সরকার পদত্যাগের
এক দফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা চতুর্থ দফার অবরোধ চলছে। রবিবার
সকাল ৬টা থেকে শুরু এই অবরোধ চলবে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত।
সোমবার (১৩
নভেম্বর) অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহন প্রায় চলাচল স্বাভাবিক
রয়েছে। সকাল থেকে সড়কে বেড়েছে মানুষের উপস্থিতিও। রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজে যথাসময়ে
আসতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।
অবরোধকে কেন্দ্র
করে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং গার্মেন্টসকেন্দ্রিক নিরাপত্তা
নিশ্চিতে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন অব্যাহত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতা
সোমবার রাজধানীসহ সারাদেশে ১৮৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির জনসংযোগ
কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন,
যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছে বিজিবি সদস্যরা। রাজধানী
ও আশপাশের এলাকায় ২৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। সব মিলিয়ে দেশব্যাপী ১৮৯ প্লাটুন
বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন>> সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পাঁচ বাহিনী চায় ১১শ কোটি টাকা
অন্যদিকে, নাশকতা
ঠেকাতে জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।
অবরোধ কর্মসূচি
শুরুর আগে শনিবার রাতে রাজধানীতে ছয়টি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রাত ৮টা ২০ মিনিট
থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে মতিঝিল, গাবতলী, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, আগারগাঁওয়ের তালতলা
ও কাফরুল থানা এলাকায় আগুন দেওয়ার এসব ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১১ নভেম্বর
পর্যন্ত ঢাকায় ৭১টি যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটল। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ীতে বাসে আগুন
দেওয়ার ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন একজন যাত্রী।
এছাড়া শনিবার
সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে
এবং রাতে গাজীপুরে একটি ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে আগুন দেওয়া হয়।
রবিবার অবরোধ
চলাকালে ঢাকায় তিনটি এবং নারায়ণগঞ্জে দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। রাজধানীর সূত্রাপুরে
বাসে আগুন দেওয়া হয় ভোরে। দুপুরে মিরপুরে আরেকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। আর রাতে বাসে
আগুন দেওয়ার ঘটনাটি ঘটে তেজগাঁও এলাকায়।ভোরে ও সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে
দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন>> ঢাকাসহ সারাদেশে ৬ বাসে আগুন
হামলা ও সংঘর্ষের
মধ্যে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ডের প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা
হরতাল দেয় বিএনপি।এরপর দলের নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের এক
দফা দাবিতে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধ দেয় বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সমমনা
দলগুলো।দ্বিতীয় দফায় অবরোধ দেওয়া হয় ৫ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৭ নভেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত।
এরপর তৃতীয় দফায় অবরোধ দেওয়া হয় ৮ ও ৯ নভেম্বর।