আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

গোলাম পরওয়ারসহ জামায়াতের ১০ নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে তদন্ত সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এ চার্জশিট দাখিল করা হয় বলে আদালত সূত্রে জানা যায়। ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে চার্জশিট গ্রহণের শুনানি আগামী ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার (১৭ জুলাই) ভাটারা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক রনপ কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'গত ২১ এপ্রিল জামায়াতে ইসলামীর দশ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন ডিবির তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক কাজী ওয়াজেদ আলী। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।

চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. আব্দুর রব, সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. ইজ্জত উল্যাহ, মো. মোবারক হোসেন, সুরা সদস্য মো. ইয়াছিন আরাফাত, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. রফিকুল ইসলাম খান, সেক্রেটারি জেনারেলের গাড়িচালক মো. মনিরুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক মো. আবুল কালাম আজাদ এবং নায়েবে আমীর আ.ন. ম মুহাম্মদ সামশুল ইসলাম।

অপর দিকে এজাহারভুক্ত আসামি মো. ইমাম হোসেন ও মো. আবুল কালামের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের মামলার দায় হতে অব্যাহতির জন্য আবেদন করেন তদন্ত  কর্মকর্তা।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


আরও খবর
বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




প্লাস্টিক দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী কোকা-কোলা ও পেপসিকো: গবেষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকের জন্য দায়ী মাত্র ৫৬টি কোম্পানি। এর মধ্যে কোকা-কোলা একাই মোট ১১ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোকা-কোলা ছাড়াও ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে (শনাক্তকৃত) পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় ছয়টি মহাদেশের বেশ কিছু বড় কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর নাম উঠে এসেছে, যারা ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত। গবেষকরা এক লাখের বেশী স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়নের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তাদের গবেষণার জন্য আলাদা করেছেন।

প্রতি বছর বিভিন্ন কোম্পানি সাড়া পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক উৎপাদন করে। এই প্লাস্টিকের কিছু নদী বা সমুদ্র সৈকতে জমা হয়ে পানির স্বাভাবিক স্রোতে বাধা সৃষ্টি করে। আবার কিছু প্লাস্টিক ভেঙ্গে অতিক্ষুদ্র মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিকেও পরিণত হয়। এ ধরনের অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক বাতাসে ভাসতে পারে। এমনকি মানুষের ফুসফুস ও রক্তসহ অন্যান্য অঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি এক হাজার ৫৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

পরীক্ষা চালানো ১ দশমিক ৮ মিলিয়নেরও বেশি প্লাস্টিকের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার প্লাস্টিকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্ন পাওয়া গেছে। [সূর্যালোক এবং আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসার কারণে প্লাস্টিক তার ব্র্যান্ড মার্কারগুলো (চিহ্ন) হারাতে পারে।]  ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্নের ওপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলো (শনাক্তকৃত) হলো কোকা-কোলা, পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

কোকা-কোলার একজন মুখপাত্র মেইলে কোম্পানিটির 'ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট' নামক কৌশলের কথা উল্লেখ করে জানান, কোকা-কোলা ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি প্যাকেজিংয়ের জন্য ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায়।

এ ছাড়া নেসলে জানিয়েছে, নতুন প্লাস্টিকের ব্যবহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য আরো বেশি করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা কোম্পানির মূল লক্ষ্য। আর পেপসিকো ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

এদিকে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানে একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আলোচনার জন্য এই সপ্তাহে অটোয়াতে বিশ্ব নেতারা এবং মধ্যস্ততাকারীরা একত্রিত হবেন। অনেক পরিবেশগত সংস্থা এবং দেশগুলো এমন একটি চুক্তি চায় যা প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাস করবে যা মার্কিন মধ্যস্ততাকারীরা প্রতিরোধ করে আসছে। শিল্প গোষ্ঠী এবং সংস্থাগুলো যুক্তি দিয়েছে, বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদন, উন্নত রিসাইকেল ব্যবস্থা এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাহত না করেই এ সমস্যাটির সমাধান করতে পারে।

ওয়ার্ল্ড প্লাস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বেনি মারম্যানস বলেন, "আমাদের সদস্যরা বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সরবরাহ বাড়াতে বিভিন্ন অবকাঠামোতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে যাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকগুলো বর্জ্য, ভূমি বা পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশে প্রবেশ করতে না পারে।" তবে প্লাস্টিক শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্লাস্টিক বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এর উৎপাদন কমালে তা নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষকরা শুধু পুনর্ব্যবহার বাড়ানো বা বৃত্তাকার অর্থনীতির গুরুত্বের উপর জোর না দিয়ে প্লাস্টিক উৎপাদন কমানোর বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। তেল ও গ্যাস উৎপাদনকে লক্ষ্য করে জলবায়ু নীতি থাকা সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি হওয়া প্লাস্টিক এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা ধারণা করছে, প্লাস্টিকের জন্য এ শতাব্দীর মাঝামাঝি তেলের চাহিদা অর্ধেক বৃদ্ধি পাবে। আর বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনে বিধিনিষেধ না থাকায় সেটি পরিবেশের ক্ষতি করার পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


আরও খবর



আবারও বাড়ছে স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আবারও বাড়তে যাচ্ছে সোনার দাম। এতে করে বিশ্ববাজারে সোনার দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের বাজারেও এই ধাতুটি সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। জানা গেছে, শনিবার (৬ এপ্রিল) সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার (৭ এপ্রিল) থেকে দেশের বাজারে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে। দাম যা-ই বাড়ানো হোক ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়বে সোনা।

এর আগে গত বছরে স্বর্ণ বিশ্লেষকরা ভবিষ্যত বাণী করেছিলেন, চলতি বছর প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৩০০ ডলার হয়ে যাবে। তাদের সেই পূর্বাভাস সত্য প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ববাজারে প্রথমবারের মতো এক আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

বাজুসের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশের বাজারে সর্বশেষ সোনার দাম নির্ধারণ করার পর বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ২০০ ডলার বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের বাজারে সোনার দাম না বাড়িয়ে আর বিকল্প কোনো পথ নেই। আন্তর্জাতিক বাজার ও স্থানীয় বুলিয়ান মার্কেটের তথ্য পর্যালোচনা করে নতুন করে সোনার দাম বাড়ানো হবে। এ লক্ষ্যে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি আজ বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে।

বাজুসের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এমনিতে সোনার দাম অনেক বেশি। যে কারণে ঈদের আগেও এই ব্যবসায় মন্দা দেখা যাচ্ছে। মানুষ সোনার অলঙ্কার খুব একটা কিনছে না। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলছে। যে কারণে বিক্রি না থাকলেও বাধ্য হয়েই ঈদের আগে সোনার দাম আরও বাড়ানো হচ্ছে।

এর আগে দেশের বাজারে সোনার দাম সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ। যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বাড়ার কারণ উল্লেখ করে সেদিন সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে। দেশের বাজারে সোনার এত দাম আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে এই দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুসের নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় নূন্যতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ২৩ হাজার ২৭৭ টাকা গুনতে হচ্ছে।

দেশের বাজারে সর্বশেষ যখন সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ১৫৫ ডলারের কাছাকাছি। এখন সেই দাম বেড়ে ২ হাজার ৩২৯ ডলার হয়ে গেছে। অর্থাৎ দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণ করার চেয়ে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্সের দাম ১৭৪ ডলার বেড়ে গেছে।

এর মধ্যে গত এক সপ্তাহেই প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৯৭ দশমিক ১৪ ডলার বা ৩ দশমিক ৫২ ডলার। এ দামের মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শুক্রবারই বেড়েছে ৪০ দশমিক শূন্য ৯ ডলার বা ১ দশমিক ৭৫ ডলার। এতে সপ্তাহ শেষে প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩২৯ দশমিক ৫২ ডলার। সোনার এতো দাম আগে কখনো দেখেনি বিশ্ববাসী।

এ বিষয়ে বাজুসের এক সদস্য বলেন, বর্তমানে দেশের বাজারে সোনা রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে। অতিরিক্ত দাম হওয়ার কারণে মানুষ এখন সোনার অলঙ্কার খুব একটা কিনছে না। ফলে ঈদকেন্দ্রীক জুয়েলারি ব্যবসায় মন্দা চলছে। বিক্রি না থাকলেও এখন দেশের বাজারে সোনার দাম না বাড়ানোর আর কোনো বিকল্প নেই। বিশ্ববাজারে যে হারে দাম বেড়েছে তাতে দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়াতে হবেই।

তিনি বলেন, ঈদকেন্দ্রীক বিক্রি ভালো না হওয়ায় প্রাথমিকভাবে আমরা চেয়েছিলাম ঈদের আগে সোনার দাম আর না বাড়ানোর। যে কারণে দুই সপ্তাহ ধরে বিশ্ববাজারে সোনার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও দেশের বাজারে দাম বাড়ানো হয়নি। কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে ঈদের আগেই দাম বাড়াতে হচ্ছে। কারণ দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণের পর এরইমধ্যে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ২০০ ডলার বেড়ে গেছে। এখন দেশের বাজারে দাম না বাড়ালে সোনা পাচার হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজই বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং সোনার নতুন দাম নির্ধারণের লক্ষ্যে বৈঠকে বসবে। তারা আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার বিষয়টি পর্যালোচনার পাশাপাশি স্থানীয় মার্কেটের তথ্যও পর্যালোচনা করবে। সার্বিক তথ্য পর্যালোচনা করে বৈঠকের মাধ্যমে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, বিশ্ববাজারে যে হারে সোনার দাম বেড়েছে তাতে দেশের বাজারে নতুন করে দাম বাড়াতেই হবে। সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করতে আমরা আজ বৈঠক করবো। বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নতুন করে দাম কত বাড়বে।


আরও খবর



মেসির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয়

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসির জোড়া গোলে নাশভিলের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। মেসির জোড়া গোলে ৩-১ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে দলটি।

রবিবার ভোরে এমএলএসের ম্যাচে মাঠে নামে ইন্টার মায়ামি ও নাশভিল। মায়ামির ৩-১ গোলে জয়ের এই ম্যাচে মেসি ছাড়া দলের পক্ষে অন্য গোলটি করেন সার্জিও বুসকেটস।

আটবারের ব্যালন ডিঅর বিজয়ী মেসি এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা জুড়ে ৯টি খেলায় নয়টি গোল করেছেন।

ম্যাচের শুরুতে অবশ্য বড় ধাক্কা খেতে হয়েছে মায়ামিকে। দলটির ডিফেন্ডার ফ্রাঞ্চো নেগ্রির আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় নাশভিল। অবশ্য মেসির জাদুতে সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি মায়ামি। খেলার ১১ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের দুর্দান্ত এক গোলের মাধ্যমে আর্জেন্টাইন তারকা ব্যবধান সমান করেন।

প্রথমার্ধেই মায়ামি লিড গোলের দেখা পেয়ে যায়। ৩৯ মিনিটে মেসির কর্নার কিক থেকে হেডের মাধ্যমে গোলটি করেন বুসকেটস। এরপরে লিড নিয়েই এগিয়ে যায় মেসি বাহিনী। ৮১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন এলএমটেন। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইন্টার মায়ামি।


আরও খবর



যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া দুই তরুণী উদ্ধার, আটক এক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভনে ফরিদপুরের যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া দুই তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পাচার চক্রের দুই নারী ও দুই যুবককে আসামি করে মামলা রুজু হয়। পরে পুলিশ পাচার চক্রের এক নারীকে গ্রেফতার করেছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান। গ্রেফতার পারুল বেগম ওরফে পারু (৪৮) আসাদ শেখের স্ত্রী ও রথখোলা যৌনপল্লীর বাসিন্দা। মামলার অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ জানায়, পার্লারে ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদপুরের কচুয়া থানার কড়ইশ এলাকা থেকে ওই তরুণীকে গত ১০ মার্চ ঢাকায় নিয়ে আসেন আপন (৩০) নামে এক যুবক। এরপর দুইদিন ঢাকায় রেখে ১২ মার্চ তাকে ৩ জন ব্যক্তির হাতে তুলে দেন। এরপর তারা ওইদিন সন্ধ্যায় ফরিদপুরে এনে রথখোলার পারুর কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন।

পরদিন একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে পারু তাকে জানান, এখন থেকে তিনি রথখোলা যৌনপল্লীর লাইসেন্সধারী সদস্য। এরপর পারু তার বাসায় রেখে শহরের গোয়ালচামট খোদাবক্স রোডের বাসিন্দা ইলিয়াস কসাইয়ের স্ত্রী যৌনকর্মী সর্দারনী ববি (৩৮) ও অন্যান্যদের সহায়তায় তাকে জোরপূর্বক খরিদ্দারদের কাছে পাঠাতে থাকেন।

তবে মেয়েটি একজন খরিদ্দারকে তার ছোটবোনের মোবাইল নম্বর দেওয়ার পর ওই খরিদ্দার তার ছোটবোনকে ফোন করে মেয়েটিকে যৌনপল্লীতে আটকে রাখার বিষয়টি জানান। এ খবর পেয়ে মেয়েটির মা তার এক ফুফাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ২২ মার্চ তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রথখোলা যৌনপল্লীতে এসে তার মেয়েকে দেখতে পান। এরপর কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

এদিকে চাঁদপুরের মেয়েটিকে উদ্ধারের সময় চাকরির কথা বলে যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া ফেনীর পূর্ব ছাগলনাইয়ার আরেকটি মেয়ে পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলে পুলিশ তাকেও উদ্ধার করে।

ফেনীর ওই মেয়েটি জানান, তাকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জহির (৩০) নামে এক যুবক ফেনী থেকে এনে প্রথমে ঢাকার মিরপুর এলাকায় অজ্ঞাতনামা বাসায় এক রাত রাখেন। পরে তাকে রথখোলা যৌনপল্লীতে এনে পারুর কাছে বিক্রি করে অর্থের বিনিময়ে যৌন ব্যবসা করান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসানুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় চাঁদপুরের ওই মেয়েটির মা রথখোলা যৌনপল্লীর পারুল বেগম ওরফে পারু, আপন, জহির ও ববিকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। ওই এজাহারের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করে উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল তরফদারকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়।

ওসি জানান, উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল তরফদার অভিযান চালিয়ে ২৪ মার্চ মামলার মূল আসামি পারুল বেগম ওরফে পারুকে গ্রেফতার করেন। এ ঘটনায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে কোতোয়ালি থানায় একটি এফআইআর নং-৫৪ দায়ের করা হয়েছে। মামলার দুই আসামি আপন ও জহিরের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



ডোমারে রেললাইনে কাটা পড়লো নেশাগ্রস্থ যুবক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারীর ডোমারে বাড়ির পাশে রেললাইনে বসে মাদক সেবনরত অবস্থায় সাদ্দাম হোসেন(২৩) নামের এক যুবক ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছে।

মরদেহের পাশে পড়ে রয়েছে নেশার সরঞ্জাম সলিউশন আঠাঁর কৌটা। সাদ্দাম ওই এলাকার তেলিপাড়ার মৃত আবু হানিফার ছেলে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ডোমার রেল স্টেশনের তিন কিলোমিটার উত্তরে হাজিপাড়া রেলক্রসিং এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রাতে চিলাহাটি হতে খুলনাগামী সীমান্ত ট্রেনে কাটা পড়ে সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যায়। সে সময় সে রেললাইনে বসে ক্যামিক্যাল আঠা(ডান্ডি) নেশা করেছিল। নেশার কারণে আগে থেকেই মানষিক ভারসাম্যহীন ছিলো সাদ্দাম।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা ওসি নুরুল ইসলাম জানান, নিহত সাদ্দাম মানষিক ভারমাস্যহীন ছিল। আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর