আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

গ্ল্যামার জগতে পা রাখলেন শচীনকন্যা সারা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাবা কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার। ভারতীয় এ তারকার আদুরে কন্যা সারা টেন্ডুলকার। তারকার সন্তানেরা সাধারণত অন্তর্জাল শাসন করেন। সারাও ব্যতিক্রম নন। লন্ডন কলেজ থেকে ওষুধশাস্ত্রে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর, এবার মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখলেন সারা টেন্ডুলকার। সম্প্রতি এক পোশাকের ব্র্যান্ডের হাত ধরে গ্ল্যামার জগতে পা রাখেন এ স্টার কিড।

এরই মধ্যে ইনস্টাগ্রামে সারার অনুসরণকারীর সংখ্যা ১৬ লাখের বেশি। প্রচারের আলোয় থাকা সারা বারবার নজর কাড়েন তাঁর স্টাইল ও ফ্যাশন-সেন্সের কারণে।

সারা যখন মুম্বাইয়ের ধীরুবাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়তেন, তখনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন তরঙ্গ তোলেন। সারল্য ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের কারণে সারা জয় করেছেন অসংখ্য অনুরাগীর মন। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিল, বলিউডে পা রাখছেন। তবে সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছিলেন বাবা শচীন।

সারার সঙ্গে ভিডিওতে রয়েছেন আরও দুই মডেল বনিতা সাঁধু ও তানিয়া শ্রফ। সারা ভিডিও শেয়ার করতেই নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

বর্তমানে মুম্বাইয়ে পরিবারের সঙ্গে থাকেন সারা। প্রায়ই গুঞ্জন শোনা যায়, তিনি ক্রিকেটার শুভমান গিলের সঙ্গে প্রেম করছেন।

১৯৯৫ সালের ২৪ মে অঞ্জলি মেহতাকে বিয়ে করেছিলেন ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। তাঁদের দুই ছেলেমেয়েসারা ও অর্জুন।


আরও খবর



লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন উর্বশী রাউতেলা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতে নির্বাচনের আগে শোবিজ ভুবনের তারকারা দলে দলে রাজনীতির খাতায় নাম লেখান। দীর্ঘদিন ধরে এমনটাই দেখা যাচ্ছে।

এদের মধ্যে ভোটের মাঠে কেউ জেতেন কেউ আবার পরাজিত হন। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ ভারতকে পথপ্রদর্শক বলেন কেউ কেউ। বিভিন্ন সময় বিনোদন জগতের তারকা এসেছেন রাজনীতিতে। এর সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত ছিলেন এমজি রামচন্দ্রন, জয়ললিতা, বৈজন্তিমালা, শিবাজি গণেশন, কমল হাসনেরা।

ভারতে নির্বাচনে পিছিয়ে নেই বলিউড ও টালিউড তারকারা। গত কয়েক বছর বাংলা সিনেমার সেরা সব তারকা নেমেছেন রাজনীতির ময়দানে। এদের মধ্যে থেকে সাংসদ, বিধায়কও হয়েছেন কেউ কেউ।

আসছে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষের মতো অভিনেত্রীরা। ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রির তারকারাও নেমেছেন রাজনীতির ময়দানে। এবার নয়া চমক। নির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উর্বশীকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি ভোটে দাঁড়ানোর কোনো প্রস্তাব কোনো দলের থেকে পেয়েছেন? অভিনেত্রী সহাস্যে জবাব দেন, হ্যাঁ, টিকিট পেয়েছেন। তবে কোন দল, তা তিনি প্রকাশ করেননি।

এ প্রসঙ্গে উর্বশী বলেন, আমি টিকিট পেয়ে গিয়েছি। এবার আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমি রাজনীতিতে নামব কি না। আমি এতদিন আমার ভক্তদের জন্য সব করেছি। এবারও তারাই বলুন, আমার কী করা উচিত। তবে রাজনীতিতে যোগ দিলে সৎ রাজনীতিক হব।

উর্বশী প্রায়-ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তুমুল আলোচনায়-সমালোচনায় থাকেন। কখনো তিন কোটি টাকার সোনার কেক কেটে, কখনো আবার ঋষভ পান্থের সঙ্গে প্রেম গল্পের কারণে। বর্তমানে তার হাতে সিনেমার কাজ নেই। কিন্তু সব সময়ই আলোচনায় সবর থাকেন।

নিউজ ট্যাগ: উর্বশী রাউতেলা

আরও খবর



ঈদে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ১৪ কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

এবার ঈদের ছুটিতে (৯ থেকে ১৩ এপ্রিল) পদ্মা সেতু হয়ে ৪৬ হাজার ৫৫৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকা।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার গত বছরের তুলনায় কমেছে। কমেছে টোল আদায়ও। গত ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।

এ বছরের হিসাবে যানবাহন কমেছে ১৭ হাজার ২২৫টি। টোলের পরিমাণও কমেছে গত বছরের তুলনায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৫০ টাকা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৫০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে এ পাঁচ দিনে টোল আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৫৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পাঁচ দিনে যথাক্রমে ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৫০ টাকা।

গত বছরের তুলনায় যানবাহন ও টোল আদায়ের পরিমাণ কম হলেও এবার ঈদের আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড হয়।

নিউজ ট্যাগ: পদ্মা সেতু

আরও খবর



মালয়েশিয়ায় ১৯ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মালয়েশিয়ার জোহর বারু এলাকায় নির্মাণাধীন একটি স্থাপনায় অভিযান চালিয়ে ১৯ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। শুক্রবার (২২ মার্চ) জোহর বারুর ওই এলাকা থেকে বাংলাদেশিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ১৩৭ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।

দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য স্টারের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। জোহর বারুর অভিবাসন বিভাগের পরিচালক বাহারুদ্দিন তাহির বলেছেন, মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় শুক্রবার ১২টা ৩৮ মিনিটের দিকে জায়া পুত্র এলাকায় অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

‌‌ওই এলাকায় অনেক অভিবাসীর উপস্থিতি সম্পর্কে জনসাধারণের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে অভিবাসন বিভাগ।

এক বিবৃতিতে বাহারুদ্দিন তাহির বলেছেন, এই অভিবাসীরা ১২টি রুমাহ কংসির ভেতরে বসবাস করছিলেন; যেখানে দুই শতাধিক কক্ষ রয়েছে। আমাদের আইন প্রয়োগকারী কর্মীরা এসব কক্ষে তল্লাশি চালিয়েছে।

তিনি বলেন, সেখানে অভিযানের সময় ২১৯ জনের মতো অভিবাসী ও একজন স্থানীয় বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের মধ্যে ১৩৭ জন অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত।

জোহর বারুর এই অভিবাসন কর্মকর্তা বলেছেন, আটককৃতদের মধ্যে ৯৮ জন ইন্দোনেশীয়, ১৭ জন বাংলাদেশি, ১৬ জন মিয়ানমারের, দুই ভিয়েতনামি ও দুই পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছেন। তিনি বলেছেন, অবৈধ এই অভিবাসীদের মধ্যে ২০ জন নারী।

আটককৃতদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে বলে জানিয়েছেন তিনি। বাহারুদ্দিন বলেন, বিস্তারিত তদন্তের জন্য এই অভিবাসীদের বর্তমানে সেটিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।


আরও খবর
মিঠুনকে বিশ্বাসঘাতক বললেন মমতা

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




দুপুরের মধ্যে ২ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ২ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, ফেনী ও বান্দরবান জেলা এবং বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।


আরও খবর



মর্গ থেকে মরদেহ বাড়িতে নেওয়ার টাকাও নেই ইকবালের পরিবারের

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ষাটোর্ধ্ব মা সুফিয়া বেগম এখন নির্বাক। ঢাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া শ্রমিক ইকবাল হোসেনের মৃত্যুতে শুধু কাঁদছেন আর বুক চাপড়াচ্ছেন মা। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঘটনাটি জানার পর থেকেই কোনো দানাপানি মুখে নেননি তিনি। ছেলে যে আর ফিরবে না এটা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তিনি। কথা ছিল ঈদের ছুটিতে ছেলে বাড়িতে আসবে। সেই আসা আসবেই। কিন্তু জীবিত নয়, লাশ হয়ে।

সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ইউটার্ন নির্মাণের জন্য সড়কে রাখা সিমেন্টের পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় একটি তেলবোঝাই লরি। এ সময় তেল বোঝাই লরিটিতে আগুন জ্বলে উঠে। এ সময় পাশে এবং পেছনে থাকা একটি প্রাইভেটকারসহ আরও চারটি গাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের লেবার ইকবাল হোসেন। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ৮ জনকে উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

নিহত ইকবালের বাড়ি যশোরের চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের বর্ণি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে। বর্তমানের ইকবালের নিথর দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

হতদরিদ্র পরিবারের ইকবাল বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গ্রামে দীর্ঘদিন ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ায় বছর খানেক আগে বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে পাড়ি দেন রাজধানী ঢাকার সাভারে। সেখানে বিভিন্ন পরিবহনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। স্ত্রী মঞ্জুয়ারাও স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।

১০ দিন আগে পাঁচ বছর বয়সী ইকবালের ছোট মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি চৌগাছায় আসেন মা সুফিয়া বেগম। কথা ছিল ঈদের দুইদিন আগে ছুটি নিয়ে স্ত্রী ও বড় মেয়েকে নিয়ে গ্রামে আসবেন। কিন্তু ঈদের ছুটিতে নয়, জীবনের মতো ছুটি নিয়ে ফিরছে ইকবালের নিথর দেহ।

ইকবালের মা সুফিয়া বেগম আহাজারি করতে করতে বলেন, আমার ছেলেটা জন্ম থেকেই কষ্ট করেছে। অনেক দেনাদায়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। তাই বছর খানিক আগে তার উপার্জনের ভ্যানটা বিক্রি করে সবাইরে নিয়ে ঢাকায় গেছিল। সেখানে একটা বস্তিতে বাসা ভাড়া নিয়ে সবাই একসঙ্গে থাকছিলাম। আমিও সেখানে থাকি। ঈদে আমাদের সবার গ্রামে আসার কথা ছিল, কিন্তু ঈদের সময় গাড়ি পাওয়া যায় না। তাই ইকবালের ছোট মেয়েডারে নিয়ে আমি ১০ দিন আগে গ্রামে এসেছি। ঈদের দুইদিন আগে ইকবাল তার বউ মেয়েরে নিয়ে গ্রামে আসার কথা ছিল।

ইকবালের ছোট মেয়েকে কোলে নিয়ে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে তিনি বলেন, ও আল্লাহ আমরা ইকবালরে কই নিয়ে গেলা। ইকবালের বদলে আমারে নিতে পারতা। এখন আমাদের কী হবে। তার বউ বাচ্চাদের কী হবে। এই তোমার বিচার?

মঙ্গলবার বিকেলে ইকবালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আত্মীয়-স্বজনের মাতম চলছে। তাদের কান্নায় প্রতিবেশী ও উপস্থিত কেউই কান্না ধরে রাখতে পারছিলেন না। সবাই তার ছোট মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছেন। তাকে ঘিরেই নানা সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন ইকবালের প্রতিবেশী স্বজনেরা।

ইকবালের প্রতিবেশী স্থানীয় স্কুলশিক্ষক আরিফুজ্জান বলেন, ইকবালরা দুই ভাইবোন। তার একটা বোন, বিয়ে হয়ে গেছে। হতদরিদ্র পরিবারে ইকবালই উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। দেনার কারণে সপরিবারে ঢাকায় গেছিলেন। কিন্তু তার সেই দেনা পরিশোধ হওয়ার আগেই মৃত্যু হলো। এখন তার পরিবারের কী হবে?

তিনি জানান, ইকবালের মরদেহ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রয়েছে। বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ চৌগাছায় আসবে। তার মরদেহ আসার প্রেক্ষিতে জানাজার সময় চূড়ান্ত হবে। তবে এত টাকা খরচ করে ইকবালের মরদেহ গ্রামে আনার সক্ষমতাও নেই তার পরিবারের।

স্থানীয় সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, পরিবারটি নিঃসন্দেহে অসহায়। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে ছিল ইকবাল। এখন পরিবারটি আরও অসহায় হয়ে পড়লো। পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছি। আমরা তাদের পরিবারের পাশে থাকবো। স্থানীয় বিত্তবান মানুষদের ইকবালের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।


আরও খবর