়াম। এটা শহরের জিন্দাবাজার এলাকায় অবস্থিত।

সুনামগঞ্জে এসেছেন আর কী দেখবেন? রাজার বাড়ি দেখার পর শহরটা ঘুরে দেখতে চাইলে বিকেলের শেষ দিকে আপনি ঘুরে আসতে পারেন অনিন্দ্য সুরমা নদীর ওপর নবনির্মিত আবদুজ জহুর সেতু থেকে। সুনামগঞ্জের যোগাযোগব্যবস্থার বিপ্লব বললেও ভুল হবে এই সেতুকে। সুরমা নদীর দুই পাড়ের জনপদের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপনকারী এই সেতুতে বিকেলের নিরিবিলি সময়টা কাটাতে পারলে আপনার অন্যতম একটি বিকেল হবে সেটি। বিশম্ভরপুর, তাহিরপুর আর জামালগঞ্জের সঙ্গে যোগ হওয়া এই সেতু থেকে পানিবেষ্টিত সুনামগঞ্জ শহর আর এর আশপাশের সবুজ প্রকৃতি আপনাকে বিমোহিত করবে। এর পর সন্ধ্যার আগে আগে রিকশা নিয়ে চলে যান শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সরকারি জুবিলী স্কুল দেখতে। অনেক জ্ঞানী-গুণীর বিদ্যাপীঠ এটি। জুবিলী স্কুলের পাশে রিভারভিউ পর্যটন কেন্দ্রটি আপনাকে দেবে অন্যরকম ভালোলাগা। সন্ধ্যার পর এখানে বসে কাটিয়ে দিতে পারেন কিছুটা সময়। বোনাস হিসেবে পাবেন দূরের পাহাড়ে মিটমিট আলো জ্বালানো ভারতের বেশ কিছু শহরের জেগে থাকার মনোরম দৃশ্য। নিশ্চিতভাবে আপনার ভ্রমণান্দ বাড়িয়ে দেবে অলস বসে থাকা এই সময়টা।

একদিনের জন্য সুনামগঞ্জ এলে এর বাইরে শহরের এদিক-সেদিক একটু ঘুরতেই আপনার দিন শেষ হবে। ভ্রমণ লম্বা করতে চাইলে দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান টাঙ্গুয়া দেখতে পারেন। দেখতে যেতে পারেন নারায়ণ তলা বর্ডার হাট। তবে হাট বসে মাত্র মঙ্গলবার। যেতে হলে লাগবে জেলা প্রশাসনের অনুমতি। টাঙ্গুয়া দেখতে শীত আর বর্ষা মৌসুম সবচেয়ে ভালো সময়। এর পাশাপাশি সময় থাকলে যাদুকাটা আর টেংরাটিলাও ঘোরা যেতে পারে। তবে সব কটি স্থানে যেতে আপনাকে ব্যয় করতে হবে বেশ সময়। সঙ্গে গুনতে হবে বেশকিছু খরচাপাতি। শহরের বাইরে যেখানেই যেতে চান, আপনাকে সময় জেনে আসতে হবে। তবে পানি ঘেরা সবুজে আচ্ছাদিত সুনামগঞ্জ শহর ঘুরতে চাইলে সময়ের বাধা নেই। তবে বর্ষা মৌসুমে সুনামগঞ্জ গেলে আপনি বোনাস হিসেবে পাবেন যাওয়ার পথে দুই পাশে পানিবেষ্টিত গ্রাম আর মাতাল হাওয়ার মতো ঢলানো স্মৃতি। যেতে যেতেই আপনার কাছে অনেকটাই আবিষ্কৃত হয়ে যাবে এখানের সৌন্দর্য। দূরের পথ পাড়ি দেওয়ার ক্লান্তিটা ঝেড়ে ফেলেই আপনি প্রবেশ করবেন ছোট ছোট দালানকোঠা আর জাঁকজমকহীন এ শহরে।

কীভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে সুনামগঞ্জ যেতে হবে। মাঝপথে সিলেটে নেমে ক্লান্তি দূর আর খাওয়া-দাওয়া সেরে নিতে পারেন রেস্তোরাঁসমৃদ্ধ সিলেট নগরীতে। এখান থেকে সুনামগঞ্জ যেতে বাস ও কার দুটোই পাবেন। বাসের জন্য যেতে হবে কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে আর কারে চড়তে চাইলে শাহজালাল (রহ.) মাজার গেটের পাশ থেকে যেতে পারবেন সুনামগঞ্জ শহরে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত পরিবহন ব্যবহার করতে পারেন। রাস্তা বেশ ভালো। বাসে গেলে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা, আর কারে যেতে লাগবে এক ঘণ্টার কমবেশ। শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নামিয়ে দিলে রিকশা কিংবা বিদ্যুৎ চালিত অটোরিকশা মিলবে সহজেই। শহরের অন্য যেকোনো জায়গায় যেতেও মিলবে এসব যানবাহন।

থাকা-খাওয়া: সার্কিট হাউস বা সরকারি ডাকবাংলোর পাশাপাশি আপনি থাকার জন্য হোটেল পাবেন বটে, তবে রাজার দেশে নেই কোনো রাজকীয় হোটেল-মোটেল! দেখেশুনে থাকতে পারবেন। তবে আয়েশ করে থাকাটা হবে না। তাই বলে একেবারে বাসের অযোগ্য নয়। ছোট-বড় হোটেলে দিন কয়েক অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারবেন। তেমন অসুবিধা হবে না। খাবারের জন্য আছে নদীর পাড়ে মাছে ভরা খাবারের দোকান। চাইলে তাজা মাছের স্বাদ পাবেন এখানে। থাকা আর খাওয়ার জন্য দামি হোটেল না থাকলেও বিলাসহীন পরিশুদ্ধ সব আতিথেয়তা আপনাকে মুগ্ধ করবে।


আরও খবর



হিথরো বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী ২ উড়োজাহাজের সংঘর্ষ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় হিথরো বিমানবন্দরে দুটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উড়োজাহাজ দুটির পাখা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অল্পের জন্য বেঁচে যান অন্তত ১২১ যাত্রী। রোববার (৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, শনিবার স্থানীয় সময় সকালের দিকের বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাছে রানওয়েতে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বোয়িং ৭৮৭-৯ সিরিজের উড়োজাহাজ ও ভার্জিন আটলান্টিক এয়ারলাইনসের  উড়োজাহাজের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে  ১২১ যাত্রী থাকলেও ভার্জিন এয়ারলাইনসে কোন যাত্রী ছিল না। 

এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ বলেছে, আমাদের উড়োজাহাজের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে। যাত্রীদের যেন অসুবিধা না হয়, তাই আমরা আরেকটি বিকল্প ফ্লাইট দিয়েছি।

অন্যদিকে, ভার্জিন আটলান্টিকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আমরা একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করেছি। আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং দল উড়োজাহাজের মেইনটেন্যান্স পরীক্ষা করে দেখছে।

হিথরো বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র জানান, কোনো যাত্রী আহত হননি। তবে এ ঘটনায় বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা বিঘ্ন ঘটতে পারে। জরুরি সেবা বিভাগসহ অন্য অংশীজনেরা এ নিয়ে কাজ করছে।


আরও খবর



জয়পুরহাটে ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের বালুবোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় মাহবুব হোসেন (৩৫) এক মোটরসাইকেল আরোহী মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাঁচবিবি  উপজেলার দানেজপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহবুব হোসেন পাঁচবিবি উপজেলার দানেজপুর গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে।

পাঁচবিবি থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, মাহবুব হোসেন একজন দুধ ব্যবসায়ী। তিনি বিভিন্ন এলাকার গরুর খামার থেকে দুধ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি উদ্দেশ্য নিয়ে যাচ্ছিলেন পথে একটি বালুবোঝাই ট্রাক্টর মোটরসাইকেলেটিকে সামনের থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ওসি আরও জানান, স্থানীয়রা ট্রাক্টরটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যান। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ফল বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট এবং চারুকলা ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রকাশ করা হবে।

বুধবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশাসনিক ভবনে অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল প্রকাশ করবেন।


আরও খবর



বিদ্যুতের মিটার চুরি করে রেখে যায় ফোন নম্বর, টাকা দিলে ফেরত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

প্রথমে রাতের অন্ধকারে বিদ্যুতের মিটার চুরি। পরে ওই স্থানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় একটি কাগজ। কাগজে লেখা থাকে মুঠোফোন নম্বর। পরে ওই নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে চাহিদামতো টাকা পাঠানো হলে চুরি হওয়া মিটারটি আবার মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

নাটোরে লালপুরে অভিনব কায়দায় রাতের আঁধারে দশটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা যোগাযোগের জন্য চিরকুটে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে গেছে। ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে ভুক্তভোগীদের কাছে টাকা দাবি করেছে তারা।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরের দিকে লালপুর উপজেলার কলসনগর, সাতপুকুরিয়া, চাঁদপুর, ভবানীপুর, কালুপাড়া ও বিভাগ গ্রামে এঘটনা ঘটে।এভাবে চুরির ঘটনায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী আমিরুল ও বাচ্চু বিশ্বাস জানান, ভুক্তভোগীদের রাইস মিল ও কাঠ মিল থেকে রিডিং মিটার রাতের অন্ধকারে চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বত্তরা। এবং প্রত্যেকের চুরি হওয়া মিটারের ফাঁকা জায়গায় একটি চিটকুটে লিখে যায়। সেখানে লেখা ছিল- এই মিটার নিতে হলে এই নম্বরে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে। সকালে মিটার চুরি হয়ে যাওয়ার স্থান থেকে প্রাপ্ত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে ওই মিটারের জন্য ৮ হাজার টাকা বিকাশ করলে মিটার ফেরত দেয়ার কথা জানায় দুর্বৃত্তরা।

এবিষয়ে কথা বলতে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ লালপুর জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল করিম খানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে লালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, মিটার চুরির অভিযোগ আসেনি আমার কাছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


আরও খবর



ড. ইউনূসের স্থায়ী জামিন হয়নি, মেয়াদ বাড়িয়েছেন ট্রাইব্যুনাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। তবে ওই মামলায় ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আদালত। আগামী ২৩ মে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন পর্যন্ত তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। এসময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। এরপর বেলা ১১টায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন ড. ইউনূস।

এর আগে গত ৩ মার্চ ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আজ (১৬ এপ্রিল) দিন ধার্য করেন আদালত। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানির জন্য আসে।

এই মামলায় ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।


আরও খবর