দোকানের কর্মচারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় চার্জগঠন করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম এ চার্জগঠনের আদেশ দেন।
ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন হাওলাদার জানান, একই সঙ্গে আসামি অভিযোগ অস্বীকার করায় আদালত আগামী ২ নভেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছেন।
২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক মাদক ও অন্ত্র আইনের মামলায় পৃথক চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর চার্জশিটে দাখিল হওয়া মামলাসহ তিন মামলায় এ আসামির ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ওই রিমান্ড শেষে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর তিন দিন করে ৯ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ১০ ডিসেম্বর তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।
২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর গভীর রাতে মনিরের বাড্ডার বনশ্রীর বাড়ি ঘিরে রাখে র্যাব। পরে ২১ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টার অভিযান শেষে ওই বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০ দেশের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাবের দাবি, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি। তবে প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেছেন মনির। জব্দ করা হয়েছে দুটি বিলাসবহুল গাড়ি। যার প্রতিটির মূল্য ৩ কোটি টাকা।