আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ: ইসি সচিব

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ৩০ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী এখন পর্যন্ত দেশের সার্বিক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ আছে উল্লেখ করে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেছেন, একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল তাদের হরতালের পর আবার একটি সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা তাদের পর্যবেক্ষণ নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেছে। পরবর্তীতে কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হলে সে সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি সচিব বলেন, বৈঠকে নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচনপরবর্তী শান্তিশৃঙ্খলা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, কোন পদ্ধতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী দায়িত্ব পালন করবে, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ তাদের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছে। বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের সক্ষমতা তুলে ধরেছেন। দ্বাদশ নির্বাচনে তাদের দায়িত্ব দিলে তারা কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, এই বিষয়টি তারা সভায় উপস্থাপন করেছেন। নির্বাচন কমিশন তাদের বক্তব্য শুনেছে, কিছু নির্দেশনাও দিয়েছে। নির্বাচনে বিভিন্ন বাহিনীর দায়িত্ব সম্পর্কে পরবর্তীতে যতগুলো পরিপত্র জারি করা হবে, সেগুলো নির্দেশনার আলোকে বাহিনীগুলো যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবে বলে নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা নির্বাচন কমিশনকে যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সে অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে গতকালের হরতালের পর বিএনপি আবার তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্কতা অবলম্বন করছে। তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে নির্বাচনপরবর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী ধাপসমূহে কোনো ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারা সঙ্গে সঙ্গে কমিশনকে অবহিত করবেন। তখন নির্বাচন কমিশন তাদের সঙ্গে বসে পরবর্তী কর্মকৌশল ঠিক করবে।

ভোটের আগের রাতে কিংবা ভোটের সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে কি না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অনেক সময় আছে। এ নিয়ে সামনে আরও সভা হবে। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তফসিলের বিষয়ে তিনি বলেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে যেকোনো সময় তফসিল ঘোষণা করা হবে।


আরও খবর



আলুর দাম বাড়ার কারণ জানা গেল

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর থেকে হিলি স্থলবন্দর এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে আলুর দাম। প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১২ টাকা। চাহিদার তুলনায় দেশীয় আলুর সরবরাহ কম এবং ভারত অভ্যন্তরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আলু ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দেশটির অভ্যন্তরে দেখা দিয়েছে সংকট। দামও বেড়েছে। এতে কেজিতে ৬-৭ টাকা বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) হিলি স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে আলু আমদানি পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের আগে যে ভারতীয় আলু বন্দর অভ্যন্তরে পাইকাররা কেজিতে ২৮-৩০ টাকা কেজিতে কিনেছে। সেই আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। আমদানিকৃত এসব আলুর মান অনেকটাই খারাপ।

কারণ হিসেবে আমদানিকারকরা জানান, ভারত অভ্যন্তরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কিছুটা পচন ধরেছে। আলু আমদানিকারক মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী সেলিম হোসেন বলেন, ঈদের আগে ভারতে আলুর দাম ছিল ২৮-২৯ টাকা। ভারতে কৃষকরা আলু কোল্ড স্টোরে সংরক্ষণ করার কারণে সেখানে আলুর সংকট। তাই পূর্বের তুলনায় কেজিতে ৭-৮ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে আলু আমদানি না হলে দেশে আলুর দাম ৭০/৮০ টাকা হবে।

হিলি স্থলবন্দরে আলু কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব আলী জানান, ঈদের ছুটি শেষে সোমবার প্রথম আলু আমদানি হয়। ওই দিন ৩৬-৩৮ টাকা দরে আলু কিনে বিভিন্ন মোকামে পাঠানো হয়েছে। আজ আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৮-৩৯ টাকা। তাছাড়া আলুর মানও খারাপ।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, হিলি স্থলবন্দরে আলু আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। রমজানে আলু আমদানিতে খরচ পড়তো ২৮-২৯ টাকা। সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেখানে আলুর আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দেশটির অভ্যন্তরে আলুর সংকট দেখা দিয়েছে। এতে পূর্বের তুলনায় অন্তত ৫-৭ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।

এদিকে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় আমদানিকৃত আলু ৪২ টাকা। হল্যান্ড (দেশীয় হাইব্রিড) ৪৮ টাকা, এবং দেশীয় আলু ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের তথ্য মতে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৪ হাজার ৭১৭ মেট্রিকটন আলু আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।

নিউজ ট্যাগ: আলু আগাম আলু

আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা উঠল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠছে জনপদে। মানুষের পাশাপাশি হাঁসফাঁস অবস্থা পশু-পাখিরও। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সবকিছুই উত্তপ্ত। রোদে অতিপ্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আদ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানায় সংস্থাটি।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার ওপর দিতে তীব্র তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির তেমন আভাস নেই। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিনা তা সন্ধ্যা ৬টায় নিশ্চিত হওয়া যাবে।


আরও খবর



রাফাহ শহরে ইসরায়েলের ব্যাপক গোলাবর্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক হুঁশিয়ারিকে অবজ্ঞা করে, পরিকল্পিত স্থল অভিযানের অংশ হিসেবে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরের পূর্ব প্রান্তে ইসরায়েল ব্যাপক কামানের গোলাবর্ষণ করছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু নতুন করে নির্ধারণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে শরণার্থী শিবিরগুলো এখন আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এক্ষেত্রে হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু এখন নুসেইরাত ও বুরেজি শরণার্থী শিবির ও দেইর এল-বালাহ শহর।

এদিকে, গাজার গণকবর পাওয়ার খবরে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেছেন, সব ধরনের ফরেনসিক প্রমাণ সংরক্ষণ করা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘকে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের আইনি দখল নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য এখন আইন প্রণয়ন বিভাগের আদেশ নিতে হবে।

অন্যদিকে, গাজা উপত্যকায় সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল।

এ প্রসঙ্গে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাবেক পরিচালক রথ বলেছেন, যুদ্ধের মধ্যেও তদন্তের জন্য গণকবর থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করা অসম্ভব নয়। বিষয়টি দুই পক্ষের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করছে। তবে ইসরায়েল এমন স্বাধীন তদন্ত হোক, তা চাইবে না।

জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন গাজার গণকবরে ৩৯২টি মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নেতাদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ বিএনপির

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্তমান সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন বর্জনের ধারাবাহিকতায় ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছে বিএনপি। এবার দলের যেসব নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং ভোট বর্জনের নির্দেশ দিয়েছে দলটি।

বিএনপি নেতারা বলছেন, বিএনপি দলীয়ভাবে ভোট বর্জন করলেও তৃণমূলে দলের ৪০ থেকে ৪৫ জন প্রার্থী ভোটে থেকে যায়। তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনুরোধ করেন। এরপর দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে অনেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেও নিয়েছেন। আগামী রোববার বাকিরা প্রত্যাহার করে নেবে বলে আশা করে বিএনপি।

এই প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদকরা জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কাজ করছে। আমারও কেন্দ্র থেকে ফোন করে প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। অনেকে ইতোমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন খুব বেশি নেতাকর্মী ভোটে নেই। নাটোরে একজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে বিএনপির এক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আসলে এবার নির্বাচনে যেহেতু দলীয় প্রতীক নেই, আমাদের উচিত ছিল ভোটে যাওয়া। এতে করে তৃণমূলে দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়তো নির্বাচনী কর্মকাণ্ড ঘিরে।

তিনি আরও বলেন, দলের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যারা ভোটে অংশ নিয়েছে তাদের সরে যেতে। সেই অনুযায়ী ভোটে অংশ নেওয়া নেতাদের ফোন করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করছি। এরপর যারা নির্বাচনে থেকে যাবে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে। যদিও এতে দলের সাংগঠনিক শক্তির ক্ষতি হবে।


আরও খবর



প্লাস্টিক দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী কোকা-কোলা ও পেপসিকো: গবেষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকের জন্য দায়ী মাত্র ৫৬টি কোম্পানি। এর মধ্যে কোকা-কোলা একাই মোট ১১ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোকা-কোলা ছাড়াও ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে (শনাক্তকৃত) পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় ছয়টি মহাদেশের বেশ কিছু বড় কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর নাম উঠে এসেছে, যারা ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত। গবেষকরা এক লাখের বেশী স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়নের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তাদের গবেষণার জন্য আলাদা করেছেন।

প্রতি বছর বিভিন্ন কোম্পানি সাড়া পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক উৎপাদন করে। এই প্লাস্টিকের কিছু নদী বা সমুদ্র সৈকতে জমা হয়ে পানির স্বাভাবিক স্রোতে বাধা সৃষ্টি করে। আবার কিছু প্লাস্টিক ভেঙ্গে অতিক্ষুদ্র মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিকেও পরিণত হয়। এ ধরনের অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক বাতাসে ভাসতে পারে। এমনকি মানুষের ফুসফুস ও রক্তসহ অন্যান্য অঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি এক হাজার ৫৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

পরীক্ষা চালানো ১ দশমিক ৮ মিলিয়নেরও বেশি প্লাস্টিকের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার প্লাস্টিকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্ন পাওয়া গেছে। [সূর্যালোক এবং আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসার কারণে প্লাস্টিক তার ব্র্যান্ড মার্কারগুলো (চিহ্ন) হারাতে পারে।]  ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্নের ওপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলো (শনাক্তকৃত) হলো কোকা-কোলা, পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

কোকা-কোলার একজন মুখপাত্র মেইলে কোম্পানিটির 'ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট' নামক কৌশলের কথা উল্লেখ করে জানান, কোকা-কোলা ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি প্যাকেজিংয়ের জন্য ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায়।

এ ছাড়া নেসলে জানিয়েছে, নতুন প্লাস্টিকের ব্যবহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য আরো বেশি করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা কোম্পানির মূল লক্ষ্য। আর পেপসিকো ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

এদিকে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানে একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আলোচনার জন্য এই সপ্তাহে অটোয়াতে বিশ্ব নেতারা এবং মধ্যস্ততাকারীরা একত্রিত হবেন। অনেক পরিবেশগত সংস্থা এবং দেশগুলো এমন একটি চুক্তি চায় যা প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাস করবে যা মার্কিন মধ্যস্ততাকারীরা প্রতিরোধ করে আসছে। শিল্প গোষ্ঠী এবং সংস্থাগুলো যুক্তি দিয়েছে, বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদন, উন্নত রিসাইকেল ব্যবস্থা এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাহত না করেই এ সমস্যাটির সমাধান করতে পারে।

ওয়ার্ল্ড প্লাস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বেনি মারম্যানস বলেন, "আমাদের সদস্যরা বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সরবরাহ বাড়াতে বিভিন্ন অবকাঠামোতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে যাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকগুলো বর্জ্য, ভূমি বা পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশে প্রবেশ করতে না পারে।" তবে প্লাস্টিক শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্লাস্টিক বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এর উৎপাদন কমালে তা নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষকরা শুধু পুনর্ব্যবহার বাড়ানো বা বৃত্তাকার অর্থনীতির গুরুত্বের উপর জোর না দিয়ে প্লাস্টিক উৎপাদন কমানোর বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। তেল ও গ্যাস উৎপাদনকে লক্ষ্য করে জলবায়ু নীতি থাকা সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি হওয়া প্লাস্টিক এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা ধারণা করছে, প্লাস্টিকের জন্য এ শতাব্দীর মাঝামাঝি তেলের চাহিদা অর্ধেক বৃদ্ধি পাবে। আর বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনে বিধিনিষেধ না থাকায় সেটি পরিবেশের ক্ষতি করার পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


আরও খবর