আজঃ বুধবার ০১ মে ২০২৪
শিরোনাম

গরিবের চাল নিয়ে নয়-ছয়, অভিযোগের আঙ্গুল চেয়ারম্যানের দিকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঈদের আগে গরিবের ভিজিএফের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জনপ্রতি দশ কেজির পরিবর্তে ৭-৯ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। তবে চাল কম দেওয়ায় চেয়ারম্যানকে বলতে গেলে উল্টো বলেন ফ্রি চাল পাও এতেই বেশি আবার অভিযোগ। এতে ক্ষুদ্ধ ওই ইউনিয়নের সুবিধাভোগীরা।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে। দরিদ্র ও অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের চাল না দিয়ে স্বচ্ছল ব্যাক্তিদের চাল দেওয়ার অভিযোগ ও তুলেন ভুক্তভোগীরা।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) সদরের বেশকয়েকটি ইউনিয়নে হত-দরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফর চাল বিতরণ করা হয়।

দেবীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বৃদ্ধ জয়নুল আবেদীনসহ আরো দু'জন টিপ সই দিয়ে ভিজিএফর ত্রিশ কেজি একটি খোলা চালের বস্তা নেন। দোকানে ওজন দিয়েন দেখেন চাল ত্রিশ কেজি নয়, ছাব্বিশ কেজি। বাকি চাল উধাও। এ কথা চেয়ারম্যানকে বলতে গেলে চেয়ারম্যান রেগে গিয়ে বলেন ফ্রি চাল পাচ্ছেন এটাই বেশি।

একই ইউনিয়নের তরিকুল ইসলাম সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অপেক্ষার পর তিনজন মিলে ত্রিশ কেজি চাল পান। তিনিও বাইরে এক দোকানে চালের বস্তাটি ওজন দিয়ে দেখেন ত্রিশ কেজি চালের বদলে চাল হচ্ছে সাতাশ কেজি। বাকি তিন কেজি নেই। তরিকুল চেয়ারম্যানকে এ কথা বলতে যাবে এমন সময় রাস্তায় থাকা পরিষদের দু'জন সদস্য থামিয়ে দিয়ে বলেন চেয়ারম্যানের অনেক রেগে আছে চাল যা পাইছেন তা নিয়ে চলে যান। পরে সমস্যা হতে পারে।

তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের অভিযোগ বলেন, প্রায় ২৫ জন চাল ওজন দিলো কিন্তু কেউ সঠিক ভাবে চাল পাইনি। কেউ পেয়েছে সাত-আট কেজি আবার কেউ নয় কেজী। কিছু বললেই চেয়ারম্যান রাগ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

অভিযোগ রয়েছে, ওই ইউনিয়নে অস্বচ্ছলদের ভিজিএফর কার্ড না দিয়ে স্বচ্ছলদের কার্ড দিয়ে ভিজিএফর চাল প্রদান করা হয়। স্বচ্ছল ব্যাক্তিরা সেই চাল পেয়ে গরিবদের কাছে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়।

চাল কিনতে আসা এক বৃদ্ধের সাথে কথা হয়। নামপ্রকাশ না করার সত্যে তিনি জানান, মুই গরিব মানুষ। মুই কোন চাউনের কার্ড পাওনি। কাহোও মোক কিছু দেনা। আজি শুনিনু বোডড (পরিষদ) নাকি চাউল দিবে। আসেহেনে শুনুনু লোকলা চাউল পাহেনে বিকাছে (বিক্রি)মুইহো মাইছের কাছত ৩০০ টাকা ধার করে দশ কেজি কিনিনু এলা দেখেছু আট কেজি। মোক গরিব লোকটাক ঠকাবা নাগিবে। কি লাভ মোক ঠকাহেনে।

স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যারা প্রকৃত গরিব তারা যদি চাল না পাই তাহলে ভিজিএফর চাল কারা পাচ্ছে? যারা চাল পাচ্ছে তারা অনেকেই তা বিক্রি করে দিচ্ছে। বস্তা প্রতি আধাকেজি চাল কম মানা যায় কিন্তু চার থেকে পাঁচ কেজি। বাকি চালগুলো কথায় যাচ্ছে? কে খাচ্ছে?। চেয়ারম্যানকে বলতে গেলে তিনি উগ্র ভাষায় বলে যে ফ্রি চাল পাচ্ছে এটাই বেশি আবার অভিযোগ। চেয়ারম্যানের এমন কথায় মনে হচ্ছে তিনি তার নিজের টাকায় কিনে চালগুলো দিচ্ছে।

তারা আরো বলেন, এতো অভিযোগ তবুও কোন ব্যবস্থা নেয়া না স্থানীয় প্রশাসন। ইউএনওকে অভিযোগ দিলে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে তিনি কোন ব্যবস্থা নেয় চেয়ারম্যান নিজের ইচ্ছেমতো যাচ্ছেতাই ভাবে পরিষদ চালাচ্ছে। শুধু চাল নয়, আরো অসংখ্য অনিয়মের অভিযোগ আছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। যারা সত্যিকারেই অসহায় দুএকজন ছাড়া বাকিরা কেউ কোন সুবিধা পাইনা বলে অভিযোগ তাদের।

তবে চাল কম দেওয়ার ব্যাপারে চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি সংবাদকর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, চাল কম দিচ্ছি কি দিচ্ছি না এটা আমি বুঝবো আর যারা নিচ্ছে তারা বুঝবে। আপনারা কথা বলার কে?। কত সাংবাদিক এলো গেলো কেউ কিচ্ছু করতে পারেনি আমার। নিউজ করে কোন লাভ নেই। কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে তিনি সংবাদকর্মীদের উপর তেরে আসেন।

একই চিত্র সালন্দর ইউনিয়নেও। সেখানে চাল বিতরণের সময় প্রত্যেক কার্ডধারীদের চার থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে বিষয়টি সদর উপজেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ পূর্ণবাসন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানাতে পেরে চাল বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। পরে তিনি নিজেই পরিষদে গিয়ে চাল বিতরণ করেন। সালন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে এলাহী মুকুট চৌধুরী জরুরী কাজে শহরের বাইরে থাকায় প্যানেল চেয়ারম্যান এমনটা করেছে বলেন জানান এ কর্মকর্তা।

অন্যদিকে, গতকাল সোমবার বিকেলে রুহিয়া থানায় সবুজ সাথী হাসকিং মিলের গোডাউন থেকে ২৮বস্তা ভিজিএফের চাল উদ্ধার করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান ও উপজেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ পূর্ণবাসন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন।

জানা গেছে, সোমবার ঢোলারহাট ইউনিয়নে দরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফ'র চাল বিতরণ করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সবুজ সাথী হাসকিং মিলে অভিযান চালিয়ে ২৮বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করে ইউএনও। তবে সবুজ সাথী হাসকিং মিলের মালিক শহিদুল ইসলাম জানায়, ঢোলারহাট ইউনিয়নের কৃষ্ণ রায় ও দীনেশ চন্দ্র'র কাছে তিনি চালগুলো ক্রয় করেন।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান জানান, কোন ইউনিয়নে ভিজিএফ এর চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর রুহিয়ায় হাসকিং মিল থেকে যে চালগুলো উদ্ধার করা হয়েছে তা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



শরিয়তপুরে অসহায় ৩’শ পরিবার পেল ঈদ উপহার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদের আনন্দ সকলের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও অসহায় ও নিম্ন আয়ের তিনশত পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে শরীয়তপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশন

গতকাল রবিবার (৭ এপ্রিল) শরিয়তপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় হতদরিদ্র এবং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ৩০০ পরিবারের মাঝে শরীয়তপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ঈদ উপহার পৌঁছে দেয়া হয়।

স্বপ্নযাত্রার ঈদ উপহারে রয়েছে, পোলাউয়ের চাল ১ কেজি, চিনি ১ কেজি, লাচ্ছা সেমাই ১ প্যাকেট, সাধারণ সেমাই ১ প্যাকেট, নুডুলস ফ্যামিলি ১ প্যাকেট, গুড়ো দুধ ১০০ গ্রাম, কিসমিস ৫০ গ্রাম, গরম মসলা।

সংগঠনের সূত্রে জানা গেছে স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশন শরীয়তপুর জেলার একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন। সামাজিক কর্মকাণ্ড ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর শুরু হয় সংগঠনের একের পর এক ব্যতিক্রমী কার্যক্রম। এই সংগঠন যাত্রা শুরুর পরে হতেই ব্যতিক্রমী সব কার্যক্রমে জয় করছে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা।

এ ছাড়াও সংগঠনটি, স্বেচ্ছায় রক্তদান, রক্ত দানে  তরুণদের কে উৎসাহিত করা, বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরন করা, মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, বৃক্ষরোপন কর্মসূচি, অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন, অনলাইন ভিত্তিক কোরআন তেলোয়াত প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন সামাজিক কাজের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয় শরীয়তপুর জেলায়।

সংগঠনটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই উদ্যোমী তরুণদের সহযোগিতায় মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। এবার নিয়ে আমরা ৫ম বার ঈদ উপহার বিতরন করছি, আমাদের এই মহৎ উদ্যোগে যেসকল স্বেচ্ছাসেবী সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষী ভাইয়েরা দেশ ও প্রবাস থেকে আর্থিকভাবে,শারিরীকভাবে ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাই।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ সিয়াম বলেন, সংগঠনটি গড়ে তোলা হয়েছে মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য,অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটানোই এ সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য, আগামীতেও এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও কার্যকরী সদস্য মাহফুজ ঢালী বলেন, শরীয়তপুর জেলায় শিক্ষার হার ও মান বৃদ্ধি করে মাদকমুক্ত সৃজনশীল তারুণ্য তৈরির মাধ্যমে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন স্বপ্নের আগামী নির্মাণ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। একইসাথে অসুস্থ,দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থেকে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় রয়েছে শরীয়তপুরের স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশন

তিনি আরও বলেন, সংগঠনের যাত্রালগ্ন থেকে রমাদান উপহার প্রজেক্ট ও ঈদ উপহার প্রজেক্টসহ সকল উদ্যোগে প্রবাসী ভাই ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষীদের আর্থিক ও পরামর্শমুলক সহযোগিতার ফলেই আমরা শরীয়তপুর জেলা ভিত্তিক সবচেয়ে  সুপরিচিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আমরা আশাবাদী সবার যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা স্বপ্নের আগামী নির্মাণ করতে সক্ষম হবো।

এ সময় বিভিন্ন পেশাজীবী, শিক্ষক, উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, উদ্যমী তরুণ, সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান বিভ্রান্তিমূলক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারের ঈদযাত্রায় ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন ও এক হাজার ৩৯৮ জন মানুষ আহত হয়েছেন এমন একটি তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল (শনিবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এই তথ্য প্রকাশ করেন সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) হতাহতের সংখ্যা কম প্রকাশ করে আত্মতুষ্টিতে ভোগার মধ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে। এদিকে, তাদের এই তথ্যকে বিভ্রান্তিমূলক বলে মন্তব্য করেছে বিআরটিএ।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বনানীর বিআরটিএর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

তিনি বলেন, এবারের ঈদযাত্রার ১৭ দিনে সারা দেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ঘটা এসব সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত ও ৪৬২ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, পরিতাপের বিষয় একটি বেসরকারি সংগঠন (যাত্রী কল্যাণ সমিতি) আমাদের প্রকাশিত রিপোর্ট সম্পর্কে আমাদের পরিসংখ্যানগত কোনো গরমিল প্রসঙ্গে অবহিত না করে ৪-১৮ এপ্রিল অর্থাৎ ১৫ দিনের সড়ক দুর্ঘটনার যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে নিহতের সংখ্যা বিআরটিএর তথ্য থেকে শতাধিক বেশি। যা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। একই সঙ্গে এ তথ্য বিভ্রান্তিমূলক।

এদিকে, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ২০২৩ সালে সারা বছর দেশের বড় সাতটি মেডিকেল কলেজের রেকর্ড বইয়ের তথ্য বলছে, ওই বছর সারা দেশে প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই বছর বিআরটিএ বলল মাত্র সাত হাজার কি সাড়ে সাত হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আমরা তাদের কাছে এটার ব্যাখ্যা চেয়েছি। কিন্তু তারা এটার কোনো ব্যাখ্যা আমাদের দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, অন্যজনকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্যর কথা বলতে হলে আপনাকে সঠিক তথ্য জানাতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত ১১টির বেশি রিপোর্ট বিআরটিএকে দিয়েছি। এখন আমরা বিআরটিএ রিপোর্ট যাচাই করতে চাই। কারণ কোন রিপোর্ট আমাদের খাতায় আছে, কিন্তু তাদের খাতায় নেই?

তিনি বলেন, হতাহতের সংখ্যা কম দেখানো মানে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা। কারণ সরকার তাদের রিপোর্টকেই প্রায়োরিটি দেয়। সরকার তাদের রিপোর্টকে প্রায়োরিটি দেওয়ার কারণে মনে করেন দুর্ঘটনা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে না, অর্থাৎ কম হচ্ছে। ফলে সরকার এটিতে কম মনোযোগ দেয়। বিআরটিএ কম সংখ্যা প্রকাশ করে আত্মতুষ্টিতে ভোগার মধ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার দায় তাদেরই নিতে হবে।

মূলত বিআরটিএ সারা দেশে তাদের থাকা সার্কেল অফিসের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে।


আরও খবর



তীব্র গরমে ঢাবিতে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

চলমান তাপপ্রবাহের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চলবে।

আজ রবিবার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আদিষ্ট হয়ে জানাচ্ছি যে, সারাদেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপদাহ (হিট ওয়েভ)-এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রচলিত ১০% অনলাইন ক্লাসের পরিবর্তে শতভাগ অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং পরীক্ষাসমূহ চলমান থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, এক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থী হল অথবা বাসার বাইরে আসতে চাইলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নিম্নোক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সাথে চলাফেরার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

সাদা বা হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা, বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করা, বিশুদ্ধ পানি পান করা; প্রয়োজনে লবণযুক্ত তরল যেমন- খাবার স্যালাইন ইত্যাদি পান করা, তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয় যেমন- চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকা।


আরও খবর



বাংলাদেশে ঢুকে দুই যুবককে বিএসএফের গুলি

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ সীমান্তে প্রবেশ করে দুই বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলি করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টায় কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের খামারভাতি সীমান্তের ৯১৩ নম্বর মেইন পিলারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খামারভাতি সীমান্তে জমি দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন স্থানীয় যুবক এনামুল হক ও ইন্দু মিয়া। হঠাৎ বিএসএফ তাঁদের ধাওয়া দিলে তাঁরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। ওই সময় বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে গুলি চালান। অবশ্য দুই যুবক অক্ষত অবস্থায় নিরাপদ স্থানে যেতে পেরেছেন। এ ঘটনার পর থেকেই খামারভাতি এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এভাবে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য ধারণ করেন স্থানীয় শাকিল নামে এক যুবক। তিনি জানান, এমন ঘটনা প্রায় সময়ই সীমান্তে ঘটে। কিন্তু কোনো প্রমাণ থাকে না বলে কেউ বিশ্বাস করে না। প্রতিবাদও জানায় না। দূরে ভিডিও নিয়ে কাজ করার সময় এমন দৃশ্য দেখে ভিডিও ধারণ করেছি। এটিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিনিয়তই বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশিদের ধাওয়া করেন। অনেক সময় মারধর করে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ৪ মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে রুমা থানায় তিনটি এবং থানচি থানায় একটি মামলা হয়।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে মামলাগুলো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ঘটে যাওয়া সোনালী ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় রুমা থানায় ৫০-৬০ জন নাম না জানা ব্যক্তিকে আসামি করে তিনটি মামলা হয়েছে। এছাড়া, গত বুধবার দুপুরে থানচি কৃষি ব্যাংকে টাকা লুটের ঘটনায় থানচি থানায় ৩০-৪০ জনকে নাম না জানা আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।

থানচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, আজ শুক্রবার রুমা কৃষি ব্যাংক ম্যানেজার হ্লা শৈ থোয়াই মারমা বাদী হয়ে ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে মামলা করতে থানায় আসতে বলা হয়েছে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী জানান, ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় নাম না জানা আসামিদের বিরুদ্ধে রুমায় তিনটি ও থানচিতে একটি মামলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংক ডাকাতি করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনার ১৫ ঘণ্টা পর থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।


আরও খবর