আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

গ্রাহকের মৃত্যুতে ওয়ালটন প্লাজার কিস্তি মওকুফ, দুই পরিবারকে ১ লাখ টাকা সহায়তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কিস্তিতে পণ্য কেনা গ্রাহকের মৃত্যুতে অবশিষ্ট কিস্তি মওকুফ করেছে ওয়ালটন প্লাজা। একই সঙ্গে দিয়েছে আর্থিক সহায়তা। প্রতিষ্ঠানটির কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতির আওতায় এই সুবিধা পেয়েছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কৃষক মুকুল মিয়া এবং সদর উপজেলার সবজি বিক্রেতা সুলতান মিয়ার পরিবার। এই দুই গ্রাহকের মৃত্যুতে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা। ইতোমধ্যেই ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য কিনে একই ধরনের সুরক্ষা সহায়তা পেয়েছেন অসংখ্য ক্রেতা এবং তাদের পরিবার।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি, ২০২৩) জেলার পুলেরঘাট বাজার ওয়ালটন প্লাজায় মৃত দুই ক্রেতার পরিবারের সদস্যদের হাতে ৫০ হাজার টাকার দুটি চেক তুলে দেন কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ। প্রয়াত মুকুল মিয়ার পক্ষে চেক গ্রহণ করেন তার স্ত্রী রাবেয়া এবং সুলতান মিয়ার পক্ষে তার স্ত্রী সাজেদা খাতুন।

সে সময় উপস্থিত ছিলেন পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমদাদুল হক জুটন, পাকুন্দিয়া থানার ওসি সুমন মিয়া, পুলেরঘাট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম জাফরুল ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ওয়ালটনের ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার সালেহ আহমেদ, কিশোরগঞ্জ জোনের রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মেহেদী হাসান, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানাজার আতিকুর রহমান, ওয়ালটন প্লাজা পুলেরঘাট শাখার ম্যানেজার রাসেল আহমেদ প্রমুখ।

জানা গেছে, গত ১৩ ডিসেম্বর লক্ষিয়া গ্রামের কৃষক মুকুল মিয়া পুলেরঘাট ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে প্রিমোআরটেন মডেলের একটি স্মার্টফোন কেনেন। তিনি ২৪ ডিসেম্বর স্ট্রোকে মারা যান। আর গত বছরের ২৬ অক্টোবর দরবারপুর গ্রামের সবজি বিক্রেতা সুলতান মিয়া একই প্লাজা থেকে ওয়ালটনের প্রিমোএনফাইভ স্মার্টফোন কেনেন। ৩০ ডিসেম্বর তিনিও স্ট্রোকে মারা যান। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর এমন আকস্মিক মৃত্যুতে অকল সাগরে পড়ে এই দুই পরিবার। এর প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি অনুযায়ী মৃত গ্রাহকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ওয়ালটন প্লাজা। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা। যেখান থেকে কিস্তির পাওনা টাকা সম্পূর্ণ মওকুফ হয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ক্রেতাদের বাড়তি সুবিধা প্রদানের জন্য কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি চালু করেছে শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন। কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতির আওতায় যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এই নীতির আওতায় পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ ওয়ালটনের কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা সহায়তা নীতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই সহায়তা কার্যক্রম ওয়ালটনের অনেকগুলো চমৎকার উদ্যেগের মধ্যে অন্যতম। ক্রেতার পরিবারের জন্য এমন সুবিধা কেবল ওয়ালটনই দিতে পারে। এরফলে ওয়ালটনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরো বাড়বে।

ওয়ালটন ক্রেতাদের দেয়া এই সুবিধার বিষয়ে জানতেন না মুকুল মিয়ার স্ত্রী রাবেয়া খাতুন। ৩ ছেলে ও ৫ মেয়েসহ ১০ সদস্যের পরিবারের বোঝা এখন তার ওপর। অসহায় অবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়ানোয় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এদিকে কিস্তির টাকা আর পরিশোধ করা লাগছে না জেনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়েন সুলতান মিয়ার স্ত্রী সাজেদা খাতুন। পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা পাওয়ায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। এই সহায়তার টাকা সংসারের কাজে ব্যয় করবেন বলে জানান।


আরও খবর



বিয়ের আগে সম্পর্ক ভাঙল সমকামী যুগল সুফি ও অঞ্জলির

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিয়ে ভাঙল সমকামী যুগল অঞ্জলি চক্র ও সুফি মালিকের। অঞ্জলি ভারতের বাসিন্দা। আর সুফি পাকিস্তানের নাগরিক। দুজনই থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে।

অনেক দিন ধরে তাদের প্রেম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত। পাঁচ বছর আগে অঞ্জলি ও সুফির প্রেম পর্বের সূত্রপাত। সমকামী এ যুগল ২০১৯ সালে নিজেদের প্রেমের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের একাংশের মন জয় করেছিলেন। অনেকের কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাদের।

সেই সময় দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বৃষ্টির মধ্যে নাচের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে অনেকের প্রশংসা কুড়ান অঞ্জলি ও সুফি। এরপর টানা পাঁচ বছরের প্রেম। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করার কথাও ছিল তাদের। কিন্তু তার আগে ইনস্টাগ্রামে পৃথক পোস্টে নিজেদের বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন তারা।

কেন বিয়ের কয়েক সপ্তাহ আগে সম্পর্কে ইতি টানলেন অঞ্জলি ও সুফি? অঞ্জলি জানিয়েছেন, সুফির বিশ্বাসঘাতকতার জন্যই বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কী বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তা নিজেই জানিয়েছেন সুফি। তিনি জানান, বিয়ের কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি অঞ্জলিকে ঠকিয়েছেন, তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে সুফি লিখেছেন, আমাদের বিয়ের কয়েক সপ্তাহ আগে আমি অঞ্জলির সঙ্গে প্রতারণা করেছি। বিশ্বাসঘাতকতা করেছি। ওকে ভীষণভাবে আঘাত করেছি। আমি ভুল স্বীকার করছি। আমি জানি কী ভুল করেছি। আমি শুধু অঞ্জলি ও আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি যাদের ভালোবাসি, তাদেরই আঘাত করে ফেলি। তার মধ্যে আমার পরিবার, প্রিয়জন ও বন্ধুরা রয়েছে। যারা এত দিন ধরে আমাদের পাশে থেকেছেন, তাদের ধন্যবাদ।

অন্যদিকে অঞ্জলি ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, সুফি ও আমি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে রয়েছি। আমাদের ভালোবাসা আপনাদের সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে আমরা ভাগ্যবান। কিন্তু এখন আমাদের পথ আলাদা হয়ে যাচ্ছে। সুফির বিশ্বাসঘাতকতার কারণে আমরা আমাদের বিয়ে বাতিল করেছি এবং সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এর জন্য সুফির প্রতি মানুষ যেন কোনো নেতিবাচক ব্যবহার না করেন, সেই অনুরোধও ওই পোস্টে করেন অঞ্জলি।

সদ্য বিচ্ছেদ হওয়া যুগলের অনুরাগীদের একাংশের দাবি ছিল, তাদের বিয়ে ভাঙার ঘোষণা নিছকই মজা। তবে অঞ্জলি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সত্যিই বিচ্ছেদ হয়েছে তাদের। বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনলাইনে যে আবেদন তিনি করেছিলেন, তাও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অঞ্জলি।

অঞ্জলি ও সুফি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে ছিলেন। বছরখানেক আগে তারা একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।

এক বছর আগে নিউইয়র্কের এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ে অঞ্জলিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সুফি। এরপর নিজেদের বাগদানের কথা ঘোষণা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন তারা।

অঞ্জলি নিউইয়র্ক ও সান ফ্রান্সিসকোতে বিবাহের অনুষ্ঠান পরিকল্পনা সংক্রান্ত ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে সুফি নিউইয়র্কে জীবনধারা ও ভ্রমণ বিষয়ক কনটেন্ট ক্রিয়েটর

ইনস্টাগ্রামে অঞ্জলি ও সুফি দুজনেরই ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ করে।

ইউটিউবে যৌথভাবে একটি চ্যানেলও চালান সুফি ও অঞ্জলি। সেই ইউটিউব চ্যানেলে প্রায় দেড় লাখ ফলোয়ার রয়েছে। তবে তাদের বিচ্ছেদের পর সেই চ্যানেলের কী হবে, তা এখনো জানা যায়নি।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আ.লীগের কর্মসূচি

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।

দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।

এদিন সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। একইসঙ্গে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং শিশু সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন তারা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ (৩/৭-এ সেনপাড়া, পবর্তা, মিরপুর-১০)-এ খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় সবুজবাগ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার ও সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আগামী সোমবার সকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে দলের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে সারা দেশে যথাযথ মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনের জন্য আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।


আরও খবর



আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্খা মুছে দেয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম অপারেশন সার্চলাইট।

এই অভিযানের নির্দেশ নামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনও লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়।

অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সেই আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।

অপারেশন সার্চলাইট কিভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লিখেছেন, ১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহন করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি। পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তাঁর কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন অপারেশন সার্চলাইট।

মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেপ্তার করা হলো আরও ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। এরপর সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হল। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।

পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল তাতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত অপারেশন সার্চ লাইট নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে।

ঢাকার ইপিআর সদর দফতর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের উইটনেস টু সারেন্ডার গ্রন্থেও এ সংক্রান্ত একটি বিবরণ পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অনুগত পাকিস্তানি হিসাবে পাক সামরিক জান্তার চক্রান্ত তিনি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন। ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর মুহূর্ত নিয়ে তিনি লিখেন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সামরিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এমন আঘাত হানার নির্ধারিত মুহূর্ত (এইচ-আওয়ার) পর্যন্ত স্থির থাকার চিহ্ন বিলুপ্ত হয়ে গেল। নরকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।

পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ রাত ১১ থেকে ১১টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ব্ল্যাক আউট পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দেবেন। এদিন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।

সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। এছাড়াও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে।


আরও খবর



লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন উর্বশী রাউতেলা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতে নির্বাচনের আগে শোবিজ ভুবনের তারকারা দলে দলে রাজনীতির খাতায় নাম লেখান। দীর্ঘদিন ধরে এমনটাই দেখা যাচ্ছে।

এদের মধ্যে ভোটের মাঠে কেউ জেতেন কেউ আবার পরাজিত হন। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ ভারতকে পথপ্রদর্শক বলেন কেউ কেউ। বিভিন্ন সময় বিনোদন জগতের তারকা এসেছেন রাজনীতিতে। এর সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত ছিলেন এমজি রামচন্দ্রন, জয়ললিতা, বৈজন্তিমালা, শিবাজি গণেশন, কমল হাসনেরা।

ভারতে নির্বাচনে পিছিয়ে নেই বলিউড ও টালিউড তারকারা। গত কয়েক বছর বাংলা সিনেমার সেরা সব তারকা নেমেছেন রাজনীতির ময়দানে। এদের মধ্যে থেকে সাংসদ, বিধায়কও হয়েছেন কেউ কেউ।

আসছে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষের মতো অভিনেত্রীরা। ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রির তারকারাও নেমেছেন রাজনীতির ময়দানে। এবার নয়া চমক। নির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উর্বশীকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি ভোটে দাঁড়ানোর কোনো প্রস্তাব কোনো দলের থেকে পেয়েছেন? অভিনেত্রী সহাস্যে জবাব দেন, হ্যাঁ, টিকিট পেয়েছেন। তবে কোন দল, তা তিনি প্রকাশ করেননি।

এ প্রসঙ্গে উর্বশী বলেন, আমি টিকিট পেয়ে গিয়েছি। এবার আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমি রাজনীতিতে নামব কি না। আমি এতদিন আমার ভক্তদের জন্য সব করেছি। এবারও তারাই বলুন, আমার কী করা উচিত। তবে রাজনীতিতে যোগ দিলে সৎ রাজনীতিক হব।

উর্বশী প্রায়-ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তুমুল আলোচনায়-সমালোচনায় থাকেন। কখনো তিন কোটি টাকার সোনার কেক কেটে, কখনো আবার ঋষভ পান্থের সঙ্গে প্রেম গল্পের কারণে। বর্তমানে তার হাতে সিনেমার কাজ নেই। কিন্তু সব সময়ই আলোচনায় সবর থাকেন।

নিউজ ট্যাগ: উর্বশী রাউতেলা

আরও খবর
বাংলাদেশে আসছেন আতিফ আসলাম

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




আন্দোলনে উত্তাল জবি, উপাচার্যের কাছে যেসব দাবি

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফাইরুজ অবন্তিকা নামে এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে মাঝরাতেই আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে ক্যাম্পাস। রাতেই আন্দোলনে উত্তাল ক্যাম্পাসে ছুটে যান উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত ১টায় উপাচার্য ক্যাম্পাসে গেলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আটকে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তখন ড. সাদেকা হালিম শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় ঘোষণা দেন।

এসময় এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত কর্মদিবস সময় নিতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে আগামী ১২ ঘণ্টায় মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থার দাবি জানান। একই সঙ্গে রাতের মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন :ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ যে শাস্তির বিধান রয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিগত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানিসহ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতির কারণে অভিযুক্তরা পার পেয়ে গেছেন। তাই এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য বিগত সময়ে ঘটে যাওয়া সব বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এদিকে এর আগে উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। একই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন আইন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দাস। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, সঙ্গীতের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ।

এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা জেলা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফাইরুজ অবন্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেছেন।

ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মাঝরাতেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল হয় জবি ক্যাম্পাস। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে থাকেন। এছাড়া টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন।


আরও খবর