গাজীপুরের কালিয়াকৈরের
কোনাবাড়ীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৩৬ জনের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জনের
অবস্থা খুবই খারাপ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল
সেন।
বুধবার (১৩
মার্চ) সিলিন্ডার থেকে বের হওয়া গ্যাসে আগুন লেগে উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় ৩৬ জন দগ্ধ
হন। দগ্ধদের মধ্যে ৩৪ জনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে
ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন— নাদীম (২২), নীরব (১০), সুফিয়া (৯), মিরাজ(১৩), তারেক রহমান, সোলায়মান
(৯) আইসিইউতে আছেন, লালন (২৩), নাঈম (৮) আইসিইউতে ভর্তি, শিল্পী (৪০), ইয়াসিন আরাফাত
(২১), সুমন (২৬), মুহিদুল (২৭) আইসিইউতে ভর্তি, মুন্নাত (১৮) পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে
ভর্তি, রাব্বি (১৩) পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি, নার্গিস(২৫) সাদিয়া খাতুন (১৮),
জহিরুল (৩২) পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি,
আরিফ (৪০) আইসিইউতে ভর্তি, রত্না বেগম (৪০), তাইবা (৫), মনসুর আলী (৩০), নূরনবী
(৩) ১০%, রহিমা (৩), কবীর (৩০), কুদ্দুস (৪৫), তৌহিদ (৭), সোলায়মান মোল্লা (৪৫) ৯৫%,
মশিউর (২২), লাদেন (২২), কমলা খাতুন (৬৫), নিলয় (৩), বাশার (৪৫), মো. ফেরদৌস (১৯),
আজিজুল (২৪), সুমি (১৯), মোতালেব (৪০)।
আহতদের দেখতে
গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসাধীন কেউই শঙ্কামুক্ত নন। তাদের মধ্যে ৮ থেকে ১০
জনের অবস্থা খুবই খারাপ। কারো ৯০ শতাংশ, কারও ১০০ শতাংশই পুড়ে গেছে। অগ্নিদগ্ধ ৭ শিশুর
কেউই শঙ্কামুক্ত নয়। সবারই শ্বাসনালি পুড়েছে। পোড়া রোগীদের জন্য সরকারের যা করার
দরকার সবই করা হবে।
এলাকাবাসী ও
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তেলিরচালা টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামের
এক ব্যবসায়ী জমি ভাড়া নিয়ে কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। ওই বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের
গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের একটি দোকান থেকে শফিকুল নিজেই একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে
আনেন। সেই সিলিন্ডার লাগানোর সময় চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। তখন
ওই ব্যক্তি গ্যাস সিলিন্ডারটি ছুড়ে মারেন। এ সময় আশপাশের উৎসুক নারী, পুরুষ ও শিশুদের
শরীরে আগুন লেগে যায়।
এ ঘটনায় গাজীপুর
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন জানান, সংবাদ পাওয়ার পরপরই
ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের টিম যায়। সেখানে গিয়ে দগ্ধ কাউকে পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস
যাওয়ার আগেই দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।