আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা হাতিয়ে নিয়ে বন্ধ সমিতির কার্যক্রম

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর রায়পুরায় একটি সমিতির বিরুদ্ধে গ্রাহকের কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বর্তমানে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সংস্থাটির প্রতারণায় ফাঁদে পড়ে জমাকৃত টাকা না পেয়ে রায়পুরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শরিফ মিয়া নামে এক ভুক্তভোগী।

জানা যায়, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার হাটুভাঙ্গা এলাকায় প্রভাতি সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটিড নামে একটি এনজিও খুলে বসেন স্থানীয় আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তি। এনজিও খুলে বসেই তিনি রায়পুরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হতে বড় অংকের ঋণের লোভ দিয়ে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা সঞ্চয়। অনদিকে অধিক মুনাফা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ডিপিএস ও স্থায়ী আমানতের নামে শত শত গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় আরো কয়েক কোটি টাকা।

এসব টাকা হাতিয়ে নিয়েই হঠাৎ করে এনজিওটির মালিক আবুল কালাম বন্ধ করে তার সমিতির কার্যক্রম। সমিতির সাইনবোর্ড নামিয়ে দিয়ে অফিস ঘরে দেয়া হয় তালা। এতে গ্রাহকরা তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত চান এনজিওর মালিক আবুল কালামের কাছে। কিন্তু তিনি দেই দিচ্ছি বলে তালবাহানা করতে থাকেন। একসময় জমাকৃত টাকা ফেরত পেতে গ্রাহকরা কালামের বাড়িতে গেলে তাদের সাথে করা হয় দুর্ব্যবহার।

সরেজমিনে সমিতির কার্যালয় রায়পুরা উপজেলা হাটুভাঙ্গা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সমিতির কার্যালয়টি ছিল সমিতির মালিক আবুল কালামের বাড়ির একটি ঘরে। আগে উক্ত ঘরের উপর সমিতির নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড থাকলেও এখন সেটাও খুলে ফেলা হয়েছে। ঘরে দেয়া হয়েছে তালা।

এদিকে সমিতিটির কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন তাদের ১২০ জন সদস্য রয়েছে। তারা প্রতিজনে ২/৩ হাজারের বেশি টাকা পাবেন না। সাময়িক সমস্যার কারণে তারা তাদের সমিতির কার্যক্রম আপাদত বন্ধ রেখেছেন। কার্যক্রম শুরু হলেই গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়া হবে।

উপজেলা সমবায় অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে সমিতিটি সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত হয়। গত বছরের ১৬ মার্চ উপজেলা সমবায় কার্যালয় থেকে সর্বশেষ অডিট করা হয়। তারা কেন কার্যক্রম বন্ধ করেছে তা তারা জানেনা।

কুন্দারপাঁড়া গ্রামের পুলিশ সদস্য তানিয়া আক্তার। তিনিও এ সমিতিতে ৫ হাজার টাকা জমা রেখেছেন। তিনি জানান, আমার এলাকার আরো ২০/২৫ জন সদস্য এখানে টাকা জমা রেখেছেন। তারা টাকা চাইতে গেলে খারাপ আচরণ করে। টাকা ফেরত দেয়না। আমি এ সমিতির লাইসেন্স বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দিবো।

থানায় অভিযোগ দায়েরকারী শরিফ মিয়া বলেন, আমি এক কালীন ১৯ হাজার চারশ টাকা জমা দিয়েছি। বর্তমানে তারা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। টাকা ফেরত চাইলে খারাপ ব্যবহার করে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

প্রভাতি সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড এর পরিচালক আবুল কালাম বলেন, আমাদের কার্যক্রম সাময়িক কিছু সমস্যার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামী জুন মাস থেকে আবার কার্যক্রম শুরু করবো। গ্রাহকের টাকা কেন আটকে রেখেছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন সমস্যায় আছি। তাই গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে পারছিনা। তবে কার্যক্রম চালু হলে ঠিকই তাদের টাকা ফেরত দেয়া হবে।

রায়পুরা থানারওসি মো.আজিজুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত অনুযায়ী সমিতিটির পরিচালকসহ জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।

জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো.সালমান ইকবাল বলেন, এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



হাসিনা-রেহানা-জয়-পুতুলসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র-জনতার মিছিলে ফল দোকানি মো. ফরিদ শেখকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও বোন শেখ রেহানাসহ ২১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহাম্মদের আদালতে মামলার আবেদন করেন ফরিদের বাবা মো. সুলতান শেখ। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাছান মাহমুদ, জুনায়েদ আহমেদ পলক, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শেখ ফজলে নূর তাপস, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, হারুন-অর-রশিদ, বিপ্লব কুমার, হাবিবুর রহমান, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আমির হোসেন আমু, সাদ্দাম হোসেন, আবুল হাসান। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলন চলাকালীন বিকেল সাড়ে ৩টায় ফরিদ শেখ যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার দক্ষিণ পাশের রাস্তা দিয়ে তার ফলের দোকানে যাচ্ছিলেন।

এ সময় পুলিশের গুলির আঘাতে মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুলিটি ফরিদ শেখের পেটের ডান পাশে লেগে বাম পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফরিদকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ আগস্ট হাসপাতালে মারা যান তিনি।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পে কর্মরত নারীদের অবস্থান

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চুক্তিভিত্তিক বাতিল করে রাজস্বের দাবিতে জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত তথ্য আপা প্রকল্পে কর্মরত নারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে তথ্য আপা প্রকল্পে কর্মরত নারীরা অবস্থান করছেন।

জানা গেছে, তথ্য আপা প্রকল্পে দুই হাজারের বেশি নারী কর্মরত রয়েছেন। তারা সবাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কর্মরত। এই প্রকল্পটি সব নারী ধারা পরিচালিত করা হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন সরকারি গেস্ট হাউজ যমুনার সামনে বিভিন্ন স্লোগানে ৫ শতাধিক নারী অবস্থান নিয়েছেন। নারী পুরুষ সমতায়, তথ্য আপা পথ দেখা, এক দফ এক দাবি কর্মরত জনবল নিয়ে রাজস্বে তথ্য আপা, আর নয় প্রকল্প, আমরা চাই রাজস্ব, গ্রামীণ নারীর একমাত্র আশ্রয়স্থল, তথ্য আপা প্রকল্প রাজস্ব চাই

ঝালকাঠির সদরের তথ্য সেবা কর্মকর্তা সংগীতা সরকার বলেন, ২০১১ সাল থেকে প্রকল্পটির কার্যক্রম চালু হলেও এখনো সরকারিকরণ করা হয়নি। প্রকল্পের প্রথম পর্যায় শেষ হয়ে এখন দ্বিতীয় পর্যায় চলছে। বার বার রাজস্বের দাবি জানালেও চুক্তিতে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। আমরা আর চুক্তি চাই না। আমরা রাজস্ব চাই।

তিনি বলেন, আমাদের বলা হয়েছিল বর্তমান জনবলসহ প্রকল্পটি রাজস্ব করা হবে। উনারা কোনো প্রকার রাজস্ব না করে এক এক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে যাচ্ছে। গত ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, আরো এক বছর বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমরা এক বছর এক বছর চুক্তি চাই না। আমরা কর্মরত জনবলসহ রাজস্ব চাই।


আরও খবর



ক্রিকেট বোর্ডে আসবেন কিনা জানালেন মাশরাফি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর থেকে গুঞ্জনের ডালপালা মেলতে শুরু করে যে পরবর্তী বিসিবি সভাপতি হবেন তিনি। ২০২৪ সালের আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাশরাফি। তবে গেল ৫ আগস্ট ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানের ফলে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপরদিন ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ।

আর পুরো আন্দেলনে নিশ্চুপ ছিলেন মাশরাফি। যে কারণে ভক্তদের ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছেন তিনি। তবে গতকাল একটি অনলানইকে দেওয়া সাক্ষাতকারে মুখ খুলেছেন সব বিষয় নিয়ে। সেখানে প্রশ্ন করা হয় ক্রিকেট বোর্ডে কাজ করা নিয়ে।

জবাবে মাশরাফি বলেন, আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর খেলা বাদ দিয়ে ক্রিকেট বোর্ডে যাইনি সাধারণত। নিজের কথা আসলে ভাবিনি। যে জায়গায় আমি ছিলাম, হয়তো ওপরের মহলে গিয়ে বলতে পারতাম যে ক্রিকেটে এই কাজটা করতে চাই বা ওই দায়িত্ব নিতে চাই। কিন্তু নিজের কথা বলতে চাইনি কখনোই।

'যখন বলার সুযোগ ছিল, তখনই বলিনি। এখন যে পরিস্থিতি, আমার কাছে মনে হয়, ক্রিকেট বোর্ডে থাকা বা এরকম কোনো দায়িত্ব আমার প্রাপ্য নয়। আমি দাবিও করতে পারি না। যখন রাজনীতিতে ছিলাম, ক্রিকেট বোর্ডে থাকার চেষ্টা করিনি। এখন রাজনীতিতে নেই, এখন যদি বোর্ডে থাকার চেষ্টা করি বা থাকতে চাই, তাহলে কেমন হয়ে যায় না!'-যোগ করেন তিনি।

এরপর বলেন, 'যদি ছোট কোনো প্ল্যাটফর্মে সুযোগ আসে, সেই জায়গা থেকে চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু বড় পরিসরে বা বোর্ডে গিয়ে বলব, এখন কাজ করতে চাই ক্রিকেট নিয়ে এটা অনেকটা সুযোগসন্ধানী ব্যাপার হয়ে যাবে। এই জায়গা থেকে আমার মনে হয়, এটা আমার প্রাপ্য নয়। হ্যাঁ, ক্রিকেট আমার রক্তে আছে। কেউ কখনও সহায়তা চাইলে অবশ্যই পাশে থাকব। কিন্তু বোর্ডে থাকার বাস্তবতা এই মুহূর্তে আমার নেই। ডিজার্ভও করি না।'


আরও খবর
ভারত সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পাবনার আটঘরিয়ায় শিম চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন কৃষকদের

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

শিম বাংলাদেশের অন্যতম লতা জাতীয় শীতকালিন সবজি। উপজেলায় গ্রীস্মকালীন সবজি হিসেবে আগাম জাতের শিমের আবাদ হচ্ছে। শিম লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিন-দিন এই আবাদের দিকে ঝুঁকছে। ভালো ফলন ও বেশি দামে শিম বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষক।

আটঘরিয়ায় শীতের আগেই বাজারে উঠতে শুরু করেছে শিম। ভালো ফলন ও বেশি দামে শিম বিক্রি করতে পেরে খুশি তারা। অসময়ে শিমের আবাদ সম্পর্কে জানতে গ্রামের মাঠের দিকে তাকালেই দেখা যায় জমি জুড়ে শিম আর শিমের মাঠ। মাটি থেকে সর্বোচ্চ ৪ থেকে ৫ ফুট উচু বাঁশের মাচা তৈরী করে আবাদ করা হয়েছে উচ্চ ফলনশিল অটো জাতের এই শিম।

বিকেল হলেই চাষীরা তাদের পরিবারের লোকজন নিয়ে শিমের পরিচর্যায় ব্যাস্ত থাকেন। কারন বিকেলের দিকে শিমের পরিচর্চার উপযুক্ত সময়। চলতি মৌসুমে আটঘরিয়া উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার চাষিরা বিভিন্ন জাতের শিম চাষ করছেন। এর মধ্যে শিমের উল্লেখ যোগ্য জাত হলো- অটো, রুপবান, চকলেট, কেরালা জাতের শিম আবাদ করেছে বেশি। এছাড়াও স্থানীয় জাতের শিমও আবাদ হয়েছে প্রচুর পরিমাণের। বর্তমানে আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে ফলন ভাল হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা । তবে দাম ভালো পাওয়ায় শিম আবাদের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেনতারা।

কৃষকরা জানান, অতিমাত্রায় বৃষ্টি হলে এবং পরে গরমে গাছের ফুলগুলো ঝড়ে পড়ে। একই সঙ্গে গাছে পঁচন দেখা দেয়। উপজেলার সব এলাকায় কমবেশি শিম আবাদ হলেও আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া, চাঁদভা, সড়াবাড়িয়া, খিদিরপুর, দেবোত্তর এবং আটঘরিয়ার কিছু এলাকায় বেশি পরিমাণে আগাম জাতের শিম আবাদ হয়েছে। ধলেশ্বর গ্রামের শিম, চাষি (মস্তফা) জানান, তিনি কয়েক বছর ধরে আগাম জাতের শীম চাষ করছেন। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খুব খুশি। ভাগ্য বদলে শিম চাষ খুবই ভুমিকা রাখছে।

ওসমান জানান, আগাম জাতের শিম আবাদ করে আসছি। প্রতি বছরই কম বেশি লাভ হচ্ছে। তার এই শিম আবাদ করা দেখে এলাকায় অনেকেই এগিয়ে এসেছেন শিম চাষে। তিনি আরো জানান, আগাম জাতের এই শিমের বীজ জমিতে সাধারণত জুন মাসে বপন করতে হয়। বীজ বপনের ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর গাছ গুলোতে ফুল আসতে শুরু করে। বৃষ্টিতে বা গাছগুলো মারা না গেলে দীর্ঘ ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।

একই এলাকার শিম চাষি রওশন জানান, এবছর আমি আমার ২বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছি। ফলন মোটামুটি ভালো। ইতিমধ্যে আমি ১০ হাজার  টাকার শিম বিক্রয় করেছি। আশা করছি আগমী শনিবারে এক চালানেই ৪০ হাজার থেকে ৫০হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারব ইনশাআল্লাহ।

কৃষক ওসমান জানান, তিনি এবছর ৫ বিঘা জমিতে অটো জাতের শিম চাষ করেছেন। বিঘাপ্রতি ১ লক্ষ টাকা করে শিম বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

একই গ্রামের শিমচাষী নজরুল জানান, বিঘা প্রতি খরচ বাদে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ হয়। বর্তমানে শিমের আবাদে নানা উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় কিছুটা বেশি। বীজ লাগানোর পর থেকে এক বিঘা জমিতে শিম আবাদ করতে বীজ, সার, বাঁশ, তার, শ্রমিক, সেচ খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।

শিমের গাছ মাচায় উঠে গেলে ফুল এবং ফল ধরার সময় পোকা দমন এবং পচন রোধে প্রায় প্রতিদিন ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। ৫০ থেকে ৫৫ দিনে গাছে ফুল ও ফল ধরে। এছাড়াও এ এলাকার অনেকেই আগাম শিম চাষ করছেন তারা হলো- ওসমান ৫বিঘা, মুকুল ২ বিঘা, রওশন আড়াই বিঘা, সিরাজুল দেড় বিঘা, নজরুল ১ বিঘা, নুরুল ১ বিঘা, মকছেদ ১ বিঘা, মান্নান ১ বিঘা এবং মোস্তফা ২ বিঘা শিমের চাষ করছেন। প্রতি কেজি শিম ২০২ থেকে ২০০,২২০,২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার মাজপাড়া চাঁদভা, খিদিরপুর, সড়াবাড়িয়া, মুলাডুলিতে এবং

ধলেশ্বর মাদ্রাসার মার্কেটে শিমের আড়ৎ বসে। পাইকারি বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, এবছরের প্রথম দিকে প্রতি কেজি শিম ২০০ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। দীর্ঘসময় ধরে এই দামটা চলমান আছে। তারা ঢাকায় পাঠানোর জন্য এই এলাকার শিম সরবরাহ করে থাকেন।

আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সজিব আল মারুফ জানান, বাংলাদেশে যে কয়টি উপজেলা আছে শিম চাষে তার মধ্যে আটঘরিয়া উপজেলা উন্নতম। গ্রীষ্মকালীন আগাম শিম হওয়ার কারনে কৃষক লাভবান হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি যে, গ্রীষ্মকালীন এই শিম নিরাপদ ভাবে উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা পুরণ করে দেশের বাহিরে নিয়ে যেতে পারবো উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই চেষ্টা করছে।আগাম শিম আবাদে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষকদের নানা ভাবে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

গত বছর এই উপজেলায় আগাম জাতের শিম চাষ করা হয়েছিলো ১৫'শ হেক্টর। আর এবছরে চলতি মৌসুমে ১৫'শ ৫৩ হেক্টর জমিতে শিম চাষ করা হয়েছে। যা আগের তুলনায় ৫৩ হেক্ট বেশি।

নিউজ ট্যাগ: ঈশ্বরদী শিম

আরও খবর



অতিরিক্ত এসপি ও এএসপি পদমর্যাদার ৩৩ কর্মকর্তার বদলি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৩৩ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জারি করা আলাদা আদেশে তাদের বিভিন্ন ইউনিটে পদায়ন করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, বর্ণিত কর্মকর্তাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জনস্বার্থে তাদের নামের পাশে উল্লিখিত পদে/স্থানে বদলি ও পদায়ন করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসানের সই করা আদেশে এ বদলি/পদায়ন করা হয়।


আরও খবর