আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

গণ অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্ণ হলো আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বহু প্রাণের বিনিময়ে আলোর মুখ দেখেছে ছাত্র-জনতার বিপ্লব। বহু রক্তপাতের মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয়েছে সম্ভাবনাময় নতুন বাংলাদেশ। জুলাইয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনে আগস্টে রূপ নেয়, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে। টিকে থাকার সব চেষ্ট ব্যর্থ হলে ৫ আগষ্ট দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্ণ হলো আজ। ছাত্র-জনতার দাবি, কিছুটা দেরি হলেও বিজয়ের সুফল পাবে বাংলাদেশের জনগণ।

তীব্র গণ-আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন ৫ আগস্ট। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া জুড়ে তখন মুক্তির বাতাস। সবার চোখে-মুখে শুধুই প্রাপ্তির আনন্দ। পুরো দেশের একক উৎসবে রূপ নিলো ছাত্র-জনতার বিজয়। মুখের কথায় খই ফোটানো প্রভাবশালীরা অন্ধকারে মিলিয়ে গেলেন আলো নিভিয়ে। এক মাস খুবই অল্প সময়। তবুও কী কোন প্রাপ্তি দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্পর্শী?

শুরুটা কোটা সংস্কার দাবিতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে। মারমুখী সরকার, লেলিয়ে দেয়া হয় পেটুয়া বাহিনী। ধীরে ধীরে বাড়ে তীব্রতা; শাহবাগ কেন্দ্রিক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আন্দোলন দমাতে সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ করে সরকার। পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাবের পাশাপাশি, সেনাবাহিনী নামিয়ে করা হয় সান্ধ্য আইন।

শাষকগোষ্ঠী যেন মেতে ওঠে রক্তের নেশায়। মূল্যহীন করে তোলে ছাত্র-জনতার জীবন। পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষণ অথবা পাহাড়-সমতল; মুক্তির নেশায় মেতে ওঠে সবাই। জ্বলতে থাকেন দ্রোহের আগুনে। অনেকের ভাবনার জগতে ছিল না, এমনকি এখনও কেউ কেউ বিশ্বাস করতে পারেন না- পালিয়ে গেছেন নির্মম-পরাক্রমশালী হাসিনা সরকার।

পুলিশের বে-হিসেবি গুলির বিপরীতে তারুণ্যের অদম্য সাহস আর সীমাহীন মুক্তির নেশা। বন্দুকের নলের মুখে দাঁড়িয়েছে বুক চিতিয়ে। রংপুরের আবু সাঈদ হয়ে ওঠেন শত শত তরুণ-বিপ্লবী প্রাণের প্রতিচ্ছবি। এখনও কানে বাজে মুগ্ধের আহ্বান পানি লাগবে পানি

এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অনেকে। তাদের বিশ্বাস, একদিন সব ঠিক হবে, মিলবে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সুফল।


আরও খবর



জেনেভা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে অটোরিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে মাদক কারবারিদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ চলাকালে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. সনু (৩২) নামে এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সনু জেনেভা ক্যাম্পের ৫ নাম্বার সেক্টরে থাকতেন বলে জানা গেছে।

নিহতের চাচাত ভাই সজীব জানান, সকালে এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি বুনিয়া সোহেল, রানা, টুনটুন, বাবুসহ ৪০ থেকে ৫০ জনের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে হঠাৎ গোলাগুলি শুরু করে মাদক কারবারিরা। এ সময় কামাল বিরিয়ানির দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বুনিয়া সোহেলের শটগানের গুলি লাগে সনুর গায়ে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সজীব বলেন, জেনেভা ক্যাম্পে ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে মারামারি হতো। হঠাৎ আজ গোলাগুলি শুরু হয়। এখানে অস্ত্র কোথা থেকে এলো, সেটা আমাদের জানার বিষয়। তারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে গুলি করে মানুষ মেরে ফেললো।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আদলত প্রাঙ্গণে এবার ইনুকে জুতা-ডিম নিক্ষেপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আদালত প্রাঙ্গণে সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে লক্ষ্য করে জুতা-ডিম নিক্ষেপ করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে সিএমএম কোর্টের নিচে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে একাধিক ডিম ইনুর শরীরে পড়েছে। এ সময় আইনজীবীরা ইনুর গায়ের চামড়া, তুলে নেবো আমরা; ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি ইনুর ফাঁসি চাই বলে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

ইনুকে রাজধানীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কোর্টে আনার খবরে এদিন বিকেল ৪টা থেকে কোর্ট এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আইনজীবী ও সাংবাদিক ছাড়া বাকি সবাইকে আদালত এলাকা থেকে বের করে দেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া আগে থেকেই কোর্ট এলাকায় অবস্থান নিয়েছিল পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য।

বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একটি দল ইনুকে সিএমএম কোর্টে আনে। নিরাপত্তার প্রয়োজনে তাকে বহনকারী গাড়ির সামনে-পেছনে পুলিশের তিনটি প্রটেকশন গাড়ি ছিল।

এর আগে গতকাল রোববার রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে ইনুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিউজ ট্যাগ: হাসানুল হক ইনু

আরও খবর



কালো টাকা সাদা করার বিধান বাতিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বহুল আলোচিত কালোটাকা সাদা করার বিধান বাতিল হচ্ছে। এই বিধান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

সভা শেষে এই তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়েরও উপদেষ্টা।

যমুনার গেটে রিজওয়ানা হাসান বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কালো টাকা সাদা করার যে বিধি ও রীতি বন্ধ করে দেওয়া। এটা থেকে সরকার যেটুকু টাকা আনতে পারে, সেটা টাকা দিয়ে সরকারের খুব আগায় না। তবে মূল্যবোধ অবক্ষয় হয়। এটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।

এছাড়া বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষায় প্রণীত জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯ সংশোধন করা হয়েছে। বৈঠকে 'জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪'-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।


আরও খবর



শরীয়তপুরে দোকানির মাধ্যমে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাওন মিয়া (জাজিরা) শরীয়তপুর

Image

শরীয়তপুরের জাজিরা থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের তদন্তের দায়িত্ব পালনের সময় সেবাগ্রহীতাদের থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদনের পর যখন স্থানীয় থানায় তদন্তের জন্য পাঠানো হয় তখন থানা থেকে এসআই হুমায়ুন কবির সেবাগ্রহীতার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে থানায় এসে দেখা করতে বলেন। পরে সেবাগ্রহীতারা যখন থানায় আসেন তখন তাদের থানার সামনে অবস্থিত একটি দোকানি সাথে দেখা করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি দিয়ে যেতে বলেন। সেবাগ্রহীতারা যখন ঐ দোকানি  সাথে দেখা করেন তখন ঐ পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশনা মত তাদের কাগজপত্র যাচাই করে চাহিদামত পেলে পাঁচশো থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত দাবী করা হয়। যারা চাহিদামত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান তাদের তদন্ত প্রতিবেদন নেগেটিভ দেয়া হবে বলে প্রদান করা হয়।

জাজিরা পৌরসভার দক্ষিণ বাইকশা এলাকার বাসিন্দা রাকিব হাসান ইউরোপের একটি দেশে শ্রমিক হিসেবে যেতে ভিসার আবেদন করেছেন। সেখানে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের প্রয়োজন।

তিনি বলেন, "আমি অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার জন্য নির্ধারিত ফি ৫০০ টাকা দিয়ে আবেদন করেছি। পরে জাজিরা থানা থেকে পুলিশ সদস্য হুমায়ুন কবির আমার জাতীয় পরিচয়পত্র, বাবা মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট, পাসপোর্টের ফটোকপি ও বিদ্যুৎ বিলের কপি নিয়ে থানায় যেতে বলেন। পরে তার চাহিদামত কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে ফোন দিলে তিনি আমাকে থানার সামনে থাকা একটি কম্পিউটার সেন্টারের সামনে যেতে বলেন।

আমি সেখানে যাওয়ার পর এসআই হুমায়ুন আমার কাগজপত্র গুলো হাতে নিয়ে ঐ কম্পিউটার দোকানের লোক এর কাছে দিতে বলে সে সব বুঝে রাখবে বলে সেখান থেকে চলে যান। পরে ঐ কম্পিউটার দোকানি আমাকে বসতে বলেন। একটু পর দোকানি আমাকে বলেন, কাগজপত্র সব ঠিক আছে। ১ হাজার টাকা দাও। তখন আমি কিসের টাকা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খরচ আছে তাই দিতে হবে। কোন উপায়ন্তর না দেখে আমি তাকে ৫০০ টাকা দেই।

তখন তিনি ৫০০ টাকায় হবেনা বলে আমাকে ফিরিয়ে দেন এবং বলেন, কাজ ঠিকমত হতে হলে অন্তত ৮০০ টাকা দিতে হবে। যদি এখন না পারো তাহলে গিয়ে বিকাশে পাঠিয়ে দিও। এরপর আমি চলে আসার পর টাকার জন্য আমাকে অনেকবার ফোন দেয়া হয়েছিল। পুলিশ এখনো আমাদের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ঘুষ খাওয়া বন্ধ করলো না। বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই কষ্ট পাই। সে কষ্টে ফেসবুকে একটি পোস্টও করি। ফেসবুকের সেই পোস্ট ডিলিট করার জন্যও আমাকে অনেকবার ফোন করে বলা হয়েছে।"

জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ভুক্তভোগী বলেন, 'অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করার দুদিন পর জাজিরা থানা থেকে এক পুলিশ সদস্য ফোন করে কাগজপত্র নিয়ে থানায় যেতে বলেন। থানায় যাওয়ার পর থানার সামনে থাকা কম্পিউটারের দোকানে কাগজপত্র দিয়ে যেতে বলা হয়। পরে সেখানে কাগজপত্র জমা দিলে ওই দোকানের এক লোক খরচ লাগবে বলে ১ হাজার টাকা চায়। টাকা না দিতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ হতে হলে টাকা দিতে হবে। পরে ৫০০ টাকা দিতে বাধ্য হই।'

এছাড়াও আরো কয়েকজন ভুক্তভোগী একই অভিযোগ করে বলেন, সরকার অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদনের ব্যবস্থা করেছে সেখানে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র আপলোড করে তারপর আবেদন দাখিল করতে হয়। আর আবেদনের সাথে ৫০০টাকা ফ্রি নেয়া হয়। এরপরও তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা সরাসরি এসে তদন্ত না করে থানায় বসে বসে আমাদের ভুক্তভোগীদের হয়রানি করে। আবার বাড়তি টাকার দাবী করে। আর যদি কোন ভুল পায় তাহলে তো ভোগান্তির শেষ থাকেনা। একারনে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থার অবনতি হয়েছে।

টাকা দাবীর বিষয়ে জানতে চাইলে কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক বলেন কারো কাছে কোন টাকা চাইনি। এরপর তিনি ফোন রেখে দেন।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত পুলিশের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। এরপর মুঠোফোন বন্ধ করে রাখেন। পরে থানায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলমের সাথে কথা বললে তিনি ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

নিউজ ট্যাগ: শরীয়তপুর

আরও খবর



জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত সুন্দরবন, বিপৎসীমার ওপরে নদীর পানি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

মোংলায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হচ্ছে উপকূল। এরমধ্যে সুন্দরবন দুই ফুট উচ্চার পানিতে তলিয়ে গেছে। বনের ভেতরে নিম্নাঞ্চলে পানির চাপ আরও বেশি। গোটা সুন্দরবনই স্থান বিশেষ ২-৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত। তবে বন্যপ্রাণীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি এখনো চোখে পড়েনি।

বাগেরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কুমার স্বস্তিক জানান, পূর্ণিমার গোন, অতি বৃষ্টি ও সাগর উত্তাল থাকার কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় পানি বেড়েছে মোংলার পশুর ও মোংলা নদীতে। এই দুই নদীর পানি বিপৎসীমার ৪ ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হচ্ছে মোংলা উপকূলের নিম্নাঞ্চল।

পৌর শহরের ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা মো. সেলিম বলেন, গত দু-তিনদিন ধরে পানির চাপ খুব বেশি। পানিতে ফেরিঘাট তলিয়ে গেছে।

উপজেলার জয়মনিরঘোলের বাসিন্দা লুৎফর হাওলাদার বলেন, রাস্তা উপচে পশুর নদীর পানি ঢুকে বাড়িঘর ও চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, গত তিনদিন ধরে সুন্দরবনের ভেতরে পানি বেড়েছে। তলিয়ে গেছে বনসহ করমজল পর্যটন কেন্দ্রের রাস্তাঘাট। তবে পানিতে বনের ও করমজলের বন্যপ্রাণীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি চোখে পড়েনি।

তিনি বলেন, বনের ভেতরে উঁচু টিলা থাকায় সেখানে আশ্রয় নিতে পারছে বন্যপ্রাণীরা।

নিউজ ট্যাগ: বাগেরহাট

আরও খবর