আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

গোপালগঞ্জে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গোপালগঞ্জে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বালুবোঝাই ট্রাকের পেছনে দ্রুতগতির একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে ৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫ জন।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপীনাথপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আবু নাঈম মো. তোফাজ্জেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ৩ জনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন ইমাদ পরিবহনের সুপারভাইজার আশিক (৩৫)। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি গ্রামে। নিহত অন্য দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।


আরও খবর
ধামরাইয়ে ৩০ লিটার চোলাই মদসহ আটক ৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




চট্টগ্রামের শিল্পকলায় সম্প্রীতির উৎসব ‘ফেস্টিভ্যাল অব টলারেন্স’

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ও দায়িত্বশীল নাগরিক গঠনের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ, সহনশীল ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ বির্নিমানে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো সম্প্রীতির উৎসব। রোববার শিল্পকলা একাডেমিতে দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উৎসব উদযাপিত হয়।

বাংলাদেশে নরওয়ে দূতাবাস এবং আইসিটি বিভাগের সহায়তায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)পার্টনারশিপ ফর এ মোর টলারেন্ট, ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ (পিটিআইবি) প্রকল্পের ডাইভার্সিটি ফর পিস এটুআই- এসপায়ার টু ইনোভেট, ইউনেস্কো, একশনএইড বাংলাদেশ, ইন্সটিটিউট ফর ইনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি), মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ), দি এশিয়া ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের (বিএনপিএস) যৌথ আয়োজনে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, কুপমুন্ডকতায় ভরা পূর্ব পাকিস্তানে বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক সমাজের বীজ রোপন করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি এক বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই সমাজ প্রতিষ্ঠা হতে দেয়নি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি। সহনশীলতা ও মুক্ত চিন্তার জন্য এ উপমহাদেশ বহু আগে থেকেই বিখ্যাত। আমাদের যে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র বহু শতকের ঐতিহ্য তা ধংস করা হয়েছে উপনিবেশিকতার মাধ্যমে। তারা আমাদের মূল্যবোধের উপর অন্য মূল্যবোধ চাপাতে চেয়েছিল৷ আমাদের মুক্তিযুদ্ধও ছিল সম্প্রীতি রক্ষা ও বৈচিত্র্য রক্ষার এক সংগ্রাম। আমাদের সরকার সবসময় সহনশীলতা ও সম্প্রীতির উদ্যোগ নিয়েছে।

চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করেছেন। আমরা পার্বত্য অঞ্চলের ভাইদের সাথে বহু যুগ ধরে সহাবস্থান করছি। মুক্তিযুদ্ধে আমরা একসাথে যুদ্ধ করেছি৷ হ্যাঁ, চুক্তি হয়ত এখনো শতভাগ বাস্তবায়ন হয়নি। চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এজন্য আলাদা মন্ত্রণালয়ও আছে।


শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আমাকে পছন্দ করে না। কারণ আমি বিভিন্ন সময় প্রতিক্রিয়াশীলদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছি। অনেক ক্লিপ বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার চেষ্টা করে। তারা সংখ্যায় কম। দেশে সাধারণ মূল্যবোধের মানুষ সংখ্যায় অনেক বেশি। তবে প্রতিক্রিয়াশীলরা সংগঠিত। কর্ম জগতে নারীদের প্রবেশ ঠেকাতে অতিরক্ষণশীল মতবাদ তারা প্রচার করছে। এদের প্রচারণায় আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা প্রভাবিত হয়ে যায়। সম্প্রীতি দুয়েকজন ক্রিকেটারও এমন প্রচার করেছে, নারীদের কাজে যোগদান বিষয়ে৷ আমাদের দুর্ভাগ্য ৭৫ এর পরে সেই শক্তি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে। উদার পশ্চিমের (লিবারেল ওয়েস্টের) অনেক দূতাবাসের কর্তারাও অনেক সময় এ ধারণার প্রচারকারীদের সাথে বৈঠক করে। যেহেতু গণতন্ত্র বিষযে তাদের একটা অবস্থান আছে। তা তারা করতে পারে। তবে আমাদের সহনশীল সমাজকে যারা অস্থির করতে চায়, তাদের নিয়ন্ত্রণে আমরা নিজস্ব উপায় সচেষ্ট আছি। থার্ড জেন্ডারের বিষয়টি যখন পাঠ্যপুস্তকে আসলো তাদের প্রতিক্রিয়া আপনারা দেখেছেন। এ ধরণের পরিস্থিতিতে আমাদের রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনা করতে হয়।

তিনি বলেন, সহনশীলতা ও ভিন্নতাকে গ্রহণের মানসিকতা অবশ্যই আমাদের তরুণদের থাকতে হবে৷ কারণ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড এটাই। আমরা বলি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এ স্লোগান আমরা ব্যবহার করি। সেখানেও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি আক্রমণ করে। ট্রল করে। পার্বত্যবাসীর প্রতি দীর্ঘদিন যে অবিচার হয়েছিল, সে অন্যায়কারী গোষ্ঠী এখনো বেশ সক্রিয়। সামরিক শাসকরা সমতল থেকে বাঙালিদের জোর করে ধরে নিয়ে সেখানকার জনমিতি বদলে দিতে চেয়েছিল। তারা শান্তি চুক্তির দিনও এর বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিয়েছিল। এরকম জটিল মাত্রা ও সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিততে আমাদের কাজ করতে হয়।

তিনি বলেন, আমাদের গত ১৪-১৫ বছরের অর্জনকেও বিবেচনা করতে হবে এই প্রেক্ষাপটে যে, সমাজে অতি প্রতিক্রিয়াশীলদের প্রতিহত করেই আমাদের এগুতে হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপপ্রচার চলছে। সচেতন থাকতে হবে। বৈচিত্র্যকে গ্রহণে সামাজিক মানসিকতা বদলে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা দেখুন। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা এখন সামাজিক স্বীকৃতি পায়। একসময় তাদের অন্তরালে রাখা হত।

 নওফেল বলেন, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতায় যেন কোনো হুমকি না আসে সে বিষয়ে আমরা সচেতন। বাংলা হবে আফগান এ স্লোগান যারা দিয়েছিল তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান ছাড়া আমাদের আর কোনো পথ নেই। সেটা না করলে দেশ আফগানিস্তান-পাকিস্তানের পথে এগিয়ে যাবে। যে সব দল ও সামাজিক শক্তি সহনশীলতা ও সম্প্রীতির সাথে আছেন তাদের নিয়েই আমরা দেশ পরিচালনা করব। পশ্চিমা কূটনৈতিকদের বলি, দেশে বৈশ্বিক মানদণ্ডে যে অগ্রগতি হয়েছে তা অবশ্যই আমরা ধরে রাখব। গণতন্ত্র রক্ষার নামে সরকার ও দলকে যখন আক্রমণ করা হয়, তা দু:খজনক। ইউরোপ আজকের অবস্থানে একদিনে আসেনি। ৫০০ বছর অন্ধকার যুগ কাটিয়ে, উপনিবেশ করে, সারা বিশ্ব থেকে সম্পদ আহরণ করে তারা এখানে এসেছে। গণতন্ত্র আমাদের এ ভূখন্ডের মানুষের মজ্জায়। প্রতিষ্ঠান দুর্বল হচ্ছে বলে, যে অভিযোগ করা হয় তা ঠিক নয়। আমাদের বাস্তবতা কি? আমাদের চ্যালেঞ্জ ভিন্ন। রাষ্ট্রের বিরোধীতকারীদের এখানে বছরের পর বছর পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে৷ যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বই স্বীকার করে না তাদের নিয়ে দেশ চালানো অনেক কঠিন। বিভিন্ন অপশক্তিকে প্রশ্রয় দেয়ার প্রবণতা যা দেখছি, তা যেন কমে। আমাদের সংগ্রাম আমাদের মতই হবে। বাইরে থেকে যত কম হস্তক্ষেপ হবে ততই ভালো হবে।

বিশেষ অতিথি নরওয়ের রাষ্ট্রদূত স্পেন রিকটার এসভেনডসেন বলেন, অসাধারণ এক ধারণা সম্প্রীতির উৎসব। সম্প্রীতি ও সহনশীলতা এত সহজ নয়। ভিন্নতাকে মেনে নেয়া হলো সহনশীলতা, এটা কঠিন। অনুশীলনের মাধ্যমে তা অর্জন করতে হয়। ভিন্ন মত প্রকাশের জন্য সম্প্রীতি প্রয়োজন। শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য সম্প্রীতি প্রয়োজন। আমরা দ্বিধায় ভুগি টলারেন্স নিয়ে। সবার ভিন্ন মতে আমরা এক মত হব তা নয়। কিন্তু অন্যের মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য নিজেদের সর্বোচ্চ দিতে হবে। ইন্টারনেট ও সোশাল মিডিয়া যোগাযোগের অবারিত সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু মিথ্যা তথ্য ছড়ানো সহ নানা কারণে তা সংকটেরও জন্ম দেয়। অন্তর্ভুক্তিমূ্লক সমাজ থাকলে নানা বৈষম্য ও প্রতিহিংসা ছড়ানো বন্ধ করা সম্ভব। তারুণ্যের শক্তিই সবসময় এগিয়ে যেতে পারে এ কাজে।

বিশেষ অতিথি সংসদ সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার লিখিত বক্তব্য অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয়। তিনি বলেন, জাতির জনকের আশা ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। সকল ধর্ম বর্ণ জাতির মানুষের জন্য। সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সবাইকে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।

বিশেষ অতিথি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, সম্প্রীতির উৎসব বেশি করে হওয়া দরকার। ভারতবর্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামের সূতিকাগার চট্টগ্রাম। এখানে হাজার বছর ধরে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ পাশাপাশি বসবাস করছে। জাতির পিতা অসম্প্রাদিয়ক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্টের নীতি অনুসরণ করছেন। এই প্রযুক্তির যুগে মিস ইনফরমেশন অহরহ দেখতে পাই। যে কোনো তথ্য সোশাল মিডিয়াতে আসলেই সেটাকে সত্য বলে ধরে নেয় মানুষ। যা নানা দুর্ঘটনার সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। সব ধর্মের মানুষের জন্য নিরাপদ দেশ গড়তেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন।

বিশেষ অতিথি চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক ও বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য ছড়ানো হয়। যারা এসব করে, তারা সংখ্যায় অল্প। কিন্তু তারা মনে করে তাদের সঙ্গে সংখ্যাগুরুরা আছে। কিন্তু বিষয়টা তেমন নয়। আমরা চাকমা সার্কেল চেষ্টা করছি সকল সম্প্রদায়ের সঙ্গে সকল ধর্মের মানুষের যাতে সহবস্থান হয়। পাহাড়ে বাঙালিসহ, সকলেরই সম্প্রীতির বন্ধনে রাখার চর্চা অব্যাহত আছে। কিন্তু আগে থেকেই যদি বিদ্বেষ ও হিংসা ছড়ানো হয় তাহলে সহাবস্থান নিশ্চিত হয় না। এজন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিশেষ অতিথি ইউনেস্কোর অফিসার ইন-চার্জ সুসান ভাইজ বলেন, ছোটবেলায় রূপকথার গল্পে শেখানো হয়, আমাদের মত নয় তাই খুব বিপদজনক। তাই স্বত:স্ফূর্তভাবে আমাদের মধ্যে থেকে সম্প্রীতি আসবে না। ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের ভাবতে হবে ও সচেতন থাকতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টিতে আমরা কাজ করছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করছি। নবীনদের বৈচিত্র সম্পর্কে সচেতন করতে। আইসিটি মন্ত্রণালয়ও নিরাপদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিরাপদ করতে এবং আন্তর্জাতিক নাগরিক গড়তে আমাদের সাথে কাজ করছে।

আইসিটি ডিভিশনের পিটিআইবি প্রকল্পের পরিচালক আবু সাঈদ বলেন, আমাদের মূল ফোকাস সাইবার বুলিং থেকে সবাইকে নিরাপদ রাখা। সব শাখার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতেই এমন আয়োজন। তথ্য প্রযুক্তির যুগে সবার জন্য নিরাপদ সাইবার স্পেস নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের মহাপরিকল্পনায় সম্প্রীতির উৎসব এক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা।

এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে উৎসবের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর উদ্বোধীন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি সোনালি দয়ারাত্নে। বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের গর্ভনিং বডির সদস্য নিরুপা দেওয়ান, ইন্সটিটিউট ফর ইনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি) এর নির্বাহী পরিচালক নুমান আহম্মদ খান, ইউনাইডটেড থিয়েটার ফর সোশাল অ্যাকশন (উৎস)র নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কামাল যাত্রা।

উৎসবের উদ্বোধনী পর্বের সমাপনী বক্তব্য রাখেন পিটিআইবি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক রবার্ট স্টোলম্যান।

উদ্বোধনী পর্বে চাকমাদের উবগীত, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সঙ্গীত, মেয়েদের মার্শাল আর্ট, পাপেট শো এবং ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির সদস্যদের গীতিনাট্য পরিবেশ করা হয়।

উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে সহনশীলতার প্রতি দরুণ ভাবনা শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে স্মার্ট বাংলাদেশ, শান্তি, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা কিভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে সে সম্পর্কে তরুণদের মতামত নেয়া হয়। ইউএনডিপির সিনিয়র গর্ভনেন্স স্পেশালিস্ট শীল তাসনিম হকের সঞ্চালনায় এই পর্বে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক এর রিসার্চ ম্যানেজার আবু সাইদ মো. জুয়েল মিয়া।

সমাপনী পর্বে নাটক- সম্প্রীতির বাংলাদেশ মঞ্চস্থ হয়। সঙ্গীত পরিবেশন করে টঙের গান ও সাওতাল ব্যান্ড আংরা। দিনব্যাপী আয়োজনে আরো ছিল চিত্র প্রদর্শনী, পাপেট শো ও এম্পেথি গেম।


আরও খবর
ধামরাইয়ে ৩০ লিটার চোলাই মদসহ আটক ৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে আবারো বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার রাতের দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত রবিউল হক (৪০) দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লাহ গ্রামের মৃত রহমতুল্লাহর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রবিউল হক ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে মালামাল পারাপার করত। গতকাল বুধবার রাতে মালামাল পারাপার করতে ভারতে গেলে ঠাকুরপুর সীমান্তের ৯২ নং মেইন পিলারের কাছে বিএসএফর গুলিতে নিহত হন তিনি।

কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম জানান, নিহত রবিউল হকের মরদেহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভীমপুর থানায় রাখা আছে। বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ বাংলাদেশে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান জানান, ঠাকুরপুর সীমান্তে বাংলাদেশীকে গুলি করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিশ্চিত হতে আমরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠকের আয়োজন করেছি। বিএসএফর কাছ থেকে জানার পর আমরা নিশ্চিত হতে পারবো।

উল্লেখ্য, এর আগে গত শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মিজানুর রহমান (৫০) নামে আরও এক বাংলাদেশি নিহত হন। ৭দিন পর তার মরদেহ বিজিবি ও বিএসএফের প্রতিনিধিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত দুই দেশের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ফেরত দেয় বিএসএফ।


আরও খবর
ধামরাইয়ে ৩০ লিটার চোলাই মদসহ আটক ৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: ড. যশোদা জীবন দেবনাথ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি না থাকলে পদ্মা সেতু তৈরি হতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। চলমান এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সরকারের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ড. যশোদা জীবন দেবনাথ সিআইপি।

তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক ও রেলযোগাযোগ স্থাপনের জন্য পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু, তিস্তা সেতু, পায়রা সেতু, দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু, দ্বিতীয় মেঘনা, দ্বিতীয় গোমতী সেতুসহ শত শত সেতু, সড়ক, মহাসড়ক নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ করেছে সরকার।

ড. যশোদা জীবন দেবনাথ বলেন, এক পদ্মা সেতু দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলাকে সড়ক পথে ঢাকা এবং অন্যান্য জেলার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করেছে। ঢাকা থেকে ফরিদপুর যেতে সময় লাগত ৪/৫ ঘণ্টা, এখন ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে আসা যায়। তাই আমি মনে করি এই জায়গায় শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠার প্রয়োজন রয়েছে। এর ফলে অনেক ফরিদপুরবাসীর কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এটি আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

এই সেতুর ফলে দেশের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, কৃষক ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। ছয় মাসে ২৮ লাখ গাড়ি পারাপার হয়েছে, এতে সরকারের আয় হয়েছে ৪১০ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই এই উন্নয়ন সম্ভব।

গত নভেম্বরে একদিন ১০০ সেতু এবং ডিসেম্বরে ১০০ সড়ক উদ্বোধন করা হয়। দেশের উন্নয়নের ইতিহাসে এ এক অনন্য অর্জন।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে সরকার, স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট শিল্প কলকারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য, কৃষিসহ সব সেক্টরকে স্মার্ট করা হবে।

মহামারি-সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষতা প্রসারিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসিত হয়েছে বাংলাদেশ।

ড. যশোদা জীবন দেবনাথ : হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন ফরিদপুর জেলা টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন। ফরিদপুরে প্রায় ১৮ শতাংশ সনাতন ধর্মাবলম্বী বসবাস করে। জামায়েত-বিএনপির সময় ফরিদপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কঠিন সময় পার করেছে। এই বিষয়টি চিন্তা করে এই জেলার নিট এন্ড ক্লিন ইমেজের মানুষ দরকার যা আমি ইতিমধ্যে বিবেচিত হয়েছি। আমি ফরিদপুর জেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আস্থার জায়গায় রয়েছি।

এই জেলার অনেক নেতাকর্মীরা টেন্ডারবাজি করছে। উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা আত্মসাৎ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারছে না। অপূরণীয় কাজগুলো করতে জনপ্রতিনিধি হওয়া প্রয়োজন। তাই আমি প্রত্যাশা করছি আমাদের মানবতার নেত্রী আমাকে যোগ্য মনে করে আমাকে যদি মনোনয়ন দেন তাহলে শতভাগ সফল হব।

ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, সিআইপি বাবা-মায়ের কোল আলো করে ২৭ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর জেলার ধোপাডাঙ্গা চাঁদপুরের অজপাড়াগাঁয়ে এক হতদরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দুই মেয়ের পরে প্রথম পুত্র সন্তান, তাই বাবা-মা তাকে আদর করে জীবন বলে ডাকতেন। তার বাবার নাম প্রয়াত গোপাল চন্দ্র, তার মায়ের নাম শোভা রানী দেবনাথ, তার স্ত্রীর নাম সোমা দেবনাথ। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।

বাবা-মা ও তার পাঁচ ভাই-বোনের সংসার, যেখানে অভাব ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। অভাবের সংসার, তাই অন্যের দোকানে কর্মচারী, লজিং মাস্টার থেকে এবং টিউশনির পাশাপাশি নিজের পড়াশোনা এইচএসসি এবং গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন ফরিদপুর রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তার লেখাপড়ার সমাপ্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, ইউএসএ থেকে ব্যাংকিং এবং ফাইন্যান্স-এর উপরে ডক্টরেট ডিগ্রি এবং এন্ডাসগেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইউরোপিয়ান প্রফেশনাল ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করার মাধ্যমে। ৬ বছর বাংলাদেশের স্বনামধন্য দুটি আইটি কোম্পানিতে চাকরি করার পর তিনি নিজেই ২০০১ সালে আইটি ব্যবসা শুরু করেন টেকনোমিডিয়া লিমিটেড নামে আমেরিকা বেজড্ একটি এটিএম কোম্পানি এনসিয়ার করপোরেশনের সঙ্গে।

ড. যশোদা জীবন দেবনাথ জীবনে অনেক বই লিখেছেন। এই লেখালেখির কাজ তিনি প্রতিনিয়তই অব্যাহত রেখেছেন। তার বইয়ের তালিকায় রয়েছে- ১. মহানায়কের ইতিকথা, ২. জননেত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, উন্নয়ন, ৩. জীবন থেকে নেওয়া, ৪. পূর্ব পাকিস্তানের ভারতে গোপন নৌযুদ্ধের অপ্রকাশিত গল্প ১৯৭১ অপারেশন, ৫. জীবনপ্রদীপ জে¦লে, ৬. ফরিদপুরের মুক্তিযুদ্ধ, ৭. একটি তর্জনীর আত্মকথা।

রাজনৈতিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তিনি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য।

তিনি ২০০১ সালে টেকনোমিডিয়া লিমিটেড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। এছাড়াও তিনি ২০০৬ থেকে প্লাস্টিক কার্ড আইডি লিমিটেডের পরিচালক, ২০১১ সাল থেকে প্রোটেকশন ওয়ান (পিভিসি) লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ২০১২ সাল থেকে রাজেন্দ্র ইকো-রিসোর্টের পরিচালক, ২০১২ থেকে ইমপ্রুভমেন্ট মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড পরিচালক, ২০১৩ সাল থেকে মানি প্ল্যান্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক-সিইও, ২০১৩ সাল থেকে টেকনো কনফিডেন্স সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ২০১৫ সাল থেকে ডাল্টা ফোর্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)-এর পরিচালক, ২০১৯ সাল থেকে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক, ২০১৯ সাল থেকে পে ইউনিয়ন বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ২০১৯ সাল থেকে শামপুর সুগার মিল লিমিটেডের পরিচালক, ২০১৯ সাল থেকে ব্যাংকিং লিজিং এন্ড সিক ইন্ডাস্ট্রি (বিসিআই)-এর চেয়ারম্যান, ২০২১ সাল থেকে সিআইএস-বিসিসিআই-এর পরিচালক, ২০২৩-২০২৫ সাল পর্যন্ত এফবিসিসিআই-এর সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সঙ্গে তিনি ২০২১-২০২৩ সাল পর্যন্ত এফবিসিসিআই-এর পরিচালকের দায়িত্ব ছিলেন।

ড. যশোদা জীবন দেবনাথ কর্মদক্ষতা ও অর্থনীতিতে অবদান রাখায় বাংলাদেশ সরকার থেকে অনেক স্বীকৃতি লাভ করেন। যেমন-২০২২ সালে বঙ্গবন্ধু শিল্প পুরস্কারে ভূষিত হন, শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০২১ সালে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) পুরস্কার লাভ করেন, ২০২১ সালে জাতীয় উৎপাদনশীলতা এবং গুণমানের শ্রেষ্ঠত্ব পুরস্কারের জন্য ভূষিত হয়েছেন, ২০১৪ সালে এনসিআর করপোরেশন থেকে ডিস্টিংশনের জন্য পার্টনার অ্যাওয়ার্ডের জন্য ভূষিত হন, ২০১১ সালে এনসিআর করপোরেশন থেকে সার্কেল অব ডিস্টিংশনের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন, ২০১০ সালে এনসিআর করপোরেশন থেকে মধ্যপ্রাচ্য আফ্রিকা (এমইএ) অঞ্চলে এনসিআই এটিএম-এর জন্য ২য় বৃহত্তম পরিবেশক হিসাবে পুরস্কৃত হয়।

ড. যশোদা জীবন দেবনাথ সামাজিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। তিনি ২০২২ সাল থেকে বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য। ২০২০ সাল থেকে ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৬ সাল থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত ধোপাডাঙ্গা এমএল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়াও তিনি ২০১৬ সালে দেবনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের জমি দান করেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি সুদর্শন ইন্টারন্যাশনাল কিন্ডারগার্র্টেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

সেই সঙ্গে তিনি ভারত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের সহ-সভাপতি, ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেডের পরিচালক, বনানী ক্লাব লিমিটেডের সদস্য, সদস্য অল কমিউনিটি ক্লাব লিমিটেড, সদস্য ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতি, সদস্য ফরিদপুর ফাউন্ডেশন, সদস্য ফরিদপুর শিশু হাসপাতাল, সদস্য ফরিদপুর হার্ট ফাউন্ডেশন। তিনি ধোপাডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির জন্য ৫০ শতাংশ জমি দান ও স্থাপনা নির্মাণের জন্য ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেন।


আরও খবর



মহেশপুরে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি:

মহেশপুরে কাজিরবেড় ইউনিয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অনন্ত ১০ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সামন্তা বাজারে কাঙালিভোজ বিতরণকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বর্তমান চেয়ারম্যান গ্রুপের আহতরা হলেন- রহম আলীর ছেলে হজরত আলী, বারি মণ্ডলের ছেলে নাসির উদ্দিন, হাবিবুর রহমানের ছেলে রাকিব হোসেন, কালা মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান।

অপর গ্রুপের করিম মণ্ডলের ছেলে নাসির মেম্বর, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে উম্মত আলী ও আব্দুল রহমানের ছেলে ইজাজ মিয়া, আনছার আলীর ছেলে আজগর আলী, বিশারত আলীর ছেলে শুকুর আলী, সামছুল ইসলামের ছেলে আজাহার আলী। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সামন্তা বাজারে জাতির পিতার শাহাদতবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে বর্তমান চেয়ারম্যান ইয়ানবী ও সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সেলিম সমর্থকদের মাঝে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে বাধে। এতে উভয় গ্রুপের ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মহেশপুর হাসপাতালে ৪ জন ও বাকিদের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বর্তমান চেয়ারম্যান ইয়ানবী জানান, ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সেলিম তার নিজ সমর্থিত লোকজন নিয়ে শোক দিবস পালন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে তিনি দলের অন্যকোন নেতাকর্মীদের দাওয়াত দেননি। বিকালে এমপি আসছে শুনে আমার (বর্তমান চেয়ারম্যান) লোকজন রিসিভ করতে গেলে আব্দুস সেলিমের লোকজন হামলা করে। এতে সংঘর্ষ বাধলে আমার গ্রুপের ৪ জন আহত হয়েছেন।

সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সেলিম জানান, অনুষ্ঠান চলাকালে বর্তমান চেয়ারম্যানের লোকজন ব্যানার ছিঁড়ে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করতে শুরু করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষে আমার গ্রুপের ৬ জন আহত হয়েছেন।

মহেশপুর থানার ওসি খন্দকার শামীম উদ্দিন জানান, শোক দিবস পালন অনুষ্ঠানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


আরও খবর
ধামরাইয়ে ৩০ লিটার চোলাই মদসহ আটক ৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মির্জা ফখরুলের কারাগারে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে নির্লজ্জ, মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, আমাদের দল নিয়ে মির্জা ফখরুল অর্বাচীনের মতো মিথ্যার ফুলঝুরি ফুটিয়েছেন। এ ধরনের অসত্য বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে তিনি জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছেন। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। স্বাধীনতা অর্জনের আগে ও পরে আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং এ দেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আওয়ামী লীগ এ দেশের গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব করা রাজনৈতিক সংগঠন; বিএনপির মতো গণবিরোধী সামরিক শক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে ওঠা বা সামরিক ছাউনিতে প্রতিষ্ঠিত কোনো রাজনৈতিক শক্তি নয়।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে নিজের কারান্তরীণ হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। তিনি নিশ্চয়ই কোনো অপরাধ করেছেন, তা না হলে কারান্তরীণ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করবেন কেন? নিজের অপরাধ ঢাকতে বা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত এবং সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে গণমাধ্যমের সামনে অমূলক এই বক্তব্য প্রদান করেছেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার বিনা দোষে নিরপরাধ কাউকে আটক রাখে না বা সেটা রাখার এখতিয়ারও সরকারের নেই। সরকার নির্দোষ কাউকে কোনো হয়রানি করছে না। দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। এখানে কারও সামাজিক বা রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচ্য নয়। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী দল-মত দমন কিংবা কোনো ধরনের মামলা-হামলা দিয়ে হয়রানি করে না। বিএনপি-জামায়াতের যেসব ক্যাডার শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেছে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে দেশের মানুষকে জিম্মি করার অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং ফৌজদারি অপরাধ করেছে; আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কারণ তাদের (বিএনপি-জামায়ত) অগ্নিসন্ত্রাসে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের এবং অগ্নিদগ্ধ যেসব মানুষ এখনো ভয়াবহ যন্ত্রণা ভোগ করছেন তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানির তথাকথিত অভিযোগ উত্থাপন করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছেন।


আরও খবর
খালেদা জিয়ার কোনও উন্নতি দেখছেন না চিকিৎসকরা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩