আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

গলাচিপায় জেলের জালে ধরা পড়ল ২০ মণের শাপলা পাতা মাছ

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৭ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পটুয়াখালীর গলাচিপা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২০ মণ ওজনের একটি শাপলা পাতা মাছ। রোববার (২৭ মার্চ) মাছটি কেটে ৫০০ টাকা কেজি দরে প্রায় ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এর আগে একই দিন দুপুরে মাছটি বিক্রির জন্য গলাচিপা মাছ বাজারে বিক্রি নিয়ে আসা হয়। এ সময় মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরের দিকে গলাচিপা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে স্থানীয় জেলে নাসির হাওলাদারের জালে মাছটি ধরা পরে। পরে দুপুরে তিনি মাছটি গলাচিপা মাছ বাজারের ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিনের কাছে পাইকারি দরে বিক্রি করে দেন। পরে শাহাবুদ্দিন মাছটি কেটে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। এর আগেও শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়লেও এটাই সবচেয়ে বেশি ওজনের মাছ বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।  

জেলে শাহাবুদ্দিন জানান, মাছটি সাগর থেকে ট্রলারে তুলতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। মাছ ট্রলারে তোলার পর গলাচিপা নিয়ে আসি। সাগর থেকে এটি নিয়ে আসতে প্রায় ৬ ঘণ্টা সময় লেগেছে। মাছটির দামও মোটামুটি ভালো পেয়েছি।

ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন জানান, এত বড় শাপলাপাতা মাছ আগে কখনো দেখিনি। মাছটি আড়তে পৌঁছানের সঙ্গে সঙ্গেই অনেক উৎসুক জনতা এটি দেখতে ভিড় জমায়। পরে এটি কাটার কিছুক্ষনের মধ্যেই বিক্রি হয়েছে। তবে এত বড় মাছ কাটতে অনেক সময় লেগেছে।

গলাচিপা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জহিরুন্নবী বলেন, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ২০১২ আইন অনুসারে শাপলা পাতা মাছ ধরা ক্রয় বিক্রয় করা নিষেধ। শাপলা পাতা মাছ সাধারণত সমুদ্র এলাকায় পাওয়া যায়। তবে এসব বড় শাপলা পাতা মাছের জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে অভয়াশ্রম করা গেলে সেগুলো নদীতে সহজে বংশ বিস্তার করতে পারত।

নিউজ ট্যাগ: শাপলা পাতা মাছ

আরও খবর



স্বামী-সন্তানকে নিয়ে রামলালা দর্শনে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গত সপ্তাহে ভারতে এসেছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। বেশ লম্বা একটা সময় পর দেশে ফিরলেন অভিনেত্রী। মেয়ে মালতী মেরি চোপড়াকে নিয়ে প্রথমে একাই আসেন প্রিয়ঙ্কা। তার দিন দুয়েকের মাথায় আসেন স্বামী নিক জোনাস। তার পরই মা মধু চোপড়াকে নিয়ে তিন জনে মিলে গেলেন অযোধ্যা রামলালার মন্দিরে। পুজো দিলেন, দর্শন করলেন রামলালার।

প্রিয়ঙ্কার পরনে হলুদ শাড়ি, কোলে ছোট্ট মালতী। সে-ও পরেছে ফুলছাপ চুড়িদার, নিকের পরনে কুর্তা-পাজামা। অযোধ্যার মন্দির দর্শন করতে যান দেশি গার্ল। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবেও আমন্ত্রিত ছিলেন। কিন্তু সেই সময় দেশে থাকতে না পারায় সেই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি প্রিয়ঙ্কাকে। তবে দেশে ফেরার তিন দিনের মাথায় রামলালার আশীর্বাদ নিতে গেলেন প্রিয়ঙ্কা। হাতে ১০ দিনের সময় নিয়ে এসেছেন তিনি। হাতে বেশ কিছু নতুন প্রজেক্টের কাজ নিয়ে এসেছেন। তবে ছবির কাজ নয়, বরং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচারের কাজে এসেছেন। কিন্তু এর মাঝেই বলিপাড়ার পরিচালকদের বাড়িতে ঢুঁ দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি ফারহান আখতারের বাড়িতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ফারহানের বাড়িতে তাঁকে দেখা মাত্র শুরু হয়েছে জল্পনা। নেটপাড়ার একাংশের সন্দেহ জি লে জ়ারা ছবি নিয়ে কি তবে কথাবার্তা এগোলেন প্রিয়ঙ্কা, না কি নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ?


আরও খবর



আফগানিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ৩, আহত ১২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় তিনজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি।

গত ১১ মার্চ মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। তালেবান কর্মকর্তারা কয়েকটি বিস্ফোরণের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল হলেও দেশটির সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা কয়েক দশক ধরে তালেবান আন্দোলনের শক্ত ঘাঁটি কান্দাহার শহরে বসবাস করছেন।

কান্দাহার প্রদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক ইনামুল্লাহ সামানগানি বলেন, একটি আত্মঘাতী হামলায় তিনজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে কান্দাহার শহরের নিউ কাবুল ব্যাংকের শাখার বাইরে অপেক্ষমাণ একদল লোককে লক্ষ্য করে এ বিস্ফোরণ ঘটে।

তিনি বলেন, মানুষজন সেখানে বেতন নিতে জড়ো হয়েছিলেন।


আরও খবর
মিঠুনকে বিশ্বাসঘাতক বললেন মমতা

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ঈদে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ১৪ কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

এবার ঈদের ছুটিতে (৯ থেকে ১৩ এপ্রিল) পদ্মা সেতু হয়ে ৪৬ হাজার ৫৫৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকা।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার গত বছরের তুলনায় কমেছে। কমেছে টোল আদায়ও। গত ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।

এ বছরের হিসাবে যানবাহন কমেছে ১৭ হাজার ২২৫টি। টোলের পরিমাণও কমেছে গত বছরের তুলনায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৫০ টাকা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৫০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে এ পাঁচ দিনে টোল আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৫৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পাঁচ দিনে যথাক্রমে ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৫০ টাকা।

গত বছরের তুলনায় যানবাহন ও টোল আদায়ের পরিমাণ কম হলেও এবার ঈদের আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড হয়।

নিউজ ট্যাগ: পদ্মা সেতু

আরও খবর



সিজার করতে গিয়ে কাটলো জরায়ু, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর কল্যাণপুর ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সিজার করতে এসে অপারেশন টেবিলে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের দাবি কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে পলি সাহা নামে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এমনকি মৃত্যু ঘোষণার ৬ ঘণ্টা পেরোলেও ডেথ সার্টিফিকেট না দেওয়ায় লাশ বাড়ি নিতে পারছেন না তারা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে এসব কথা বলেন মারা যাওয়া পলি সাহার স্বামী মুন্না ও তার স্বজনরা। এর আগে বিকেল ৪টায় কল্যাণপুর ইবনে সিনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করে।

জানা গেছে, গত সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে প্রসবজনিত সিজার করাতে স্ত্রীকে নিয়ে ইবনে সিনা হাসপাতালে আসেন স্বামী মুন্না। এরপর অপারেশন করতে গিয়ে কাটা হয় রোগীর জরায়ু। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং সেই অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক হলে মঙ্গলবার বিকেল চারটায় পলি সাহাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

স্ত্রীর মৃত্যু প্রসঙ্গে মুন্না বলেন, গত সোমবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে আমার স্ত্রী পলিকে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। এরপর ডাক্তার আমাদেরকে জানায় রোগী এবং নবজাতক উভয়েই ভালো আছে। বিকেল ৫টার দিকে যখন তাদেরকে পোস্ট অপারেটিভ রুমে নিয়ে আসা হয়, তখন কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে সার্বিক অবস্থা জানতে চাইলে তারা জানায় রোগী ভালো আছে, তবে কিছুটা ব্লিডিং হচ্ছে।

পলি সাহার স্বামী বলেন, সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার দিকে যেই চিকিৎসক সার্জারি করেছেন, তিনি এসে দেখেন এবং রোগীর জন্য এক ব্যাগ রক্ত লাগবে বলে জানান। এরপর রাত ৯টার দিকে আমি আবার এসে রোগীর অবস্থা জানতে চাই, তারা জানায় রোগীর ব্লিডিং এখন আগের চেয়ে কমেছে, এটা নিয়ে আপাতত কোনো শঙ্কা নেই। তবে শঙ্কা হলো ব্লাড প্রেশারটা কেন কমছে, সেটা নিয়ে। এভাবেই রাত ১টা পর্যন্ত সময় গড়ায়। যখনই কথা বলি, সে (পলি) বারবার বলতে থাকে তার ব্লিডিং হচ্ছে এবং অস্থির লাগছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত চিকিৎসককে জানাই, তারা বলেন ব্লিডিং এখন কমে গেছে। আমরা এখন রোগীর ব্লাড প্রেশার নিয়ে চিন্তিত। এরপর রাতে আর আমাকে রোগীর সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, যে চিকিৎসক সার্জারি করেছিলেন তিনি আমাকে ফোন করে বলেন রোগীর অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে, আইসিইউতে নিতে হবে। এর ১০ মিনিট পরই তিনি আবার আমাকে বলেন রোগীর ব্লিডিংটা ইন্টারনাল কোথাও হচ্ছে কি না, সেটা দেখার জন্য আরেকটা সার্জারি করতে হবে। তখন অলরেডি আমার রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ। সে অক্সিজেন পাচ্ছিল না, হার্টবিট পাচ্ছিল না। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ পার্সেন্ট কোমায় চলে গেছে। ওই অবস্থায় তাকে আবার নতুন করে সার্জারি করা হয়।

মুন্না অভিযোগ করে বলেন, সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসকরা জানান রোগীর জরায়ু কাজ করছে না, এজন্য ব্লিডিং হচ্ছে। তাকে বাঁচাতে হলে জরায়ু কেটে ফেলতে হবে। তারপর আমি সম্মতি দিলে তার জরায়ু কেটে ফেলা হয়। একপর্যায়ে মঙ্গলবার দুপুর ১টায় আমাকে জানায় পেশেন্টের সিভিয়ার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, আমাদের আর কিছুই করার নেই। সবশেষে বিকাল ৪টার দিকে আমার স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক হাসপাতালটির প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শারমিন মাহমুদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার বিষয়টি অস্বীকার করেন ইবনে সিনা হাসপাতালের কাস্টমার কেয়ার শাখার কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, রোগীর অবস্থা এমন একটা পর্যায়ে ছিল যে তাকে বাঁচাতে হলে তখন জরায়ু কাটা ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না। সেসময় রোগীর স্বামীর মৌখিক এবং লিখিত সম্মতি নিয়ে জরায়ু কাটা হয়। মূলত রোগীর ব্লিডিং বন্ধ করার জন্য চিকিৎসকদের আর কিছুই করণীয় ছিল না। সুতরাং এখানে অপারেশন করতে গিয়ে জরায়ু কেটে ফেলা হয়েছে; এটা পুরোপুরি ভুল অভিযোগ।

তিনি বলেন, রোগীর মৃত্যুর পর তার স্বামী-স্বজনসহ কর্তব্যরত চিকিৎসকদের নিয়ে বসা হয়েছে। ওনাদেরকে সব বিষয় সুন্দর করে বুঝানো হয়েছে। এমন একটা ক্রিটিক্যাল পরিস্থিতিতে রোগীর মৃত্যু হতেই পারে। কোনো চিকিৎসক কখনোই চান না তার হাতে একটা রোগীর মৃত্যু হোক। এটা নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই।

হাসপাতালের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, রোগীর পরিবার চাইলে এসে লাশ নিয়ে যেতে পারেন। এখানে নিয়মমাফিক একটি বিল করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে কেউ আমাদের কাছে আসেনি। বিল প্রদান সংক্রান্ত কোনো সমস্যাও যদি হয়, তাহলে আমরা মনে করি এটি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।


আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট, ম্যানেজার অপহরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি দল সোনালী ব্যাংকের ভোল্ট ভেঙে দেড় থেকে ২ কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃংখলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র লুট এবং ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে মসজিদ থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংক পিএলসির শাখায় এ ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার হাতিমাথা পাড়া এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্টের (কেএনএফ) একটি দল ব্যাংকে এবং অপর একটি দল বিচ্ছিন্নভাবে মসজিদ ও উপজেলা অফিসার কোয়ার্টারে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা ব্যাংকের ভোল্ট ভেঙে নগদ টাকা লুট করেন। দেড় থেকে দুই কোটি টাকা লুট হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এরপর সশস্ত্র  সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ১০টির মতো অস্ত্র লুট করে এবং তারাবির নামাজ চলাকালে মসজিদ থেকে রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের সামনে অফিসার্স কোয়ার্টারে প্রবেশ করে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো. সাইফুল ইসলামকে জিম্মি করে বিভিন্ন কাজের রক্ষিত টাকাও নিয়ে যায়।

রুমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের টাকা ও নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় তারা ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করেছে।

এ বিষয়ে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভূমি) মো. দিদারুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাব।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোনালী ব্যাংক বান্দরবান জেলা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার রাজন কান্তি দাশ বলেন, ঘটনা জানতে পেরেছি। ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করতে পারিনি। এখন বিস্তারিত কিছুই বলতে পারছি না।

বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী বলেন, ব্যাংকের টাকা লুট, অস্ত্র ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাব।


আরও খবর