আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম

গণমিছিলের অনুমতি নিয়েছে বিএনপি : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় আজ গণমিছিল করবে বিএনপি। এর আগে গণমিছিলের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি নেবে না বলে জানিয়েছিল বিএনপি। তবে শেষ পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি ডিএমপির কাছ থেকে নিয়েছে দলটি। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় এ কর্মসূচি পালিত হবে।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অনুমতি নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। রাজধানীতে আজ গণমিছিল কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। এই কর্মসূচি পালনে বিএনপি ডিএমপির কাছ থেকে কোনো অনুমতি নিয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, অনুমতি নিয়েছে।

আরও পড়ুন>> আজ থেকে সারা দেশে বৃষ্টি বাড়তে পারে

গণমিছিলের অনুমতি নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, এটা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এক দফার চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকার দুই মহানগর থেকে একযোগে গণমিছিল বের করবে বিএনপি। একই দিন এক দফার যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সমমনা দলগুলোও ঢাকায় পৃথক মিছিল ও সমাবেশ করবে।

বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ দুই মহানগরে জুমার নামাজের পর একই সময়ে দুপুর ২টায় গণমিছিল বের হবে। উত্তরের গণমিছিলটি উত্তর বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে শুরু হয়ে মালিবাগে আবুল হোটেলে সামনে গিয়ে শেষ হবে। অন্যদিকে, দক্ষিণের গণমিছিলটি মুগদার কমলাপুর স্টেডিয়াম এলাকা থেকে শুরু হয়ে মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত গিয়ে শেষ হবে।

মহানগর উত্তরের গণমিছিলে নেতৃত্ব দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দক্ষিণের গণমিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। উভয় মিছিলেই বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন>> হাওয়াইয়ে দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩

এর আগে বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, ডিএমপির অনুমতি ছাড়াই তারা শুক্রবার গণমিছিলে পালন করবেন।


আরও খবর



নির্বাচনে হারবে জেনেই বিএনপি ভোট বর্জন করেছে: শাহজাহান খান

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি

Image

বিএনপি যে কোন নির্বাচনে জয়লাভ করবে না জেনেই উপজেলা পরিষদের ভোট বর্জন করেছে। তাদের মাঝে কোন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীয় সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান।

বুধবার (৮ মে) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান আরও বলেন, এদেশে ভোট ও ভাতের লড়াই প্রতিষ্ঠিত করেছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার শাসন আমলেই এদেশে ভোটের রাজনীতির চর্চা করা হয়। আর বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ভোট বর্জন করে মানুষের অধিকার হরণ করে। তারা শুধু মিধ্যাচার করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। কাজেই তারা দল হিসেবে এখন মিথ্যাচারে পরিণত হয়েছে।

এসময় শাহজাহান খান মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদে তার বড় ছেলে আসিবুর রহমান খানের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেনি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এ দুই উপজেলায় ভোটার প্রায় সাড়ে ৫ লাখ। চেয়ারম্যান পদে দুই উপজেলায় লড়ছেন ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন।


আরও খবর
নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ আজ

শুক্রবার ১০ মে ২০২৪




চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তায় একসঙ্গে কাজ করবে চসিক-সিএমপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরীতে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়ের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (৭ মে) নগরীর টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং সিএমপির ডেপুটি কমিশনার আব্দুল ওয়ারিশ নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এই চুক্তির মাধ্যমে, উভয় সংস্থাই চট্টগ্রাম নগরীতে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য তথ্য আদান-প্রদান এবং সমন্বয় করে কাজ করবে। এছাড়া দুর্ঘটনার তথ্য আদান-প্রদান, ব্যবস্থাপনা এবং বিশ্লেষণ, রাস্তার ডিজাইন এবং তথ্য-উপাত্ত যথাযথভাবে ব্যবহারের জন্য একটি প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করবে। এর ফলে প্রতিটি সংস্থা কার্যকরভাবে তথ্যগুলো কাজে লাগিয়ে সড়ক নিরাপত্তায় শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।

ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) বিশ্বের ২৮টি শহরে রোড ক্র্যাশে মৃত্যু ও হতাহতের সংখ্যা কমাতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করেছে। চট্টগ্রামেও বিআইজিআরএসের কারিগরি সহায়তায় চসিক ও সিএমপি নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে যৌথভাবে কাজ করবে।


আরও খবর



রায়পুরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত, আহত ১০

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর রায়পুরার নিলক্ষায় বালু ব্যবসা এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজন গুলিবিদ্ধসহ আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল নিলক্ষায় ইউনিয়নের বীরগাঁও সোনাকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত সাগর মিয়া (২০) নিলক্ষা ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে এবং একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে নিলক্ষা গ্রামের রাজিব সরকারের সঙ্গে একই এলাকার আনোয়ার সকারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জের ও হামলা মামলায় দীর্ঘদিন ধরেই এলাকা ছাড়া ছিলেন রাজিব ও তার সমর্থকরা। বুধবার সকালে রাজিবের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলাকা দখলের জন্য বীরগাঁও, সোনাকান্দি, আমিরাবাদসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। এ সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গেলে বীরগাঁও এলাকার আনোয়ার গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। দুপক্ষের গোলা-গুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এর মধ্যে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেয়ার পথেই গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগর মিয়ার মৃত্যু হয়। পুলিশি গ্রেপ্তারসহ আইনি জটিলতা এড়াতে আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়েছেন স্বজনরা।

নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল-আলম জানান, সোনাকান্দি এবং আমিরাবাদ গ্রামের পূর্ববিরোধসহ বালু ব্যববসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহতের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর



জনপ্রকাশ্যে ইউপি সদস্যকে গুলি, পরে গলা কেটে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে রুবেল আহম্মেদ নামে এক ইউপি সদস্যকে গুলি করার পর গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টার দিকে নরসিংদীর আমদিয়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত রুবেল আহম্মেদ ওরফে বডি রুবেল আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ দুপুরে রুবেল আহম্মেদ পাকুড়িয়া বাজারে আসেন। কাজ শেষে পৌনে ২টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রাইভেটকারযোগে আসা একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে পরপর ছয় রাউন্ড গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রুবেল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার শরীরের ওপর বসে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।

মাধবদী থানা পুলিশের এসআই ফজলে রাব্বি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করছে।

নরসিংদীর গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্রের ধারণা, ইউপি নির্বাচনের সময় তৈরি হওয়া শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।

জানা গেছে, সবশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে রুবেল আহাম্মেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইমরুল নামে এক প্রার্থী। ওই সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই নির্বাচনে কেন্দ্রে প্রভাব খাটিয়ে রুবেল বিজয়ী হন। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইমরুলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও ঘনীভূত হয়।


আরও খবর



সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর নববর্ষ উদ্‌যাপন, যা বলল ডিএমপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছিল তা উপেক্ষা করে নববর্ষ উদ্‌যাপন করেছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টিকে অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ডিএমপি বলেছে, পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। সব ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি সর্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই উৎসব উদ্‌যাপনে থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক যেন এই দিনটি। বিশেষত দিনটি রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি পোশাকে-আশাকে, আয়োজনে এবং আপ্যায়নে। কিন্তু ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বাঙালি সংস্কৃতির ধারক এই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের ওপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বারবার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতি যাত্রাকে ব্যাহত করার।

এতে বলা হয়, উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে ,আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের। উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা এবং রুচিশীল ব্যক্তিত্ব। সর্বোপরি, জঙ্গি সংগঠনগুলোর টার্গেট হলো বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে দেশের মধ্যে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যা তাদের কার্যক্রমে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়।

ডিএমপি বলছে, এদেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। এ সব হামলায় অনেক মানুষের মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হামলা প্রতিরোধ করতে ও জনগণের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহুজন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত সময়ে ১৯৯৩ সালে (১৪০০ বঙ্গাব্দ) বাংলা শতবর্ষ উদ্‌যাপনে সরকার কর্তৃক বাঙালির এই আয়োজনে বাধাও প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু উগ্রবাদ দমনে বর্তমান সরকারের গৃহীত জিরো টলারেন্স নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা রোধে পুলিশ সবসময়ই তৎপর। প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সদা সতর্ক থাকায় পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারে নাই। বর্তমান সরকার সবসময়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সংস্কৃতিকে তার নিজস্ব আমেজে উদ্‌দযাপন করার ক্ষেত্রে আন্তরিক ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে।

ডিএমপি বলছে, উদীচীর মতো বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনগুলো সারা বছর যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করে থাকে তার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তথা সরকার নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ও পেশাদারত্বের সঙ্গে সেগুলো বিবেচনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতার ব্যবস্থাও করা হয়েছে যাতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলিত হয়ে আনন্দের সঙ্গে এই অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়, খুব স্বাভাবিকভাবেই নববর্ষ উদ্‌যাপনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সব জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য যেন আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়।

এতে বলা হয়, নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধিতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মতো প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছ থেকে যা কখনো কাম্য নয়।

ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও ঊদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বিধায় উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা।


আরও খবর